খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত। এর অংশ হিসেবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাথে সমন্বয় করে সীমান্তের সংবেদনশীল নানা এলাকায় যৌথ টহল শুরু করেছে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)। শুক্রবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (এনএফআর) রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সংবেদনশীল এলাকায় যৌথ টহল শুরু করেছে। সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাথে সমন্বয় করে ওই যৌথ টহল দেওয়া হচ্ছে।

এনডিটিভি বলছে, এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা, সেই সঙ্গে রেলওয়ের সম্পদ এবং যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। রেলপথের যেসব অংশ বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ দিয়ে গেছে, সেখানে নজরদারি আরও জোরালো করতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করতে আরপিএফ, জিআরপি এবং বিএসএফ একসঙ্গে এই টহল শুরু করেছে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (এনএফআর) বিভিন্ন ডিভিশনে ইতোমধ্যেই এই যৌথ টহল চালানো হয়েছে, বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছের এলাকাগুলোতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এনএফআর-এর বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, রেলওয়ের অবকাঠামো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি কোনো রকম চুরি, ভাঙচুর, অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো ঝুঁকির চিহ্ন আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এছাড়া রেল সুরক্ষা ব্যবস্থা কতটা প্রস্তুত, সেটাও যাচাই করা হয়েছে।

গত বছর বাংলাদেশে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় এসব মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

এছাড়া সীমান্তবর্তী এই অঞ্চল বহুদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অবৈধ যাতায়াতের পথ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

চাঁদপুরে এই প্রথম লটারির মাধ্যমে ওএমএস পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র নির্বাচিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে এই প্রথম লটারির মাধ্যমে ওএমএস পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র নির্বাচিত

চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর পৌরসভায় ওএমএস কমিটি কর্তৃক ওএমএস এর পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র সমূহ লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই ২০২৫) বিকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলণ কক্ষে সকলের সামনে লটারির মাধ্যমে বিক্রয়কেন্দ্র সমূহদের নির্বাচিত করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

এ সময় জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, একটা ব্যবস্থা করতে গেলে আসলে সবাইকে খুশি করা যায় না। তবে আমরা চেয়েছি সবকিছু স্বচ্ছতার মাধ্যমে করার। আমরা চেয়েছি স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমরা এ বিক্রয়কেন্দ্র সমূহের প্রতিনিধি নিয়োগ দেই। যার কারণেই আজকে এ লটারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান রনি, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুর রহমান খানসহ জেলা ওএমএস কমিটির কর্মকর্তা ও ওএমএস এর বিক্নয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

লটারির মাধ্যমে বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন, ১নং ওয়ার্ড সাদ্দাম মল্লিক (রিফিউজি কলোনি), ২নং ওয়ার্ড লিটন তালুকদার (হরিসভা রোড সংলগ্ন), ৩নং ওয়ার্ড চুন্নু মিয়া খান (জাফরাবাদ), ৪নং ওয়ার্ডে আব্দুল হাই (পুরানবাজার ব্রীজ সংলগ্ন), ৪নং ওয়ার্ড সাইফুল ইসলাম (লোহারপুল প্রভাতি মার্কেট), ৫নং ওয়ার্ড ফরিদ মিয়াজি (রঘুনাথপুর), ৬নং ওয়ার্ড জাহিদ ভূঁইয়া (পালবাজার), ৭নং ওয়ার্ড মুহাম্মদ হানিফ (মাদ্রাসারোড সংলগ্ন), ৭নং মোস্তফা মিয়া (বড়স্টেশন), ৮নং ওয়ার্ড হানিফ মিজি (কোড়ালিয়া রোড), ৯নং আবুল খায়ের (বিপনীবাগ সংলগ্ন), ১০নং ওয়ার্ড মহিউদ্দিন মোল্লা (নতুন বাজার), ১১নং ওয়ার্ড আব্দুল মাজেদ (ময়দার মিল), ১২নং ওয়ার্ড আজিম মিজি (মিশন রোড), ১২নং ওয়ার্ড আনোয়ার হোসেন স্বপন (দর্জি ঘাট), ১২নং ওয়ার্ড উম্মে কুলছুম (চেয়ারম্যান ঘাট), ১৩নং ওয়ার্ড হারুনুর রশিদ (ওয়ারলেস), ১৪নং ওয়ার্ড মোবারক হোসেন (বাবুরহাট), ১৪ নং ওয়ার্ড মো. কাউছার পাটওয়ারি (বাবুরহাট বাজার সংলগ্ন), ১৫নং ওয়ার্ড সুকুমার রায় (বিটি রোড)।

