খুঁজুন
                               
বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩২

রাঙ্গুনিয়ার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে পরিবেশ উপদেষ্টার প্রতিনিধি দল

এম. মতিন, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:২১ অপরাহ্ণ
রাঙ্গুনিয়ার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে পরিবেশ উপদেষ্টার প্রতিনিধি দল

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদী থেকে  অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। কোনভাবেই কর্ণফুলী নদী থেকে অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এতে বাড়ছে নদী ভাঙন। ফলে নদীতে বিলীন যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। এজন্য প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে দুষছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কর্ণফুলী নদী পাড়ের ভাঙন পরিদর্শন করেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) একটি প্রতিনিধি দল।

এসময় বেলার প্রতিনিধি দল উপজেলায় সরফভাটার দূর্গম পাইট্টেলিকুল, গোডাউন, মরিয়ম নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ইছামতী চর, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মধ্যম কদমতলি হিন্দু পাড়াসহ কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ভাঙন কবলিত স্পট পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন এবং নদী ভাঙনের শিকার মানুষদের সাথে কথা বলেন।

স্থানীয়রা জানান, টানা ১৬ বছর কর্ণফুলী নদী, শিলক খাল, ইছামতী নদীর বালু মহাল গুলো নিয়ন্ত্রণে ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভাই এরশাদ মাহমুদ ও খালেদ মাহমুদের কব্জায়। এরশাদ মাহমুদের শ্যালক ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের নামে ইজারার কথা বলে বালু উত্তোলন করতো আওয়ামী লীগের লোকজন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও থেমে নেই বালু উত্তোলন কার্যক্রম। পালিয়ে যাওয়া আ. লীগের নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখন বালু তুলছেন বিএনপির প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট।

স্থানীয়রা আরও জানান, পূর্বে ৮ -১০টি বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করলেও এখন অর্ধশতাধিক স্থান থেকে রাত দিন প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছেন চক্রটি। প্রতিদিন একেকটি পয়েন্টে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার পর্যন্ত বালু বিক্রি হয়, সবমিলিয়ে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার বালু বিক্রি হয়। বালু ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে সাধারণ পথচারীদের চলাচলের রাস্তা অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বালুভর্তি ট্রাকের অবাধ চলাচলে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের নাকে মুখে ধুলা ঢুকে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। অসহ্য ধুলার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। এসব বালুভর্তি ট্রাক চলাচলে বাধা দিতে গেলে অস্ত্রসহ বিভিন্ন হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের এ নিয়ে কোনো ‘মাথাব্যথা’ নেই। তাই বালুভর্তি ট্রাক চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

এদিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন- ২০১০ এ সেতু থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও সরফভাটার গোডাউন সেতুর ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রেজার দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। এতে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলা সাথে তিন ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগ সড়ক গোডাউন সেতু। সেতুর খুব কাছে ড্রেজার বসিয়ে ৪০ ফুট গভীর করে বালু তোলার কারণে সেতুর পিলারের গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও করছে এলাকাবাসী। তবে ইজারা বহির্ভূত এসব বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে প্রশাসনের নাকের ডগায় গোডাউন সেতুর পাশ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করলেও স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যজনক নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি স্থানীয়রা।

এবিষয়ে পরিদর্শনে আসা বেলার চট্টগ্রাম নির্বাহী পরিচালক মুনিরা বেগম বলেন, কর্ণফুলী নদী দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। অবৈধ বালু উত্তোলনের নির্মম শিকারে পরিণত হয়েছে এই কর্ণফুলী নদী।  রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা যথেচ্ছভাবে বালু তুলছেন। এতে নদীর পাড় ভাঙন থেকে শুরু করে পানির গতিপথ বদলে যাওয়া ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বালু উত্তোলনের জন্য ইজারাকৃত স্পট গুলোর বাইরেও উপজেলার ৩টি নদীর অর্ধশতাধিক স্পট থেকে ইজারাবহির্ভূতভাবে প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করছেন। আবার তাঁরা ইজারা নিচ্ছেন এক জায়গার আর বালু তুলছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। ফলে নদী ও বসতি এলাকা, সবখানে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আবার খোলা ট্রাকে বালু পরিবহনের কারণে বায়ুদূষণসহ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং পরিবেশ দূষণ করছে। এসব বিষয় গুলো আমরা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাবো।

