খুঁজুন
                               
সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বছরের শুরুতেই যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০৪ অপরাহ্ণ
বছরের শুরুতেই যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। আগামী বছরের শুরুতে কিছু ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। মূলত পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম, ফোনের হার্ডওয়্যারের সীমাবদ্ধতা, নতুন ফিচার, নিরাপত্তা আপডেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা।

যে ফোনগুলোতে ওএস ভার্সন কিটক্যাট রয়েছে, তাদের ফোনে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ব্যবহার করা যাবে না হোয়াটসঅ্যাপ। তালিকায় রয়েছে স্যামসাং, এলজি, সোনিসহ কিছু নামি ব্র্যান্ডের ফোন।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক ফোনের তালিকা-

স্যামসাং : Galaxy S3, Galaxy Note 2, Galaxy Ace 3, Galaxy S4 Mini

মোটোরোল : Moto G (1st Gen), Razr HD, Moto E 2014

এইচটিসি : One X, One X+, Desire 500, Desire 601

এলজি : Optimus G, Nexus 4, G2 Mini, L90

সোনি : Xperia Z, Xperia SP, Xperia T, Xperia V

প্রসঙ্গত, আরও বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলার জন্য মাঝে-মধ্যে সমস্ত স্মার্টফোনে আপডেট আসে। এছাড়াও আপডেটে কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়। একইভাবে আবার বাতিলও করা হয়। তবে ফোনের হার্ডওয়ারের উপর নির্ভর করে যে হ্যান্ডসেটটি কতগুলো আপডেট সাপোর্ট করবে।

একইভাবে অ্যাপগুলোও বিভিন্নরকম আপডেট নিয়ে আসে। স্বাভাবিকভাবেই একটা সময়ের আগেকার ফোনে অ্যাপগুলোর লেটেস্ট ভার্সন সাপোর্ট করে না। সেই কারণেই একটা সময়ের পর নির্দিষ্ট কিছু ওএস ভার্সনের ফোনে কাজ করে না কিছু অ্যাপ।

খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ
খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে তাঁকে লন্ডনে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে জিয়া পরিবার। শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমীন তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন। মাহাদী আমীন লিখেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তাঁর চিকিৎসা পরিচালিত হচ্ছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে। লন্ডন থেকে সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমান।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ডা. জুবাইদা রহমান দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। মায়ের চিকিৎসায় যেন কোনো বিলম্ব বা সীমাবদ্ধতা না থাকে, সে জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ তদারকি করছেন তারেক রহমান। হাসপাতালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খবর নিতে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ভিড় করলেও ইনফেকশনের ঝুঁকির কারণে কাউকে সিসিইউতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন মাহাদী আমীন। তিনি বলেন, দূর থেকেই মানুষ ভালোবাসা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
মাহাদী আমীন আরও জানান, খালেদা জিয়ার কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলে তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে লন্ডনের সেই হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, যাঁদের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের শুরুতে চার মাস চিকিৎসা নিয়ে খালেদা জিয়া উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করেছিলেন। পাশাপাশি একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসজ্জিত বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থার উদ্যোগও চলছে।

হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ মারা গেছেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ মারা গেছেন

হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ (৫৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি হলমার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় কারাভোগ করছিলেন। শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ। তিনি জানান, অসুস্থতাবোধ করায় শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বিকেল চারটায় তাকে ঢামেকের ছয় তলার ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। জানা গেছে, তানভীর মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টসহ নানান জটিল সমস্য ছিল তার।
অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে ঋণ নিয়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তানভীর মাহমুদ এবং তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে গত বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার প্রথম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় ২০১২ সালে হলমার্ক গ্রুপের মালিক, কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এসব মামলার একটিতে তানভীরসহ বাকিরা সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।

কচুয়ায় বিস্তীর্ণ বিলের মাঝখানে প্রবাসীর ব্যতিক্রমী খামার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
কচুয়ায় বিস্তীর্ণ বিলের মাঝখানে প্রবাসীর ব্যতিক্রমী খামার

মালয়েশিয়ায় বহু বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে নিজের এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন আবু নাছির মিয়াজী। সেই স্বপ্নই আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে ‘আল হামিদ এগ্রো ফার্ম’-এ। কচুয়া উপজেলার ৮ নম্বর কাদলা ইউনিয়নের কাদলা গ্রামের বিলের মাঝখানে কচুয়া সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বিস্তীর্ণ প্রকৃতির মাঝে গড়ে উঠেছে এই ব্যতিক্রমী মিশ্র খামার। উদ্যোক্তা আবু নাছির মিয়াজী বলেন, দেশে ফিরে ভেবেছিলাম এমন কিছু করবো, যাতে আমার এলাকার মানুষ কাজ পায়। বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা নারিকেল ও সুপারি গাছ এখন অনেকটাই বড়ো হয়েছে। তিনি বলেন, গাড়ল, হাঁস, মাছ-*সব মিলিয়ে একটি বড়ো এবং আধুনিক খামার গড়ে তুলতে চাই। বর্তমানে খামারে ১০-১২ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। খাবার সরবরাহ, মাছের ট্যাংকের তদারকি, গাছের পরিচর্যা–সব কিছুই চলে নিয়মমাফিক।
ফার্মের ম্যানেজার বশির উল্যাহ রোকন বলেন, মিয়াজীর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে খামারটি এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এলাকার কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যেই তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাওকাত হোসেন সুমন বলেন, কচুয়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো গাড়ল পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন আবু নাছির। এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এতে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। তাকে সরকারি পর্যায়ে ভ্যাকসিনসহ প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠার পর তিন বছরের ব্যবধানে আল হামিদ এগ্রো ফার্মে যুক্ত হয়েছে নানা সম্ভাবনাময় উৎপাদন। ফার্মে বর্তমানে রয়েছে শতাধিক গাড়ল, প্রায় ২ হাজারেরও বেশি হাঁস, ভেড়া প্রায় ১০০টি, ছাগল, দুটি পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছ এবং বিদেশি প্রজাতির নারিকেল ও সুপারি গাছ। এ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাষাবাদ ও পশুপালনের কারণে খামারটি এখন এলাকাবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
প্রতিদিনই অনেকে খামারটি দেখতে আসেন। প্রবাস থেকে ফিরে নিজ এলাকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যই ছিলো আবু নাসিরের মূল অনুপ্রেরণা। গাড়ল পালন এখন পুরো কাদলা এলাকায় আলোচনার বিষয়। আগের ভেড়ার জায়গা দখল করে নিয়েছে গাড়ল। আকারে বড়ো, মাংস উৎপাদন বেশি, দ্রুত বংশবৃদ্ধি–এসব কারণে গাড়ল পালনকে ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তা।