খুঁজুন
                               
বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফের বন্ধ তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ, গচ্চা ৭৫ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ
ফের বন্ধ তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ, গচ্চা ৭৫ কোটি টাকা

তিতাস গ্যাসফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের সংস্কারকাজের (ওয়ার্কওভার) পর মাত্র ৪৮ দিন গ্যাস তোলা গেছে। এরপরই এটি ফের বন্ধ হয়ে যায়। কূপটি কবে নাগাদ পুনরায় চালু করা যাবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। অভিযোগ উঠেছে, ভালো করে যাচাই না করেই বন্ধ কূপটি ওয়ার্কওভার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করেছিল বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)।

বিজিএফসিএল’র এমডি সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠজন প্রকৌশলী ফজলুল হক এবং প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এমনি হয়েছে। জানা গেছে, বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস গ্যাসফিল্ডের ২৭টি কূপের মধ্যে বর্তমানে ৫টি কূপ বন্ধ রয়েছে। বাকি ২২টি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। মূলত কূপগুলোতে মজুত কমতে থাকায় ক্রমাগত কমছে গ্যাসের উৎপাদন। গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন গ্যাসফিল্ডের ৭টি কূপের সংস্কারকাজ হাতে নেয় বিজিএফসিএল। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড এলাকায় অবস্থিত তিতাসের ১৪ নম্বর কূপটির সংস্কারকাজ শুরু হয় গেল বছরের ১৯ মার্চ। ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়ার্কওভার শেষে একই বছরের ২১ মে কূপটি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এরপর ২৫ মে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় কূপটি থেকে।

জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তৎকালীন জ্বালানি সচিব মো. নুরুল আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক ইসমাইল মোল্লা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কূপটি থেকে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৬শ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু ৪৮ দিনে মাত্র ২৫৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয় ১৪ নম্বর কূপ থেকে। এরপর এটি বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, এক সময় কূপটি থেকে দৈনিক ২৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন হতো। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠার কারণে ২০০৯ সালে কূপটি ওয়ার্কওভার করে দৈনিক ১৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হয়। তবে গ্যাসের সঙ্গে পানি ওঠার হার বৃদ্ধির কারণে ২০২১ সালের নভেম্বরে কূপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

১৪ নম্বর কূপের ব্যর্থতার মধ্যেই গেল বছরের শেষদিকে ১৬ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বিজিএফসিএল। যদিও কূপটি আগে থেকেই সচল ছিল। এ কূপটি থেকে আগে প্রতিদিন ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হলেও ত্রুটিপূর্ণ ওয়ার্কওভারের পর তা এখন গড়ে ৪ মিলিয়নে নেমে এসেছে। ফলে কূপটি পুনরায় ওয়ার্কওভারের জন্য নতুন করে আরও ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসমাইল মোল্লা মুঠোফোনে জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৪ নম্বর কূপটি বন্ধ হয়ে গেছে। এত দ্রুত কারিগরি ত্রুটির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে অপারেশন বিভাগে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। এই প্রতিবেদক পরিচয় দিয়ে পরপর তিন দিন ইসমাইল মোল্লাকে ফোন দেন। প্রতিদিনই তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে এড়িয়ে যান। অথচ অন্য মাধ্যমে খবর নিয়ে জানা যায়, ওই সময় তিনি কোনো মিটিংয়ে ছিলেন না।

বিজিএফসিএলের একটি সূত্র বলছে, নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুবাদে জ্যেষ্ঠতা ভেঙে বাপেক্সের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক, অপেক্ষাকৃত জুনিয়র কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফজলুল হককে বিজিএফসিএলের এমডি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ পাওয়ার পর নিজের পছন্দের এবং আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তাদের নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে অনিময়-দুর্নীতি করছেন তিনি। বিজিএফসিএলের সিবিএ সভাপতি নূর আলম বলেন, শুধু কোম্পানির এমডির অদক্ষতায় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সুফল মিলছে না। ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজটি ভালোভাবে করতে পারেনি বিধায় বেশিদিন গ্যাস উত্তোলন করা যায়নি। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, আমি কোনো সিন্ডিকেট করিনি। আর আমার সঙ্গে নসরুল হামিদ বিপুর কোনো ঘনিষ্ঠতা ছিল না। আমার মাথাতে এগুলো কখনো আসেইনি। আমি এমডি হয়ে আসার পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা ব্যক্তিস্বার্থে কিছুই করিনি।