আরও ৮০ ফিলিস্তিনি গাজায় নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ
আরও ৮০ ফিলিস্তিনি গাজায় নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনাহারে নতুন করে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। অনাহারে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন শিশু। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান দুর্ভিক্ষে আরও ১৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
সম্প্রতি গাজায় খাদ্য সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরায়েল পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিক তুলে নেওয়া হলেও এখনও সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ঢুকছে। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সাহায্য ঢুকতে পারছে না।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি জানান, গাজায় অবস্থানরত তার সহকর্মীরা মানুষজনকে এমন অবস্থায় দেখছেন যেন তারা “না বেঁচে আছে, না মরেছে – যেন হাঁটতে থাকা লাশ”।
জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, “শুধু ক্ষোভ বা নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে, দুর্ভিক্ষ রোধ করতে হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করতে হবে।”এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ড সফরে সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় প্রকৃত অর্থেই দুর্ভিক্ষ চলছে এবং ইসরায়েল এ অবস্থার জন্য “বড় ধরনের দায়” বহন করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগের দিন বলেন, “গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই”। তবে সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনিও স্বীকার করেন, গাজার পরিস্থিতি “কঠিন” এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েল কাজ করছে।
ট্রাম্প জানান, গাজায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে “বাউন্ডারিবিহীন খাদ্য কেন্দ্র” স্থাপনের পরিকল্পনা আছে, যাতে সবার সহজে প্রবেশ নিশ্চিত হয়। এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও কাজ করবে বলে জানান তিনি।
ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজার কিছু অংশে হামলা স্থগিত রাখবে এবং নতুন করিডোর খুলবে যাতে ত্রাণ প্রবেশ বাড়ানো যায়। জাতিসংঘ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও সংস্থাটির মানবিক প্রধান বলেন, সাহায্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম জানান, ইসরায়েল যেসব ‘মানবিক বিরতি’র কথা বলছে, সেগুলো আসলে খুবই সীমিত এবং কয়েক ঘণ্টার জন্য হয়, যা নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কার্যকর থাকে এবং এতে আন্তর্জাতিক কোনো তদারকি থাকে না।
এদিকে গাজায় শিশু খাদ্যের ঘাটতিও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গাজা সিটি’র আল-শিফা হাসপাতালে এক চিকিৎসক আল জাজিরাকে জানান, অপুষ্টিজনিত কারণে শিশু মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদাস মারা গেছে, কারণ তার জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মুলা দুধ পাওয়া যায়নি।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম অফিস জানায়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৪০ হাজারের বেশি শিশু ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পড়ছে। কারণ গত ১৫০ দিনে ইসরায়েল শিশু খাদ্য ঢুকতে দেয়নি গাজায়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা সব সীমান্ত ক্রসিং অবিলম্বে এবং শর্তহীনভাবে খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, যাতে শিশু খাদ্য ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারে।”

চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে জুলাই পুনর্জাগরণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে জুলাই পুনর্জাগরণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুরে স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক কার্যক্রমের আওতায় অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এতে সার্বিক সহযোগিতা করে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান রনি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ খবির উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকবাল আজম, আইটি কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসাইন, চিকিৎসক-কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডেঙ্গু পরীক্ষা, সাধারণ রোগীদের জন্যে স্বাস্থ্য সেবা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, চক্ষু পরীক্ষা, বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
এই কার্যক্রমে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জুলাই পুনর্জাগরণ শুধু একটি সামাজিক কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের নৈতিক ও মানবিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই শুধু একদিন নয়, বছরের বিভিন্ন সময়েও জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাক। এক্ষেত্রে প্রশাসন, চিকিৎসক এবং জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

কালি ও কলম পুরস্কার পেলেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসানসহ পাঁচ তরুণ লেখক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ
কালি ও কলম পুরস্কার পেলেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসানসহ পাঁচ তরুণ লেখক

দেশের নবীন কবি ও লেখকদের সাহিত্যচর্চাকে অনুপ্রাণিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে মাসিক সাহিত্যপত্র কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে প্রবর্তন করে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। সেই স্রোতধারায় শনিবার প্রদান করা হলো সিটি ব্যাংক নিবেদিত ২০২৪ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য অবদানের জন্যে পাঁচ তরুণ কথাশিল্পী পেয়েছেন এই পুরস্কার। এরমধ্যে চাঁদপুরের লেখক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান প্রবন্ধ ও গবেষণা শাখায় ‘শতবর্ষে চা শ্রমিক আন্দোলন : ডেডলাইন ২০ মে ১৯২১’ গ্রন্থের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন।
‘সতীতালয়’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা শাখায় পুরস্কার জয় করেছেন অস্ট্রিক ঋষি। ‘নির্বাচিত দেবদূত’ গ্রন্থের জন্য কথাসাহিত্যে পুরস্কার পেয়েছেন সাজিদ উল হক আবির। মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব শাখায় ‘একাত্তরে অবরুদ্ধ দিনের দুঃসাহস : সাগাই ফোর্ট এস্কেপ’ গ্রন্থের জন্যে স্বরলিপি এবং শিশু সাহিত্যে তিলকুমারের যাত্রা গ্রন্থের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন নিয়াজ মাহমুদ।
ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন এবং কালি ও কলমের প্রকাশক আবুল খায়ের। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে গানের দল ও কৃষ্ণকলি।
প্রসঙ্গত, কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার তরুণদের জন্যে প্রবর্তিত সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার।পুরস্কারটির অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরস্কারের জন্যে বই আহ্বান করা হয়। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য এই পাঁচটি বিষয়ে বই জমা নেয়া হয়েছে। বই জমা দেওয়ার পর বিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলীর পর্যবেক্ষণ-পর্যালোচনার ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থসমূহ নির্বাচন করা হয়।