খুঁজুন
                               
শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২২ ভাদ্র, ১৪৩২

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী শান্তিপূর্ণ উদযাপনে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী শান্তিপূর্ণ উদযাপনে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
শনিবার দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর মত প্রধান শহরগুলিতে সুষ্ঠু ও নিরাপদে জামাত ও শোভাযাত্রা নিশ্চিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষত বৃহৎ মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে, যেখানে বড় সমাবেশের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। ইতোমধ্যে সংবেদনশীল স্থানগুলোতে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে কার্যকর জনসমাগম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভক্ত-অনুরাগীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে যথাযথ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী মুসলিম বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে দিনটি পালন করা হয়।
আগামীকাল সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। পবিত্র দিনটি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মানবজাতির জন্য শান্তির বার্তা ও আল্লাহর অসীম রহমত নিয়ে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে হিজরি ক্যালেন্ডারের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে একই দিনে তিনি ইন্তেকালও করেন।

মেসির জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার বড় জয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ
মেসির জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার বড় জয়

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলেন লিওনেল মেসি। পুরো পরিবার নিয়েই তিনি আজ (শুক্রবার) এস্তাদিও মনুমেন্তালে হাজির হয়েছেন। দর্শকদের অভিবাদন পেয়ে চোখও ভেজালেন কিছুটা। এরপর মূল লড়াইয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের পূর্ণতা দিয়েছেন জোড়া গোলে। নিজের বিশেষ ম্যাচ বুঝি এভাবেই রাঙানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা। পাশাপাশি লাউতারো মার্টিনেজের এক গোলে ৩-০ ব্যবধানে ভেনেজুয়েলাকে হারাল আর্জেন্টিনা।
চওড়া মুখের হাসি নিয়েই বুয়েন্স আয়ার্সের মাঠটিতে পা রেখেছিলেন মেসি। ওয়ার্ম-আপ এবং জাতীয় সঙ্গীত চলাকালেও সতীর্থদের সঙ্গে তাকে বেশ আবেগী দেখা গেল। খানিক বাদেই দর্শকদের করতালি ও উচ্চশব্দে অভ্যর্থনা দৃশ্যপট বদলে দিয়ে মেসির চোখে আনন্দাশ্রু এনে দেয়। ম্যাচ শেষে আলোর ঝলকানির সঙ্গে ভক্ত-সমর্থকদের জয় উদযাপন ও মেসির বিশেষ ম্যাচকে ঘিরে তীব্র উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ ঘটল যেন। গ্যালারির কাছে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে তারই জবাব দিলেন এলএমটেন।
আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি আগেরদিন প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নিজের প্রিয় এই শিষ্যকে। একইসঙ্গে ঘরের মাঠে আরেকটি বিশেষ ম্যাচ দিয়ে ইতি টানার প্রত্যাশাও জানিয়েছেন। সেটি সময়ের হাতে ছেড়ে মেসিকে যেভাবে যে রূপে দেখতে চান কোচ, তাই দেখালেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। ম্যাচজুড়েও আধিপত্য ছিল স্বাগতিক আকাশি-সাদা জার্সিধারীদের। ৭৭ শতাংশ বল দখলের পাশাপাশি মেসি-আলভারেজ-আলমাদারা ১৭টি শট নেয়। যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ভেনেজুয়েলা ৫ শটের একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
ম্যাচের মাত্র চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনোর ক্রস পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। তবে কাটা পড়লেন অফসাইডের দাগে। গতিময় ১৫ মিনিটের পর খেলায় কিছুটা ধীরস্থির হয় আর্জেন্টিনা। ২১ মিনিটে নিকোলাস তালিয়াফিকোর নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক রোমো। এরপর ম্যাচের ডেডলক ভাঙতে অপেক্ষা করতে হয় ৩৮ মিনিট পর্যন্ত। প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পায়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর সুযোগটা নেন লিয়েন্দ্রো পারেদেস। তার বাড়ানো বল দারুণ ক্ষিপ্রতায় নিয়ন্ত্রণে নেন হুলিয়ান আলভারেজ।
বক্সে ঢুকে এই অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ তারকা দুজনের মাঝ দিয়ে আলতো করে বল বাড়ান মেসিকে। লম্বা পা বাড়িয়ে বলের গতি কমিয়ে চিপ শটে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে তিনি জালে জড়ান। ফলে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৬০ মিনিটের মাথায় রদ্রিগো ডি পলের সঙ্গে ওয়ান-টু পাসের পর শট নিয়েছিলেন মেসি। তাকে হতাশ করেন ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক। বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এরপর প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে। তাদের দ্বিতীয় গোলটি আসে দুই বদলি খেলোয়াড় নিকো গঞ্জালেস ও লাউতারো মার্টিনেজের কল্যাণে।
মাঠে নামার দ্বিতীয় মিনিটেই লাউতারো মার্টিনেজ স্কোরশিটে নাম তোলেন। বাঁ পায়ে ডি বক্সের ভেতর ক্রস দেন নিকো, মাথা ছুঁয়ে লিড দ্বিগুণ করেন লাউতারো। চার মিনিট বাদেই এবার গোলের উপলক্ষ্য এনে দিলেন মেসি। বক্সে থিয়েগো আলমাদার পাস পেয়ে কয়েকজনের মাঝ দিয়ে ঠান্ডা মাথায় ফিনিশিং দেন তিনি। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি পেয়ে গেলেন নিজের ১১৪তম গোল।
রেফারির শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে হ্যাটট্রিকও পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু অফসাইড রীতি এবার তাকে দমিয়ে রাখল। ইন্টার মায়ামি মহাতারকার হেডে দুর্লভ গোল হতে পারত এটি। কিন্তু হেড দেওয়ার সময় তার সামনে ছিলেন ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক। অফসাইড লাইন বেশ আগেই অতিক্রম করে গেছেন মেসি। তবে জোড়া গোলে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েই নিজের বিশেষ ম্যাচের উদযাপন তার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়।

