খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন, ১৪৩২

খেজুর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১:৪৫ অপরাহ্ণ
খেজুর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?

স্বাস্থ্যকর উপায়ে মিষ্টি খেতে চাইলে খেজুর খেতে পারেন। কারণ এটি খেতে মিষ্টি স্বাদের ঠিকই, কিন্তু এতে ক্যালোরি থাকে কম। খেজুর নামের এই পুষ্টিকর ফল প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যা অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করলে সুস্থ থাকা সহজ হবে। এই ফলে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং বি ভিটামিন সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এছাড়া আছে ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, খেজুর কতটা উপকারী-
ফাইবারের চমৎকার উৎস
৩.৫ আউন্স খেজুরে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। এই ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে অবদান রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
খেজুর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড। এই যৌগগুলো প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোষকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।
প্রাকৃতিক শ্রম বৃদ্ধি করতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে যে, গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহগুলোতে খেজুর খেলে তা প্রসব বেদনা কমাতে সাহায্য করে। খেজুর সার্ভিকাল প্রসারণে সাহায্য করে, যে কারণে সঠিক সময়ে সন্তান প্রসব সহজ হয়।
প্রাকৃতিক মিষ্টি
খেজুর পরিশোধিত চিনির একটি চমৎকার ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। এর প্রাকৃতিক মিষ্টিতে ফাইবার এবং পুষ্টির অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে, যা বেকিং, স্মুদি বা প্রাকৃতিক সিরাপ হিসাবে একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টবিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েড, মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। নিয়মিত খেজুর খেলে তা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক শক্তি বৃদ্ধি
গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় খেজুর শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওয়ার্কআউটের আগে নাস্তা হিসেবে এটি খেতে পারেন। প্রক্রিয়াজাত চিনির নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াই দ্রুত এবং টেকসই শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে খেজুর খেতে পারেন।
হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে
খেজুরে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু খনিজ পদার্থ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। নিয়মিত খেজুর খেলে তা হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও খেজুরের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যার অর্থ এটি রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায় না। উচ্চ ফাইবারযুক্ত উপাদান চিনির শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে।

আবারও সমীকরণের মুখোমুখি বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০৮ অপরাহ্ণ
আবারও সমীকরণের মুখোমুখি বাংলাদেশ

এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ। সুপার ফোরে যেতে লাল সবুজদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আফগানদের ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। তবে ম্যাচটি ২৫ বা তার বেশি রানে জিতলে গ্রুপের অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো না টাইগারদের। সুযোগও তৈরি হয়েছিল। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট মিস করে সে সুযোগ নষ্ট করে মোস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের শেষ এ উইকেটটি তখন তুলে নিতে পারলে ২২ রানের জয় পেত লাল সবুজরা। হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজে হারে কঠিন সমীকরণে পড়েছে টাইগারদের সুপার ফোরের যাত্রা।
গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। তবে নেট রান রেটে অনেকটা পিছিয়ে লিটনরা। তাদের নেট রান রেট -০.২৭০। অন্যদিকে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট ও ১.৫৪৬ নেট রান রেট নিয়ে সুপার ফোর অনেকটা নিশ্চিত শ্রীলঙ্কার। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট ও ২.১৫০ নেট রান রেট নিয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানিস্তানও।
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ : বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান। এ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই লঙ্কানদের সঙ্গে সুপার ফোর নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। কারণ সেক্ষেত্রে আফগানদের তুলনায় পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে লাল সবুজরা। তবে শ্রীলঙ্কা হারলে প্রসঙ্গ আসবে নেট রান রেটের। কারণ তখন তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ৪ করে। সেক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দুদল যাবে সুপার ফোরে। ভালো অবস্থানে থাকায় শেষ ম্যাচে জিতলেই সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে যাবে আফগানিস্তানের। তখন বাংলাদেশকে প্রার্থনা করতে হবে রশিদের বড় জয়ে।
আগে ব্যাট করলে আফগানদের জিততে হবে ৬৫ বা তার বেশি ব্যবধানে। আর পরে ব্যাট করলে জয় তুলে নিতে হবে ৫০ বল হাতে রেখেই। কেবল তখনই নেট রান রেটে লঙ্কানদের তুলনায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
আবুধাবির পিচে লঙ্কানদের বিপক্ষে আফগানদের এত বড় জয় অসম্ভবই বলা চলে। তার চেয়ে টাইগারদের সহজ সমীকরণ লঙ্কানদের জয়। গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে ‘বি’ গ্রুপের অন্য দল হংকং।
অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের পথে আছে ভারত ও পাকিস্তান। বড় দুই পরাশক্তির ভিড়ে গ্রুপের অন্য দুদল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের পরের ধাপে যাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন রুপালি ইলিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০৩ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন রুপালি ইলিশ

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১:৩০ এর সময় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে করে এই প্রথম চালান ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক শমীম হোসেন।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারতের কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, ন্যশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল, ইলিশগুলো আমদানি করেছে। আর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করেছে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও লাকী ট্রেডিং।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভারতে মোট এক হাজার ২০০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ টন করে মোট ৭৫০ টন, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে ৩৬০ টন এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ টন করে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে কিছুক্ষণের ভিতর বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে ইলিশ মাছ বোঝাই কাবাব ভ্যান ভারতে প্রবেশ করেছে।

৪টি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০১ অপরাহ্ণ
৪টি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, চারটি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলছেন— অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করে সরকার। এতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করা হয়।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ কমিশনের মেয়াদ ঠিক করা হয় ছয় মাস, ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।
পরে গত ১২ আগস্ট কমিশনের মেয়াদ আরেক মাস বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। আজ আবার সেই মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ানো হলো।