খুঁজুন
                               
বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ কার্তিক, ১৪৩২

প্রিয় বিদ্যালয় : স্মৃতির অ্যালবামে ভাসা দিনগুলো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
প্রিয় বিদ্যালয় : স্মৃতির অ্যালবামে ভাসা দিনগুলো

আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, যা বহু শিক্ষার্থীর জীবনের ভিত্তি স্থাপনের স্থান হিসেবে পরিচিত, আমার শৈশব এবং কৈশোরের এক অনন্য স্মৃতিস্তম্ভ। বিদ্যালয়ের স্নিগ্ধ পরিবেশ, শিক্ষকদের স্নেহময় আচরণ, আর বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো হাসিখুশি মুহূর্তগুলো আজও আমার হৃদয়ে জীবন্ত। প্রথম দিন বিদ্যালয়ে যাওয়ার স্মৃতিটি এখনো স্পষ্ট। অজানা এক উত্তেজনা, নতুন বন্ধুদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আনন্দ এবং শিক্ষকদের সম্মুখীন হওয়ার উত্তাপ—সব মিলিয়ে এক ভিন্ন অনুভূতি ছিল। বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ, যেখানে বড় বড় গাছের ছায়া আর একটি সুন্দর খোলা মাঠ ছিল, মনে করিয়ে দেয় শৈশবের নির্ভেজাল আনন্দ। প্রথমদিনের সেই পরিচিতি ক্লাসে শিক্ষক আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য এবং গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই বিদ্যালয় কেবল পড়াশোনার স্থান নয়, এটি তোমাদের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ভিত্তি। সেই কথাগুলো আজও আমার জীবনের পথপ্রদর্শক।
আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আমাদের সবারই ছিল গভীর শ্রদ্ধা। তারা ছিলেন কেবল শিক্ষক নন, আমাদের অভিভাবকও। শিক্ষক তাবারক উল্লাহ স্যার, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন স্যার গণিত শেখানোর সময় যে ধৈর্য এবং কৌশল দেখাতেন, তা আমাকে গণিতে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে। অন্যদিকে, নিরঞ্জন চক্রবর্তী বাংলা পড়ানোর সময় গল্পের ভেতর দিয়ে আমাদের ভাবনার দিগন্ত প্রসারিত করতেন। সবসময় মনে পড়ে প্রিয় স্যারদের প্রয়াত সিরাজুল ইসলাম, এনামুল হক, হযরত আলী স্যার, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন বেপারী, কাজল স্যার, নিরঞ্জন চক্রবর্তী, ভুবেনস্বর স্যার, মাওঃ শামছুল ইসলাম স্যার, জেসমিন ম্যাডামসহ আরো অনেককে।

স্মরণীয় একটি ঘটনা হলো, একবার বার্ষিক পরীক্ষার আগে আমি ইংরেজি একটি অধ্যায় নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। আমাদের ইংরেজি শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম স্যার নিজ উদ্যোগে বাড়তি সময় দিয়ে শেখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই একান্ত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ আমি পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পেরেছিলাম। এই ঘটনাগুলো শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ককে তুলে ধরে।