আরও ৮০ ফিলিস্তিনি গাজায় নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ
আরও ৮০ ফিলিস্তিনি গাজায় নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনাহারে নতুন করে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। অনাহারে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন শিশু। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান দুর্ভিক্ষে আরও ১৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
সম্প্রতি গাজায় খাদ্য সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরায়েল পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিক তুলে নেওয়া হলেও এখনও সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ঢুকছে। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সাহায্য ঢুকতে পারছে না।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি জানান, গাজায় অবস্থানরত তার সহকর্মীরা মানুষজনকে এমন অবস্থায় দেখছেন যেন তারা “না বেঁচে আছে, না মরেছে – যেন হাঁটতে থাকা লাশ”।
জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, “শুধু ক্ষোভ বা নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে, দুর্ভিক্ষ রোধ করতে হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করতে হবে।”এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ড সফরে সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় প্রকৃত অর্থেই দুর্ভিক্ষ চলছে এবং ইসরায়েল এ অবস্থার জন্য “বড় ধরনের দায়” বহন করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগের দিন বলেন, “গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই”। তবে সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনিও স্বীকার করেন, গাজার পরিস্থিতি “কঠিন” এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েল কাজ করছে।
ট্রাম্প জানান, গাজায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে “বাউন্ডারিবিহীন খাদ্য কেন্দ্র” স্থাপনের পরিকল্পনা আছে, যাতে সবার সহজে প্রবেশ নিশ্চিত হয়। এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও কাজ করবে বলে জানান তিনি।
ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজার কিছু অংশে হামলা স্থগিত রাখবে এবং নতুন করিডোর খুলবে যাতে ত্রাণ প্রবেশ বাড়ানো যায়। জাতিসংঘ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও সংস্থাটির মানবিক প্রধান বলেন, সাহায্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম জানান, ইসরায়েল যেসব ‘মানবিক বিরতি’র কথা বলছে, সেগুলো আসলে খুবই সীমিত এবং কয়েক ঘণ্টার জন্য হয়, যা নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কার্যকর থাকে এবং এতে আন্তর্জাতিক কোনো তদারকি থাকে না।
এদিকে গাজায় শিশু খাদ্যের ঘাটতিও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গাজা সিটি’র আল-শিফা হাসপাতালে এক চিকিৎসক আল জাজিরাকে জানান, অপুষ্টিজনিত কারণে শিশু মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদাস মারা গেছে, কারণ তার জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মুলা দুধ পাওয়া যায়নি।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম অফিস জানায়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৪০ হাজারের বেশি শিশু ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পড়ছে। কারণ গত ১৫০ দিনে ইসরায়েল শিশু খাদ্য ঢুকতে দেয়নি গাজায়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা সব সীমান্ত ক্রসিং অবিলম্বে এবং শর্তহীনভাবে খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, যাতে শিশু খাদ্য ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারে।”

চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে জুলাই পুনর্জাগরণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে জুলাই পুনর্জাগরণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুরে স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক কার্যক্রমের আওতায় অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এতে সার্বিক সহযোগিতা করে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান রনি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ খবির উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকবাল আজম, আইটি কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসাইন, চিকিৎসক-কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডেঙ্গু পরীক্ষা, সাধারণ রোগীদের জন্যে স্বাস্থ্য সেবা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, চক্ষু পরীক্ষা, বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
এই কার্যক্রমে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জুলাই পুনর্জাগরণ শুধু একটি সামাজিক কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের নৈতিক ও মানবিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই শুধু একদিন নয়, বছরের বিভিন্ন সময়েও জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাক। এক্ষেত্রে প্রশাসন, চিকিৎসক এবং জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

কালি ও কলম পুরস্কার পেলেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসানসহ পাঁচ তরুণ লেখক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ
কালি ও কলম পুরস্কার পেলেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসানসহ পাঁচ তরুণ লেখক

দেশের নবীন কবি ও লেখকদের সাহিত্যচর্চাকে অনুপ্রাণিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে মাসিক সাহিত্যপত্র কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে প্রবর্তন করে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। সেই স্রোতধারায় শনিবার প্রদান করা হলো সিটি ব্যাংক নিবেদিত ২০২৪ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য অবদানের জন্যে পাঁচ তরুণ কথাশিল্পী পেয়েছেন এই পুরস্কার। এরমধ্যে চাঁদপুরের লেখক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান প্রবন্ধ ও গবেষণা শাখায় ‘শতবর্ষে চা শ্রমিক আন্দোলন : ডেডলাইন ২০ মে ১৯২১’ গ্রন্থের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন।
‘সতীতালয়’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা শাখায় পুরস্কার জয় করেছেন অস্ট্রিক ঋষি। ‘নির্বাচিত দেবদূত’ গ্রন্থের জন্য কথাসাহিত্যে পুরস্কার পেয়েছেন সাজিদ উল হক আবির। মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব শাখায় ‘একাত্তরে অবরুদ্ধ দিনের দুঃসাহস : সাগাই ফোর্ট এস্কেপ’ গ্রন্থের জন্যে স্বরলিপি এবং শিশু সাহিত্যে তিলকুমারের যাত্রা গ্রন্থের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন নিয়াজ মাহমুদ।
ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন এবং কালি ও কলমের প্রকাশক আবুল খায়ের। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে গানের দল ও কৃষ্ণকলি।
প্রসঙ্গত, কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার তরুণদের জন্যে প্রবর্তিত সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার।পুরস্কারটির অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরস্কারের জন্যে বই আহ্বান করা হয়। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য এই পাঁচটি বিষয়ে বই জমা নেয়া হয়েছে। বই জমা দেওয়ার পর বিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলীর পর্যবেক্ষণ-পর্যালোচনার ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থসমূহ নির্বাচন করা হয়।