খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

আধুনিক সাংবাদিকতায় জনজীবনের উপর প্রভাব

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ
আধুনিক সাংবাদিকতায় জনজীবনের উপর প্রভাব

আধুনিক সাংবাদিকতা জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে, কারণ এটি শুধু তথ্য পরিবেশনেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং মানুষের মতামত গঠন, সামাজিক পরিবর্তন এবং নীতি নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং অনলাইন সাংবাদিকতার কারণে তথ্য এখন দ্রুত এবং সহজলভ্য। এটি মানুষকে বিশ্বব্যাপী ঘটমান ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা জনমত তৈরির একটি শক্তিশালী মাধ্যম। প্রতিবেদনের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করা সম্ভব। বিশেষত, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে সংবাদ পরিবেশন জনমতের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের দায়বদ্ধ রাখা সম্ভব। দুর্নীতি, অনিয়ম এবং অন্যায় প্রকাশ করার মাধ্যমে সাংবাদিকতা জনস্বার্থ রক্ষা করে। সাংবাদিকতা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করে এবং সচেতন করে। এটি স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অধিকার, এবং সামাজিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সাংবাদিকতা সামাজিক আন্দোলন এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করে। নারী অধিকার, মানবাধিকার, এবং পরিবেশগত ইস্যুতে জনমত গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আধুনিক সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভুয়া খবর এবং প্রোপাগান্ডার বিস্তার। ভুল তথ্য জনজীবনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, যা সামাজিক অস্থিরতা বাড়ায়। একটানা নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের কারণে মানুষ মানসিক চাপ এবং হতাশার শিকার হতে পারে। তাই সাংবাদিকতার ইতিবাচক এবং ভারসাম্যপূর্ণ দিকও জরুরী।

আধুনিক সাংবাদিকতা জনজীবনে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে। তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে এর ইতিবাচক দিকগুলোকে কাজে লাগানো সম্ভব, যা একটি সচেতন ও উন্নত সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আধুনিক সাংবাদিকতা জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে এবং শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসে। এটি নির্বাচন, রাজনৈতিক আলোচনা এবং নীতিনির্ধারণী বিষয়ে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সাংবাদিকতা আরও গতিশীল ও বহুমাত্রিক হয়েছে। এখন প্রত্যেকেই সাংবাদিকতার একটি অংশ হয়ে উঠছে (যেমন: সিটিজেন জার্নালিজম)। এটি তথ্য প্রবাহকে আরও বিস্তৃত করেছে এবং জনগণকে সরাসরি প্রভাবিত করছে।

বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, মহামারি বা রাজনৈতিক অস্থিরতার মতো পরিস্থিতিতে সাংবাদিকতা জরুরি তথ্য দ্রুত পৌঁছে দিয়ে জীবন রক্ষায় ভূমিকা পালন করে। এটি দুর্যোগকালীন সময়ে জনগণের সঠিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সহায়ক।

সাংবাদিকতা অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরে, যেমন শেয়ারবাজারের খবর, পণ্যমূল্যের ওঠানামা বা নতুন নীতিমালা। এটি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।

সাংবাদিকতা ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পণ্যের গুণগত মান, প্রতারণা, এবং বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করে সাংবাদিকতা জনগণের স্বার্থে কাজ করে।

শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় যেমন নতুন নীতি, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন, এবং শিক্ষার সুযোগ নিয়ে আধুনিক সাংবাদিকতা জনগণকে সচেতন করে। এটি শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।

আধুনিক সাংবাদিকতা মানুষকে শুধু তাদের স্থানীয় পরিবেশের খবর জানায় না, বরং বিশ্বব্যাপী সংযোগ ঘটায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বৈশ্বিক রাজনীতি, এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন নিয়ে তথ্য মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।

সাংবাদিকতা বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়। এটি সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখে এবং বিভিন্ন জাতির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহমর্মিতা বাড়ায়।

আধুনিক সাংবাদিকতা মানুষের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে এবং অসাম্য ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলে। এটি অবহেলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরে।