সহপাঠিদের সাথে সবসময় পড়াশুনায় একটি প্রতিযোতিা থাকতো। ক্লাসে সবসময় ইব্রাহিম খলিল সোহাগ, সিরাজুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম তুহিন, আমি, হাসান প্রধানীয়া ও ঊষা রাণী এদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকতো। এ প্রতিযোগিতা আমাদের মধ্যে শুরু হয় সপ্তম শ্রেণি থেকেই। এভাবে আমরা যথন এসএসসি পরীক্ষার ধারপ্রান্তে তখন আমাদের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম স্যার মনে জেদ ধরলেন যে ইব্রাহিম খলিল সোহাগ, সিরাজুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম তুহিন, আমি স্যারের বাসায় থেকে পরীক্ষা দিতে হবে। তবে কোনো এক কারণে ইব্রাহিম খলিল সোহাগ আমাদের সাথে স্যারের বাসায় থাকে নি। শেষ পর্যন্ত আমি সিরাজুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম তুহিন স্যারের বাসায় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিলো বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে। আমরা পরীক্ষার দুই আগেই স্যারের বাসায় চলে যাই। স্যারের বাসায় আমাদের পিতৃস্নেহে আগলে রাখলেন। সকালে পরীক্ষা দিতে যাবো-স্যার ফজরের নামাজের সময় ডেকে তুললেন। আমরা ফজর নামাজ পড়ে পড়াগুলো রিভিশন দিতে থাকি। সঠিক সময় নাস্তা করালেন-স্যারের সহধর্মিণী যিনি পরম মমতায় মাতৃস্নেহে আমাদের খাওয়াতেন। কয়েকটি দিন স্যারের বাসায় ছিলাম আমরা মনেই করিনি। যে আমাদের নিজের বাসায় আমরা নেই। এতোটা অতিথি পরায়ন মানুষ ছিলেন স্যারের পরিবার যা এখনও অনুভব করি। যা আমরা কোনোদিন ভুলতে পারবো না।
সহপাঠীদের সঙ্গে কাটানো দিনগুলো আজও আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত হিসেবে গণ্য হয়। টিফিনের সময় সবাই মিলে বড় মাঠে দৌড়ঝাঁপ করা, গল্পের আসর বসানো, আর ছোটখাটো দুষ্টুমিগুলো যেন জীবনের এক বিশেষ অধ্যায়। টিফিনের সময় বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে আম গাছের নিচে আড্ডা এখনো শৈশবে ফিরিয়ে নেয়। আজো খুঁজে ফিরি সেই বন্ধুদের-ইব্রাহিম খলিল সোহাগ, সিরাজুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম তুহিন, আমি, হাসান প্রধানীয়া, ঊষা রাণী, জাহাঙ্গীর আলম পলাশ, মিজানুর রহমান বেপারী, ভজন চন্দ্র দাস, রাজন চন্দ্র দাস, বিকাশ পাল, গোলাম কিবরিয়া সুজন, হাসেম বেপারী, জাবেদ হোসেন, রাশেদ খান, সামিম মোল্লা, খাইরুন নাহার মিতা, শিল্পী আক্তার, পান্না আক্তার, জেসমিন আক্তার, ইয়াসমিন আক্তার, রোকেয়া আক্তা, মুক্তা আক্তা, খোকন চন্দ্র বালা, আব্দুল্লাহ নোমান, ফারুক হোসেন, হাসান খান, সবুর খান, সালাউদ্দিন, ইসমাইল, বিল্লাল, কামাল, আলাউদ্দিন, খোকন খান ও বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
একবার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমি এবং আমার বন্ধু মিজান একসঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। আমরা দুজনই সেরা পুরস্কার পাওয়ার জন্য লড়াই করছিলাম, কিন্তু শেষে মিজান জিতেছিল। পরে আমরা একসঙ্গে পুরস্কার উদযাপন করেছিলাম, কারণ বন্ধুত্বের চেয়ে বড় কোনো প্রতিযোগিতা নেই। বিদ্যালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠানের দিনগুলো ছিল সত্যিই রঙিন। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, নৃত্য, আবৃত্তি, জারিগান—সবকিছুতেই ছিল প্রাণের ছোঁয়া।। দর্শকদের প্রশংসা আর শিক্ষকদের উৎসাহ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল।
পাশাপাশি, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় বিদ্যালয়ের মাঠ পরিণত হতো উৎসবের কেন্দ্রস্থল। প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নেওয়া ছাড়াও, অন্যদের উৎসাহ দেওয়ার মুহূর্তগুলোও ছিল ভীষণ আনন্দদায়ক। বিদ্যালয়ের সংগীত শিক্ষক এনামুল স্যার যখন গান শিখাতেন, তখন মনে হতো, এই বিদ্যালয় কেবল পড়াশোনার জায়গা নয়, এটি আমাদের প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ।
আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় আমাকে শুধু শিক্ষাগত জ্ঞান দেয়নি, জীবনের মূল্যবান শিক্ষাও দিয়েছে। এখানে আমি শিখেছি নেতৃত্বের গুণাবলি, সহযোগিতার মানসিকতা, এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখার শক্তি। বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের বাইরের কার্যক্রমগুলো আমার চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বিদ্যালয়ের শেষ দিনটি ছিল আনন্দের মধ্যেও এক বিষণ্ণতার দিন। আমাদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা যখন আমাদের আশীর্বাদ করছিলেন, তখন চোখে জল ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেদিন আমি অনুভব করেছিলাম, এই বিদ্যালয় শুধু একটি ভবন নয়; এটি আমাদের সবার জন্য এক বিশাল পরিবারের মতো। বিদায়ের পর আজও যখন বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাই, হৃদয়ে এক অদ্ভুত টান অনুভব করি। মনে হয়, সেই দিনগুলো কি আর কখনো ফিরে আসবে? যদিও বাস্তবে তা সম্ভব নয়, তবে স্মৃতির পাতায় সেই দিনগুলো আজও অমলিন।
আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় আমার জীবনের ভিত্তি। এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান, মূল্যবোধ, এবং স্মৃতিগুলো আমার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে প্রেরণা জোগায়। বিদ্যালয়ের প্রতিটি ইট-পাথর, গাছ-পালা, এবং স্মৃতি চিরকাল আমার হৃদয়ে অমলিন থাকবে। এই প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে আমার ভালোবাসা চিরকাল অটুট থাকবে।
আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অভিজ্ঞতাগুলোর একটি। প্রায় প্রতিদিন ক্লাসের পর আমরা একসঙ্গে গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটতাম। আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল অনেক বৈচিত্র্যময়—পাঠ্যবইয়ের বিষয় থেকে শুরু করে ক্রিকেট ম্যাচ, পছন্দের সিনেমা, বা ভবিষ্যৎ স্বপ্ন।
