খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২

বাংলাদেশে রিটেইল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করছে এইচএসবিসি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশে রিটেইল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করছে এইচএসবিসি

বাংলাদেশে রিটেইল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করছে এইচএসবিসি ব্যাংক। প্রক্রিয়াটি এ বছরের দ্বিতীয় অংশে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশে রিটেইল ব্যবসায় আপেক্ষিক বাজার অবস্থান ও এইচএসবিসি গ্রুপ পোর্টফোলিওতে এ ব্যবসার কৌশলগত অবস্থানকে বিবেচনা করে, বাংলাদেশে এইচএসবিসি রিটেইল ব্যাংকিং ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পর্যালোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধুমাত্র রিটেইল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধের পরিকল্পিত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এইচএসবিসি, বাংলাদেশে তাদের রিটেইল ব্যাংকিং গ্রাহকদের অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সফারের জন্যে প্রয়োজনীয় পরিসেবা প্রদান করে যাবে। তবে রিটেইল ব্যাংকিং ক্ষেত্রে এ ঘোষণার পর থেকে নতুন কোনো গ্রাহক যোগ বা অ্যাকাউন্ট খোলা হবে না।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে কর্পোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং ব্যবসা এই ঘোষণার আওতামুক্ত থাকছে। বাংলাদেশের কমার্শিয়াল ব্যাংকিং ব্যাবসাটি এইচএসবিসি’র আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেট হিসেবেই থাকছে। এইচএসবিসি গ্রুপ বাংলাদেশের কর্পোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং তথা কর্পোরেট গ্রাহকদের সেবা প্রদানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং এ ব্যবসায় ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্ট ক্ষেত্রে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পদক্ষেপটি, বিশ্বব্যাপী গ্রুপটির কার্যক্রম আরও সহজতর করার একটি অংশবিশেষ, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে এইচএসবিসি ঘোষণা করে। যে সকল মার্কেটে এইচএসবিসি’র পরিষ্কার প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে, সেই সকল মার্কেটে ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানে ফোকাস অব্যাহত রাখবে।
এইচএসবিসি’র নিচের ওয়েবপেইজে গ্রাহকরা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন, https://mail.hsbc.com.hk/bd/hsbc_notice.pdf। এছাড়া contact@hsbc.com.bd ইমেইল গ্রাহকরা তাদের প্রশ্নগুলো শেয়ার করতে পারবেন; অথবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরাসরি কাস্টমার কল সেন্টার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে ১৬২৪০ নম্বরে অথবা বাংলাদেশের বাইরে থেকে গ্রাহকরা ০৯-৬৬৬৭-১৬২৪০ নম্বরে কথা বলতে পারবেন।

চাঁদপুরে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

চাঁদপুরে পুলিশের অভিযানে চোরাই ৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং চুরির সাথে জড়িত চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান। আটক চোর চক্রের সদস্যরা হলেন-জেলার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড কাচিয়াড়া পশ্চিম পাঠান বাড়ির হারু অর রশিদের ছেলে রাফসান ইসলাম নিলয় (২০), একই উপজেলার রূপসা ইউনিয়নের বারো পাইকা গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে মো. ইয়ামিন (২১) ও সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজগাছতলা বাদামতলী খান বাড়ীর আব্দুল মান্নান খানের ছেলে আব্দুস সালাম (২৬)।

পুলিশ জানায়, ৩০ জুলাই বিকেলে সদর মডেল থানা পুলিশ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজন মোটরসাইকেল চোরকে চুরি করে আনা মোটরসাইকেলসহ আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চুরিতে জড়িত রাফসান ও ইয়ামিনের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত নিজগাছতলা এলাকার সালাম মটরস এর আব্দুস সালাম এর সন্ধান মিলে। তিনি চোরাইকৃত মোটরসাইকেল তার গ্যারেজে সংরক্ষণ করতেন।আটক চোর চক্রের সদস্যরা পুলিশকে জানান, তারা লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে এসব মোটরসাইকেল ক্রয় করতেন। এর মধ্যে অধিকাংশ মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নেই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেলে মডেল থানা পুলিশ প্রথমে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্য নিলয় ও ইয়ামিনকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো নিজগাছতলা সালামের গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। সালাম চোরাই মোটরসাইকেলের ব্যবসা করে। তাকেও আটক করা হয়েছে। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

