খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

তামিম ইকবাল কেন এত আলোচনায়?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
তামিম ইকবাল কেন এত আলোচনায়?

কখনো প্রতিপক্ষ, কখনো ম্যানেজমেন্ট আবার কখনো সতীর্থ—তামিম ইকবালের মেজাজ হারানোর ভুক্তভোগী হওয়া থেকে বাদ পড়ছেন না কেউই। এবারের বিপিএলে মাঠের পারফরম্যান্সের আলোচনার বাইরে মূলত আলাপটা চলছে ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের ঘন ঘন মেজাজ গরম করা নিয়েই। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে পক্ষে-বিপক্ষে বহু আলোচনা।

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে অ্যালেক্স হেলস, ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সাব্বির আহমেদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের মেজাজ হারানোর কথা স্ট্যাম্প মাইকের সুবাদে শুনেছেন দর্শকরাও। আবার বিসিবি সভাপতি মঞ্চে দেরিতে ওঠায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নেননি—এমন ঘটনাও ঘটেছে।

সবশেষ তামিম ইকবালের মেজাজ হারানোর ঘটনা দেখা গিয়েছে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে। সতীর্থ ওপেনার ডেভিড মালানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সূত্রে আউট হয়েছিলেন তামিম। এরপরই রাগত চাহনি ছিল তার। এ নিয়েও সরব ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেও এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ততায় কাটছে তামিম ইকবালের। চলমান বিপিএলে ব্যাট হাতে মন্দ কাটছে না। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ২৩০ রানে দলের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক এই ওপেনার। খারাপ অবস্থায় নেই তার দল ফরচুন বরিশালও। ৭ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন বরিশাল। তবুও মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে বাইরের কর্মকাণ্ডে বেশি আলোচনায় তামিম।
তামিম-হেলস কাণ্ড

বিপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ম্যাচ দেখা গিয়েছিল সেদিন সিলেটে। অবিশ্বাস্য ও শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ ওভারে ২৬ রান তাড়া করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালকে হারায় আরেক জায়ান্ট রংপুর রাইডার্স। এদিন ম্যাচ শেষেই ঘটেছিল অপ্রীতিকর ঘটনাটি। জানা গেছে, ম্যাচ শেষে দুই দলের ক্রিকেটাররা যখন হাত মেলাতে যান তখন হেলস আপত্তিকর মুখভঙ্গি করেন তামিমকে উদ্দেশ করে। বরিশাল অধিনায়ক সেটা ভালোভাবে নেননি।

হেলসকে উদ্দেশ্য করে তখন তামিম বলেন, ‘এ রকম করছ কেন? কিছু বলার থাকলে মুখে বলো। বি আ ম্যান।’ এরপর হেলসও জবাব দিয়েছেন। তাতে তর্কে জড়িয়ে পরেন এই দুই ক্রিকেটার। এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে হেলসের দিকে তেড়ে যেতে চান তামিম। তখন তামিমকে টেনে ধরেন রংপুরের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিম। বাকি ক্রিকেটার ও স্টাফরাও দুজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ম্যাচশেষে তামিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন হেলস। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় শাস্তিও পেতে হয়কে বরিশাল কাপ্তানকে।
‘বেশি লাগতে আইসো না সাব্বির’

আগের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আলোচনায় উঠে আসেন তামিম। এবার সাব্বির রহমানের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় তাকে। ঘটনাটি ঘটে ফরচুন বরিশাল বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস ম্যাচে। সাব্বিরের ফেইক ফিল্ডিং করা নিয়ে মেজাজ হারান তামিম। এ সময় মাঠেই তাকে বলতে শোনা যায় ‘বেশি লাগতে যেও না সাব্বির, বেশি লাগতে যেও না।’ আরও কিছু বলছিলেন, যা স্পষ্ট শোনা যায়নি। ঘটনার পর সাব্বির তামিমের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। সাব্বিরকে থামিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালান। একই ম্যাচে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দেরি করে আসায় ম্যাচসেরার পুরস্কার নেননি তামিম।

এক সময়ের সতীর্থর মাঠের বিষয়টি অবশ্য ‘হিট অব দ্য মোমেন্ট’ হিসেবেই মেনে নিয়েছিলেন সাব্বির। তামিমের মেজাজ গরম করা নিয়ে পরে বলছিলেন, ‘মাঠের মধ্যে যে ঘটনাই হোক, এটা মাঠের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় আমাদের। তামিম ভাই আমার সিনিয়র বড় ভাই। রেসপেক্টেড বড় ভাই এবং লেজেন্ড ক্রিকেটার। এরকম ক্রিকেটার বাংলাদেশে আসবে ও না, আমি জানি। ওনার হিট অব দ্য মোমেন্টে এটা হয়ে গেছে। আমি ওটা কিছু মনে করিনি।’
‘টিভির এক-দুই ঝলক দেখেই সিদ্ধান্ত নয়’

তাকে নিয়ে চারদিকে যে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছিল, সেটি বুঝতে পারছিলেন তামিম নিজেও। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে শেষমেশ ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তারকা এই ক্রিকেটার। তামিম বলছিলেন, ‘অনেক সময়ই অনেকে টিভিতে দু-একটি দৃশ্য দেখে নানা রকম ধারণা করে ফেলেন। গত কয়েক দিনে আমাকে নিয়েও এরকম হয়েছে। কিন্তু কোনো ঘটনা তো হুট করে হয় না। এটার পেছনেও অনেক ঘটনা থাকে। মাঠে এরকম অনেক কিছুই হয়, যা টিভিতে পুরোপুরি ফুটে ওঠে না এবং সেটা উচিতও নয়।’

তামিম পরে যোগ করেন, ‘টিভিতে দু-একটি দৃশ্য দেখেই চূড়ান্ত ধারণা নেওয়া উচিত নয়। যাদের নিয়ে ঘটনা, যারা মাঠে থাকেন, তারা সবকিছু জানেন। আজকের উদাহরণ দিয়েই আবার বলছি, টিভিতে এক-দুই ঝলক দেখেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া উচিত নয়।’

সতীর্থ অনেক ক্রিকেটারের চোখেই তামিম সত্যিকারের টিমম্যান। ঠান্ডা মাথার তামিমকেই এতদিন চিনতো তার ভক্ত সমর্থকরাও। সেই তামিম হঠাৎ যেন কারও কারও কাছে কত অচেনা। ঘন ঘন মেজাজ হারানোর ঘটনায় তৈরি করছে বিস্ময়ও। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গে সমালোচনাও হচ্ছে তামিমের।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।