খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন : ৫ দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:২২ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন : ৫ দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীর ইশানবালা খালের মুখে সারবাহী এমভি আল-বাখেরা জাহাজে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রামের নাবিকরা। সমাবেশের নাবিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ নাবিক ঐক্য পরিষদ ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আল বাখেরা জাহাজের নিহত ৭ জন নাবিকের পরিবারকে সরকার কর্তৃক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া নৌ-পথে নাবিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সব নাবিকদের গেজেট অনুযায়ী বেতন ও বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও বাংলাদেশের নাবিক সংগঠনগুলোর এবং নেতৃবৃন্দের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, বিগত কয়েক বছর আগেও দুর্নীতিবাজ নেতারা চট্টগ্রাম লাইটারেজ জাহাজের সিরিয়াল নীতিমালা প্রণয়ন করে বিভিন্ন জাহাজ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছে।

সংগঠনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহালম ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক পটল সাহেব, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক, আফছার উদ্দিন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা সবুজ শিকদারসহ আরো অন্যান্য সংগঠনগুলোর নেতারা বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক নাবিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে।

তারা বলেন, আমরা সাধারণ নাবিক ঐক্য পরিষদ নৌসেক্টরে নাবিকদের থেকে উত্তোলনকৃত মাসিক টাকার হিসেব চাই এবং যে-সব নেতারা দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, সে সসব নেতাদের অবৈধ সম্পদের হিসাব তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হোক।

সাধারণ নাবিক ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘নৌ-সেক্টরে চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি নিত্য দিনের ঘটনা। তবে এরকম মর্মান্তিক ঘটনা বিগত কয়েক যুগেও ঘটেনি। বিগত দিনে যে-সব ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনায় যথাযথ বিচার না করার কারণে আজকের এই পরিস্থিতি শিকার হয়েছে আমাদের কিছু নাবিক ভাই। যা মেনে নেওয়ার মতো নয়। ডাকাত ঠিকই ডাকাতি করছে, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী তারাও নৈরাজ্য করছে তাহলে আমাদের প্রশ্ন পুলিশ প্রশাসন কি করছে। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি কেন করা হয়েছে। এই মেরিন সেক্টর এত বড় একটা শিল্প হওয়ার পরেও আমাদের নিরাপত্তায় এত অবহেলা কেন।

তিনি বলেন, ভিএইচএফ এর মাধ্যমে কোনো নৌ-পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডের সাহায্য পেলাম না। ৯৯৯ পরিষেবা কেন নিতে হলো, এটা তো সকল স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নাগরিক পরিষেবা। অথচ আমাদের শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নৌ-পুলিশ, নৌবাহিনী কোস্টগার্ড সজাগ না থাকার কারণ কি। এই ঘটনার দায়ভার যে অঞ্চলে ঘটেছে সেই অঞ্চলের নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডকেই নিতে হবে। পাশাপাশি বিগত দিনে এত ঘটনা ঘটছে ধারাবাহিকভাবে আমাদের নৌ-শ্রমিক সংগঠনগুলোর স্বার্থান্বেষী কিছু নেতা কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তাদের সিরিয়াল বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। যা একান্তই মালিক পক্ষের কাজ। তারা যদি প্রশাসনের এই গাফিলতির তদারকি ও প্রতিবাদ করতো তাহলে হয়ত আজকের এই ঘটনা ঘটতো না।

যুগ্ম সমন্বয়ক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কিছু জাহাজ মালিক রয়েছে ৫-৬ মাস পর্যন্ত নাবিকদের বেতন বকেয়া রেখে দেয়। নাবিকরা যখন তাদের পরিবারের অসচ্ছলতার বিষয় মালিকদের কাছে তুলে ধরে এবং বকেয়া বেতন দাবি করে, ঠিক তখনই এই জুলুমকারী জাহাজ মালিকরা অসহায় নাবিকদের বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে চাকরিচ্যুত করে। আর এসকল বিষয়গুলো আমাদের কিছু নাবিক সংগঠন রয়েছে তাদেরকে জানানো হয় এবং এই সংগঠনগুলো নাবিদের টাকায় পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও তারা কোনো গঠনমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে মালিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা খেয়ে নাবিকের দেওয়া অভিযোগ চাপা দিয়ে রাখে। এই সংগঠনের কথিত নেতাগুলো সংগঠনের গঠনতন্ত্র না মেনে বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে ক্ষমতায় বসে এখনো পর্যন্ত সাধারণ নাবিকের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করছে।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।