বর্তমানে টলিউডে ‘দেখতে সুন্দর’ হওয়ার চাপ এতটাই বেড়েছে যে, রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখতে বহু অভিনেত্রী বেছে নিচ্ছেন প্লাস্টিক সার্জারি, লিপ ফিলার, নোস জব, এমনকি শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি। কারণ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, এসব না করালে ‘নায়িকা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এবার এই বিষয়েই মুখ খুললেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে শোলাঙ্কি জানিয়েছেন, তিনি কখনও নিজের মুখে কোনও ইনজেকশন নেননি, কোনও রকম কসমেটিক সার্জারির পথেও হাঁটেননি। আর এই ‘স্বাভাবিকত্ব’-এর জন্যই তাকে বহুবার কটু কথা শুনতে হয়েছে।
শোলাঙ্কির কথায়, ‘অনেকেই বলেন আমার মুখ টিভির তুলনায় সিনেমায় দেখতে খারাপ লাগে। আসলে মুখে তো কখনও কিছু করাইনি, ইনজেকশন নিইনি। তাই হয়তো!’
এখানেই থামেননি অভিনেত্রী। জানালেন, তিনি যেহেতু চিরকালই রোগা, তা নিয়েও নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাকে। এতটাই যে এক সময় আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে যায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যাওয়া বন্ধ করে দেন। ‘অনুষ্ঠানে গেলেই অনেকে জিজ্ঞেস করতেন আমি এত রোগা হয়ে গেছি কেন। যেন এটা কোনও নতুন ব্যাপার! আমি তো ছোটবেলা থেকেই এমন,’ বললেন শোলাঙ্কি।
তবে সবচেয়ে অপমানজনক অভিজ্ঞতার কথাও এদিন অকপটে শেয়ার করেন তিনি। একবার এক পরিচালক তাঁকে সরাসরি পরামর্শ দেন ব্রেস্ট সার্জারির।

শোলাঙ্কির ভাষায়, ‘তিনি বলেছিলেন, ‘নায়িকা হতে গেলে একটু ক্লিভেজ থাকা দরকার’। এই কথাটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও আমি যথেষ্ট ম্যাচিওর ছিলাম, তাই কথাটা এড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। কিন্তু ভাবুন তো, এই কথাটা যদি কোনও নতুন বা কম বয়সি মেয়ে শুনত! কতটা ভেঙে পড়ত সে।’
শোলাঙ্কি আরও বলেন, ‘আজও সেই ঘটনা মাথায় গেঁথে আছে। প্রভাব তো ফেলেছিলই, না হলে এতদিন পরেও এটা নিয়ে বলতাম না। বাইরে থেকে শুনলেই একরকম লাগে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে কী যন্ত্রণা হয়, সেটা শুধু মেয়েরাই বোঝে।’
অভিনেত্রীর এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে কতটা নিষ্ঠুর এক মানসিক চাপ কাজ করে প্রতিটি তারকার পরে। সাহস করে সেই রূঢ় বাস্তবের মুখোশ খুলে দিলেন শোলাঙ্কি রায়।

গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একমত রাজনৈতিক দলগুলো : সালাহউদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ
গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একমত রাজনৈতিক দলগুলো : সালাহউদ্দিন

জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্যরা গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন, এই প্রস্তাবে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের শেষ দিনের আলোচনা শেষে এসব কথা জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উচ্চকক্ষের গঠন বিএনপির প্রস্তাব, বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজনদের নিয়ে উচ্চকক্ষ নির্মাণ চায় বিএনপি, তাই আসনভিত্তিক উচ্চকক্ষ চায় দলটি। কিন্তু সেখানে সংবিধান সংশোধন হোক তা চাই না। সংসদে বসার জন্য ও সংবিধান সংশোধন কঠিন করার জন্য পিআর পদ্ধতির দাবি অনেকের। তবে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্যরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দিবেন, সেটাতে সবাই একমত হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সাংবিধানিক পদে নিয়োগে নোট অফ ডিসেন্সসহ একমত বিএনপি। বিদ্যমান আইনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ চায় বিএনপি। সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পিএসসির আইন করার পক্ষে দলটি। ২০০ নম্বরের ভাইভা পরীক্ষা ৫০ এ নামিয়ে আনার জন্য মত দিয়েছে বিএনপি। ন্যায়পাল নিয়োগের অভিজ্ঞতাই দেশে নাই, এটা ট্রায়াল অ্যান্ড এরোর পদ্ধতি হোক।
জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আইনি ভিত্তির প্রয়োজনীয়তা দেখছে না বিএনপি, জনগণের প্রয়োজনে যে সনদ তৈরি হচ্ছে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে বৈঠকে জানানো হয়, জুলাই সনদের পটভূমি খসড়া দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ওপর দলগুলোর সংশোধন নিয়ে কাজ করছে কমিশন। আলোচনার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। সেখানে দলগুলো স্বাক্ষর করবে। বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে দলগুলো।