খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন, ১৪৩২

নেপালের ছাত্ররা এনসিপির মতো দল করতে যায়নি : রুমিন ফারহানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
নেপালের ছাত্ররা এনসিপির মতো দল করতে যায়নি : রুমিন ফারহানা

নেপালের প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে সেখানে স্টুডেন্টরা পলিটিক্যাল পার্টি করতে যায়নি। ছাত্ররা দল না করলে অভ্যুত্থানের চেতনা নষ্ট হয়ে যাবে এমন বয়ান ওঠেনি। বরং তারা পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
রুমিন বলেন, ‘নেপালের সঙ্গে যদি বাংলাদেশের আমরা একটা তুলনামূলক চিত্র করি- নেপালের আজকের এই অসন্তোষের পেছনে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নেপালে ‘হামি নেপাল’ বলে একটা সংগঠন ক্রমাগত প্রচারণা চালিয়েছে। পলিটিশিয়ানদের সন্তানরা, নেপো চাইল্ড হিসেবে খ্যাত যারা, তারা কিভাবে বিলাসী জীবনযাপন করে এবং নেপালের আপামর জনসাধারণ এবং সাধারণ মানুষের সন্তানরা কিভাবে জীবনযাপন করে, তারা দেখিয়েছে। এই নেপো চাইল্ডদের বিদেশে চলে যাওয়া, উন্নত শিক্ষা, বড় বড় বিজনেস কংগ্রমারেটের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ।
অন দ্যা আদার হ্যান্ড বিদেশে যে নেপালিরা কাজ করছে, অর্থাৎ বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের মতো তাদের জীবন ও সাধারণ মানুষের জীবনের মধ্যে কী বিস্তর দুস্তর ফারাক! এই যে একটা বৈষম্য ঠিক বাংলাদেশের মতো, মনে হচ্ছে না একেবারে বাংলাদেশের গল্প শুনছি! এই বৈষম্যটাই নেপালকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরস্পর সংগঠিত হয়ে এইরকম একটা অভ্যুত্থানের জন্ম দিতে সাহায্য করেছে। যেখানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ঠিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতন দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’
নেপালের অভ্যুত্থান পরবর্তী দৃশ্য বাংলাদেশের মতো নয় উল্লেখ করে রুমিন বলেন, “নেপালে যখন সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নিলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি, তিনি কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মন্ত্রিসভা গঠনের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন। স্টুডেন্টরা পলিটিক্যাল পার্টি না করলে অভ্যুত্থানের চেতনা নষ্ট হয়ে যাবে এমন কোনো বয়ান সুশীলা কার্কি দেওয়া শুরু করেননি। আমরা কিন্তু দেখলাম না সুশীলা কার্কি কোনো অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, আর চারপাশ থেকে ‘পাঁচ বছর পাঁচ বছর’, ‘আপনাকে পাঁচ বছরই দেখতে চাই’ এমন কোনো ধ্বনি উঠছে। অর্থাৎ তিনি যে একটা স্পেসিফিক দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন এবং সেই দায়িত্ব পালন করে তিনি যে আবার তার আগের অবস্থানেই ফিরে যাবেন, এবং এই ব্যাপারে যে তার মধ্যে কোনোরকম দ্বিধা-দ্বন্দ-লোভ-লালসা লক্ষ্য করা যায় নাই এবং নেপালের ছেলেরাও, মানে যারা জেনজি তারাও কিন্তু তাদের পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। তারা একটা দল করতে বসে নাই।’

আবারও সমীকরণের মুখোমুখি বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০৮ অপরাহ্ণ
আবারও সমীকরণের মুখোমুখি বাংলাদেশ

এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ। সুপার ফোরে যেতে লাল সবুজদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আফগানদের ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। তবে ম্যাচটি ২৫ বা তার বেশি রানে জিতলে গ্রুপের অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো না টাইগারদের। সুযোগও তৈরি হয়েছিল। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট মিস করে সে সুযোগ নষ্ট করে মোস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের শেষ এ উইকেটটি তখন তুলে নিতে পারলে ২২ রানের জয় পেত লাল সবুজরা। হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজে হারে কঠিন সমীকরণে পড়েছে টাইগারদের সুপার ফোরের যাত্রা।
গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। তবে নেট রান রেটে অনেকটা পিছিয়ে লিটনরা। তাদের নেট রান রেট -০.২৭০। অন্যদিকে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট ও ১.৫৪৬ নেট রান রেট নিয়ে সুপার ফোর অনেকটা নিশ্চিত শ্রীলঙ্কার। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট ও ২.১৫০ নেট রান রেট নিয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানিস্তানও।
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ : বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান। এ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই লঙ্কানদের সঙ্গে সুপার ফোর নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। কারণ সেক্ষেত্রে আফগানদের তুলনায় পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে লাল সবুজরা। তবে শ্রীলঙ্কা হারলে প্রসঙ্গ আসবে নেট রান রেটের। কারণ তখন তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ৪ করে। সেক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দুদল যাবে সুপার ফোরে। ভালো অবস্থানে থাকায় শেষ ম্যাচে জিতলেই সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে যাবে আফগানিস্তানের। তখন বাংলাদেশকে প্রার্থনা করতে হবে রশিদের বড় জয়ে।
আগে ব্যাট করলে আফগানদের জিততে হবে ৬৫ বা তার বেশি ব্যবধানে। আর পরে ব্যাট করলে জয় তুলে নিতে হবে ৫০ বল হাতে রেখেই। কেবল তখনই নেট রান রেটে লঙ্কানদের তুলনায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
আবুধাবির পিচে লঙ্কানদের বিপক্ষে আফগানদের এত বড় জয় অসম্ভবই বলা চলে। তার চেয়ে টাইগারদের সহজ সমীকরণ লঙ্কানদের জয়। গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে ‘বি’ গ্রুপের অন্য দল হংকং।
অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের পথে আছে ভারত ও পাকিস্তান। বড় দুই পরাশক্তির ভিড়ে গ্রুপের অন্য দুদল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের পরের ধাপে যাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন রুপালি ইলিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০৩ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন রুপালি ইলিশ

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১:৩০ এর সময় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে করে এই প্রথম চালান ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক শমীম হোসেন।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারতের কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, ন্যশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল, ইলিশগুলো আমদানি করেছে। আর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করেছে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও লাকী ট্রেডিং।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভারতে মোট এক হাজার ২০০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ টন করে মোট ৭৫০ টন, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে ৩৬০ টন এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ টন করে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে কিছুক্ষণের ভিতর বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে ইলিশ মাছ বোঝাই কাবাব ভ্যান ভারতে প্রবেশ করেছে।

৪টি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০১ অপরাহ্ণ
৪টি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, চারটি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলছেন— অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করে সরকার। এতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করা হয়।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ কমিশনের মেয়াদ ঠিক করা হয় ছয় মাস, ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।
পরে গত ১২ আগস্ট কমিশনের মেয়াদ আরেক মাস বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। আজ আবার সেই মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ানো হলো।