খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ
গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ

মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নিয়েছিল। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয় এ লড়াইয়ে। সেই ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেটির উদয় ঘটে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরে, বহু শতাব্দীর স্বপ্ন-স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে। অবর্ণনীয় দুর্যোগে লন্ডভন্ড হওয়া বাংলাদেশের বঞ্চিত ও শোষিত মানুষ রুখে দাঁড়ায় সর্বশক্তি দিয়ে। আত্মবিস্মৃত বাঙালি আত্মপরিচয় অনুসন্ধানে উৎসর্গ করে নিজ ও স্বজনকে। ছিনিয়ে আনে বিজয়, লাল-সবুজ পতাকা সংবলিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আজ সেই ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫৩তম বর্ষ। হাজার বছরের গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ।

৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি আজ নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করবে। ইতিহাসে প্রথম, বছরে দ্বিতীয় ‘বিজয় দিবস’ পেল বাংলাদেশ।

১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসন, ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য ক্ষুব্ধ জনতার রোষানলের মুখে পড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এ বছর স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর, বাংলাদেশের নবযাত্রায় জাতি নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে দিনটি পালন করবে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর দেশবাসী এ সময়টাকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলেও অভিহিত করছে।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার মুহূর্তকে স্মরণ করে আজ বিজয় দিবস উদযাপন শুরু হবে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে স্মৃতিসৌধ পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। আলোচনা সভা এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে। আজ সরকারি ছুটির দিন।

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তাই আসুন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি। দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই, গড়ে তুলি উন্নত-সমৃদ্ধ এক নতুন বাংলাদেশ- মহান বিজয় দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।

তিনি আরও বলেন, এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন এ দেশের মানুষ দেখেছে, তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে বলে আমি মনে করি। বীরের দেশ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিজয়ের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সকল জাতীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি আরও স্মরণ করি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে। জাতি তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, আজকের এই দিনে, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাই। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করছে।

বিজয় দিবসের বাণীতে তিনি বলেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও। শপথ আমাদের একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।

বিজয় দিবসকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গৌরবময় ও স্মরণীয় দিন হিসেবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীনতার স্বাদ এবং জাতি হিসেবে নিজস্ব পরিচিতি। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, লাখ লাখ শহীদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। প্রধান উপদেষ্টা ‘বিজয় দিবস ২০২৪’-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন।

চাঁদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

বসুন্ধরা শুভসংঘ চাঁদপুর জেলা শাখা কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) সভাপতি লায়ন আরমান চৌধুরী রবিনের বাসভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান উজ্জ্বল হোসাইন উপস্থিত সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। এ ছাড়া আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং জনস্বার্থে কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে সভায় উপস্থিত সবার মতামত নেওয়া হয়।
সভাপতি লায়ন আরমান চৌধুরী রবিন বলেন, ‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানটি সময়ের প্রয়োজনে জুতসই স্লোগান। আর এই স্লোগানই আমাদের সব শুভ কাজে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বসুন্ধরা-শুভসংঘ চাঁদপুর জেলা কমিটির উপদেষ্টা লায়ন গোলাম হোসেন টিটু, রোটারিয়ান খোরশেদ আলম কাঞ্চন। আর পুরো আয়োজনের সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন কালের কণ্ঠের চাঁদপুর প্রতিনিধি ফারুক আহম্মদ।

মালয়েশিয়ায় এক ঘণ্টার অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ অভিবাসী আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৯:২২ অপরাহ্ণ
মালয়েশিয়ায় এক ঘণ্টার অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুরের জালান মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকায় মাত্র এক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ১৭১ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট পরিচালক বাসরি ওথমান। তিনি বলেছেন, ১৬০ কর্মকর্তা জালান মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকায় যান। সেখানে তারা ৭৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যারমধ্যে ২৫৪ জন স্থানীয় বাসিন্দাও ছিলেন। এছাড়া ১৪টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালান তারা।
যেসব অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়া ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
বাসরি ওথমান বলেছেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও অবস্থান করা, ভিসা আইন অমান্য করা এবং পরিচয়পত্র না রাখার অভিযোগে ১৭১ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, আটক এড়াতে কিছু অভিবাসী দোকানের কাস্টমার সাজার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের এ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়।
আটক সবাইকে সেলানগোরের বারানাংয়ের অস্থায়ী ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একই এলাকায় অভিযান চালিয়েছিলেন ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা।
এরআগে গত ২৫ জুলাই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বারনামার।
ওইদিন বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১-এ পরিচালিত সাত ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৪০০ জনের বেশি যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইটের যাত্রীদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এরপর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয় তাদের। এরআগে গত ২৫ জুলাই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বারনামার।
ওইদিন বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১-এ পরিচালিত সাত ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৪০০ জনের বেশি যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইটের যাত্রীদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এরপর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয় তাদের।
সূত্র: ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে

টেস্টে ৯ বছর পর মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১:২৪ অপরাহ্ণ
টেস্টে ৯ বছর পর মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে

নয় বছর পর টেস্ট ফরম্যাটে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় কিউইরা। অন্যদিকে হারের বৃত্ত ভেঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের টেস্ট ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য রোডেশিয়ানদের। বুলাওয়েতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। এরপর আর টেস্ট ফরম্যাটে দেখা হয়নি দু’দলের।
দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও টেস্টে দেখা হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের। সিরিজ শুরুর আগে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে কিউই শিবির। ঘাড়ের ইনজুরিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলবেন না অধিনায়ক টম ল্যাথাম। তার অনুপস্থিতিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন সাদা বলের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
নিউজিল্যান্ডের ৩২তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হবে স্যান্টনারের। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে সুস্থ হয়ে উঠলে আবারও দলে ফিরবেন ল্যাথাম। জিম্বাবুয়ে সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলে নেই কেন উইলিয়ামসন, কাইল জেমিসন, মিচেল ব্রেসওয়েল ও বেন সিয়ার্স।
নতুন মুখ হিসেবে দলে রাখা হয়েছে দুই পেসার জ্যাকব ডাফি ও ম্যাট ফিশারকে। দেশের জার্সিতে ইতোমধ্যে ১৪ ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ডাফি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪টি ম্যাচ খেলে ৫১ উইকেট নিয়েছেন ফিশার।
নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ রব ওয়াল্টার বলেন, ‘জয় দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করতে চাই আমরা। তিন বিভাগেই আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে।’
গেল মাসে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে জিম্বাবুয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট-বল হাতে জ্বলে উঠতে মরিয়া স্বাগতিকরা। দলের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে ক্রিকেট খেলেছে দল। আশা করি, এবার প্রথমবারের মত টেস্ট ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়তে পারব আমরা।’
১৯৯২ সালে প্রথম টেস্ট ফরম্যাটে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৭ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এরমধ্যে নিউজিল্যান্ডের জয় ১১টিতে। ড্র হয়েছে ৬টি টেস্ট।