খুঁজুন
                               
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ, ১৪৩২

ঢাবির হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে : উপাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
ঢাবির হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে : উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এই ঘোষণা দেন। উপাচার্য বলেন, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটিই বহাল থাকবে এবং প্রত্যেক হল প্রশাসন এই নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত হল কমিটি নিয়েও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন তিনি।

তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে হলপলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন। তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন: কেন কমিটি দেওয়া হলো উপাচার্যকে জবাব দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে এক্সিসটিং গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাবি শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন হল ইউনিটে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে, সেখানে ছাত্রদলের প্রকাশ্য কমিটি ঘোষণা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়।

বিশেষ করে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা প্রথমে আন্দোলনে নামেন। সন্ধ্যার পর আন্দোলনের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং রাত ১২টার পর টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হন। সেখান থেকে পরে তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন, যেখানে রাত ২টার দিকে উপাচার্য তাঁদের সামনে উপস্থিত হয়ে ঘোষণাটি দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকাশ্য, গোপন বা সুপ্ত— কোনো ধরনের হলপলিটিক্সই বরদাশত করা হবে না।

খসড়া তালিকা প্রকাশ : দেশে নতুন ভোটার ২৪ লাখ ৩৮ হাজার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ১:০০ অপরাহ্ণ
খসড়া তালিকা প্রকাশ : দেশে নতুন ভোটার ২৪ লাখ ৩৮ হাজার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন করে ভোটার হয়েছেন ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৬ জন। এতে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সারাদেশের নির্বাচন অফিসগুলোতে একযোগে আজ হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। হালনাগাদ ভোটার তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৬ জন ভোটার।
সচিব বলেন, আইন অনুযায়ী এ বছরের ২ মার্চ ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল ইসি। তখন ভোটার ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জনকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে মৃত ও কর্তনকৃত ভোটার হিসেবে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এই হিসেবে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জনে। ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারাও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। নবীন ভোটারদের এক বছর অপেক্ষা না করানোর জন্য নতুন আইনে এই সুযোগ রাখা হয়েছে।
সচিব জানান, এ বছর আসলে মোট তিনটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। ২ মার্চ প্রকাশের পর ৩১ আগস্ট এবং ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত তালিকাগুলো প্রকাশ হবে।
এর আগে রোববার সকালে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর সারাদেশের নির্বাচন কর্মকর্তারা সেটি নির্দিষ্ট স্থানে সাঁটিয়ে দেন। এতে কারো তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ মিলবে ১২ দিন। যোগ্য ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্তি, মৃত্যুজনিত বা অন্তর্ভুক্তি হওয়ার অযোগ্য ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া, ভোটার স্থানান্তর এবং কোনো সংশোধন বা ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি হবে ২৪ আগস্টের মধ্যে। এরপর অন্যান্য কাজ শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ আগস্ট।

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা : মিজান ও গোলাপীর অন্ধকার জগৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা : মিজান ও গোলাপীর অন্ধকার জগৎ

ভয়ংকর এক অন্ধকার জগতের বাসিন্দা কেটু মিজান। দিনে দিনে তিনি আরও হিংস্র হয়ে ওঠেন। গ্রেপ্তারের পরও তাঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ থেমে থাকেনি। পুলিশের কড়া পাহারা ও পিছমোড়া করে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় গতকাল শনিবার আদালতে নেওয়ার সময় মিজান সবার উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘আপনারা নাটক-সিনেমা-ছবি করেন, আমি করি রিয়েল।’
গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে গলা কেটে হত্যার পরও তাঁর মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। বরং গতকাল দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদরদপ্তর থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও চোখ পাকিয়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সিঁড়িঘাট মিলন বাজার এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে কেটু মিজান গাজীপুরে এসে গড়ে তোলেন এক অপরাধ রাজ্য।
মেলান্দহ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে তাঁর পরিবার চলে যায় রংপুর। পরবর্তীতে একই এলাকার মো. সুলাইমানের মেয়ে পারুল আক্তার গোলাপীকে বিয়ে করে সঙ্গে নিয়ে মিজান চলে আসেন গাজীপুরে। তাঁর গড়ে তোলা জগতের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন স্ত্রী। দুজনে মিলে গাজীপুর মহানগরের ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করত এই ছিনতাইকারী চক্র। ব্যস্ততম এ মোড় দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। গোলাপী প্রতারণার ফাঁদ পেতে (হানিট্র্যাপ) যুবকদের তাঁর কাছে এনে লুটে নিতেন সবকিছু।

