খুঁজুন
                               
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

সভাপতি অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক হাসান আল জায়েদ রিফাই

চাঁদপুর অঙ্গনা ক্লাবের কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর অঙ্গনা ক্লাবের কমিটি গঠন

 চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন অঙ্গনা ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক হাসান আল জায়েদ রিফাই। শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি  নিউ টাক রোড বটতলা সফু কোম্পানির এস্টেটে ক্লাবের সাবেক বর্তমান খেলোয়ার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সকলের সর্বসম্মতিতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক খান। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মোঃ সালাহউদ্দিন খান। কোরআন তেলাওয়াতের পরে সাংবাদিক সালাহউদ্দিন খান অঙ্গনা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক আহ্বায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর খান, সাবেক সভাপতি শফিক সরকার, সাবেক ক্রিকেটার রিয়াজ এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ ইমরান খান মৃত্যুতে সভায় শোক প্রস্তাব আনেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহের পাটোয়ারী,প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক খান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান খান লিটন, সাবেক খেলোয়াড় শেখ সোহেল, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ গাউসুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ কালাম পাঠান।

নবনির্বাচিত সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন খান অসুস্থতার কারণে ভারতের চিকিৎসারত থাকায় সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। তাই নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক  হাসান আল জায়েদ রিফাইকে সবাই ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। সভায় নবাগত সম্পাদকের বক্তব্য হাসান আল জায়েদ রিফাই বলেন, এই অঙ্গনা ক্লাব দিয়েই আমার ক্রিকেট শুরু এবং শেষ। জাহাঙ্গীর ভাই ক্লাবের ব্যাপারে খুব নিবেদিত ছিলেন। তিনি ক্রিকেট খেলাটাকে খুব বেশি ভালবাসতেন। অনেক কষ্ট করেছেন এ ক্লাবের জন্য। তাই অঙ্গনার সাবেক খেলোয়ার হিসেবে ক্লাবের উন্নয়নের জন্য সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করব। মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। চাঁদপুর শহরের এ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার কিশোর, তরুণরা যেন খেলায় মনোনিবেশ করতে পারে সেজন্য আমরা সচেষ্ট থাকবো।

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান খান লিটন বলেন, ক্লাবের স্থানীয় কার্যালয় এখন খুব গুরুত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত প্রাচীন একটি ক্লাবের স্থানীয় কার্যালয়ে নাই যা খুবই দুঃখজনক। ১৯৮৬ সালে আমরা কয়েকজন এ ক্লাবটিকে প্রতিষ্ঠা করি। ক্লাবের নামকরণের সাথে বাস্তবিক আমাদের কাজের অনেক মিল ছিল। অঙ্গনা সাহিত্য-সংস্কৃতিক ক্রিয়া সংগঠন সাহিত্য ক্ষেত্রে এবং অসহায়দের পড়াশোনার জন্য ভূমিকা রেখেছিল সেসময়। ক্লাবের একটি নির্দিষ্ট জায়গা ছিল। আমি প্রভাসে চলে যাওয়ার পর এসে দেখি একটি চক্র ক্লাবের জায়গাটি দখল করে নিয়েছে। এ পর্যন্ত ক্লাবটি পরিচালনা করতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

ক্রীড়া সংগঠক কবির খানের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সদস্য সফিক খান, মোঃ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান অপু, মোঃ মহসিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ বদিউজ্জামান  মুন্না, মোঃ টিপু খান, মোহাম্মদ নূরুন্নবী, নুরুল আমিন সরকার সোহাগ, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান জনি, মোহাম্মদ ওমর ফারুক  রিপন খান, আলিফ ইব্রাহিম খুকু, মাজহারুল হক বাবু  মোহাম্মদ ওসমান গনি, মাসুদ আহমেদ আখন্দ,   শিবলু খান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, মোহাম্মদ কাউছার তালুকদার,  নির্মল চন্দ্র দাস, স্বপন দাস,মোহাম্মদ মোস্তফা ঢালি, মোঃ শওকত খান, মোঃ মাহবুব খান, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মোঃ মমিন, শামসুল ইসলাম, খালেক মোল্লা, বোরহান ভূঁইয়া, আবুল হাসান, মোঃ ফয়সাল, জুয়েল সরকার, মোহাম্মদ আনিসুল কবির, আবু সাঈদ, সোহাগ খান  প্রমুখ।
সভা শেষে অঙ্গনা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক আহ্বায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর খান মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ মোস্তফা কামাল।

