খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

নারী ও পুরুষ : একে অপরের শক্তি ও সহযোগী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
নারী ও পুরুষ : একে অপরের শক্তি ও সহযোগী

নারী ও পুরুষের সম্পর্ক মানব সভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সূক্ষ্ম দিক। তারা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্য বজায় রাখে। সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এই সম্পর্ক গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায়, নারী ও পুরুষ দুটি ভিন্ন লিঙ্গ হলেও তারা একে অপরের সাথে জীবনের মূল গঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত। প্রজনন ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকা ভিন্ন হলেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিশুর জন্মের জন্য যেমন পুরুষের শুক্রাণু প্রয়োজন, তেমনই নারীর ডিম্বাণু ও গর্ভাধারণের ভূমিকা অপরিহার্য। এভাবে তারা একে অপরকে পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, যা মানবজাতির টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।

নারী-পুরুষের শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হলেও এই বৈচিত্র্য তাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলে। পুরুষের শক্তি ও ধৈর্য সাধারণত শারীরিক কাজে কার্যকর, যেখানে নারীর সহানুভূতি ও পরিচর্যা সম্পর্কিত গুণাবলী পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

নারী ও পুরুষ একসঙ্গে সমাজ গঠন করেছে। প্রাচীন যুগে পুরুষ প্রধানত শিকার ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করত, আর নারী পরিবারের যত্ন ও খাবার সংগ্রহে মনোনিবেশ করত। যদিও আধুনিক যুগে এই ভূমিকার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, তবুও এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এখনও আমাদের আচরণ ও সামাজিক কাঠামোয় প্রভাব ফেলে। নারী ও পুরুষ উভয়েই সমাজে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকে। একজন পুরুষ যেমন পরিবারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব নিতে পারে, তেমনি একজন নারীও কর্মজীবনে অংশগ্রহণ করতে পারে। বর্তমান সমাজে নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, কারণ এটি শুধু তাদের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে না, বরং সমাজকে আরও উন্নত করে।

বিভিন্ন ধর্মে নারী ও পুরুষকে স্রষ্টার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে নারী ও পুরুষ একে অপরের “লিবাস” (পোশাক) হিসেবে বর্ণিত হয়েছে, যা পরস্পরের পূর্ণতা ও নিরাপত্তার প্রতীক। হিন্দুধর্মে স্ত্রী ও পুরুষকে “অর্ধনারীশ্বর” (শিব ও পার্বতীর মিলিত রূপ) বলে চিত্রিত করা হয়েছে, যা তাদের সমান গুরুত্ব বোঝায়। খ্রিস্টান ধর্মে ঈশ্বর আদম ও হাওয়াকে একে অপরের সহচর হিসেবে সৃষ্টি করেছেন বলে বলা হয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক কেবল শারীরিক বা মানসিক নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক সংযোগ। একে অপরের সহায়তা ছাড়া তাদের পূর্ণতা লাভ সম্ভব নয়। আধুনিক সমাজে নারী ও পুরুষের ভূমিকা আরও বৈচিত্র্যময় হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, এবং পুরুষও ঘরোয়া কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এই পরিবর্তন সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তি তৈরি করছে। তবে, এই পরিবর্তনের ফলে নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও, নারী ও পুরুষের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে। নারী ও পুরুষের মধ্যে মানসিক সংযোগ তাদের সম্পর্কের ভিত্তি। এটি কেবল ভালোবাসা বা রোমান্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাদের মধ্যে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা সম্পর্ককে মজবুত করে। একটি পরিবার গঠন করার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই ভূমিকা অপরিসীম। পুরুষের নেতৃত্ব ও সুরক্ষা এবং নারীর পরিচর্যা ও মানসিক সমর্থন একটি সুস্থ ও সুষ্ঠু পরিবারের জন্য অপরিহার্য।

নারী ও পুরুষের সম্পর্ক যত গভীরই হোক, তাতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন, সামাজিক সংস্কার, লিঙ্গবৈষম্য, এবং সমান সুযোগের অভাব। অনেক সমাজে পুরুষদের তুলনায় নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বা সামাজিক স্বীকৃতিতে নারী পিছিয়ে থাকতে পারে। অনেক সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও সংস্কার নারী ও পুরুষের সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। অনেক সময় নারী ও পুরুষের মধ্যে সঠিক যোগাযোগের অভাব সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি করে।

নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা, সচেতনতা, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। সমাজে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠার জন্য নারীর ক্ষমতায়ন ও পুরুষের মানসিকতার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। নারী ও পুরুষ যদি একে অপরকে সমান সম্মান দেয় এবং সহযোগিতার মনোভাব বজায় রাখে, তবে সমাজ আরও প্রগতিশীল ও শক্তিশালী হবে। নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। তাদের সম্পর্ক কেবল শারীরিক বা মানসিক নয়, বরং তা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কের মাধ্যমে মানবজাতি একদিকে যেমন টিকে আছে, তেমনি সমাজ, সংস্কৃতি, এবং সভ্যতার অগ্রগতিও নিশ্চিত হচ্ছে। তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন নারী মানসিক শান্তি পেলে তবেই শারীরিক চাহিদার কথা ভাবে। নারী ও পুরুষের চাহিদার এই ভিন্নতার কারণেই তাদের সম্পর্ক আরও জটিল এবং গভীর। পুরুষের সমস্ত ডিপ্রেশন এবং ক্লান্তি দূর হয় সঙ্গীর সাথে শারীরিক সংযোগে। যদি আপনি আপনার পুরুষ সঙ্গীকে খুশি করতে চান, তবে তার সাথে অবশ্যই শারীরিক Attachment থাকা প্রয়োজন, এবং তা মন থেকে হতে হবে। নারীরা, বিপরীতে, মানসিক Attachment-এ বেশি গুরুত্ব দেয়। যদি তার মন ভালো থাকে, তাহলে সে স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক সংযোগে আগ্রহী হয়। কিন্তু যদি তার মানসিক অবস্থা ভালো না থাকে, তাহলে সে কোনো কিছুতেই সাড়া দেয় না। নারীর মনই তার আসল শক্তি। একজন নারী চাইলে একজন পুরুষের জীবনকে নতুন করে সাজাতে পারে। আবার সেই নারী চাইলে একজন পুরুষের জীবনকে পুরোপুরি নষ্টও করে দিতে পারে। একজন নারী চাইলেই একজন পুরুষকে সম্মানের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলে তাকে অসম্মানের তলানিতে নামিয়ে আনতে পারে।

নারী চাইলে একজন পুরুষকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারে। আবার চাইলে তাকে নিঃস্ব করে দিতে পারে।
নারী চাইলে একটি সুন্দর পরিবার এবং সুখী সংসার গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলে সেই সংসারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। নারী একজন পুরুষকে পরিবার, সমাজ, এবং নিজের প্রতি আবদ্ধ রাখতে পারে। আবার চাইলে সে পুরুষকে একা করে, পরিবারহীন করে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে।
নারী তার শিক্ষা, শক্তি, মায়া, ভালোবাসা এবং মমতার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
নারী চাইলে একজন পুরুষকে শত খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্ত করে ভালো মানুষে পরিণত করতে পারে। আবার ভালো মানুষকে নষ্ট করতেও সক্ষম। নারী, তোমার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস। তুমি তোমার সৌন্দর্য, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার শক্তি দিয়ে তোমার সংসার, পরিবার এবং সমাজকে সুন্দর করে তুলবে।

তোমার প্রেম হোক তোমার সংসার,
তোমার ভালোবাসা হোক তোমার স্বামী,
আর তোমার মায়ার বাঁধন হোক তোমার সন্তান।

নারী, তুমি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারো। তুমি পারো, পুরো পৃথিবী বদলে দিতে। জীবনের পরিপূরক দুই অঙ্গ। নারী ও পুরুষ মানবজীবনের দুটি অপরিহার্য উপাদান। এদের মধ্যে সম্পর্ক শুধু শারীরিক বা মানসিক নয়, বরং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব বিস্তার করে। তারা একে অপরকে পরিপূরক হিসেবে সহযোগিতা করে মানবসভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করেছে। নারী ও পুরুষ একে অপরের উপর নির্ভরশীল। জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তারা প্রজনন প্রক্রিয়ায় সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরুষের শক্তি ও উদ্যম এবং নারীর পরিচর্যা ও সহানুভূতি মানবজাতির টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।

প্রাচীনকাল থেকে সমাজে নারী ও পুরুষ ভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছে। পুরুষ প্রধানত বাহ্যিক কাজ এবং নিরাপত্তা প্রদান করত, আর নারী পরিবার ও সমাজের অন্তর্গত কাজগুলোর ভার বহন করত। আধুনিক যুগে এই দায়িত্ব পালনের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। এখন নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সমান অবদান রাখছে, আর পুরুষরা পারিবারিক দায়িত্ব ভাগ করে নিচ্ছে।

প্রত্যেক ধর্ম নারী ও পুরুষের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষ একে অপরের পোশাকস্বরূপ, যা তাদের পারস্পরিক সুরক্ষা ও সম্মানের প্রতীক। অন্যদিকে, হিন্দু ধর্মে স্ত্রী ও পুরুষকে “অর্ধনারীশ্বর” রূপে চিত্রিত করা হয়েছে, যা তাদের সমানতা ও একতার প্রতীক। সমাজে এখনও নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা অর্জন একটি চ্যালেঞ্জ। লিঙ্গবৈষম্য, কর্মক্ষেত্রে নারীর সুযোগের অভাব, এবং সামাজিক কুসংস্কার এই সমতা প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করে। তবে শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। তাদের সম্পর্কের মধ্যে সমতা, সম্মান, এবং সহযোগিতা থাকলে একটি সমাজ উন্নত ও স্থিতিশীল হয়। তাই তাদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে মানবজীবনের সব দিককে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।

সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ণ
সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এত প্রাণের বিনিময়ে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার মধ্য দিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক সরকার হবে জবাবদিহিমূলক। এটি আর অতীতের সরকারের মতো হবে না।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বরিশালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে এসে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডাকসু নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয় নয়। অনেকেই বলেছিল, এই নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ন  রেখেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো দেখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যতদিন থাকছি, ততদিন সম্ভবপর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। তবে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
এ সময় উপদেষ্টা বরিশালের নদীবন্দর, জেলখাল, পোর্ট রোড ও স্টিমার ঘাট পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) খেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে নৌরুটে প্যাডেলচালিত জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
পরিদর্শনকালে বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।