খুঁজুন
                               
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র, ১৪৩২

দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে :  আজম খান

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে :  আজম খান

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আজম খান চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নে গনসংযোগ ও বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কবর জিয়ারত করেছেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বাদজুম্মা প্রথমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সদর উপজেলা আশিকাটি ইউনিয়নের চাঁদখার দোকান খান বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেন।

এসময় বিএনপি নেতা আজম খান বলেন, গত শাসনামলে তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নামে কোনো একটি দূর্নীতি পায়নি সরকার। গত ১৬ বছরে কোথাও শেখ হাসিনা সরকার তারেক রহমানের একটি ব্যাংক একাউন্ট পায়নি যেখানে তারেক রহমানের নামে অবৈধভাবে অর্থ। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে কোনো দূর্নীতি না থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে অনেক অপবাদ অপদস্থ করা হয়েছিল।

আজম খান আরো বলেন, আমি চাঁদপুর-৩ আসনে দলের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী, আরো একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা সবাই দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।  কারণ ব্যক্তির চেয়ে দলকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে।

এসময় নামাজ শেষে সকলের জন্য দোয়া ও মিলাদ পড়া হয়েছে। পরে তিনি আশিকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন রোড়ে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ খান ও সাবেক ছাত্রনেতা এমদাদুল হক মিলনসহ স্থানীয় বিএনপি ওসহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

জুলাই সনদে যা যা থাকছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ১:২৮ অপরাহ্ণ
জুলাই সনদে যা যা থাকছে

ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া শনিবার গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো সনদে উল্লেখ থাকছে।
প্রথম পর্বে ঐকমত্য হওয়া বিষয়ের মধ্যে আছে:
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন।
জেলা সমন্বয় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা।
রাজনৈতিক দলকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা ও আইনজীবীদের আচরণবিধি।
গণহত্যা ও ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
তথ্য অধিকার আইনের সংশোধন।
দুর্নীতিবিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়ন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে সংশোধন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতি।
আয়কর আইনের সংশোধন।
দ্বিতীয় পর্বে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব ঐকমত্য হয়। সেগুলো হলো:
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-সম্পর্কিত বিধান।
বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ এবং উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ।
সংবিধান সংশোধন।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল।
নির্বাচন কমিশন গঠন।
পুলিশ কমিশন গঠন।
নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ-সম্পর্কিত প্রস্তাব।

জুলাই সনদ : রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ প্রক্রিয়ায় যা বলা আছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ণ
জুলাই সনদ : রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ প্রক্রিয়ায় যা বলা আছে

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠকের পর জুলাই সনদের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়ায় রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে––‘রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করা যাইবে। আইনসভার নিম্নকক্ষে অভিশংসন প্রস্তাবটি দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে পাস করিবার পর তা উচ্চকক্ষে প্রেরণ এবং উচ্চকক্ষে শুনানির মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হইবে।’ এ প্রস্তাবে ২৮টি দল ও জোট একমত হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো জুলাই সনদের খসড়া থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সনদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার জায়গায় বলা হয়েছে, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যে কোনো দণ্ডের মার্জনা, বিরাম মঞ্জুর করার এবং যে কোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড, নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট আইনে এরূপ বিধান রাখা হবে যে, এরূপ কোনো আবেদন বিবেচনার পূর্বে মামলার বাদী বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারের সম্মতি গ্রহণ করা হবে।’ এই প্রস্তাবে ২৯টি দল ও জোট একমত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানে এরূপ যুক্ত করা হবে যে বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন, যিনি আইন অনুযায়ী আইনসভার উভয় কক্ষের (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) সদস্যদের গোপন ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবেন। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার সময় কোনো ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের পদে থাকতে পারবেন না।’
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮ (৩) সংশোধনীর প্রস্তাব করে কারো পরামর্শ বা সুপারিশ ছাড়াই নিজ এখতিয়ার বলে রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত পদে নিয়োগ দিতে পারবেন—
১. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।
২. তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।
৩. বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।
৪. আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।
৫. বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।
এই প্রস্তাবে ৩১টি দল ও জোট একমত হয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট— প্রস্তাবিত ৫ ও ৬ নৌ ক্রমিকের বিষয় বিএনপি, এনডিএম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি ।

বিদেশে বাংলাদেশি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
বিদেশে বাংলাদেশি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ

টেলিফোনের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এই নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে, এক্ষেত্রে সব মিশনকে সরাসরি নির্দেশ না দিয়ে কয়েকজনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বলা হয়েছে অন্য মিশনপ্রধানদের জানিয়ে দেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে বিদেশে পদায়নরত একজন কূটনীতিক জানান, শুক্রবার অন্য একটি দেশের মিশনপ্রধান বিষয়টি আমাদের জানানোর পর আমরা ছবি সরিয়ে ফেলেছি। টেলিফোনে নির্দেশের বিষয়ে জানতে চাইলে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সব নির্দেশ লিখিতভাবে দেওয়া যায় না। এজন্য ছবি নামানোর নির্দেশনা মৌখিকভাবে দেওয়া হয়েছে।’আরেকজন কর্মকর্তা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রদর্শনের জন্য সংবিধানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ওই ছবিও মৌখিক নির্দেশের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এজন্য লিখিত কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
পৃথিবীর সব দেশে রেওয়াজ আছে রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের ছবি সরকারি অফিস বা তাদের মিশনগুলোতে প্রদর্শনের। বাংলাদেশে এর ব্যত্যয় কেন হচ্ছে জানতে চাইলে আরেকজন কূটনীতিক জানান, ‘এটি সরকারের সিদ্ধান্ত।’