খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

ফ্যাসিবাদের জামানায় শিকারি সাংবাদিক

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
ফ্যাসিবাদের জামানায় শিকারি সাংবাদিক

ফ্যাসিবাদের যুগে সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত জটিল এবং বিপজ্জনক। ফ্যাসিবাদী শাসন সাধারণত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা, এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দমন করার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা স্থাপন ও রক্ষা করে। এই শাসনব্যবস্থায় সাংবাদিকদের কাজ শুধু কঠিনই নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই তাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের “শিকারি” হিসেবে উল্লেখ করা যায়, যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসন্ধানে নিরন্তর কাজ করে, যদিও তারা নিজেরাই শিকার হয়ে পড়ে। ফ্যাসিবাদ হলো এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা, যা জাতীয়তাবাদ, সামরিকতন্ত্র এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর সীমাবদ্ধতা আরোপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি সাধারণত একনায়কতন্ত্র, মতপ্রকাশের দমন, এবং রাজনীতি ও অর্থনীতির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখে। ফ্যাসিবাদী সরকার মিডিয়াকে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ায়, যাতে জনগণ তাদের শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন করে। মতবিরোধ, সমালোচনা, বা সরকারের অপকর্ম প্রকাশ করার চেষ্টা করলে সাংবাদিকদের শারীরিক নির্যাতন, গ্রেফতার, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয়।

সাংবাদিকতার ভূমিকা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে : সাংবাদিকতা হল গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটি শাসকদের জবাবদিহিতার মধ্যে রাখে এবং জনগণকে তথ্যসমৃদ্ধ করে। তবে ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে সাংবাদিকরা অনেক বাধার সম্মুখীন হন। এ ধরনের শাসনে সাংবাদিকদের মূল চ্যালেঞ্জ হল : ফ্যাসিবাদী শাসন সাধারণত সাংবাদিকদের উপর কঠোর সেন্সরশিপ আরোপ করে। তথ্য সংগ্রহ করা এবং তা প্রচার করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। ফ্যাসিবাদী শাসন তাদের প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য সাংবাদিকদের বাধ্য করে। এতে সাংবাদিকদের নৈতিকতার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফ্যাসিবাদী শাসকরা সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্য গ্রেফতার, হুমকি এবং সহিংসতার আশ্রয় নেয়। অনেক সাংবাদিক নিখোঁজ বা নিহত হন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক সময় এই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বা তাদের সমর্থনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়।

ফ্যাসিবাদী শাসনে “শিকারি সাংবাদিক” বলতে এমন সাংবাদিকদের বোঝানো হয় যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্য অনুসন্ধান করেন। তারা শাসকের ভয় দেখানো বা দুর্নীতির মুখোশ খুলে দিতে সচেষ্ট হন। কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও সেন্সরশিপের মধ্যেও তারা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সত্য তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। অনেকে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে তা প্রকাশ করেন, যাতে তাদের নিজ দেশের আইন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত না হয়। শিকারি সাংবাদিকরা ব্লগ, সামাজিক মাধ্যম এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মতো বিকল্প মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের বার্তা পৌঁছান। এই সাংবাদিকরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। উদাহরণ: ফ্যাসিবাদের যুগে শিকারি সাংবাদিকদের সংগ্রাম ইতিহাসে এমন বহু উদাহরণ রয়েছে যেখানে সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন: হিটলারের শাসনামলে জার্মানিতে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও কিছু সাংবাদিক, যেমন কার্ল ফন অসিয়েতস্কি, তাদের লেখার মাধ্যমে নাৎসি শাসনের অব্যবস্থাপনা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রকাশ করেন। এর জন্য তাদের জেল, নির্যাতন এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়। স্তালিনের আমলে সংবাদ মাধ্যম কেবলমাত্র শাসকের হাতিয়ার ছিল। তবুও কিছু সাংবাদিক, যেমন আনা পলিটকোভস্কায়া, তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্য উদ্ঘাটন করেন। মিয়ানমারে, বেলারুশে এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে সাংবাদিকদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তবুও শিকারি সাংবাদিকরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যেমন মিয়ানমারের উইন টিন এবং বেলারুশের মারিয়া রাসোলভা।