একবার আমরা সবাই মিলে মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম। খেলার মাঝখানে বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তের আনন্দ, নির্ভেজাল হাসি, এবং মাঠে দৌড়াদৌড়ির সেই স্মৃতি আজও মনে পড়লে মুখে হাসি ফোটে। সেই খেলাগুলো আমাদের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছিল। একবার বার্ষিক শিক্ষা সফরে আমরা সবাই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি ঐতিহাসিক স্থান সোনারগাঁও পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। লঞ্চে যাওয়ার সময় আমরা গান গেয়ে, গল্প করে সবাইকে স্মরণীয় করে তুলেছিলাম। সেদিনের সেই প্রাণবন্ত মুহূর্তগুলো আজও আমার জীবনের সেরা স্মৃতির তালিকায় রয়েছে।
আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তাদের আন্তরিকতা এবং ধৈর্য আমাদের জীবনের পথ চলায় প্রেরণার উৎস। আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষক ভুবনেশ্বর স্যার একটি বিজ্ঞান বিষয়ক নানা দিক শিখিয়ে ছিলেন আজও আমার প্রেরণার উৎস। আমাদের  শিক্ষক স্যার আমাকে বলেছিলেন, “তুমি যদি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো, তাহলে বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব।” সেই কথাগুলো সেদিন শুধু সাহস জোগায়নি, বরং পরবর্তী জীবনে আমাকে বহুবার আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করেছে।
আমাদের ক্লাসে ঘটে যাওয়া ছোটখাটো দুষ্টুমিগুলো আজও মনে পড়লে হাসি পায়। একবার ক্লাসে একজন বন্ধু চুপিচুপি আমের আঁটি নিয়ে এসেছিল এবং সবাইকে ভাগ করে খাওয়ানোর সময় শিক্ষক আমাদের ধরে ফেলেছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম তিনি আমাদের শাস্তি দেবেন, কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি হেসে বলেছিলেন, “পরের বার ক্লাসের সময় এভাবে ফল খেয়ো না।” তার সেই হালকা শাসন এবং পরম করুণার ব্যবহার আমাদের জন্য শিক্ষণীয় ছিল।
আরেকবার ক্লাসের মধ্যে শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে আমরা সবাই মিলে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলাম। হঠাৎ শিক্ষক এসে পড়ায় আমরা ভয়ে গুটিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের শুধুমাত্র সতর্ক করে বলেছিলেন, “ক্লাসটাই মাঠ হয়ে যাবে যদি তোমরা নিয়ম মানতে না শিখো।” সেই মুহূর্তে লজ্জা পেলেও তার আচরণ আমাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শুধু পড়াশোনা নয়, সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমেও ছিল প্রাণবন্ত পরিবেশ। বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, কুইজ—সবকিছুতেই সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করেছিল। আমি মনে করি, একবার বিদ্যালয়ের বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় “প্রযুক্তি আমাদের জীবনের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ” বিষয় নিয়ে আমি পক্ষ সমর্থন করেছিলাম। আমার যুক্তিগুলো দর্শকদের এবং বিচারকদের মুগ্ধ করেছিল। সেদিন প্রথম পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছিলাম যে আমি ভবিষ্যতে বড় মঞ্চেও নিজের কথা বলার ক্ষমতা রাখি।
আমাদের বিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশও স্মৃতির ভাণ্ডারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। গাছগাছালিতে ভরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, যেখানে পাখির ডাক আর দমকা হাওয়ার শব্দে মন শান্ত হয়ে যেত। বিদ্যালয়ের খোলা মাঠ আমাদের খেলাধুলার জন্য উপযুক্ত ছিল। বৃষ্টির দিনে মাঠে পানি জমে গেলে আমরা কাদা মাখা খেলায় মেতে উঠতাম। এই সরল আনন্দগুলো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায়।
বিশেষ করে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির কথা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বই পড়ার সুযোগ আমাকে অনেক নতুন জগৎ চিনতে সাহায্য করেছিল। লাইব্রেরির নীরব পরিবেশে বই পড়তে বসা ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। সেদিনগুলোতে আমি জীবন এবং জ্ঞান নিয়ে নতুন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেছিলাম।
বিদ্যালয়ের শেষ দিনে বিদায় অনুষ্ঠান ছিল আমার জীবনের এক আবেগঘন মুহূর্ত। বন্ধু, শিক্ষক এবং প্রিয় বিদ্যালয়ের পরিবেশ ছেড়ে যাওয়ার কষ্টে সেদিন অনেকের চোখেই জল ছিল। বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক যখন আমাদের জীবনের জন্য আশীর্বাদ করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল, এ যেন একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি এবং নতুন এক যাত্রার সূচনা।
সেদিন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, আমার বিদ্যালয়ের স্মৃতি এবং শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা কখনোই ভুলব না। মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে ফিরে গেলে সেই দিনগুলোকে আবার মনে করার সুযোগ পাই, যা আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় আমার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানকার প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে শিক্ষা দিয়েছে, আনন্দ দিয়েছে এবং আমার জীবনের ভিত্তি গড়ে তুলেছে। বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে বহু দূর এগিয়ে গেলেও এই বিদ্যালয়ের স্মৃতি, শিক্ষা এবং মূল্যবোধ চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে। বিদ্যালয়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা সীমাহীন। প্রিয় আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা চিরন্তন। তুমি শুধু একটি বিদ্যালয় নও; তুমি আমার জীবনের পথপ্রদর্শক, আমার শৈশবের আশ্রয়, আর আমার আজকের অস্তিত্বের ভিত্তি।
লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯৯), সংগঠক ও লেখক, চাঁদপুর।