চাঁদপুর সদর ইউএনও’র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর সদর ইউএনও’র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-এর আওতায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই ২০২৫) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশে শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, প্রয়োজন প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা। আজকের এই শিক্ষা উপকরণ হয়তো খুব বড় কিছু নয়, কিন্তু এটি একজন শিক্ষার্থীর মনে আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ জোগাবে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ঝরে পড়া রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী শুধু ভালো ফল করলেই হবে না, তাকে ভালো মানুষ হিসেবেও গড়ে উঠতে হবে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষক-অভিভাবক এবং প্রশাসনের সম্মিলিত ভূমিকা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে. মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, উপসহকারী প্রকৌশলী আহম্মদ হোসেনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে ব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয় এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

শেরপুরে বিএনপি’র সদর ও পৌর কমিটি ঘোষণা

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ
শেরপুরে বিএনপি’র সদর ও পৌর কমিটি ঘোষণা

শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি ও শেরপুর পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। ২৭ জুলাই রবিবার দুপুরে শেরপুর শহরে নির্জর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম কমিটি ঘোষণা করেন। ১০১ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর সদর উপজেলা কমিটিতে আলহাজ্ব হযরত আলীকে আহ্বায়ক ও সাইফুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়। অন্যদিকে শেরপুর পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান (পিপি) কে আহ্বায়ক ও মোহাম্মদ জাফর আলীকে সদস্য সচিব করা হয়।

সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ন আহ্বায়কগণ হলেন, এস এম শহিদুল ইসলাম, মো. শফিউল আলম চাঁন, মো. আব্দুল হামিদ, এ এস এম রফিকুল আলম শিপন, মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু, মো. আব্দুল মালেক, মো. সাইফুল ইসলাম শ্যামল, মোসাম্মৎ পপি আখতার। অন্যদিকে শেরপুর পৌর কমিটির সদস্য সচিবগণ হলো, আলহাজ্ব এডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব, মো. রেজাউল করিম রুমি, মো. এমাদাদুল হক মধু, মো. হাসানুর রেজা জিয়া, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মো. উমর ফারুক রাহাত, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম মিঠু, মো. সাদেক মিয়া, মো. রবিউল আলম সজিব, মো. ফখরুল ইসলাম।জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্যদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এবং সাংগঠনিক টিমের সৎ পরামর্শে শেরপুর সদর ও শেরপুর পৌরসভার কমিটি ঘোষনা করেছি। বাকি সাতটি ইউনিটের কমিটি অতি দ্রুতই ঘোষনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, শেরপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে আমরা স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে চাই।আমরা নিজেরা দুর্নীতি করবো না। কাউকে দুর্নীতি করতে দিবোনা। কেউ দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।পৌর কমিটির নয়া আহ্বায়ক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, বিএনপি প্রতি আমার দীর্ঘদিনের ত্যাগের ফল আজ পেলাম। আমার উপর যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমি যথাযথভাবে পালন করবো। আমি নিজে মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে নয়টি ওয়ার্ডের কমিটি দ্রতই উপহার দিবো। আমি জেলা বিএনপি প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বর্ধিত সভায় ৫টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভা সহ মোট ৯টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।