খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

গুনী সাংবাদিক রোটা. কাজী শাহাদাত-এর জন্মদিন নিবন্ধন

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
গুনী সাংবাদিক রোটা. কাজী শাহাদাত-এর জন্মদিন নিবন্ধন

সাংবাদিক কাজী শাহাদাত সাংবাদিকতা ও সাহিত্য জগতে এক সুপরিচিত নাম। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি সাংবাদিকতা পেশায় সক্রিয় রয়েছেন এবং এই সময়ে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। রোটারিয়ান কাজী শাহাদাত চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল গ্রামের উত্তর পাড়ার সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী ছেফায়েত উল্লাহ এবং মাতার নাম জোবায়দা বেগম। ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখির প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন।
কাজী শাহাদাত প্রায় ৪৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি আশির দশকের শুরুতে ‘নির্ভীক’ ও ‘নির্ঝর’ নামে সারাদেশে প্রচারিত সাহিত্য মাসিকের সম্পাদক ছিলেন। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় তিনি ২৫ বছর যাবত প্রধান সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। এই চাঁদপুর কন্ঠ পত্রিকায় লেখা সম্পাদকীয়র কারণে এটি চাঁদপুর তথা পার্শ্ববর্তী জেলায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এছাড়াও তিনি সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক, সাপ্তাহিক চাঁদপুরের বার্তা সম্পাদক এবং দৈনিক জনতায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি কাজী শাহাদাত সাহিত্য ও সাংগঠনিক কার্যক্রমেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি সাহিত্য একাডেমি, চাঁদপুর-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং পরবর্তীতে সাড়ে ৯ বছর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাঁদপুর প্রেসক্লাবে তিনি দুই মেয়াদে সভাপতি এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), চাঁদপুরে চার মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি চাঁদপুর রোটারী ক্লাবে এক মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং রোটারী জেলায় লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও অ্যাডভাইজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
কাজী শাহাদাত তার সাংবাদিকতা ও সাহিত্যকর্মের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। এর মধ্যে জাতীয় সাহিত্য পরিষদ পদক, হাজীগঞ্জ ফোরাম সাহিত্য সম্মাননা, ব্র্যাক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তীতে আজীবন সম্মাননা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ, ২০২৪ সালের ২৬ মার্চ শাহরাস্তি প্রেসক্লাব তাকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করে।
কাজী শাহাদাত বর্তমানে চাঁদপুর শহরে বসবাস করছেন। তিনি একসময় কবিতা, ছড়া ও গল্প লিখলেও বর্তমানে প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও প্রতিবেদন লেখায় বেশি মনোযোগী। ভ্রমণ বিষয়ক লেখায় তার বিশেষ আগ্রহ ও দক্ষতা রয়েছে। চাঁদপুর জেলায় স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের বিতর্কের প্রসারে একটানা এক যুগ ধরে  চাঁদপুর কন্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কন্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করেছেন।
সাংবাদিকতা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে কাজী শাহাদাতের অবদান বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাহিত্য জগতে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

লেখক পরিচিতি : রোটা. উজ্জ্বল হোসাইন, সংগঠক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।