খুঁজুন
                               
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র, ১৪৩২

অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মাঈনুদ্দিনের ইন্তেকাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মাঈনুদ্দিনের ইন্তেকাল

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সদর উপজেলার রামপুর আদর্শ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন (৫৬) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (২০ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুর দেড়টার দিকে তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ৯টায় তাঁর নিজ বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নস্থ রামপুর গ্রামের পীর বাড়ির সামনে রামপুর মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে সোমবার বাদ এশা চাঁদপুর শহরের বাহের খলিশাডুলী কাদেরিয়া চিশতিয়া তাহেরিয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা, যুবসেনা, গাউছিয়া কমিটিসহ বিভিন্ন তরিকরপন্থী সংগঠন এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম ও সিলিসিলায়ে কাদেরিয়া আলিয়া সিরিকোট দরবার শরীফের অসংখ্য মুরিদ অংশ নেন। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা এমএ মতিন, মহাসচিব সউম আবদুস সামাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. আবু নাছের তালুকদার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব অ্যাড. ইসলাম উদ্দিন দুলাল, প্রচার সচিব মাস্টার আবুল হোসেন, প্রকাশনা সচিব, সৈয়দ আবু আজমসহ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় অনেক নেতা এবং জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, জেলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহজামাল তালুকদার, যুবসেনার জেলা সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রশিদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক নবাব খান, ছাত্রসেনার জেলা সভাপতি কামরুল হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শাহাদাত হোসেন জাহিদসহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম জানাজায় অংশ নেন। জানা যায়, অধ্যক্ষ আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন সোমবার দুপুরে নিজ মাদ্রাসায় কর্মস্থলে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথা বাড়তে থাকায় তাঁকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকা নেয়ার প্রস্তুতিকালেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে, অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, গুণগ্রাহী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং আত্মীয় স্বজন রেখে যান। তাঁর মৃত্যুতে রামপুর ইউনিয়ন এবং সুন্নী অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। সুন্নী অঙ্গনে শোকের ছায়া চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট।। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতাদর্শী একক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার ১৯৮৪ সালে চাঁদপুর জেলায় যাঁর হাত দিয়ে পথচলা শুরু হয়, ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন। দীর্ঘ সময় তিনি চাঁদপুর জেলায় সুন্নীয়তের পতাকাবাহী এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন। কুমিল্লা জেলায়ও ছাত্রসেনার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বশেষ কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি দেশখ্যাত তরিকত ভিত্তিক সংগঠন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন ১৯৯২ সালে রামপুর দাখিল মাদ্রাসায় সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে যোগদান করেন। তাঁর নেতৃত্বে মাদ্রাসাটি আলিমে উন্নীত হয়। মাদ্রাসাটি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে একাধিকবার সদর উপজেলায় এবং জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়। দীর্ঘ ৩২ বছর তিনি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেদমত করে গেছেন। সুন্নীয়তের অতন্দ্র প্রহরী এবং অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন অধ্যক্ষ আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এই মানুষটির মৃত্যুর খবরে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর ছাত্র এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, ইসলামী ফ্রন্ট, ছাত্রসেনা, যুবসেনা, গাউছিয়া কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাঁর মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম তাঁর জানাজায় অংশ নেন।

জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহারুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহারুল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। এজিএস (পুরুষ) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (নারী) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ভিপি পদে আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট, জিএস পদে মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০ ভোট, এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান ২৩৫৮ ভোট এবং এজিএস (নারী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা ৩৪০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যান্য পদে জয়ীরা হলেন- পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক তানভীর রহমান, খাদ্যনিরাপত্তা সম্পাদক হুসনি মোবারক, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক তৌহিদ হাসান, সমাজসেবা সম্পাদক আহসান লাবিব, তথ্য-প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মাহাদী হাসান, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আকতার, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক (নারী) নিগার সুলতানা, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হান উদ্দীন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিবুল্লাহ শেখ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। কার্যকরী সদস্য (নারী) পদে জয়ী তিনজন হলেন- নুসরাত জাহান, নাবিলা বিনতে হারুন ও ফাবলিহা জাহান।
কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে জয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আলী চিশতী, আবু তালহা ও তরিকুল ইসলাম।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট পেয়ে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২৩৯২ ভোট। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ১২১১ ভোট। আর ছাত্রদলের মো. শেখ সাদি হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১২৩৮ ভোট। ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী পেয়েছেন ৯৪১ ভোট।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, সদস্য লুৎফুল এলাহীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আব্দুর রশিদ জিতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও আন্দোলনের সময় সর্বপ্রথম ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আহত হন। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলন পরিচালনা করেন তিনি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেন এবং এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে হল কেন্দ্রগুলো থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে আনা হয় এবং ওইদিন রাত ১০টার কিছু পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং ছাত্র ভোটার ছিলেন ৬ হাজার ১৫ জন। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।

সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ণ
সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এত প্রাণের বিনিময়ে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার মধ্য দিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক সরকার হবে জবাবদিহিমূলক। এটি আর অতীতের সরকারের মতো হবে না।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বরিশালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে এসে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডাকসু নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয় নয়। অনেকেই বলেছিল, এই নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ন  রেখেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো দেখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যতদিন থাকছি, ততদিন সম্ভবপর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। তবে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
এ সময় উপদেষ্টা বরিশালের নদীবন্দর, জেলখাল, পোর্ট রোড ও স্টিমার ঘাট পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) খেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে নৌরুটে প্যাডেলচালিত জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
পরিদর্শনকালে বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।