খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ, ১৪৩১

তামিম ইকবাল কেন এত আলোচনায়?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
তামিম ইকবাল কেন এত আলোচনায়?

কখনো প্রতিপক্ষ, কখনো ম্যানেজমেন্ট আবার কখনো সতীর্থ—তামিম ইকবালের মেজাজ হারানোর ভুক্তভোগী হওয়া থেকে বাদ পড়ছেন না কেউই। এবারের বিপিএলে মাঠের পারফরম্যান্সের আলোচনার বাইরে মূলত আলাপটা চলছে ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের ঘন ঘন মেজাজ গরম করা নিয়েই। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে পক্ষে-বিপক্ষে বহু আলোচনা।

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে অ্যালেক্স হেলস, ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সাব্বির আহমেদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের মেজাজ হারানোর কথা স্ট্যাম্প মাইকের সুবাদে শুনেছেন দর্শকরাও। আবার বিসিবি সভাপতি মঞ্চে দেরিতে ওঠায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নেননি—এমন ঘটনাও ঘটেছে।

সবশেষ তামিম ইকবালের মেজাজ হারানোর ঘটনা দেখা গিয়েছে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে। সতীর্থ ওপেনার ডেভিড মালানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সূত্রে আউট হয়েছিলেন তামিম। এরপরই রাগত চাহনি ছিল তার। এ নিয়েও সরব ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেও এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ততায় কাটছে তামিম ইকবালের। চলমান বিপিএলে ব্যাট হাতে মন্দ কাটছে না। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ২৩০ রানে দলের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক এই ওপেনার। খারাপ অবস্থায় নেই তার দল ফরচুন বরিশালও। ৭ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন বরিশাল। তবুও মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে বাইরের কর্মকাণ্ডে বেশি আলোচনায় তামিম।
তামিম-হেলস কাণ্ড

বিপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ম্যাচ দেখা গিয়েছিল সেদিন সিলেটে। অবিশ্বাস্য ও শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ ওভারে ২৬ রান তাড়া করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালকে হারায় আরেক জায়ান্ট রংপুর রাইডার্স। এদিন ম্যাচ শেষেই ঘটেছিল অপ্রীতিকর ঘটনাটি। জানা গেছে, ম্যাচ শেষে দুই দলের ক্রিকেটাররা যখন হাত মেলাতে যান তখন হেলস আপত্তিকর মুখভঙ্গি করেন তামিমকে উদ্দেশ করে। বরিশাল অধিনায়ক সেটা ভালোভাবে নেননি।

হেলসকে উদ্দেশ্য করে তখন তামিম বলেন, ‘এ রকম করছ কেন? কিছু বলার থাকলে মুখে বলো। বি আ ম্যান।’ এরপর হেলসও জবাব দিয়েছেন। তাতে তর্কে জড়িয়ে পরেন এই দুই ক্রিকেটার। এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে হেলসের দিকে তেড়ে যেতে চান তামিম। তখন তামিমকে টেনে ধরেন রংপুরের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিম। বাকি ক্রিকেটার ও স্টাফরাও দুজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ম্যাচশেষে তামিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন হেলস। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় শাস্তিও পেতে হয়কে বরিশাল কাপ্তানকে।
‘বেশি লাগতে আইসো না সাব্বির’

আগের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আলোচনায় উঠে আসেন তামিম। এবার সাব্বির রহমানের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় তাকে। ঘটনাটি ঘটে ফরচুন বরিশাল বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস ম্যাচে। সাব্বিরের ফেইক ফিল্ডিং করা নিয়ে মেজাজ হারান তামিম। এ সময় মাঠেই তাকে বলতে শোনা যায় ‘বেশি লাগতে যেও না সাব্বির, বেশি লাগতে যেও না।’ আরও কিছু বলছিলেন, যা স্পষ্ট শোনা যায়নি। ঘটনার পর সাব্বির তামিমের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। সাব্বিরকে থামিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালান। একই ম্যাচে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দেরি করে আসায় ম্যাচসেরার পুরস্কার নেননি তামিম।

এক সময়ের সতীর্থর মাঠের বিষয়টি অবশ্য ‘হিট অব দ্য মোমেন্ট’ হিসেবেই মেনে নিয়েছিলেন সাব্বির। তামিমের মেজাজ গরম করা নিয়ে পরে বলছিলেন, ‘মাঠের মধ্যে যে ঘটনাই হোক, এটা মাঠের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় আমাদের। তামিম ভাই আমার সিনিয়র বড় ভাই। রেসপেক্টেড বড় ভাই এবং লেজেন্ড ক্রিকেটার। এরকম ক্রিকেটার বাংলাদেশে আসবে ও না, আমি জানি। ওনার হিট অব দ্য মোমেন্টে এটা হয়ে গেছে। আমি ওটা কিছু মনে করিনি।’
‘টিভির এক-দুই ঝলক দেখেই সিদ্ধান্ত নয়’

তাকে নিয়ে চারদিকে যে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছিল, সেটি বুঝতে পারছিলেন তামিম নিজেও। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে শেষমেশ ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তারকা এই ক্রিকেটার। তামিম বলছিলেন, ‘অনেক সময়ই অনেকে টিভিতে দু-একটি দৃশ্য দেখে নানা রকম ধারণা করে ফেলেন। গত কয়েক দিনে আমাকে নিয়েও এরকম হয়েছে। কিন্তু কোনো ঘটনা তো হুট করে হয় না। এটার পেছনেও অনেক ঘটনা থাকে। মাঠে এরকম অনেক কিছুই হয়, যা টিভিতে পুরোপুরি ফুটে ওঠে না এবং সেটা উচিতও নয়।’

