খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

‘আমি চিৎকার করে দৌড়াচ্ছি, স্যার আমাকে বলছেন, আল্লাহকে ডাকেন’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
‘আমি চিৎকার করে দৌড়াচ্ছি, স্যার আমাকে বলছেন, আল্লাহকে ডাকেন’

রাজধানীর উত্তরায় গতকাল সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক‍্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার একটি বিবরণ দিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক তাসলিমা আকতারের নিজের সন্তানও আটকা পড়েছিল দুর্ঘটনাস্থলে। তখন তিনিও ক্যাম্পাসে ছিলেন। বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আগুন ধরে যায় স্কুল ভবনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের নিহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। আহত দেড় শতাধিক। হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। ‘ভয়াবহ একুশে জুলাই ২০২৫’ শিরোনামে সেই ঘটনার বিবরণ গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তাসলিমা আকতার তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন। তাঁর অনুমতি নিয়ে সেই বিবরণ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো: প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী ছুটি হয় দুপুর ১টায়। আজকে আমার পরীক্ষার ডিউটি ছিল চার নং ভবনের ৮০৪ নম্বর রুমে। বেলা একটায় পরীক্ষা ডিউটি শেষ করে ছেলের ভবনের সামনে যাব, হঠাৎ মনে হলো রেস্ট নিই। ও নিজেই চলে আসবে আমার টিচার্স রুমে প্রতিদিনের মতো। আমি টিচার্স রুমে রেস্ট নিচ্ছি। তখন দুপুর ১টা ১১ মিনিটে, আমার ছেলের ফরম মাস্টার বাবুল স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, ম্যাডাম আজকের সিনানের ছুটি হবে ১টা ৪০ মিনিটে। আমি বললাম, ক্লাস শেষ হলে ৭নং ভবনের দোতলায় পাঠিয়ে দেবেন টিচার্স রুমে। আমি ওকে স্যার বলেই ফোনটা কেটে দিলাম। সাথে সাথে বোম ব্রাস্ট হওয়ার মত একটা সাউন্ড হইল—আমি মাঠের পাশে টিচার্স রুম থেকে দেখতে পেলাম, আমার ছেলের ভবনের সামনে আগুন।

