খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

সাংবাদিকতায় কম্পোজিট স্টোরি : একটি সমন্বিত প্রতিবেদন

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
সাংবাদিকতায় কম্পোজিট স্টোরি : একটি সমন্বিত প্রতিবেদন

সাংবাদিকতা হলো সমাজের চিত্র তুলে ধরা এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে পাঠকের সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করা। কম্পোজিট স্টোরি সাংবাদিকতার এমন একটি ধরণ, যা জটিল বা বহুস্তরীয় বিষয়ের গভীর বিশ্লেষণ করতে এবং বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে ব্যবহৃত হয়। এটি একাধিক সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং একত্রিত করে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আলোকপাত করে।

এ প্রতিবেদনে আমরা কম্পোজিট স্টোরির কার্যকারিতা, প্রক্রিয়া, উপাদান এবং এর গুরুত্ব নিয়ে বিশদ আলোচনা করব।

কম্পোজিট স্টোরি কী?

সাংবাদিকতায় কম্পোজিট স্টোরি এমন একটি প্রতিবেদন, যেখানে একটি বিষয়কে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করে একটি সুসংগঠিত ও সমন্বিত চিত্র তৈরি করা হয়। এটি একাধিক উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও সাক্ষাৎকার, প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, শহরের পানি সংকট নিয়ে একটি কম্পোজিট স্টোরিতে থাকতে পারে :

1. পানির অভাবের কারণ।

2. সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা।

3. বিশেষজ্ঞদের মতামত।

4. সরকারের কার্যক্রম ও নীতিমালা।

5. পানির সংকটের ভবিষ্যৎ প্রভাব।

কম্পোজিট স্টোরি তৈরির প্রক্রিয়া : কম্পোজিট স্টোরি তৈরির সময় একটি নির্দিষ্ট কাঠামো অনুসরণ করা হয়। এর প্রক্রিয়াগুলো হলো:

১. বিষয় নির্বাচন : প্রথম ধাপে এমন একটি বিষয় নির্বাচন করতে হয়, যা বহুমুখী এবং জটিল। বিষয়টি অবশ্যই পাঠকের কাছে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

২. উৎস ও তথ্য সংগ্রহ : তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন উৎস ব্যবহার করা হয়। যেমন:

সাক্ষাৎকার: প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের (বিশেষজ্ঞ, ভুক্তভোগী, নীতিনির্ধারক) সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা।

পরিসংখ্যান: সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার ডেটা বিশ্লেষণ।

নথি ও প্রতিবেদন: পূর্বের গবেষণা বা প্রতিবেদন পর্যালোচনা।

৩. দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ:

একই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা বিশ্লেষণ করা। উদাহরণস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কৃষক, বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবাদীদের মতামত ভিন্ন হতে পারে।

৪. তথ্যের সংহতকরণ:

প্রাপ্ত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে একটি সুসংগঠিত কাঠামো তৈরি করা হয়।

৫. স্টোরির কাঠামো নির্ধারণ:

কম্পোজিট স্টোরির ক্ষেত্রে সাধারণত নিম্নলিখিত কাঠামো অনুসরণ করা হয় :

ভূমিকা বা প্রারম্ভিকা।

সমস্যার বিশ্লেষণ।

বিভিন্ন পক্ষের মতামত।

সমাধানের দিকনির্দেশনা।

উপসংহার

কম্পোজিট স্টোরির উপাদান :একটি কার্যকরী কম্পোজিট স্টোরি তৈরির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রয়োজন। সেগুলো হলো:

১. প্রাসঙ্গিকতা :পাঠকের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নির্বাচন করা।

২. বিশ্বাসযোগ্যতা:

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তা সংগ্রহ করা।

৩. ভারসাম্যপূর্ণ উপস্থাপন:

স্টোরিতে কোনো পক্ষপাতিত্ব না করে বিভিন্ন দিক সমানভাবে তুলে ধরা।

৪. গভীর বিশ্লেষণ:

বিষয়টির গভীরে গিয়ে এর কারণ, প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা।

৫. পাঠকের আকর্ষণ ধরে রাখা:

গল্প বলার কৌশল এবং সহজ ভাষার ব্যবহার।

একটি উদাহরণ: শহরের বায়ু দূষণ নিয়ে কম্পোজিট স্টোরি

বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শহুরে এলাকাগুলোতে এর প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে বায়ু দূষণ জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

বায়ু দূষণের কারণ:

যানবাহনের কালো ধোঁয়া।

শিল্প কারখানার বর্জ্য।

নির্মাণ কাজের ধুলো।

উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ানো।

ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা:

রিকশাচালক আব্দুল মালেক বললেন, “দিনশেষে আমার মাথা ব্যথা শুরু হয়, আর নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।”

স্থানীয় এক গৃহবধূ জানালেন, “আমার বাচ্চারা প্রায়ই সর্দি-কাশিতে ভোগে।”

বিশেষজ্ঞদের মতামত:

পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. রফিকুল ইসলাম বললেন, “শহরের বায়ু দূষণ শ্বাসযন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।”

সরকারি উদ্যোগ:

সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন:

নির্গমন নিয়ন্ত্রণের নীতিমালা প্রণয়ন।

পুরোনো যানবাহন অপসারণ।
তবে এগুলো যথেষ্ট নয়।

সমাধানের উপায়:

যানবাহনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ।

নির্মাণ কাজের ধুলো কমানোর ব্যবস্থা।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

বায়ু দূষণ একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। এটি সমাধানের জন্য সরকার, সাধারণ জনগণ এবং পরিবেশবাদীদের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

কম্পোজিট স্টোরির গুরুত্ব:

১. গভীরতা প্রদান:

এটি একটি বিষয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পাঠককে বিষয়টি বুঝতে সাহায্য করে।

২. ভারসাম্যপূর্ণ উপস্থাপন:

স্টোরি সব পক্ষের মতামতকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরে।

৩. সচেতনতা সৃষ্টি:

এটি পাঠকদের সচেতন করতে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সাহায্য করে।

৪. সমাধান প্রস্তাব করা:

কম্পোজিট স্টোরি সমস্যার সমাধানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করতে পারে।

কম্পোজিট স্টোরি সাংবাদিকতার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এটি পাঠকদের কাছে তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সহায়তা করে। বর্তমান সময়ের জটিল সামাজিক, রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলো বিশ্লেষণের জন্য এই পদ্ধতিটি অপরিহার্য।

এই ধরণের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা শুধু তথ্য পরিবেশন করেন না, বরং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন।

লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ব্যাচ ২০২১, প্রেস ইনস্টিটিউট, ঢাকা।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।