তামিম পরে যোগ করেন, ‘টিভিতে দু-একটি দৃশ্য দেখেই চূড়ান্ত ধারণা নেওয়া উচিত নয়। যাদের নিয়ে ঘটনা, যারা মাঠে থাকেন, তারা সবকিছু জানেন। আজকের উদাহরণ দিয়েই আবার বলছি, টিভিতে এক-দুই ঝলক দেখেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া উচিত নয়।’

সতীর্থ অনেক ক্রিকেটারের চোখেই তামিম সত্যিকারের টিমম্যান। ঠান্ডা মাথার তামিমকেই এতদিন চিনতো তার ভক্ত সমর্থকরাও। সেই তামিম হঠাৎ যেন কারও কারও কাছে কত অচেনা। ঘন ঘন মেজাজ হারানোর ঘটনায় তৈরি করছে বিস্ময়ও। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গে সমালোচনাও হচ্ছে তামিমের।

চাঁদপুরে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে মাঠ, নষ্ট হচ্ছে বীজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে মাঠ, নষ্ট হচ্ছে বীজ

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার খালগুলো শুকিয়ে হাজারো কৃষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির অভাবে অধিকাংশ মাঠ শুকিয়ে ফেটে গেছে, বীজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কৃষকরা দ্রুত পানির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালে পানি না থাকার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাদের এই দুর্দশা অব্যাহত থাকবে। এই খাল খনন সঠিকভাবে হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তারা।

কমলাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান খান বলেন, খালে পানি না থাকাতে আমরা ফসল চাষ করতে পারিনি। জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বোরো ধান রোপণ করবো, কিন্তু পানি পাচ্ছি না। এখন আমরা খুবই কষ্টে আছি, সামনের দিনগুলোতে যে আমরা কি খাবো বা কীভাবে জীবন বাঁচাবো দিশেহারা হয়ে গিয়েছি। যদি আমাদেরকে দ্রুত পানি দেয় তাহলে আমরা বোরো ধান রোপণ করতে পারবো। আমাদের জীবন বাঁচাতে পারবো।

চাঁদপুর পওর শাখা-৩, হাইমচর উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসান গাজী বলেন, হাইমচর উপজেলায় আমরা দুটি খাল খনন করছি। খালগুলো হচ্ছে বিফিফাইভ খালটি হচ্ছে কমলাপুর থেকে মহজমপুর ব্রিজ পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮৫ কিলোমিটার। অন্যটি ডব্লিউওয়াইসি খাল, এটি টেককান্দি থেকে জনতা বাজার পর্যন্ত ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। খাল দুটি হাইমচর উপজেলার প্রধান খাল। কাজ করতে গেলে কিছু প্রতিবন্ধকতা আসে, আমরা সেই প্রতিবন্ধকতা রেখে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দু-চার দিনের মধ্যে খালের খনন কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার বলেন, বোরো মৌসুমে আমার কৃষক ভাইদের বোরো আবাদ করতে তাদের পানির প্রয়োজন হয়। আমাদের হাইমচরে যে দুটি খাল রয়েছে সেই খালগুলোতে দ্রুত পানি দেওয়ার জন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি। সঠিক সময়ে যদি কৃষকরা পানি না পায় বোরো আবাদ বিঘ্নিত হবে। দ্রুত সময়ে যেন কৃষকরা পানি পায় সেজন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্বিতীয়বার চিঠি প্রদান করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন যাবত অভিযোগ পেয়ে আসছি বিফিফাইভ খালটি খননে অনিয়ম হচ্ছে। তাই আজকে আমি সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলে দিয়েছি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল খনন শেষ করেন এবং সঠিকভাবে খাল খনন করেন। আমি আশা করি, এই খাল খননের মাধ্যমে কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা দূর হবে এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই কমে যাবে।

সারাদেশে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
সারাদেশে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থটি। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া বন্ধ থাকতে পারে। তবে শেষ বাত থোকে সকাল পর্যন্ত মারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পাঁচদিনের প্রথম দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

হ্যাকিংয়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
হ্যাকিংয়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অনুমোদিত খসড়া থেকে বিতর্কিত সাইবার বুলিংয়ের বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কিছু বিষয়ও যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বেআইনি প্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধান রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ‘সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে’ গত ২৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এ সরকার সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চায়। আপনারা জানেন যে সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের ক্রাইম হয়। আমাদের মা-বোনরাসহ অনেকেই নানা ধরনের বুলিংয়ের শিকার হন। শিশুদের অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। সাইবার স্পেসকে নিরাপদ করা সরকারের দায়িত্ব।

খসড়ার ধারা ২৫-এ সাইবার বুলিংয়ের নামে একটি বিধান ছিল। এ বিধান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এতে বাক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। ধারা ২৫-এ উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বার্তা আদান-প্রদান প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট বা সাইবার স্পেসে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান বা হয়রানি করা, মিথ্যা বা ক্ষতিকর তথ্য, অপমানজনক বার্তা, গালিগালাজ, গুজব বা মানহানিকর কনটেন্ট ছড়ানোর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সুনাম বা মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অবশেষে সমালোচনার মুখে খসড়া থেকে এটি বাদ দেওয়া হয়েছে। খসড়ায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কনটেন্ট ব্লকের অনুরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব কনটেন্ট ব্লক হবে, সরকার তা জনস্বার্থে প্রকাশ করবে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় বিদ্বেষের সঙ্গে জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার প্রসঙ্গও যুক্ত হয়েছে।