খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয়

১৬তম ওভারে প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা মারেন রস্টন চেজ। প্রথমটি স্কুপ করে, পরেরটি ফুল টসে স্ট্রেট দিয়ে। ১৬ রান দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ তার এই ওভারে। তাতে ম্যাচটাও অনেকটা ঘুরে যায় স্বাগতিকদের পক্ষেই। তবে, সেটাকে বাংলাদেশের দিকে ফিরিয়ে আনতে সময় নেননি লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। পরপর দুই বলে ফেরান চেজ এবং গুদাকেশ মোতিকে। চেজ হয়েছেন বোল্ড। আর বাউন্ডারি লাইনে শেখ মাহেদিকে ক্যাচ দেন মোতি।

পরের ওভারেই আলজারি জোসেফকে কট এন্ড বোল্ড করেন তানজিম সাকিব। অনেকটা চোখের পলকে ৮৯ রানে ৬ উইকেট থেকে স্কোর হয়ে যায় ৯০ রানে ৯ উইকেট। তাসকিন নিয়েছেন শেষ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামল ১০২ রানে। ২৭ রানের জয়ে ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। ১২৯ রানের স্বল্প পুঁজি থেকেও ম্যাচ নিজেদের করে আনার পুরো কৃতিত্বটাই এদিন পাচ্ছেন বোলাররা। শুরুতে তাসকিন আহমেদ এবং শেখ মেহেদি হাসান নতুন বলে নিজেদের কাজটা একেবারেই ঠিকঠাক করেছেন। এরপর সেটাকে ধরে রেখেছিলেন তানজিম সাকিব। আগের ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করলেও এদিন ছিলেন নিয়ন্ত্রিত। রিশাদের জাদুকরী ১৭তম ওভারটা বাংলাদেশের জয় এনে দেয় একেবারেই হাতের নাগালে। আর শেষটা করেছেন এই ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ।

হাসান মাহমুদের ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি পেয়েছিলেন ব্রেন্ডন কিং। পরের ওভারেই শেখ মাহেদিকে এক চার আর এক ছক্কায় ঝড়ের আভাস দেন জনসন চার্লস। অবশ্য সেটা আর হয়নি। তৃতীয় ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম বলেই দারুণ এক লেংথ ডেলিভারিতে কিংকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানালেন তাসকিন। ৫ বলে ৮ রানে ফিরলেন। শেষ বলে ফ্লেচারকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানালেন। ৪ বলে শূন্য রানে ফিরলেন ফ্লেচার।

চতুর্থ ওভারে এক বাউন্ডারি হজম করলেও জনসন চার্লসকে এলবিডব্লিউতে ফেরান শেখ মাহেদি। এরপরেই স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিকোলাস পুরান। সপ্তম ওভারে তানজিম সাকিবের বলে স্লিপে আঙুলের ডগায় থাকা রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ ছেড়ে দেন সৌম্য। সেই আক্ষেপ অবশ্য বাড়েনি খুব একটা। পরের ওভারেই হাসান মাহমুদের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ডেঞ্জারম্যান পাওয়েলকে ফেরান মিরাজ।

রোমারিও শেফার্ডকে শুন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তানজিম সাকিব। ৪২ রানে ৬ উইকেটের পতন। এখান থেকেই অবশ্য উইন্ডিজদের জয়ের দিকে নিতে শুরু করেন চেজ-আকিল জুটি। ৮ম থেকে ১৫তম ওভারে কেবল একটিই বাউন্ডারি পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তারমাঝেও অবশ্য উইকেট না পাওয়ার হতাশা ছিল প্রবল। বিশেষ করে রস্টন চেজের টানা দুই ছক্কা চাপেই ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। কিন্তু রিশাদ, তানজিম সাকিব আর তাসকিনরা ১২ বলের মাঝে নিলেন ৪ উইকেট। তাতেই ২০১৮ সালের পর প্রথম এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ জয় টাইগারদের।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার বিপর্যয় দেখেছে বাংলাদেশ। আর্নেস ভ্যালি স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে একের পর এক ব্যাটারদের আসা-যাওয়া। ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের ওপর চেপে বসেছিল উইন্ডিজ বোলিং লাইনআপ। দলীয় রান ৫০ পেরুবার আগেই নেই দলের ৪ উইকেট। আরও একবার লাল-সনুজের ত্রাতা হয়ে আসেন লোয়ার মিডল অর্ডারের শামীম পাটোয়ারী। তার ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংসটাই শেষ অব্দি বাংলাদেশের বোলারদের খানিক লড়াই করার পুঁজি এনে দেয়।

ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আকিল হোসেনের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৩ রান করে ফেরেন লিটন দাস। চতুর্থ ওভারে আরেক স্পিনার রোস্টন চেজ আক্রমণে এসেই পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট। সাধারণ সুইং বুঝতে পারেননি তানজিদ। হয়েছেন বোল্ড। পরের ওভারেই এলো এক চার এবং এক ছক্কা। মেহেদি হাসান মিরাজ দিলেন আগ্রাসী হওয়ার ইঙ্গিত। পরের ওভারেও ফের মিরাজ পেয়েছেন চার।

মিরাজের সঙ্গে ২৮ রানের জুটির পর রানআউট হন সৌম্য সরকার। এই আউট দিয়েই পরপর ৩ ওভারে ৩ উইকেটের পতন দেখেছে বাংলাদেশ। পরের ওভারে আলজারি জোসেফকে পুল করতে গিয়ে আউট হন মিরাজ। তার পরের ওভারে গুদাকেশ মোতির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিশাদ হোসেন। এরপরেই আসেন বৃষ্টি। তার আগে ১১.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ৬২ রান। বৃষ্টির পর জাকের আলী অনিকের ২০ বলে ২১ রানের ক্যামিও আর শামীম পাটোয়ারীর ১৭ বলে ৩৫ রান বাংলাদেশকে এনে দেয় ১২৯ রানের পুঁজি। বোলাদের নিখুঁত পারফরম্যান্সের দিনে সেটাই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।