চাঁদপুরে দুটি পাইপ গান উদ্ধার করলো যৌথ বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১:১৫ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে দুটি পাইপ গান উদ্ধার করলো যৌথ বাহিনী

 চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুটি দেশীয়  পাইপ গান ও দুটি শটগান কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। শনিবার (১৯ এপ্রিল ২০২৫) দিনগত রাতে চাঁদপুর  সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকার ঢালী বাড়ী মসজিদ সংলগ্ন মাঠ থেকে এসব অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) সকালে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্প হতে ডাকাত ও মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে দুটি দেশীয় তৈরী পাইপ গান এবং দুটি শটগান কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্যে উদ্ধারকৃত সামগ্রী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গেল বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলার সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ
বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ২০ এপ্রিল রোববার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, কাপড়ের দোকান, খাবার হোটেল, স্বর্ণের দোকান, মাইক ও ব্যাটারি দোকান, টেইলার্সসহ প্রায় ১৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে একজন সিএনজির ড্রাইভার দেখে বাজারে আগুন লাগছে। পরে বাজার থেকে আমার এক পরিচিত ভাই ফোন করে বলেন বাজারে আগুন লেগেছে। পরে আমরা বাজারে আগুন লাগার বিষয়টি মাইকিং করি। এছাড়াও আমি সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই। পরে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চাঁদপুর দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সামছুল আলম বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে আসে। কাঠের দোকান, ফার্নিচার ওষুধ, কাপড়ের দোকান মোট ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মতলব উত্তরে নদীতীরে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধে ব্যাপক ধস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ
মতলব উত্তরে নদীতীরে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধে ব্যাপক ধস

মতলব উত্তরে দুটি ইউনিয়নে মেঘনা নদীর করাল গ্রাসে  স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে । যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। মতলব উত্তরের ফরাজিকান্দির সোনারপাড়া ও জহিরাবাদের সানকিভাঙ্গা এলাকায়  নদীর তীরের প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটারে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকা রক্ষায় স্থাপনকৃত  ব্লক ও জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে ভয়াবহ হুমকিতে রয়েছে  ল্ঞ্চঘাট, বাজার, বেশ ক’টি স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ  দুটি ইউনিয়নের  প্রায়  সহস্রাধিক পরিবারের বাড়িঘর।

২০১৭ সালে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড এই অঞ্চলে   স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক  বাঁধের কাজ  করে। তখন নদী তীরে  বালিভর্তি  জিও ব্যাগ  ও  ব্লক স্থাপন করা হয়।  ইতোমধ্যে   এই  প্রতিরক্ষা  কাজের ৩ শ’ মিটার প্রমত্তা মেঘনা গর্ভে  চলে  গেছে।  ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে ও  বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা ও দেখা  যায়, সোনারপাড়া ও সানকিভাঙ্গা এলাকার নদীতীর রক্ষা বাঁধের ব্লক ক্রমান্বয়ে  দেবে  যাচ্ছে ও নদী তীরে যে জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছিল, তার নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ক্রমান্বয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। বিশাল এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে।

 জহিরাবাদ ইউনিয়নের  প্রায় দেড় কিলোমিটার ও ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের প্রায় ৮শ’ মিটার এখন নদী ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে বলে জানান মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সাব অ্যাসিসটেন্ট ইন্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন। জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া জানান, এই এলাকার ভাঙ্গন রোধে যে স্থায়ী প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছিল, তখন স্থানীয় রাজনৈতিক  নেতাদের  দ্বন্দ্বের বলি হয়ে প্রকল্পটির  কাজ শেষ না করে স্থগিত করতে হয়। যে কারণে এখন আমরা নদী ভাঙ্গনের শিকার। ফরাজিকান্দির ইউপি চেয়ারম্যান  রেজাউল করিম জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গন এলাকা রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সেলিম শাহেদ  বলেন, পাউবো ইতোমধ্যে ভাঙ্গন এলাকা স্টাডি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চলমান রয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপটি অব্যাহত রয়েছে।