খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন : স্বীকারোক্তিতে যা জানালো ইরফান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:২৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন : স্বীকারোক্তিতে যা জানালো ইরফান

বহুল আলোচিত চাঁদপুরে হাইমচরের মাঝিরচর এলাকায় এমভি-আল বাখেরা জাহাজে সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আকাশ মন্ডল ওরফে ইরফান নামের একজনকে বাগেরহাটের চিতলমারি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব এ তথ্য জানায়। র‌্যাবের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩শে ডিসেম্বর চাঁদপুরে হাইমচরের মাঝিরচর এলাকায় এমভি-আল বাখেরা জাহাজে ৭ জনকে হত্যা ও ১ জনের গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এমভি-আল বাখেরা জাহাজের মালিক মাহবুব মোর্শেদ বাদী হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার (২৪শে ডিসেম্বর) রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১১ এবং র‌্যাব-৬ এর আভিযানিক দল বাগেরহাটের চিতলমারি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আকাশ মন্ডল (ইরফান) (২৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় আকাশ মন্ডল ইরফানের নিকট থেকে ১টি হ্যান্ড গ্লাভস, ১টি লোটো ব্যাগ, ঘুমের ওষধের খালি পাতা, নিহতদের ব্যবহার হওয়া ৫টি ও গ্রেপ্তার হওয়া আকাশের ব্যবহার করা ২টিসহ মোট ৭টি মোবাইল এবং বিভিন্ন জায়গায় রক্ত মাখানো নীল রংয়ের ১টি জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ওই ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া আকাশ মন্ডল ইরফান জানায়, সে প্রায় ৮ মাস যাবত এমভি-আল বাখেরা জাহাজে চাকুরি করে আসছে। উক্ত জাহাজের কর্মচারীরা ছুটি ও বেতন-বোনাস সময় মতো পেতো না এবং বিভিন্ন ধরনের বিল কর্মচারীদের না দিয়ে জাহাজের মাস্টার একাই ভোগ করতো। জাহাজের মাস্টার সকল কর্মচারীর উপর বিনা কারণে রাগারাগি করতো এবং কারোর উপর নাখোশ হলে তাকে কোনো বিচার বিবেচনা ছাড়াই জাহাজ থেকে নামিয়ে দিতো। এমনকি তাদের বকেয়া বেতনও দিতো না।

এ ব্যাপারে আসামি আকাশ জাহাজের সবাইকে প্রতিবাদ করতে বললে কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতো না। মাস্টারের এহেন কার্যকলাপের দরুণ আকাশের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এই ক্ষোভ থেকে তাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আনুমানিক ১৮ ডিসেম্বর আকাশ ৩ পাতা ঘুমের ওষুধ ক্রয় করে নিজের কাছে রেখে দেয়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনায় সে একাই জড়িত বলে জানা যায়। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে।

গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে ভিকটিমরাসহ আকাশ এমভি-আল বাখেরা জাহাজে ৭২০ টন ইউরিয়া সার নিয়ে চট্টগ্রাম হতে বাঘাবাড়ি, সিরাজগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আকাশ ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জাহাজে রাতের খাবারের তরকারির মধ্যে ৩ পাতা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। শুধুমাত্র সুকানি জুয়েল এবং আকাশ ছাড়া সবাই রাতের খাবার খেয়ে তাদের নিজস্ব কেবিনে ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত আনুমানিক দুইটার দিকে সাহারা বিকন এলাকায় আরও ৮ থেকে ১০টি জাহাজের সঙ্গে সুকানি জুয়েল এবং গ্রেপ্তার হওয়া আকাশ তাদের জাহাজটি নোঙ্গর করে। পরবর্তীতে সুকানি জুয়েল রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আকাশ তার পরিকল্পনা মোতাবেক আনুমানিক রাত ৩টার দিকে প্রথমে মাস্টারকে জাহাজে থাকা চাইনিজ কোড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।পরবর্তীতে সে চিন্তা ভাবনা করে যে, জাহাজে থাকা বাকিরা জেনে গেলে সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ধরা পড়বে বিধায় একে একে সবাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে সকল জাহাজ তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে সে নিজে জাহাজ চালাতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মাঝিরচর নামক এলাকায় জাহাজটি আটকা পড়লে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ট্রলারে বাজার করার কথা বলে ট্রলারে উঠে পালিয়ে যায়। সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে বাগেরহাটে চিতলমারি এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