ফ্যাসিবাদের যুগে সাংবাদিকদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল তাদের নিরাপত্তা। রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট শক্তি প্রায়শই তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়। কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে সাংবাদিকরা নতুন নতুন উপায়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফ্যাসিবাদী সরকাররা নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাংবাদিকদের উপর নজরদারি করে এবং তাদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। অনেক সময় সাধারণ মানুষও ভয়ে সাংবাদিকদের সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানায়। ন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি, যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, সাংবাদিকদের রক্ষা করতে ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সাংবাদিকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে, যা সেন্সরশিপ এড়াতে সহায়।

ফ্যাসিবাদের যুগে শিকারি সাংবাদিকরা শুধুমাত্র পেশাদার নন; তারা সমাজের জন্য একজন যোদ্ধা। তাদের কাজের মাধ্যমে তারা শুধু সত্য উদ্ঘাটন করেন না, বরং মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করেন এবং শাসকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সাহায্য করেন। যদিও তাদের পথ অত্যন্ত কণ্টকাকীর্ণ, তবুও তাদের আত্মত্যাগ মানবজাতির জন্য অনুপ্রেরণা। একবিংশ শতাব্দীতে, যখন ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে, তখন এই শিকারি সাংবাদিকরাই আমাদের গণতন্ত্রের প্রতিরক্ষক।

ফ্যাসিবাদের যুগে শিকারি সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে আরো গভীর বিশ্লেষণ যোগ করা যেতে পারে, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা, ফ্যাসিবাদী সরকারের কৌশল, এবং সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত সংগ্রামের দিকগুলোকে বিশদভাবে আলোচনা করবো।ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা সাধারণত তিনটি মূল বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে সাংবাদিকতাকে দমন করে। ফ্যাসিবাদী সরকার সংবাদ মাধ্যমের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। তারা এমন সংবাদ প্রচার করতে বাধ্য করে যা শাসকদের সুনাম বাড়ায় এবং জনগণের মধ্যে ভয় বা একত্রীকরণ তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, নাৎসি জার্মানিতে জোসেফ গোয়েবেলসের প্রোপাগান্ডা মেশিন “ফ্রিহার প্রেস” নামমাত্র স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমকে সম্পূর্ণরূপে দমন করেছিল। সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্য শারীরিক আক্রমণ, বিচারহীন গ্রেপ্তার, এমনকি হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। মেক্সিকো, ফিলিপাইন, এবং তুরস্কের মতো দেশে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটে। ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদী সরকারের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে বিবেচিত হন।

অনেক ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র সংবাদ মাধ্যমকে তাদের “রাষ্ট্রের যুদ্ধ” নীতি বাস্তবায়নের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। সামরিকীকৃত প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ, এবং শাসকদের কর্তৃত্বকে সঠিক প্রমাণ করা হয়। ঝুঁকি ও নৈতিকতার প্রশ্নে ফ্যাসিবাদী শাসনে সাংবাদিকদের কাজ শুধু তথ্য সংগ্রহ বা প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ একটি যুদ্ধ। ফ্যাসিবাদের অধীনে সাংবাদিকরা প্রায়শই পছন্দের দুই পথের মুখোমুখি হন: শাসকের সাথে আপস করে কাজ চালিয়ে যাওয়া। বা সত্য উদঘাটনের জন্য জীবন, পরিবার এবং পেশা সবকিছুর ঝুঁকি নেওয়া।