হামাসের সাথে ‘গভীর’ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, বললেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ
হামাসের সাথে ‘গভীর’ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, বললেন ট্রাম্প

যুদ্ধবিরতি বিষয়ে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাথে যুক্তরাষ্ট্র গভীর আলোচনায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওভাল অফিসে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইল, হামাস ও মধ্যস্থকারীদের আলোচনা সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ওয়াশিংটন বর্তমানে হামাসের সঙ্গে ‘খুব গভীর আলোচনায়’ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, ‘ওদের সবাইকে এখনই ছেড়ে দাও, সবাইকে ছেড়ে দাও, তাহলে ভালো কিছু হবে’। যদি হামাস গাজায় বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তবে পরিস্থিতি জটিল হবে, খুব খারাপ হবে… এটা ইসরাইলের সিদ্ধান্ত, তবে এটাই আমার মতামত।

জিম্মিদের পরিবারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তাদের প্রিয়জনরা তরুণ, সুন্দর, কিন্তু এখন মৃত মানুষ। তারা তাদের ফেরত পেতে চায়, হয়তো জীবিত থাকলে যেমনটা চাইত, তার চেয়েও বেশি। এই চুক্তির অংশ হিসেবে অনেক মৃতদেহও ফিরিয়ে আনা হবে।’
ট্রাম্প জানান, কমপক্ষে ২০ জিম্মি জীবিত আছে বলে ধারণা করা হলেও, ‘শুনছি তাদের মধ্যে কয়েকজন সম্প্রতি হয়তো মারা গেছেন। আমি চাই এই শোনা কথাটা ভুল হোক।’
গত ‍বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এক সোশ্যাল পোস্টে হামাসকে অবশিষ্ট জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামাস যদি এটা করে, তাহলে তাদের টিকে থাকা যুক্তরাষ্ট্র মেনে নিতে পারে।
হামাসের হাতে এখন খুব বেশি জীবিত জিম্মি না থাকায় পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি, যখন জিম্মির সংখ্যা ১০ থেকে ২০ জনে নেমে আসবে। খুব বেশি প্রচেষ্টা না করলে আপনি তাদের সহজে ফিরে পাবেন না। আর অনেক কিছু করার অর্থ হলো আত্মসমর্পণ করা। এ বিষয়টিও ভালো নয়। এটি খুবই কঠিন পরিস্থিতি।’
অক্টোবরের ৭ তারিখের হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মানুষ সেটা ভুলে যায়… কিন্তু সমীকরণে সেটি খুব জোরালোভাবে রাখতে হবে।’
ইসরাইলে জিম্মি বিনিময় চুক্তির পক্ষে চলমান ব্যাপক বিক্ষোভ নিয়েও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তেল আবিবের চলমান বিক্ষোভ গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ইসরাইলের জন্য কঠিন করে তুলছে।

মহাকাশ : এ সপ্তাহে দেখা যাবে কর্ন মুন, সঙ্গে শনি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ
মহাকাশ : এ সপ্তাহে দেখা যাবে কর্ন মুন, সঙ্গে শনি

চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে দারুণ এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে মানুষ। এই সপ্তাহের শেষ দিকে আকাশের পূর্ব দিগন্তে উদিত হবে বিরাট চাঁদ ‘কর্ন মুন’। ধীরে ধীরে যা পরিণত হবে ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তাভ চাঁদে। চাঁদের সঙ্গেই নজর কাড়বে ছোট স্থির আলোর মতো দেখতে শনিগ্রহ।
আগে ইতিহাসে প্রতিটি পূর্ণিমাকে সেই মাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা প্রকৃতির বড় পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ধরত মানুষ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রতিটি পূর্ণিমাকে এক বা একাধিক বিশেষ নামে ডাকা হয়েছে। সে হিসেবে সেপ্টেম্বরকে শস্যের মাস ধরে এ সময় হওয়া পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘কর্ন মুন’।
বিবিসির স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কর্ন মুন দেখা যাবে পূর্ব আকাশে। অবস্থানভেদে রক্তাভ চাঁদের গ্রহণও দেখা যেতে পারে। চাঁদের সঙ্গেই দেখা যাবে শনি গ্রহ। এতে রাতের আকাশে তৈরি হবে এক অপূর্ব দৃশ্য।
আকাশে পূর্ণ চাঁদ আর তার উজ্জ্বল জ্যোৎস্না সবসময়ই মানুষকে মুগ্ধ করেছে। কৃত্রিম আলোর আবির্ভাবের অনেক আগে এটি সত্যিকারের মহাজাগতিক দর্শনীয় বস্তু ছিল। এই চাঁদ বছরের প্রতিটি মাসে একবার (বা তার বেশি) সন্ধ্যা আকাশের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে চরাচর আলোকিত করত। একইভাবে প্রতি মাসে রাতের আকাশে পূর্ণ চাঁদের উপস্থিতি ঐতিহ্যগতভাবে সেই মাসে প্রকৃতির বড় ঘটনা বা পরিবর্তনকে প্রতীকীভাবে তুলে ধরত মানুষের কাছে। সেপ্টেম্বরের পূর্ণ চাঁদকে উত্তর আমেরিকার মানুষ নাম দিয়েছে ‘কর্ন মুন’। কারণ এটি এমন সময় দেখা যায়, যখন উত্তর আমেরিকায় ঐতিহ্যগতভাবে ভুট্টা কাটা হতো।
সেপ্টেম্বরের পূর্ণ চাঁদকে কখনও কখনও ‘হারভেস্ট মুন’ নামেও ডাকা হয়। এর কারণ হলো, হারভেস্ট মুন হলো সেপ্টেম্বরের বিষুবরেখার সবচেয়ে কাছের পূর্ণ চাঁদ। জ্যোতির্বিদরা বলছেন, চলতি বছর ৬ অক্টোবর আকাশে ‘হারভেস্ট মুন’ দেখা যেতে পারে। যার অর্থ এই বছরের ‘কর্ন মুন’ ‘হারভেস্ট মুন’ নয়।
জানা গেছে, ৭ সেপ্টেম্বর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণও দেখা যেতে পারে। চন্দ্রগ্রহণ তখনই ঘটে, যখন পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে থাকে। সূর্যের আলো পৃথিবীর ঘন বায়ুমণ্ডল দ্বারা প্রতিসরিত এবং বিক্ষিপ্ত হয়। যখন এ আলো চাঁদের পৃষ্ঠে আঘাত করে, তখন উপগ্রহটিকে লালচে দেখায়।
বিবিসি আরও জানায়, ৭ সেপ্টেম্বরের রাত শুধু পূর্ণিমা বা ব্লাড মুনের জন্যই বিশেষ নয়, এ দিন চাঁদ ও শনি গ্রহকেও আকাশে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে। খালি চোখে শনিকে চাঁদের খুব কাছে দেখা যাবে উজ্জ্বল বিন্দুর মতো। তবে কেউ টেলিস্কোপে দেখলে শনির বলয়ও দেখতে পারেন। এ ঘটনা খুবই বিরল না হলেও একসঙ্গে পূর্ণিমা, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ও শনি গ্রহ দেখা জ্যোতির্বিজ্ঞানপ্রেমীদের কাছে বিশেষ মুহূর্তই বলা চলে।
জানা গেছে, ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদ ও শনি গ্রহ আকাশের একই অংশে দেখা যাবে। এতে করে খালি চোখেই একসঙ্গে কর্ন মুন ও শনি গ্রহের দারুণ সুন্দর যুগলবন্দির দেখা মিলবে আকাশে।