এমভি-আল বাখেরা জাহাজে খুন হওয়া সাত ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন, কিবরিয়া (৫৬), সবুজ (২৭), সজীবুল ইসলাম (২৯), মাজেদুল ইসলাম মজিব (১৬), আমিনুর মুন্সি (৪২), সালাউদ্দিন মিয়া (৪১), রানা এবং গুরুতর জখম ব্যক্তি হলেন জুয়েল।

জুলাই নিয়ে নতুন বিতর্ক তুললেন নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:১২ পূর্বাহ্ণ
জুলাই নিয়ে নতুন বিতর্ক তুললেন নাহিদ ইসলাম

৫ আগস্টের পর জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে দেওয়া হয়নি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য সত্য নয় বলেও দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন তিনি।
পোস্টে তিনি মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে লিখেন, ‘বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জাতীয় সরকারের কোনো প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয় নাই। তারা অন্য মাধ্যমে এ প্রস্তাবনা পেয়েছিল। এই বক্তব্যটি সত্য নয়। ৫ই আগস্ট রাতের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা বলেছিলাম, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার করতে চাই। সেই প্রেস ব্রিফিংয়ের পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে আমাদের ভার্চুয়াল মিটিং হয়। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারেক রহমান এ প্রস্তাবে সম্মত হননি এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাজেশন দেন। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা বলি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘৭ আগস্ট ভোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাসায় আমরা উনার সাথে অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আলোচনা করি। উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেবার আগে জনাব তারেক রহমানের সাথে আরেকটি মিটিংয়ে প্রস্তাবিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হয়।’

একই পোস্টে তিনি দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় পরিচয় না দিলেও ৫ আগস্টের পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম নিজেকে সমন্বয়ক বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি লিখেন, ‘সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কায়েমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাদিক কায়েমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা করেছে, এই অভ্যুত্থান ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিসে, আমরা সামনে শুধু পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করে নাই। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক নয়, শিবিরের ইনস্ট্রাকশন বা ডিরেকশনেও হয় নাই। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে সে বিষয়ে অন্যদিন বলবো।’

তিনি আরও লিখেন, ‘২ আগস্ট ২০২৪ রাতে জুলকারনাইন সায়েররা একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশ্যে কথিত সেফ হাউসে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেট করা হয়; যাতে সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে আর আমাদের সঙ্গে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল, এক দফার ঘোষণা মাঠ থেকে, জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে, তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভেতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে, আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে এগোতে হবে। ৫ আগস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি।’

সাদিক কায়েমের প্রতিক্রিয়া
নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাদিক কায়েম। গতকাল গণমাধ্যমকে সাদিক কায়েম বলেন, ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হচ্ছে। জুলাই বিপ্লব ছিল আপামর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ। এখানে সব মতের মানুষ নিজেদের ব্যক্তিগত মতভেদ ভুলে একটি সাধারণ লক্ষ্য– ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য একত্রিত হয়েছিল। যখন খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়, সে সময় সরকার গঠন এবং পরবর্তী সময়ে আমি কখনও ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে কোথাও গিয়ে কিছু দখল বা আত্মসাৎ করেছি– এমন একটি সিঙ্গেল ডকুমেন্টও কেউ দেখাতে পারবে না। সূত্র,: সমকাল

চাঁদপুরে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

চাঁদপুরে পুলিশের অভিযানে চোরাই ৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং চুরির সাথে জড়িত চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান। আটক চোর চক্রের সদস্যরা হলেন-জেলার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড কাচিয়াড়া পশ্চিম পাঠান বাড়ির হারু অর রশিদের ছেলে রাফসান ইসলাম নিলয় (২০), একই উপজেলার রূপসা ইউনিয়নের বারো পাইকা গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে মো. ইয়ামিন (২১) ও সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজগাছতলা বাদামতলী খান বাড়ীর আব্দুল মান্নান খানের ছেলে আব্দুস সালাম (২৬)।