আলোচিত কয়েকটি উদাহরণ : ড্যাফনে কারুয়ানা গ্যালিজিয়া (মাল্টা): তিনি মাল্টার শাসনব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন। ২০১৭ সালে বোমা হামলায় তার মৃত্যু ঘটে।জামাল খাশোগি (সৌদি আরব): সৌদি সরকারের নীতির সমালোচনা করার জন্য ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে কাজ করা সাংবাদিকদের নৈতিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে হয়। অনেক সময় তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার নীতিবোধের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। ফ্যাসিবাদী শাসকের চাপের মুখে কিছু সাংবাদিক বাধ্য হন সরকারের পক্ষে লিখতে। অন্যদিকে, যারা এর বিরুদ্ধে দাঁড়ান, তারা প্রায়শই নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জীবন বিপন্ন করে। শিকারি সাংবাদিকদের শক্তি ও কৌশল শিকারি সাংবাদিকরা একদিকে শাসকদের প্রোপাগান্ডার মুখোশ উন্মোচন করেন, অন্যদিকে তারা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করেন। তাদের প্রতিরোধের কিছু কৌশল হলো:গোপন সংবাদ সংযোগ:কিছু সাংবাদিক সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম এড়িয়ে বিকল্প উপায়ে তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করেন। তারা নির্ভর করেন অনলাইন মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার ওপর।

প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে ফ্যাসিবাদী শাসকদের সেন্সরশিপ এড়ানোর নতুন পথ তৈরি হয়েছে। এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাংবাদিকরা তথ্য সরবরাহ করে থাকেন। ফ্যাসিবাদী শাসনে কাজ করা সাংবাদিকরা প্রায়শই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মতো সংস্থাগুলি সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কাজ করে।

শিকারি সাংবাদিকদের ভূমিকা শুধু তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহে সীমাবদ্ধ নয়। তারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী সচেতনতা তৈরি করেন, যা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়।সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদী শাসনের অন্যায়, দুর্নীতি, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন তুলে ধরে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ফ্যাসিবাদী সরকার তথ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণকে অজ্ঞ করে রাখার চেষ্টা করে। সাংবাদিকরা সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সাহস এবং সচেতনতা তৈরি করেন।

অনেক সময় ফ্যাসিবাদী শাসন পতনের পর সাংবাদিকরা ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে কাজ করেন। তারা নথিভুক্ত করেন যে কীভাবে একটি জাতি ফ্যাসিবাদের করালগ্রাসে পড়েছিল এবং সেখান থেকে মুক্তি লাভ করেছিল।

ফ্যাসিবাদের যুগে সাংবাদিকদের ভূমিকা কেবলমাত্র একটি পেশার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি নৈতিক, রাজনৈতিক, এবং সামাজিক দায়িত্ব। শিকারি সাংবাদিকরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার স্বার্থে কাজ করেন। তারা কেবল শাসকদের বিরুদ্ধে নয়, বরং জনগণের উদাসীনতা এবং ভয়কেও চ্যালেঞ্জ জানায়।

যখন ফ্যাসিবাদ সব কিছুকে দমন করতে চায়, তখন এই সাংবাদিকরাই সমাজের অন্ধকার সময়ে আলোর ঝলকানি হয়ে ওঠে। ইতিহাস বারবার দেখিয়েছে, সত্যের অনুসন্ধানীরা শাসকদের ভয় পায় না। তাদের আত্মত্যাগ ও সাহস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কখনো সহজে পাওয়া যায় না।

লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ২০২১ ব্যাচ, বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট (পিআইবি)।

 

ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, মিলন এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এই দিনে সবাই চায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে, নতুন কাপড় পরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। কিন্তু এমন অনেকের মধ্যেও থাকে এমন কেউ, যার জন্য একটি নতুন জামা শুধু পোশাক নয়, বরং স্বপ্ন, গর্ব, আত্মমর্যাদা এবং একটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এই প্রবন্ধে আমরা এমন এক নতুন জামার কথা বলব, যে জামার শুধু দামী কাপড় বা ডিজাইনের গর্ব নেই, বরং রয়েছে আত্মার গভীরে জমে থাকা এক মানুষের স্বপ্নের গল্প।

শহরের এক কোণায় বাস করে ছোট্ট ছেলেটি রিয়াদ। বয়স প্রায় দশ। তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনোভাবে দিন কাটে তাদের। বছরের প্রতিটি দিন কাটে সংগ্রামের মাঝে, কিন্তু ঈদ আসে স্বপ্নের আলো নিয়ে। ঈদে নতুন জামা পাবে, এই আশায় রিয়াদ এক মাস রোজা রাখে, নিজের মনকে শক্ত করে।