সালমান শাহ হত্যা মামলা : আগাম জামিন চাইবেন সামিরা, হাইকোর্টে বর্তমান স্বামী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ণ
সালমান শাহ হত্যা মামলা : আগাম জামিন চাইবেন সামিরা, হাইকোর্টে বর্তমান স্বামী

চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সামিরা হক আজ হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইবেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তার বর্তমান স্বামী হাইকোর্টে আসেন জামিন শুনানির জন্য আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে। এদিন সকাল ৯ টায় সামিরার বর্তমান স্বামী  ইশতিয়াক আহমেদকে আপিল বিভাগে বসে থাকতে দেখা যায়। এসময় বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর আগে সালমান শাহ এর সাবেক স্ত্রী এবং খলনায়ক আশরাফুল হক ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানিতে গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
গত ২০ অক্টোবর মধ্যরাতে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, শাশুড়ি লতিফা হক লুছি, বিতর্কিত ব্যবসায়ী অলিম্পিক ইন্ড্রাস্ট্রিজের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল হক ওরফে ডন। ডেভিড, জাভেদ ও ফারুক নামের তিন জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রাজধানীর বিএফডিসি। এছাড়া আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- ফরিদপুরের রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, রুবী, আ. ছাত্তার ও সাজু। মামলা পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৩ অক্টোবর আদালতে শুনানির সময় এ প্রথম উপস্থিত ছিলেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক। এর এক সপ্তাহ পরই আদালতের নির্দেশে রাজধানীর রমনা থানায় হত্যা মামলাটি করা হয়। এর পরেই তিনি গা ঢাকা দেন বলে জানা যায়। তবে আজ তার বর্তমান স্বামী আদালতে উপস্থিত হয়েছেন তার জামিন বিষয়ে কথা বলতে।

