খুঁজুন
                               
বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১২ ভাদ্র, ১৪৩২

ওজন কমাতে পপকর্ন আসলেই কার্যকর?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ
ওজন কমাতে পপকর্ন আসলেই কার্যকর?

ওজন কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণের বিকল্প নেই। ক্ষুধা লাগুক আর নাই বা লাগুক, নাস্তা খাওয়া হয় একটু পরপরই। ফলে অতিরিক্ত নাস্তা খাওয়ার ফলস্বরূপ ওজন বাড়ে! কিন্তু আপনি যদি নাস্তা খেয়েও ওজন কমাতে চান তাহলে বেছে নিন বিশেষ কিছু খাবার। যেগুলো পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়বে না। এমনই একটি খাদ্য পপকর্ন।
অন্যান্য নাস্তার চেয়ে পপকর্নে ক্যালোরির পরিমাণ কম। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। পপকর্নে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বাড়ায়।
পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনহো সম্প্রতি ওজন কমানোর ডায়াটে পপকর্ন রাখার ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘পপকর্ন একটি অত্যন্ত স্মার্ট পানিয়খাবার। যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পপকর্ন রাখতে পারেন। তবে পপকর্ন কীভাবে খাচ্ছেন তা মাথায় রেখে খেতে হবে।’
তবে বাজারে বিক্রি হয় এমন কিছু পপকর্ন ওজন কমানোর বদলে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানান তিনি।
কোন পপকর্ন খাবেন, কোনটি খাবেন না? সেগুলো জেনে নিন-
ফ্লেভার্ড পপকর্ন
ইদানীং নানা স্বাদের পপকর্ন কিনতে পাওয়া যায় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল এবং শপিং মলের ফুড জয়েন্টে। কোনোটি ক্যারামেলে মাখানো তো কোনোটি স্ট্রবেরি ফ্লেভার্ড, চিজ, চিলি, চকলেট, বাটার, বারবিকিউ, নানা ধরনের হার্বের গন্ধে ভরা পপকর্নও পাওয়া যাচ্ছে আজকাল। যা স্বাদে সাধারণ পপকর্নের থেকেও ভাল। কিন্তু পুষ্টিবিদ লিউক বলছেন, এই মিষ্টি অথবা মশলাদার পপকর্নগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। এতে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে।
ক্লাসিক পপকর্ন
গরম হাওয়ায় ভুট্টার দানাকে ভাপিয়ে যে পপকর্ন তৈরি করা হয় সেই পপকর্নেরও স্বাদ কম নয়। পুষ্টিবিদ বলছেন, যদি কেউ ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন তাহলে লবণ ছাড়া এবং মাখন ছাড়া ক্লাসিক পপকর্নটি খেতে পারেন।
ক্লাসিক পপকর্ন কীভাবে ওজন কমতে পারে তার ব্যাখ্যা করেছেন পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনহো।
১. এক কাপ ক্লাসিক পপকর্নে ক্যালোরির মাত্রা থাকে অত্যন্ত কম। সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ কিলো ক্যালোরি রয়েছে।
২. ক্লাসিক পপকর্নে ফাইবারের মাত্রা বেশি। এটি হজমের জন্য উপকারী। এমনকি, যখন তখন এটা-সেটা খাওয়ার ইচ্ছেও হয় না এই পপকর্ন খেলে। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি।
৩. যেহেতু ভুট্টার দানা থেকে তৈরি, তাই পপকর্নে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ। যা হার্টের স্বাস্থ্যে ভালো রাখে। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী এই পপকর্ন।
ওজন কমাতে পপকর্ন কীভাবে খাবেন?
১. স্বাদের জন্য পপকর্নে সামান্য বিট লবণ, গোলমরিচ এবং পছন্দের স্বাস্থ্যকর মশলা বা হার্ব মিশিয়ে খেতে পারেন।
২. দৈনিক ২-৩ কাপ মাপের পপকর্ন খাওয়া যেতে পারে। তবে খুব বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো কারণ ক্লাসিক পপকর্নও বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে।
৩. পেটফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা অথবা আইবিএসের সমস্যা থাকলে পপকর্ন না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে থাকা ফাইবার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে খেয়াল রাখবেন এটা কীভাবে ভাজা হচ্ছে। ভাজার সময় পপকর্নে অতিরিক্ত লবণ, বাটার, চকলেট মেশাবেন না। এগুলো মিশিয়ে পপকর্ন ভাজলে লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই হবে। বাড়বে ওজন।