সাংবাদিকতা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন নিয়ে সচেতনতা তৈরি করে। নতুন আবিষ্কার, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে রিপোর্টিং মানুষকে উন্নত জীবনের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তরুণ প্রজন্ম সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সম্পর্কে সচেতন হয়। এটি তাদের ভবিষ্যৎ গঠন এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য প্রভাবিত করে।

আধুনিক সাংবাদিকতা জনজীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছে। এর ইতিবাচক দিকগুলো যেমন সমাজে সচেতনতা, উন্নয়ন, এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে, তেমনই এর অপব্যবহার বিভ্রান্তি, মিথ্যা প্রচার এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক নৈতিক মানদণ্ড বজায় রেখে সাংবাদিকতা পরিচালিত হলে এটি সমাজকে আরও উন্নত করতে পারে।

আধুনিক সাংবাদিকতা জনজীবনে গভীর ও বিস্তৃত প্রভাব ফেলছে, এবং এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূত্রপাত করছে। আরও কিছু দিক বিশদভাবে উল্লেখ করা হলো: সাংবাদিকতা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। প্রথাগত কুসংস্কার ও ধ্যানধারণা ভাঙার মাধ্যমে এটি মানুষকে প্রগতিশীল ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণে সহায়তা করে।আধুনিক সাংবাদিকতা পরিবেশের সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে। এটি জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারকদের পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগী হতে অনুপ্রাণিত করে।

ডিজিটাল সাংবাদিকতা মানুষের জীবনধারা প্রযুক্তি-নির্ভর করে তুলেছে। লাইভ নিউজ, মোবাইল নোটিফিকেশন, এবং দ্রুত তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে গতিশীল করেছে।

সংবাদমাধ্যম অপরাধের ঘটনা তুলে ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিকে সক্রিয় হতে বাধ্য করে। পাশাপাশি, এটি নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে তাদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

আধুনিক সাংবাদিকতা স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরে। যেমন: নতুন রোগ, ভ্যাকসিন, স্বাস্থ্যনীতি, এবং প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা। মহামারীর সময়ে এটি আরও কার্যকর হয়ে ওঠে। সাংবাদিকতা বিনোদন জগতের খবর যেমন সিনেমা, সংগীত, এবং নাটকের প্রচার করে। এটি সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায় এবং শিল্পীদের কাজ সবার সামনে তুলে ধরে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সাংবাদিকতা যেমন সহজলভ্যতা বাড়িয়েছে, তেমনই এর ফলে ভুল তথ্য ও গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিকতা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফ্যাক্ট-চেকিং এবং দায়িত্বশীল রিপোর্টিংয়ের গুরুত্ব বাড়াচ্ছে।

আঞ্চলিক সাংবাদিকতা মানুষের স্থানীয় সমস্যাগুলো তুলে ধরে। রাস্তা, পানি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অভাবের মতো বিষয়গুলো সরকারের নজরে এনে সমাধান করতে সাহায্য করে।

আধুনিক সাংবাদিকতা নারী অধিকার, সমতা এবং তাদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। এটি নারীশিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং তাদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

সাংবাদিকতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম রাজনীতি, ইতিহাস, অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারে। এটি তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সহায়ক।সাংবাদিকতা মানুষকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের কার্যক্রম নিয়ে বিশ্লেষণ বা বিতর্ক অনুষ্ঠান মানুষের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, দারিদ্র্য এবং দুর্যোগের খবর পৌঁছে দিয়ে বৈশ্বিক সহানুভূতি সৃষ্টি করে। এটি মানবিক সাহায্যের জন্য জনগণ এবং সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করা।

আধুনিক সাংবাদিকতা শুধুমাত্র তথ্য সরবরাহের মাধ্যম নয়; এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তবে এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে জনজীবনে ইতিবাচক প্রভাব নিশ্চিত করা সম্ভব। এজন্য সাংবাদিকতার নৈতিকতা, সত্যতা, এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

লেখক: উজ্জ্বল হোসাইন, গনমাধ্যম ও‌ সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ২০২১, পিআইবি।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।