আমার টিচার্স রুমে আমার সামনে আমার একজন সিনিয়র সহকর্মী জনাব এজাজ মাসুদ স্যার বসা ছিলেন। আমি এক চিৎকারে বললাম, স্যার আমার ছেলের ভবনে তো আগুন লাগছে। উনার ছেলে ওই ভবনেই পড়ে, কোনো কারণে সে আজকে আসে নাই। আমি চিৎকার করে দৌড়াচ্ছি, স্যার আমাকে বলছেন, দোয়া করেন আল্লাহকে ডাকেন। ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই।
দৌড়াতে দৌড়াতে আমার হাজব্যান্ডকে ফোন দিয়ে বলেছি, আমার ছেলের ভবনে আগুন লাগছে। যেখানে আগুন লাগছে, সেখানে গিয়ে দেখি, তিনটা গলিত লাশ। শুধু আইডি কার্ডটা পড়ে আছে। একটা বাচ্চার গায়ে কাপড় নাই, পুরো শরীর ঝলসে গেছে। সামনে গিয়ে দেখি, যে ভবনে আমার ছেলে ক্লাস করে, যেই রুমে আমার ছেলে ক্লাস করে, সেই রুমের চারদিকে ধোঁয়া। ছেলের ক্লাসরুমে আগুন, আমি বাইরে থেকে কী বুঝব, তাই ক্লাসে ঢুকতে চাইলাম। সেনাবাহিনীর দুইজন আর আমার কলেজের বিএনসিসি ছাত্ররা আমাকে ঢুকতে দিলো না…। আমি বারবার ঢুকতে চাইলাম, জোর করে ঢুকতে চাইলাম, আমাকে বাধা দিল দুজন, আমাকে জোর করে একপাশে নিয়ে গেল। আমি ডান পাশে ঘুরেই দেখি, আমার ছেলের ফরম মাস্টার বাবুল স্যার।
জিজ্ঞেস করলাম, স্যার আপনি এখানে, আমার ছেলে কই???
শুধু হাতটা ধরে বলল, ওরা ওপরে দুই তালায়। বিশ্বাস করলাম না। তারপর আমার একজন ছাত্র এসে বলল, ম্যাডাম কিছু হয় নাই, এই পাশে আসেন। ক্যানটিনের পাশে ওপরে ৭ থেকে আটজন মেয়ে বাচ্চাকে দেখা যাচ্ছিল। আমি আল্লাহর কাছে কী দোয়া পড়ছিলাম, আমার কিছুই মনে নাই। আমার বিভাগের আমার একজন সহকর্মী মুকুল স্যারের ভাগ্নিও ওই ভবনে আটকা পড়ছেন। সে পাশ থেকে ওপারে দৌড়াচ্ছেন আর চিৎকার করতেছেন। আমাকে দুইজন সেনাবাহিনী বসায় দিয়ে ধরে রাখলেন একপাশ থেকে। যেন আমি সামনে না যাই।
তারপর দোতলার সামনে গাছ ছিল, আম গাছ কেটে ফেলা হলো। গ্রিলের তালা ভাঙ্গা হলো, একপাশ ভেঙে ফেলা হলো। আমি শুধু দেখতে পাচ্ছি, কিছু ছাত্রী গ্রিলের নিচ দিয়ে দিয়ে বের হয়ে আসছে। ৮ থেকে ১০ জন ছাত্রী এবং একজন ম্যাডাম বের হওয়ার পর হঠাৎ আমার ছেলের চেহারা ভেসে উঠলো।
ওই মুহূর্তটা একজন মায়ের জন্য কী মুহূর্ত, সেটা বলে বোঝানো যাবে না, লিখেও শেষ করা যাবে না।
মুকুল স্যার যদি পারতো, তাকে দোতলা থেকেই টেনে বের করত। আমার ছেলেকে দেখার সাথে সাথে সে দৌড়ে গিয়ে জড়ায় ধরছে, বাবারে তুই তাড়াতাড়ি আয়। আমার মানিককে, আমার সন্তানকে আমি জড়াইয়া ধরলাম। যারা আমার ছেলের ক্লাসে আটকে ছিল, তারা কেউ বেঁচে ফিরে নাই। সবাই পুরে কয়লা হয়ে গেছে।
একজন মা বলতেছিল, বাবারে তুই আজকে আমার হাতের শেষ খাওয়াটা খাইয়া গেলি বাবা—আমি তো তোরে শেষ দেখা দেখতে পারলাম না।
মূলত বিমান ক্রাশ হয়ে ক্লাসরুমের ভিতরে ঢুকে গেছে। বিমান ক্রাশ হওয়ার সাথে সাথেই ১৫ মিনিটের মধ্যেই যা ধ্বংস হওয়ার, যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
যাতে শরীর পুড়ে গেছে, তাদের বাঁচানো খুবই অসম্ভব, খুব খারাপভাবে শরীর পুড়ে গেছে।
এত কাছ থেকে কখনো দেখিনি। এত ভয়ঙ্কর!!
আমি রাত আটটা দশ মিনিটে সেই দুর্ঘটনাস্থলে আবার যাই। আমার ফরমের দুইটা মেয়ে অসুস্থ, তাদেরকে দেখার জন্য।
সেই ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। রাত ৮টা ১৫ মিনিটের সময় বিজিবির একজন সদস্য নাম মাসুদ, তিনি ফোনে কাউকে বলছিলেন, আরও একটি লাশ পাওয়া গেছে, কিন্তু কয়েকটি পুড়ে যাওয়া খন্ড বিখন্ড অংশ।
হে রাব্বুল আলামিন, রাহমানুর রাহিম, তুমি উত্তম পরিকল্পনাকারী—শিশুদের এমন মৃত্যু তুমি দিয়েছো, বাবা-মা তাঁদের গলে যাওয়া লাশের শেষ চিহ্নটুকু দেখতে পাবে না।

তাসলিমা আকতার
প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, মাইলস্টোন কলেজ, ২১/০৭/২০২৫, সোমবার

সূত্র : প্রথম আলো।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।