খুঁজুন
                               
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র, ১৪৩২

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে সংস্কার সুপারিশের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন কামাল আহমেদ। বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক সুরক্ষা আইনের প্রস্তাবের কথা জানান তিনি। এ সময় কমিশনের অপর সদস্যরা এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর কামাল আহমেদ বলেন, কিভাবে এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেটাও আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। এখন সরকারের দায়িত্ব এটা বাস্তবায়ন করার। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কাছে একটা সারসংক্ষেপ চেয়েছেন যেটা দ্রুত অধ্যদেশ আকারে বাস্তবায়ন করা যায়। আগামী দুই দিনের মধ্যে সেগুলো আমরা তার কাছে জমা দেবো। কমিশন যেসব প্রস্তাব দিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত আর্থিক কাঠামোর বিষয়টি। প্রস্তাব অনুযায়ী, বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের প্রবেশপদ বা নবম গ্রেডের বেতন স্কেলের সঙ্গে সংগতি রেখে সাংবাদিকদের প্রবেশপদের বেতন হতে পারে। কামাল আহমেদ বলেন, সারা দেশের সাংবাদিকদের জন্য এটি হতে পারে। তবে ঢাকায় যেহেতু জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি, সে ক্ষেত্রে ঢাকার সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে ‘ঢাকা ভাতা’ যোগ করা হতে পারে। সারা দেশে সাংবাদিকেরা যে বেতন পাবেন, ঢাকার ক্ষেত্রে এই ভাতা যোগ হবে। এই ভাতা ঠিক করবে সরকার ও সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন পক্ষ মিলে।

জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মূল বেতন শুরু হয় ২২ হাজার টাকা দিয়ে। এর সঙ্গে বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা যোগ হয়। সব মিলিয়ে এই বেতন হয় ৩৫ হাজারের বেশি। সংস্কার কমিশনের এই রিপোর্টকে ‘অবাস্তব ও অলীক চিন্তা’ বলে উল্লেখ করেছেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, এমনিতেই সংবাদপত্রগুলো ধুঁকছে। সেখানে এমন চিন্তা করা মানে ‘সংবাদপত্রের মৃত্যু’ চাইছেন তারা।

এই রিপোর্ট কি বাস্তবায়ন করা সম্ভব? এ বিষয়ে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, আমাদের সঙ্গে তারা যখন বৈঠক করেছিলেন তখন কিন্তু আমরা সংকটের কথা তাদের বলেছিলাম। এখন তারা যে রিপোর্ট দিলেন সেটার কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেটা আমাদের আলোচনা করে দেখতে হবে। এখন সংবাদপত্রের সবচেয়ে খারাপ সময় যাচ্ছে। সেখানে তারা যে বলেছে, সরকারী চাকরির নবম গ্রেডের সমান হবে একজন সাংবাদিকের শুরুর বেতন। এটা কি সম্ভব? সে কিছুই জানে না, তাদের শিখিয়ে নিতে হবে। এমন অনেক কিছুই আছে যা আসলে আমাদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। আমাদের আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। বেসরকারি বিজ্ঞাপন নেই বললেই চলে। সরকারি বিজ্ঞাপনের টাকা পেতেও অনেক সময় লেগে যায়। আমরা আসলে মিডিয়াগুলো কিভাবে চালাবো? সেই পরামর্শ তারা দিক।

সংস্কার কমিশনের সদস্য দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ বলেন, আমাদের সঙ্গে আজকের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কাছে একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা চেয়েছেন যা এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কিছুটা হয়ত ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার করবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যেগুলো এখনই করা সম্ভব, তা সরকার দ্রুত করে ফেলবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ফেলতে চাই। সে জন্য আমি চাইবো সংস্কার কমিশন আশু করণীয় বা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যায় এমন সুপারিশগুলো দ্রুত আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক।

সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাজকে ‘অমূল্য’ হিসেবে তুলে ধরে মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রতিবেদন যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য মানুষ পড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দেন। দেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো একটি নির্দিষ্ট স্যাটেলাইট ব্যবহারে বাধ্য বলে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেখা যায় না- কমিশনের কাছে থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং আগ্রহী বিদেশিরা দেখতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেবে সরকার। গত বছরের ১৮ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কারের সুপারিশ প্রস্তুতের লক্ষ্যে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিবেদন জমার সময় দেওয়া হয় কমিশনকে। ১০ দিন হাতে রেখেই প্রতিবেদন জমা দেয় কমিশন।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জুলাই সনদ নিয়ে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ণ
জুলাই সনদ নিয়ে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দুপুর আড়াইটায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিএনপির প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আমন্ত্রণ পাওয়া একাধিক দল সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেছিল কমিশন। সেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া বাস্তবায়নের পথে এগোতে চায় না কমিশন।
ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন ইতোমধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য চারটি প্রস্তাবনা দিয়েছে- গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ অথবা নির্বাহী আদেশ। তবে কোন পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে, তা নিয়েই আজকের বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে। জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক ঐকমত্য তৈরি হলেও বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে এখনো ভিন্নমত রয়েছে। কেউ সংবিধান সংশোধনের ওপর জোর দিচ্ছেন, আবার কেউ চাইছেন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন। কমিশনের মতে, জুলাই সনদ কেবল রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখাই নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি রোডম্যাপ, যা দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। তবে কার্যকর করতে হলে প্রয়োজন সর্বাত্মক রাজনৈতিক ঐকমত্য।

এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায় : অ্যাড. শাহজাহান মিয়া

মুহাম্মদ বাদশা ভূঁইয়া,চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায় : অ্যাড. শাহজাহান মিয়া

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাজীর বাজার এলাকায় চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী এডভোকেট শাহজাহান মিয়া ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি কাজীর বাজারসহ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণসংযোগ করেন। এ সময় সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং দাড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে সমর্থন কামনা করেন।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, “এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায়। দুঃশাসন ও বৈষম্যের শিকার জনগণ শান্তি, ন্যায়বিচার এবং সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। তাই আগামী নির্বাচনে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, জনগণ যদি দাড়িপাল্লার পক্ষে ভোট দেয় তবে আমরা দেশে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে পারবো।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি। ইসলাম ও জনগণের কল্যাণই আমাদের মূলনীতি। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা থাকলে এ আসনে বিজয় সুনিশ্চিত হবে।”
গণসংযোগ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা আমীর মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী, ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধানিয়া, ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি কাজী মোঃ আবু তাহের, সেক্রেটারী মোঃ আল আমিন আখন্দ, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আফজাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সুরুজ, ৫ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারী আবুল কাশেম হাওলাদারসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। এ সময় এলাকায় এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দেন।

মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে : ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে : ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মাদ্রাসা শিক্ষক সম্মেলন– ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৩সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর চেয়ারম্যান ঘাটস্থ ইউরেশিয়া কনভেনশন হলে এই সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা শুধু ধর্মীয় জ্ঞান নয়, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে রাখছে। শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, সমাজে সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি এবং তরুণ প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতেও মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবদান অনন্য। জাতীয় জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদার ক্ষেত্রেও মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
তিনি আরো বলেন, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর না হলে প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থা ভারসাম্যপূর্ণ হবে না। শিক্ষকেরা সন্তুষ্ট হলে শিক্ষা মানোন্নয়ন সহজ হবে। এ জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ এবং মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আহ্বান জানান, ডিজিটাল যুগের চাহিদা অনুযায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও সুবিধা দিতে হবে। যাতে তারা যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান করে ছাত্রছাত্রীদের দেশ গড়ার যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে পারেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও মাদ্রাসা-ই-মোহাম্মদিয়া আরবিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আ.ন.ম মাঈন উদ্দিন সিরাজী, চাঁদপুর জেলার শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ, মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া, অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ ছগীর হোছাইন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান এর পরিচালনায় আরো বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও আল আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জেলা সেক্রেটারী ফরিদগঞ্জ আদর্শ একাডেমীর অধ্যক্ষ মোঃ হারুনুর রশিদ, শাহাতলী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ বিল্লাল হোসেন, হাজীগঞ্জ সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর, ভুলদিঘী কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ তৈয়বুল রহমান, আল-আমিন মহিলা মাদ্রাসার সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান, নিশ্চিন্তপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ফখরুদ্দিন, চাপাতলী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুল ইসলাম মজুমদার, পশ্চিম সেকদী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মকবুল আহমেদ, মনিহার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নাজির আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর শ্রমিক ফেডারেশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক শাহ আলম, চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর এড: শাহজাহান খান সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা মোঃ ছগীর হোসাইন এবং সেক্রেটারী নির্বাচিত হন মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান। চাঁদপুর জেলার আটটি উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষক এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।