খুঁজুন
                               
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

সিডিএম স্কুল অব ডিবেটের ৫ম ব্যাচের কনভোকেশন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক

বিতর্ক শিল্পকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২৫ অপরাহ্ণ
বিতর্ক শিল্পকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে

চাঁদপুর ডিবেট মুভমেন্ট (সিডিএম)-এর আয়োজনে সিডিএম স্কুল অব ডিবেটের ৫ম ব্যাচের কনভোকেশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। কনভোকেশন স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন (বিডিএফ)-এর সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল মেহেদী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিডিএম-এর সভাপতি ভিভিয়ান ঘোষ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিএম-এর উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক আহম্মদ, সাবেক সভাপতি রাহাদ দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া আক্তার, স্কুল অব ডিবেটের প্রধান সমন্বয়ক মুহাম্মদ আবদুল বাসেদ এবং সমন্বয়ক জাহিদ হাসান রিপন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিডিএম-এর সহ-সভাপতি মিঠুন চন্দ্র ত্রিপুরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহসীন উদ্দিন বলেন, বিতর্ক একটি নান্দনিক বাচিকশিল্প। এই বিতর্ক শিল্পকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। চাঁদপুর ডিবেট মুভমেন্ট (সিডিএম) যে অভিনব প্রয়াসে বিতর্কের কনভোকেশন আয়োজন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন আরও বৃহৎ পরিসরে করা উচিত, যাতে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হতে পারে। অনুষ্ঠানে ৫ম ব্যাচের ৪৬ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করে কনভোকেশন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচজন হলেন সাইরা ইসলাম বহারদার, আয়েশা লী, কায়েস মাহমুদ, তাহমীদ হাসান ও হুমাইরা মাশফীয়া। এছাড়াও একই আয়োজনে সিডিএম উইন্টার ডিবেট কম্পিটিশন ২০২৪-এর ফাইনাল পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম রাসেনগান এবং রানার্স আপ হয় টিম এসএএস। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিডিএম-এর কোষাধ্যক্ষ ও স্কুল অব ডিবেটের সমন্বয়ক সামান্তা দিদার মারিয়া, সমন্বয়ক শাহজিয়া সেতু, রওনক জাহান উর্মি, সিডিএম সদস্য অংগন চক্রবর্তী, শামীম শেখ, মোঃ আফসার, জোবায়েদা জোয়া, তাসনিম সুফলা, কাশমেরী কাশেম সোহানী, সাবিকুন নাহার সাজ, মারিয়া তাবাসসুম ও শিরিন আক্তার।

উল্লেখ্য, সিডিএম স্কুল অব ডিবেট সিডিএম-এর অন্যতম মূল কর্মসূচি, যেখানে নির্দিষ্ট কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিতর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

চাঁদপুরে দুটি পাইপ গান উদ্ধার করলো যৌথ বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১:১৫ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে দুটি পাইপ গান উদ্ধার করলো যৌথ বাহিনী

 চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুটি দেশীয়  পাইপ গান ও দুটি শটগান কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। শনিবার (১৯ এপ্রিল ২০২৫) দিনগত রাতে চাঁদপুর  সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকার ঢালী বাড়ী মসজিদ সংলগ্ন মাঠ থেকে এসব অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) সকালে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্প হতে ডাকাত ও মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে দুটি দেশীয় তৈরী পাইপ গান এবং দুটি শটগান কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্যে উদ্ধারকৃত সামগ্রী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গেল বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলার সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ
বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ২০ এপ্রিল রোববার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, কাপড়ের দোকান, খাবার হোটেল, স্বর্ণের দোকান, মাইক ও ব্যাটারি দোকান, টেইলার্সসহ প্রায় ১৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে একজন সিএনজির ড্রাইভার দেখে বাজারে আগুন লাগছে। পরে বাজার থেকে আমার এক পরিচিত ভাই ফোন করে বলেন বাজারে আগুন লেগেছে। পরে আমরা বাজারে আগুন লাগার বিষয়টি মাইকিং করি। এছাড়াও আমি সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই। পরে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চাঁদপুর দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সামছুল আলম বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে আসে। কাঠের দোকান, ফার্নিচার ওষুধ, কাপড়ের দোকান মোট ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মতলব উত্তরে নদীতীরে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধে ব্যাপক ধস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ
মতলব উত্তরে নদীতীরে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধে ব্যাপক ধস

মতলব উত্তরে দুটি ইউনিয়নে মেঘনা নদীর করাল গ্রাসে  স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে । যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। মতলব উত্তরের ফরাজিকান্দির সোনারপাড়া ও জহিরাবাদের সানকিভাঙ্গা এলাকায়  নদীর তীরের প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটারে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকা রক্ষায় স্থাপনকৃত  ব্লক ও জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে ভয়াবহ হুমকিতে রয়েছে  ল্ঞ্চঘাট, বাজার, বেশ ক’টি স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ  দুটি ইউনিয়নের  প্রায়  সহস্রাধিক পরিবারের বাড়িঘর।

২০১৭ সালে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড এই অঞ্চলে   স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক  বাঁধের কাজ  করে। তখন নদী তীরে  বালিভর্তি  জিও ব্যাগ  ও  ব্লক স্থাপন করা হয়।  ইতোমধ্যে   এই  প্রতিরক্ষা  কাজের ৩ শ’ মিটার প্রমত্তা মেঘনা গর্ভে  চলে  গেছে।  ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে ও  বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা ও দেখা  যায়, সোনারপাড়া ও সানকিভাঙ্গা এলাকার নদীতীর রক্ষা বাঁধের ব্লক ক্রমান্বয়ে  দেবে  যাচ্ছে ও নদী তীরে যে জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছিল, তার নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ক্রমান্বয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। বিশাল এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে।

 জহিরাবাদ ইউনিয়নের  প্রায় দেড় কিলোমিটার ও ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের প্রায় ৮শ’ মিটার এখন নদী ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে বলে জানান মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সাব অ্যাসিসটেন্ট ইন্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন। জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া জানান, এই এলাকার ভাঙ্গন রোধে যে স্থায়ী প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছিল, তখন স্থানীয় রাজনৈতিক  নেতাদের  দ্বন্দ্বের বলি হয়ে প্রকল্পটির  কাজ শেষ না করে স্থগিত করতে হয়। যে কারণে এখন আমরা নদী ভাঙ্গনের শিকার। ফরাজিকান্দির ইউপি চেয়ারম্যান  রেজাউল করিম জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গন এলাকা রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সেলিম শাহেদ  বলেন, পাউবো ইতোমধ্যে ভাঙ্গন এলাকা স্টাডি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চলমান রয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপটি অব্যাহত রয়েছে।