তবে এই জামা আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বাবার মুখে ভাঁজ আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। মা বারবার বলেন, “এবার হয়তো পুরনো জামাতেই ঈদ করতে হবে।” কিন্তু রিয়াদ বিশ্বাস করে—আল্লাহ যদি রোজা কবুল করেন, তাহলে একটা নতুন জামা হয়তো আসবেই।

এই জামার অপেক্ষা শুধু রিয়াদের নয়, এটি যেন তার মন-প্রাণের আকুতি। এই জামা তার জন্য স্বপ্নপূরণ, আত্মমর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের অনুভব।

আমরা অনেক সময় বুঝি না, একটি নতুন জামা একজন শিশুর জন্য কতটা অর্থবহ হতে পারে। ধনী পরিবারের শিশুর কাছে এটি হয়তো একটি চমকপ্রদ পোশাক, কিন্তু রিয়াদের কাছে এটি স্বপ্ন পূরণের মতো। সে ভাবে, ঈদের দিন সবার মতো তাকেও যদি নতুন জামায় দেখা যায়, তাহলে সে আর অবহেলিত হবে না, তার বন্ধুরা তাকে হাসবে না। তারও মুখে হাসি ফুটবে, তারও ছবি উঠবে মোবাইল ক্যামেরায়।

এই জামা তার আত্মবিশ্বাস, যেটা সে স্কুলে পড়ার সময় খুঁজে বেড়ায়, যখন ক্লাসের অন্য ছেলেরা নতুন জামা পরে আসে আর সে পড়ে থাকে একঘেয়ে মলিন কাপড়।

এখানে জামার একটি কল্পিত স্বর ও ভাষা কল্পনা করা যাক—যেখানে জামাটি যেন নিজের মনে নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে: “আমি কোনো বিলাসী দোকানের শেলফে ঝুলে থাকা দামি জামা নই। আমি সেই জামা, যাকে এক দরিদ্র বাবার কষ্টের টাকায় কিনে আনা হবে তার ছেলের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।
আমি হয়তো রঙিন নই, হয়তো আমার ডিজাইনে জাঁকজমক নেই, কিন্তু আমি গর্বিত। কারণ আমি হব একটি শিশুর ঈদের স্বপ্ন পূরণের বাহক। আমি হব আত্মমর্যাদার প্রতীক, আমি হব ঈদের প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি।”

এই ভাবনার মধ্যেই ফুটে ওঠে জামার স্বপ্ন—সে চায়, তাকে কেউ ভালোবাসুক, পরিধান করুক, আর আনন্দ পাক।

রিয়াদের মা হয়তো নিজের জন্য কোনো কাপড় কিনবেন না, বাবা হয়তো একজোড়া চপ্পল না কিনে সেই টাকায় ছেলের জামা কিনে দেবেন। কারণ, সন্তানের হাসির চেয়ে বড় কিছু তাদের কাছে নেই। একটি নতুন জামার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি পরিবারের নীরব ত্যাগ, ভালোবাসা আর গোপন কান্না।

ঈদের নতুন জামা এই পরিবারগুলোর কাছে শুধু পোশাক নয়—এটা এক সম্মান, ভালোবাসা এবং আত্মতৃপ্তির চিহ্ন। অনেক সময় বাবা-মায়েরা নিজেদের প্রয়োজন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চান। নতুন জামা যেন সেই আত্মত্যাগের স্বাক্ষর হয়ে উঠে।

ঈদের দিন আমরা যখন দেখি কেউ চকচকে কাপড় পরে বেরিয়েছে, আর কেউ পুরনো জামা পরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, তখন সামাজিক বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নতুন জামার গুরুত্ব সেখানে দ্বিগুণ। এটি একধরনের সামাজিক মর্যাদা।

রিয়াদ হয়তো তার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে—আমারও যদি এমন একটা জামা থাকত! শুধু ঈদের দিনটা নয়, পুরো জীবনজুড়ে সেই হাহাকার থেকে যায়। এই এক টুকরো জামাই তার স্বপ্নকে উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে, আর না থাকলে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।

দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদে জামার প্রাপ্তি মানে কী? সমান মর্যাদা – অন্যদের মতো তাকেও দেখা হয় একজন ‘পূর্ণ’ শিশুর মতো।  আত্মবিশ্বাস – নতুন জামা পরে সে খুশি মনে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি – সে উপলব্ধি করে, তার মা-বাবা তাকে কত ভালোবাসে।

৪. ভবিষ্যতের স্বপ্ন – একজন শিশু জানে, সে যদি চেষ্টার মধ্যে থাকে, তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।

ঈদের সকালে রিয়াদের ঘুম ভাঙে ভোরবেলা। মা হাসিমুখে এসে বলে—
“এই দেখ, তোমার নতুন জামা।”
রিয়াদ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। হাত বাড়িয়ে জামাটা নেয়, চোখে জল চলে আসে। “আমার?”
মা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, “হ্যাঁ বাবা, তোমার।”
রিয়াদ তার ছোট জামাটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে, যেন এটিই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সেই জামা তখন আর শুধু সুতা ও রঙের মিশ্রণ নয়, সেটি তখন একটি ‘স্বপ্ন’। একটি সন্তুষ্টির প্রতীক, একটি ছোট শিশুর গর্বের নিশান।

আমরা যারা সমাজের ভাগ্যবান অংশ, তাদের উচিত এই বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হওয়া। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা অনেকেই প্রচুর জামা কিনি, কিন্তু ভাবি না পাশের দরিদ্র শিশুটার কথা। যদি আমরা একটি নতুন জামা কাউকে দিতে পারি, তাহলে তার ঈদটা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সেরা দিন।সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার—সবাই যদি চায়, তাহলে প্রত্যেক শিশুর ঈদে একটি নতুন জামা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি দান নয়, এটি মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা।

“ঈদে একটি নতুন জামা যার স্বপ্ন” এই বাক্যটি শুধুমাত্র কোনো এক জামা বা একটি শিশুর গল্প নয়, এটি হাজারো রিয়াদের গল্প। এটি আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের জীবনবোধের চিত্র। একটি নতুন জামা কেবল দেহ ঢাকার উপকরণ নয়, এটি মানুষের সম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসার প্রতীক। আমরা যদি এই একটুকরো জামার ভেতর মানুষের আবেগ, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ দেখতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। আসুন, এই ঈদে আমরা কেবল নিজেদের জন্য না, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও একটি নতুন জামার স্বপ্ন বুনি।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা (১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৫) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০২৫-২০২৮) ঘোষণা করা হয়েছে। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সর্বশেষ সংশোধন ২০১৩) ও সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সর্বশেষ সংশোধন ২০২০) অনুযায়ী নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন (পরিদর্শক, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর) কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি- মোঃ ইকবাল আজম (প্রতিনিধি, দি চাঁদপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সহ-সভাপতি- মোঃ আফজাল হোসেন খান (প্রতিনিধি, মিলেনিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সম্পাদক- দুলাল চন্দ্র দাস (প্রতিনিধি, বাগড়া শিক্ষিত বেকার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- মোঃ আক্কাস ফরাজী (প্রতিনিধি, রূপসী পল্লী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- খন্দকার ফখরুল আলম (প্রতিনিধি, আশার আলো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সদস্য- মোঃ খোরশেদ আলম (প্রতিনিধি, খাজুরিয়া বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ)।
জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জেলা সমবায় ইউনিয়ন, জেলার সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচিত কমিটি ছিল না, যার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন থেকে চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। সমবায় বিভাগ এতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করে, যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা একটি নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি সমবায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি মুরাদ হোসেন খান, জুন হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতিনিধি এ ওয়াই এম জাকারিয়া, ওয়ারলেস বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউদ্দিন, ইসলামীয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি নাজমুল হুদা প্রমূখ।
উল্লেখ্য প্রতি ৩ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও ২০১২ সালের পর, দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হলো।

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ২ জুন বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো, এবার সোমবার ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিকীকরণ সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যদিও গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।