কেটু মিজান ও গোলাপী গ্রুপের সদস্য ছিলেন সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতা এলাকার হানিফের ছেলে আল আমিন (২১), কুমিল্লার হোমনা থানার আন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহ জালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর থানার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে ফয়সাল হাসান (২৩), শেরপুরের নকলা থানার চিতলিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে সাব্বির সুমন (২৬) এবং ত্রিশালের শহীদুল ইসলাম। ইতোমধ্যে এ ৮ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ধর্ষণ, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধারায় ২৯টি মামলা রয়েছে। শুধু মিজানই ১৫টি মামলার আসামি বলে জানিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কেটু মিজান ও গোলাপীর প্রতারণা ফাঁদে পা দিয়েছিলেন শেরপুরের বাদশা মিয়া নামের এক যুবক। যার শেষ পরিণতির শিকার হয়েছেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিন।
বাদশাকে কোপানোর দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে ভয়ংকর এ গ্রুপের রোষানলে পড়েন তুহিন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তারা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রুপের প্রধান কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাব-১ এর সদস্যরা।
গতকাল শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশ সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানান, ঘটনার দিন বাদশা মিয়া স্থানীয় একটি এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তোলেন। বিষয়টি দেখে বাদশাকে হানিট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করেন গোলাপী। গোলাপীর সঙ্গে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বাদশা মিয়া বিষয়টি বুঝতে পারেন, তাঁকে হানিট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপর তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় এবং বাদশা মিয়া গোলাপীকে ঘুসি মারেন।
তিনি বলেন, গোলাপীকে ঘুসি মারার পরপরই আগে থেকে ওত পেতে থাকা তাঁর সহযোগী পাঁচ-ছয়জন এগিয়ে এসে চাপাতি দিয়ে বাদশা মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। তখন বাদশা মিয়ার সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তাঁর ভিডিও ধারণ করার বিষয়টি দুর্বৃত্তরা দেখে ফেলে। তখন বুঝে যায় যে, এই ভিডিওর মাধ্যমে তাদের অপরাধ মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়ে যাবে।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আসামিরা সাংবাদিক তুহিনের ভিডিওটি কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ায় এবং তাঁকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক তুহিন একটি চা স্টলে আশ্রয় নিলে তাঁকে সেখান থেকে ধরে এনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। ফুটেজ দেখে আমরা আটজনকে চিহ্নিত করেছি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
যথার্থ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারার কারণে তুহিন হত্যায় ব্যর্থতা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে নাজমুল করিম বলেন, সাংবাদিক হত্যার দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের ব্যর্থতা ও জনবল স্বল্পতা রয়েছে।
বাসন থানার ওসি শাহীন খান জানান, সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর একটি মামলার বাদী হয়েছেন নিহত সাংবাদিক তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম। অপর একটি মামলার বাদী তুহিন হত্যার আগে সংঘটিত আরেকটি হামলার ঘটনায় আহত বাদশা মিয়ার ভাই। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হলে দুই দিন করে মঞ্জুর করেন বিচারক।
কিশোরগঞ্জে একজন গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ থেকে শহীদুল ইসলাম নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল কবির জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‍্যাবের একটি দল গতকাল দুপুরে হাওরের ইটনা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর করিমগঞ্জের বালিখলা ঘাটে র‍্যাব-১ এর সদস্যদের কাছে তাকে হস্তান্তর করলে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকায়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ
সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি এবং সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ-মানববন্ধন করেছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দেন।
ফরিদপুর, সদরপুর, মধুখালী ও বোয়ালমারী; কুমিল্লার দাউদকান্দি, সুনামগঞ্জ ও ধর্মপাশা; পটুয়াখালীর দুমকী, জয়পুরহাট,  নরসিংদী, রাজবাড়ী, রাজশাহী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাগমারা; সাতক্ষীরার শ্যামনগর, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, মাদারীপুর, নড়াইল, নাটোরের গুরুদাসপুর, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পিরোজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায় এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। গতকাল এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের নৃশংস ঘটনা শুধু একজন সাংবাদিকের জীবনই কেড়ে নেয়নি, বরং সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হেনেছে।

সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সরাসরি ৮ জন সম্পৃক্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সরাসরি ৮ জন সম্পৃক্ত

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি ৮ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান। এর মধ্যে ৭ জনকে এরইমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
কমিশনার নাজমুল করিম বলেন, ‘হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের অপকর্মের ভিডিও করার কারণেই তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
কমিশনার জানান, সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত ৮ জনের মধ্যে গ্রেফতারকৃতরা হলেন—
প্রধান আসামি কেটু মিজান, যার নামে ১৫টি মামলা রয়েছে।
কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, যিনি হানিট্র্যাপ কার্যক্রমে জড়িত।
আল আমিন, যার নামে ২টি মামলা।
স্বাধীন, যার নামে ২টি মামলা।
শাহজালাল, যার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে।
ফয়সাল হাসান
সাব্বির, যার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া আরেক আসামি আরমান পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা আসামিদের গ্রেফতার করেছি, হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করেছি, সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে এবং অধিকাংশ প্রমাণ আমাদের হাতে। পিএম রিপোর্ট পেলেই যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট দিতে পারব বলে আশা করছি। ভিডিওগুলোও ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পেটের দায়ে এসব শ্রমিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
জিএমপি কমিশনারবলেন, ‘গাজীপুরকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলা হয়ে থাকে, তাই দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যও এখানে নানা অপকর্ম চালানো হচ্ছে।’
ফোর্সের সংখ্যা কম থাকায় সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন জিএমপি কমিশনার।