তিন বছরে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে ১০ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
তিন বছরে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে ১০ শতাংশ

তিন বছরের ব্যবধানে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে ১০ শতাংশের মতো। দেশে এখন দারিদ্র্যের হার প্রায় ২৮ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৭। এর বাইরে ১৮ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্যসীমায় নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোনো সময় দারিদ্র্যসীমায় নেমে যেতে পারে তারা। গতকাল সোমবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)-এর এক গবেষণায় দারিদ্র্য বৃদ্ধির এই চিত্র ওঠে এসেছে।
‘ইকোনমিক ডায়নামিকস অ্যান্ড মুড অ্যাট হাউজহোল্ড লেবেল ইন মিড ২০২৫’ শিরোনামের এই গবেষণা ফলাফল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়। সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। গত ৮ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে সারা দেশের ৮ হাজার ৬৭টি পরিবারের ৩৩ হাজার ২০৭ জন ব্যক্তির মতামতের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়। পিপিআরসি বলেছে, দেশের এখন তিন ধরনের সংকটের প্রভাব চলমান আছে। এগুলো হলো কোভিড (২০২০-২০২২), মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আর্থসামাজিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে পিপিআরসি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের আগস্টের পর ঘুষ কমেছে। গবেষণায় অংশ নেওয়া উত্তর দাতাদের মধ্যে গত বছরের আগস্ট মাসের আগে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ সেবা নিতে ঘুষ দিয়েছেন। আগস্ট মাসের পর এই হার ৩ দশমিক ৬৯ এ নেমে এসেছে। এখনো সবচেয়ে বেশি ঘুষ দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিসে। এর পরে পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের বেশি ঘুষ দিয়েছে মানুষ। এছাড়া পরিবারেরর আয়ের ৫৫ শতাংশ চলে যায় খাদ্য পণ্য কেনার পেছনে।
অনুষ্ঠানে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গড়তে মানুষের জীবন যাত্রার অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সে বিবেচনা থেকেই নীতি পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। প্রায়ই বিভিন্ন আলোচনায় অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা বলা হয়। তবে জনগণের হয়রানির কথা বলা হয় না। অথচ হয়রানরির কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি কমে যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতির পরিকল্পনায় জনমুখী দৃষ্টি থাকা খুবই জরুরি। শুধু জিডিপির ওপর আলোচনাটা সীমাবদ্ধ না রেখে সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিকের কল্যাণ নিয়ে আলোচনা বাড়াতে হবে। অথচ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও বেস্টিক অর্থনীতির তুলনায় সামষ্টিক অর্থনীতিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে পাঁচটি বড় ঝুঁকি বিশেষভাবে চিহ্নিত হয়েছে। এগুলো হলো, দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্রমবর্ধমান বোঝা, যা অর্ধেকেরও বেশি পরিবারকে প্রভাবিত করছে। নারীপ্রধান পরিবারের দ্বৈত বঞ্চনা। ঋণের চাপ, নিম্ন আয়ের ৪০ শতাংশ পরিবারের ঋণ তাদের সঞ্চয়ের অন্তত দ্বিগুণ। খাদ্য অনিরাপত্তা, সবচেয়ে দরিদ্র ১২ শতাংশ পরিবারকে খাবার তালিকা ছোট করতে হয়েছে এছাড়া প্রায় ৯ শতাংশ পরিবার গত এক মাসে অন্তত একদিন পুরো দিন না খেয়ে থেকেছে। মৌলিক সেবার স্থবিরতা-এক-তৃতীয়াংশ পরিবার এখনো স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট থেকে বঞ্চিত। সবচেয়ে বড় সংকট কর্মসংস্থানে। পিপিআরসি গবেষণায় দেখা গেছে, তিন বছরের ব্যবধানে শহরের পরিবারের মাসিক আয় কমেছে, কিন্তু খরচ বেড়ে গেছে। শহরের একটি পরিবারের গড়ে মাসিক আয় ৪০ হাজার ৫৭৮ টাকা। খরচ হয় ৪৪ হাজার ৯৬১ টাকা। ২০২২ সালে শহরের একটি পরিবারের মাসিক গড় আয় ছিল ৪৫ হাজার ৫৭৮ টাকা। অন্যদিকে গ্রামের পরিবারের গড় আয় কিছুটা বেড়েছে। গ্রামের একটি পরিবারের গড় আয় ২৯ হাজার ২০৫ টাকা, খরচ ২৭ হাজার ১৬২ টাকা। ২০২২ সালে গ্রামের পরিবারের গড় আয় ছিল ২৬ হাজার ১৬৩ টাকা।
সার্বিকভাবে জাতীয়ভাবে একটি পরিবারের মাসে গড় আয় ৩২ হাজার ৬৮৫ টাকা। খরচ হয় ৩২ হাজার ৬১৫ টাকা। সঞ্চয় নেই বললেই চলে। একটি পরিবার কোন খাতে কত খরচ করে, এর একটি চিত্র দিয়েছে পিপিআরসি। সেখানে দেখা গেছে, একটি পরিবারের মাসের মোট খরচের প্রায় ৫৫ শতাংশ চলে যায় খাবার কেনায়। একটি পরিবার খাবার কিনতে মাসে গড়ে ১০ হাজার ৬১৪ টাকা খরচ করে। এছাড়া প্রতি মাসে শিক্ষায় ১ হাজার ৮২২ টাকা, চিকিৎসায় ১ হাজার ৫৫৬ টাকা, যাতায়াতে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা ও আবাসনে ১ হাজার ৮৯ টাকা খরচ হয়।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আ.লীগের হামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আ.লীগের হামলা

