
পঞ্চগড় শহরের মসজিদপাড়া এলাকায় কোচিং সেন্টারে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান (৩২) নামের এক শিক্ষককে জনতা হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।মুহূর্তেই এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চগড়ের আঞ্চলিক ফেসবুক গ্রুপগুলোতে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্থানীয়রা পোস্ট করতে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টার দিকে মোস্তাফিজ তার টিনশেড কোচিং সেন্টারে পাঁচজন ছাত্রীকে উচ্চতর গণিত পড়াচ্ছিলেন। ক্লাস শেষে চারজন চলে গেলে বাকি একজন ছাত্রীকে আটকে রেখে যৌন হয়রানি করেন তিনি। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তাকে আটক করে। পরে বিচারের দাবিতে উত্তেজিত জনতা তাকে ইজিবাইকে করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে নিয়ে যায় এবং সেখানে গণধোলাই দেয়।
পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেয়। মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের পাহাড়ডাঙ্গা গ্রামে। তিনি পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক এবং শহরের একটি ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করেন। স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়। কিন্তু তখন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এ বিষয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএসএম সোহরাওয়ার্দী বলেন, ঘটনার পর শিক্ষক মোস্তাফিজকে আটক করে জনতা আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।