পুলিশ জানায়, ৩০ জুলাই বিকেলে সদর মডেল থানা পুলিশ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজন মোটরসাইকেল চোরকে চুরি করে আনা মোটরসাইকেলসহ আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চুরিতে জড়িত রাফসান ও ইয়ামিনের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত নিজগাছতলা এলাকার সালাম মটরস এর আব্দুস সালাম এর সন্ধান মিলে। তিনি চোরাইকৃত মোটরসাইকেল তার গ্যারেজে সংরক্ষণ করতেন।আটক চোর চক্রের সদস্যরা পুলিশকে জানান, তারা লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে এসব মোটরসাইকেল ক্রয় করতেন। এর মধ্যে অধিকাংশ মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নেই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেলে মডেল থানা পুলিশ প্রথমে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্য নিলয় ও ইয়ামিনকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো নিজগাছতলা সালামের গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। সালাম চোরাই মোটরসাইকেলের ব্যবসা করে। তাকেও আটক করা হয়েছে। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

বর্তমানে টলিউডে ‘দেখতে সুন্দর’ হওয়ার চাপ এতটাই বেড়েছে যে, রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখতে বহু অভিনেত্রী বেছে নিচ্ছেন প্লাস্টিক সার্জারি, লিপ ফিলার, নোস জব, এমনকি শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি। কারণ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, এসব না করালে ‘নায়িকা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এবার এই বিষয়েই মুখ খুললেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে শোলাঙ্কি জানিয়েছেন, তিনি কখনও নিজের মুখে কোনও ইনজেকশন নেননি, কোনও রকম কসমেটিক সার্জারির পথেও হাঁটেননি। আর এই ‘স্বাভাবিকত্ব’-এর জন্যই তাকে বহুবার কটু কথা শুনতে হয়েছে।
শোলাঙ্কির কথায়, ‘অনেকেই বলেন আমার মুখ টিভির তুলনায় সিনেমায় দেখতে খারাপ লাগে। আসলে মুখে তো কখনও কিছু করাইনি, ইনজেকশন নিইনি। তাই হয়তো!’
এখানেই থামেননি অভিনেত্রী। জানালেন, তিনি যেহেতু চিরকালই রোগা, তা নিয়েও নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাকে। এতটাই যে এক সময় আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে যায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যাওয়া বন্ধ করে দেন। ‘অনুষ্ঠানে গেলেই অনেকে জিজ্ঞেস করতেন আমি এত রোগা হয়ে গেছি কেন। যেন এটা কোনও নতুন ব্যাপার! আমি তো ছোটবেলা থেকেই এমন,’ বললেন শোলাঙ্কি।
তবে সবচেয়ে অপমানজনক অভিজ্ঞতার কথাও এদিন অকপটে শেয়ার করেন তিনি। একবার এক পরিচালক তাঁকে সরাসরি পরামর্শ দেন ব্রেস্ট সার্জারির।

শোলাঙ্কির ভাষায়, ‘তিনি বলেছিলেন, ‘নায়িকা হতে গেলে একটু ক্লিভেজ থাকা দরকার’। এই কথাটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও আমি যথেষ্ট ম্যাচিওর ছিলাম, তাই কথাটা এড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। কিন্তু ভাবুন তো, এই কথাটা যদি কোনও নতুন বা কম বয়সি মেয়ে শুনত! কতটা ভেঙে পড়ত সে।’
শোলাঙ্কি আরও বলেন, ‘আজও সেই ঘটনা মাথায় গেঁথে আছে। প্রভাব তো ফেলেছিলই, না হলে এতদিন পরেও এটা নিয়ে বলতাম না। বাইরে থেকে শুনলেই একরকম লাগে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে কী যন্ত্রণা হয়, সেটা শুধু মেয়েরাই বোঝে।’
অভিনেত্রীর এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে কতটা নিষ্ঠুর এক মানসিক চাপ কাজ করে প্রতিটি তারকার পরে। সাহস করে সেই রূঢ় বাস্তবের মুখোশ খুলে দিলেন শোলাঙ্কি রায়।