মেট্রোরেল দুর্ঘটনা : বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
মেট্রোরেল দুর্ঘটনা : বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মেট্টোরেল ও সব ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান নির্ণয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত সোমবার মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান নির্ণয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রিটে মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারে ব্যবহার করা বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করতে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত রোববার (২৬ অক্টোবর) ফার্মগেট মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ওপর থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে আবুল কালাম আজাদ নামে এক পথচারীর মাথায় আঘাত হানে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই প্রচুর রক্তপাত হলে স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

১০৪ ভুয়া জুলাই-যোদ্ধার তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
১০৪ ভুয়া জুলাই-যোদ্ধার তালিকা প্রকাশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হয়েও জুলাই-যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৪ জন। তাদের ভুয়া জুলাই-যোদ্ধা বলছেন আন্দোলনে সম্পৃক্তকারীরা। এসব ভুয়া ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে সরকার। তাদের নামের গেজেট বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের আট বিভাগে ১০৪ জন ভুয়া জুলাই-যোদ্ধা ছাড়াও একই ব্যক্তির নামে একাধিকবার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, এমন ২৩ জনের একটি গেজেট রেখে অন্যটি বাতিল করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় তারা আহত জুলাই-যোদ্ধা। কিন্তু তারা আসলে আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হয়নি। তারা প্রতারণা করেছেন এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ার গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটির সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন ভুয়া ও ১ জনের নামে দুবার গেজেট হয়েছে, সিলেট বিভাগ ২৬ জন ও ১ জনের দুবার গেজেট, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৪ জন ও ৪ জনের নামে দুবার গেজেট, খুলনা বিভাগে ৫ জন ও ৪ জনের নামে দুবার গেজেট, রংপুর ২ জন ভুয়া জুলাইযোদ্ধা, ঢাকা বিভাগে ৭ জন ও ৭ জনের নামে দুবার গেজেট, রাজশাহী বিভাগে ৯ জন ভুয়া জুলাইযোদ্ধা ও ৪ জনের নামে দুবার গেজেট, বরিশাল বিভাগের ২ জনের নামে দুবার গেজেট হয়েছে।

সব মিলিয়ে ১২৭ জনের গেজেট বাতিল করবে সরকার। তাদের মধ্যে দুবার করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে ২৩ জনের। বাকি ১০৪ জন অহত নন ও আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হয়ে জুলাই-যোদ্ধা হিসেবে গেজেট-ভুক্ত হয়েছে। তাই নামের গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