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৫ আগস্ট) এ হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভেতর অবস্থান করছেন এমন সন্দেহে সেখানে বিক্ষোভ করেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় নানা স্লোগান দেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ভিডিওতে এ চিত্র দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কনস্যুলেটের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল করছেন নিউইয়র্ক আ.লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় কনস্যুলেটের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে সেখানে উপদেষ্টা মাহফুজকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কতিপয় দুষ্কৃতিকারীর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের সহকর্মীরা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।’
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশে অবস্থিত সব বাংলাদেশি মিশন ও দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম বৃহৎ অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে, বাংলাদেশের পতিত স্বৈরশাসকের সমর্থকদের এমন ন্যক্কারজনক হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
দীর্ঘদিন হোয়াইট হাউজ, স্টেট ডিপার্টমেন্টে সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার সহকর্মীদের (বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা) প্রয়োজনীয় যে কোনো সহযোগিতা প্রদানে আমি প্রস্তুত।

সুরা আর রাহমানে জিন জাতির সৃষ্টি নিয়ে যা বলা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ
সুরা আর রাহমানে জিন জাতির সৃষ্টি নিয়ে যা বলা হয়েছে

সুরা আর রাহমানে আল্লাহ তায়ালা আসমান, জমিন, পৃথিবীর সৃষ্টি, জান্নাত, জাহান্নাম এবং তার বিভিন্ন নেয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এই সুরার ১৫ নম্বর আয়াতে তিনি জিন জাতির সৃষ্টি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। বর্ণিত হয়েছে—
আর তিনি জিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন অগ্নিশিখা থেকে। (সুরা আর রাহমান, আয়াত : ১৫)
এই আয়াতে বলা হয়েছে, জিন সৃষ্টির প্রধান উপাদান অগ্নিশিখা, যেমন মানব সৃষ্টির প্রধান উপাদান মৃত্তিকা। আর তা এক বিশেষ ধরনের আগুন। কাঠ বা কয়লা জ্বালালে যে আগুন সৃষ্টি হয় এটা সে আগুন নয়। এটি হলো ধোঁয়াবিহীন শিখা।
অর্থাৎ প্রথম মানুষকে যেভাবে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তারপর সৃষ্টির বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করার সময় তার মাটির সত্তা অস্থি-মাংসে তৈরি জীবন্ত মানুষের আকৃতি লাভ করেছে এবং পরবর্তী সময়ে শুক্রের সাহায্যে তার বংশধারা চালু আছে। একইভাবে প্রথম জিনকে নিছক আগুনের শিখা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং তার বংশধরদের থেকে পরবর্তী সময়ে জিনদের অধস্তন বংশধররা সৃষ্টি হয়ে চলেছে। মানব জাতির জন্য আদমের মর্যাদা যা, জিন জাতির জন্য সেই প্রথম জিনের মর্যাদাও তাই।
জীবন্ত মানুষ হয়ে যাওয়ার পর আদম এবং তার বংশ থেকে জন্ম লাভকারী মানুষের দেহের সেই মাটির সাথে যেমন কোন মিল নেই জিনদের ব্যাপারটাও তাই। তাদের সত্তাও মুলত আগুনের সত্তা। কিন্তু আমরা যেমন মাটির স্তুপ নই, তেমন তারাও শুধু অগ্নি শিখা নয়।