খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

কি কারণে পদত্যাগ করছেন ট্রুডো? এরপর কী হবে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
কি কারণে পদত্যাগ করছেন ট্রুডো? এরপর কী হবে?

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতাসীন দলের নেতার পদ ছাড়ছেন। জাতীয় স্তরে দলীয় বৈঠকের আগে এই ঘোষণা দিয়েছেন ট্রুডো নিজেই। গত ৯ বছর ধরে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। কিন্তু এখন লিবারেল পার্টির মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। তার দলের প্রচুর পার্লামেন্ট সদস্য ও নেতা প্রকাশ্যেই ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন।

সোমবার ট্রুডো বলেছেন, “দল নতুন নেতা নির্বাচনের পরই আমি পদত্যাগ করবো”। তাকে সরিয়ে নতুন নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যও তিনি দলকে নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রুডো জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের পরের অধিবেশন ২৪ মার্চের পরেই হবে। দল নতুন নির্বাচন করা পর্যন্ত ট্রুডোই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং ২০১৫ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনিই কানাডায় সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে আছেন।

কেন ট্রুডো ইস্তফা দিচ্ছেন?

দলের পার্লামেন্ট সদস্যরাই চাইছিলেন ট্রুডো ইস্তফা দিক। জনমত সমীক্ষায় বলা হচ্ছিল, এই বছরের শেষে যে নির্বাচন হওয়ার কথা আছে, তাতে লিবারেল পার্টি খুব খারাপ ফল করবে। ট্রুডো বলেছেন, “আমার কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আমায় যদি দলে অভ্যন্তরীণ লড়াই লড়তে হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে লড়ার জন্য আমি সেরা বিকল্প হতে পারি না। দেশকে তাদের সেরা নেতা বাছার একটা সুযোগ দেওয়া দরকার।” পরপর দুই বার তার নেতৃত্বে দল নির্বাচনে জিতেছে। মানুষ তাকে দেখে ভোট দিয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে তার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া ও আবাসন সংকটই তার প্রধান কারণ। ২০১৯ সাল থেকে ট্রুডো সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছেন। ট্রুডো বলেছেন, “আমার দল ও দেশের জন্য আমি লড়াই করতে ভয় পাই না। আমি কানাডার মানুষের স্বার্থে, দেশ, দল ও গণতন্ত্রের স্বার্থে লড়াই করাটা আমার পছন্দের।” গত ডিসেম্বরে অর্থমন্ত্রী ও তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড আর্থিক নীতি নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে ইস্তফা দেন। এই নিয়ে সোমবারও ট্রুডো কিছু বলতে চাননি। তবে এই ঘটনা তার অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

এরপর কী হবে?

সোমবার ট্রুডো যে ঘোষণা করেছেন, তাতে স্পষ্ট, আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার নেবেন, তখন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। ট্রাম্প কানাডার বিরুদ্ধে শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন, যা করা হলে কানাডার অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়তে পারে। ট্রুডোর পর মার্ক কারনি লিবারেল পার্টিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। তিনি ইতোমধ্যেই ট্রুডোকে তার সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। বিরোধী রক্ষণশীলরা পরের নির্বাচনে জিততে পারে বলে জনমত সমীক্ষায় বলা হচ্ছে। তারা যদি জেতে তাদের নেতা পিয়ার পলিয়েভর কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।

ট্রুডো অবশ্য বলেছেন, বিরোধী নেতার ভিশনের সঙ্গে তিনি একমত নন। আর পলিয়েভর জানিয়েছেন, লিবারেল পার্টির নেতা যিনিই হোন না কেন, তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রস্তুত। এদিকে ট্রুডোর ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় এক দশক ধরে তিনি কানাডার সরকারকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সব বিষয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অংশীদারিত্বের জন্য ট্রুডোর প্রতি কৃতজ্ঞ।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।