যেসব জুলাই-যোদ্ধার গেজেট বাতিল করতে সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটি, এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের ২০ জন হলেন নেত্রকোনার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৮০; মোহাম্মদ নুরুল আমিন, গেজেট নম্বর ৮৮; তানভীর আহমেদ, গেজেট নম্বর ১২১; আছিয়া খাতুন গেজেট, নম্বর ১২৩; রুহুল আমিন, গেজেট নম্বর ১২৭; মো. আমি হাসান রুপম, গেজেট নম্বর ১২৯, মোহাম্মদ আকিব তালুকদার, গেজেট নম্বর ১৪৬; মো. সুজন মিয়া, গেজেট নম্বর ১৫৫; মো. ইমন শাহারিয়া, গেজেট নম্বর ১৬৫; আশরাফুল ইসলাম জাসাম, গেজেট নম্বর ১৭২; মুশফিকুর রহমান, গেজেট নম্বর ১৯৭; মো সজিব, গেজেট নম্বর ১৯৮; সোহাগ মিয়া, গেজেট নম্বর ১৯৯; রুবেল মিয়া, গেজেট নম্বর ৩৬২; মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, গেজেট নম্বর ৩৬৩; রাব্বি হাসান শ্রীনি, গ্যাজেট নম্বর ৫৬৫; মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামিক, গেজেট নম্বর ৫৬৬; মো. আবু ফরিদ আহামেদ, গেজেট নম্বর ৫৬৭; আফরিনা জান্নাত, গেজেট নম্বর ৫৭০; মাজহারুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৬৪৮।
ঢাকা বিভাগে ৭ জন ভুয়া জুলাই-যোদ্ধা ও ৭ জনের নাম দুবার গেজেট-ভুক্ত হয়েছে, রাসেলে, গেজেট নম্বর ৬৭০; খন্দকার রাজ, গেজেট নম্বর ১০৬৩; রাফিউল নাঈম, গেজেট নম্বর ১১৬১; রাশেদুল ইসলাম অনিক, গেজেট নাম্বার ১১৬৩, আব্দুল্লাহ আল রাহাত, গেজেট নম্বর ১১৬৬; মো. মঞ্জমুল আলম, জিসান গেজেট নম্বর ১৯৩২; মো. সাইফুল ইসলাম শুভ, গেজেট নম্বর ২৬৮২; রিয়াজুল হাসান, গেজেট নম্বর ২৮৩৮; বেলায়াত হোসেন শাহীন, গেজেট নম্বর ২৮৩৯; মুজবর মৃধা, গেজেট নম্বর ৩৯৬৪; জিহাদ, গেজেট নম্বর ৩৪১৩; মো. রফিকুল সরদার, গেজেট নম্বর ৭৩৩; মো. মাসুদুর রহমান, গেজেট নম্বর ৬৪৫; মোছা রুমি, গেজেট নম্বর ৩৪৩১; মো. রিয়াজ শরীফ, গেজেট নম্বর ১৩৮২।
চট্টগ্রাম বিভাগ ভুয়া জুলাই-যোদ্ধা ৩৫জন তারা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার মো. শাগর, গেজেট নম্বর ৩২৮; আবদুল্লাহ আল নোমান গেজেট নম্বর ৪৬৯; নাইম উদ্দীন শাঈদ, গেজেট নম্বর ৪৯২; মোহা. শরিফুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৫১৫; শাহাদাত ইকবাজ তাহনি, গেজেট নম্বর ৫২১; তাহমিনা ইকরার তারকি, গেজেট নম্বর ৫২২; মাহাবী তাজওয়ার, গেজেট নম্বর ৫৩৪; জসিম উদ্দিন, গেজেট নম্বর ৫৪২; মো. আতিকুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৫৫২; মো. ইয়াছিন, গেজেট নম্বর ৫৬০; আরফাতুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৫৯৫; ফরহাদ আলম, গেজেট নম্বর ৬০১; মোদাসাদ সাহাদ কবির এমরান, গেজেট নম্বর ৬০৩; মুনজামিরুল হক চৌধুরী মামুর, গেজেট নম্বর ৬১৬; পঠন চন্দ্র নাথ, গেজেট নম্বর ৬২২; মিশকাত-আলম রিয়াদ, গেজেট নম্বর ৬৭৫; মো. এমরান, গেজেট নম্বর ৭৯৭; মাহাম্মদ সাগর, গেজেট নম্বর ৭৬৮; নুরুল্লাহ, গেজেট নম্বর ৭৮৯; সোহাম্মদ রাফি, গেজেট নম্বর ৭৯৯; ফয়সাল মোহাম্মদ শিয়াস, গেজেট নম্বর ৮০২; মোছা. ইছনিয়া আকতার, গেজেট নম্বর ৮২৪; মো. মাঈনুদ্দীন, গেজেট নম্বর ৮২৫; সাইমন, গেজেট নম্বর ৯৭৩; মো. আরিফ, গেজেট নম্বর ১৯৭৬; রাসেল, গেজেট নম্বর ১৯৮৬; রমজান আলী, গেজেট নম্বর ৯৮৭; মাহিম চৌধুরী, গেজেট নম্বর ৯৯৯; রিফাত বিন আল, গেজেট নম্বর ১৯৯৯।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হয়ে অনেকেই জুলাই যোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে, এমন অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এরপর ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই-যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া কথা বলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তথ্যমতে, ক শ্রেণিতে অতি গুরুতর আহত ৬০২ জন, খ শ্রেণিতে গুরুতর আহত ১১১৮ জন, গ শ্রেণিতে আহত ১২০৮০ জন। নিহত ৮৪৪ জন। যার মধ্যে ৮ জনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে। মোট ১৪ হাজার ৬৩৬ জনের নামে গেজেট করা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব (জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তর) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, যাদের নামে অভিযোগ ছিল সেসব বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের গেজেট বাতিল করা হবে এবং গেজেট বাতিল করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গেজেট বাতিলের কাজ চলমান আছে।
জুলাই-যোদ্ধা না হয়েও যারা এককালীন অর্থসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগে গেজেট বাতিল করি, তারপর সবই পাওয়া যাবে।