খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নাগরিক ও আমজনতা

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ণ
সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নাগরিক ও আমজনতা

সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে মানুষের ভূমিকা চিরকালই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ সমাজে দুই ধরনের পরিচয়ে নিজেদের উপস্থাপন করে—নাগরিক এবং আমজনতা। এ দুটো পরিচয়ের মধ্যে রয়েছে দায়িত্ব, অধিকার, ভূমিকা ও মনোভাবের ভিন্নতা। নাগরিক একটি রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে এবং রাষ্ট্রের অধিকারভুক্ত সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়। অন্যদিকে, আমজনতা বলতে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়, যারা সচেতন বা অসচেতনভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে জীবন যাপন করে। এ প্রবন্ধে নাগরিক ও আমজনতার সংজ্ঞা, তাদের ভূমিকা, পার্থক্য এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হবে।

নাগরিকের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য

নাগরিক বলতে সাধারণত একটি রাষ্ট্র বা দেশের অধিবাসীকে বোঝানো হয়, যে ব্যক্তি আইনত সেই রাষ্ট্রের সদস্য এবং নাগরিক অধিকার ভোগ করে। নাগরিকের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : নাগরিক আইনগতভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃত সদস্য। অধিকার ও কর্তব্য: নাগরিকের কিছু মৌলিক অধিকার রয়েছে যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং বাকস্বাধীনতা। পাশাপাশি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে যেমন কর প্রদান, আইন মেনে চলা, এবং ভোট প্রদান। নাগরিক সাধারণত রাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন। একজন নাগরিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

আমজনতা বলতে বোঝানো হয় সাধারণ জনগণ বা জনসাধারণ, যারা প্রতিদিনের জীবনে রাষ্ট্র ও সমাজের অংশ হিসেবে থাকে কিন্তু প্রায়শই রাজনৈতিক সচেতনতা বা সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকে।

আমজনতার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : আমজনতা কোনো বিশেষ আইনগত পরিচয়ের চেয়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।অনেক সময় তারা তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নয়। অনেক সময় রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ সীমিত থাকে। আমজনতা প্রায়ই ভোগবাদী চিন্তাভাবনার দিকে ঝুঁকে থাকে এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোতেই বেশি আগ্রহী। নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করা হলো– সচেতন এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত। অনেক সময় নিজেদের দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে অসচেতন। ভোট প্রদান, রাজনৈতিক আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করে। ভোট প্রদান করলেও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে উদাসীন থাকতে পারে। অধিকার ও সুবিধা ভোগের ধরণ। অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং তা দাবি করে। অধিকারের ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারে না। সামাজিক পরিবর্তনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।প্রায়শই সমাজের পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয়। নাগরিকত্ব শুধুমাত্র একটি আইনি ধারণা নয়, এটি সমাজের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য নাগরিকত্ব প্রয়োজন। নাগরিক সচেতন হলে সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সহজ হয়। যদিও আমজনতা অনেক সময় রাষ্ট্রের কাঠামোয় নিষ্ক্রিয় থাকে, তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমজনতার মতামত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে। অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো আমজনতা।সমাজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে রাখে।

নাগরিকত্ব ও আমজনতার মধ্যে সম্পর্ক : নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। নাগরিক এবং আমজনতা উভয়েই সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করে।সচেতনতা বৃদ্ধি: নাগরিকদের সচেতনতা আমজনতাকে সচেতন হতে উৎসাহিত করে। সম্প্রীতির উন্নয়ন: উভয়ের সহযোগিতা সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ায়।

চ্যালেঞ্জসমূহ : অনেক আমজনতা তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন নয়। দায়িত্ববোধের অভাব: নাগরিকদের অনেক সময় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা যায়। রাজনৈতিক দুর্ব্যবস্থা: রাজনৈতিক অস্থিরতা নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে। নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও প্রচার কার্যক্রম প্রয়োজন।স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে নাগরিকত্বের গুরুত্ব শেখানো উচিত। রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার।

নাগরিক ও আমজনতা একটি রাষ্ট্র ও সমাজের দুটি অপরিহার্য অংশ। সমাজের উন্নয়নের জন্য উভয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকের দায়িত্ব হলো সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং আমজনতার চেতনা জাগ্রত করা। অন্যদিকে, আমজনতাকে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে একটি সুষ্ঠু, সমৃদ্ধ এবং সম্প্রীতিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, সংগঠক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর। মোবাইল : 01675127483, ই-মেইল : rtrujjal@gmail.com

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।