খুঁজুন
                               
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২

কি কারণে পদত্যাগ করছেন ট্রুডো? এরপর কী হবে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
কি কারণে পদত্যাগ করছেন ট্রুডো? এরপর কী হবে?

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতাসীন দলের নেতার পদ ছাড়ছেন। জাতীয় স্তরে দলীয় বৈঠকের আগে এই ঘোষণা দিয়েছেন ট্রুডো নিজেই। গত ৯ বছর ধরে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। কিন্তু এখন লিবারেল পার্টির মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। তার দলের প্রচুর পার্লামেন্ট সদস্য ও নেতা প্রকাশ্যেই ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন।

সোমবার ট্রুডো বলেছেন, “দল নতুন নেতা নির্বাচনের পরই আমি পদত্যাগ করবো”। তাকে সরিয়ে নতুন নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যও তিনি দলকে নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রুডো জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের পরের অধিবেশন ২৪ মার্চের পরেই হবে। দল নতুন নির্বাচন করা পর্যন্ত ট্রুডোই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং ২০১৫ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনিই কানাডায় সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে আছেন।

কেন ট্রুডো ইস্তফা দিচ্ছেন?

দলের পার্লামেন্ট সদস্যরাই চাইছিলেন ট্রুডো ইস্তফা দিক। জনমত সমীক্ষায় বলা হচ্ছিল, এই বছরের শেষে যে নির্বাচন হওয়ার কথা আছে, তাতে লিবারেল পার্টি খুব খারাপ ফল করবে। ট্রুডো বলেছেন, “আমার কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আমায় যদি দলে অভ্যন্তরীণ লড়াই লড়তে হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে লড়ার জন্য আমি সেরা বিকল্প হতে পারি না। দেশকে তাদের সেরা নেতা বাছার একটা সুযোগ দেওয়া দরকার।” পরপর দুই বার তার নেতৃত্বে দল নির্বাচনে জিতেছে। মানুষ তাকে দেখে ভোট দিয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে তার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া ও আবাসন সংকটই তার প্রধান কারণ। ২০১৯ সাল থেকে ট্রুডো সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছেন। ট্রুডো বলেছেন, “আমার দল ও দেশের জন্য আমি লড়াই করতে ভয় পাই না। আমি কানাডার মানুষের স্বার্থে, দেশ, দল ও গণতন্ত্রের স্বার্থে লড়াই করাটা আমার পছন্দের।” গত ডিসেম্বরে অর্থমন্ত্রী ও তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড আর্থিক নীতি নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে ইস্তফা দেন। এই নিয়ে সোমবারও ট্রুডো কিছু বলতে চাননি। তবে এই ঘটনা তার অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

এরপর কী হবে?

সোমবার ট্রুডো যে ঘোষণা করেছেন, তাতে স্পষ্ট, আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার নেবেন, তখন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। ট্রাম্প কানাডার বিরুদ্ধে শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন, যা করা হলে কানাডার অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়তে পারে। ট্রুডোর পর মার্ক কারনি লিবারেল পার্টিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। তিনি ইতোমধ্যেই ট্রুডোকে তার সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। বিরোধী রক্ষণশীলরা পরের নির্বাচনে জিততে পারে বলে জনমত সমীক্ষায় বলা হচ্ছে। তারা যদি জেতে তাদের নেতা পিয়ার পলিয়েভর কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।

ট্রুডো অবশ্য বলেছেন, বিরোধী নেতার ভিশনের সঙ্গে তিনি একমত নন। আর পলিয়েভর জানিয়েছেন, লিবারেল পার্টির নেতা যিনিই হোন না কেন, তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রস্তুত। এদিকে ট্রুডোর ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় এক দশক ধরে তিনি কানাডার সরকারকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সব বিষয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অংশীদারিত্বের জন্য ট্রুডোর প্রতি কৃতজ্ঞ।

ডাকাতিয়া নদীর তীরজুড়ে রমরমা বালু ব্যবসা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ
ডাকাতিয়া নদীর তীরজুড়ে রমরমা বালু ব্যবসা

ডাকাতিয়া নদীর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বালু ব্যবসার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাতে নদী ভাঙ্গনসহ কৃষি জমির ফসল উৎপাদনে ধস নামছে। এতে কৃষকরা কৃষি কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন। বিশেষ করে হাজীগঞ্জের বুক চিরে চলে যাওয়া ডাকাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে এমনটি হচ্ছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন। দিনের পর দিন বালু ব্যবসার কারণে ড্রেজিংকৃত নদীর নাব্যতাও হারাচ্ছে বলে জানান নদীপাড়ের কৃষকরা।
হাজীগঞ্জে আলীগঞ্জের নদীর পূর্বপাড়ে বালু মহালের কারণে বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী মাঠ ভেঙ্গে নদীতে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় ভিটে-মাটিহীন হয়ে পড়ছে নদী তীরবর্তী মানুষজন। ধেররা কোকাকোলা ঘাট সংলগ্ন এলাকা, বলাখাল নাটেহরা সেতুর গোড়া, সদর উপজেলার কামরাঙ্গা, ছোটসুন্দর এলাকাতে নদীর পাড়কেন্দ্রিক বালু মহালের কারণে মহাল সংলগ্ন পাশের কৃষি জমিগুলোতে কৃষি পণ্য উৎপাদনে ধস নেমেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এমনকি বালু উঠানোর কারণে মহাল সংলগ্ন নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে ডাকাতিয়া।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ডের আলীগঞ্জ এলাকা এবং পাশের দক্ষিণ পাড় বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রাম। গত কয়েক বছর ধরে ডাকাতিয়া নদীর উত্তর পাড় আলীগঞ্জ এলাকায় বেশ কয়েকটি বালু মহাল গড়ে উঠে। বাল্কহেডে করে বালু এখান থেকে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে নেয়া হয়। উপজেলা ভূমি অফিসের পূর্ব পাশে ডাকাতিয়া নদীর পূর্বপাড়ে তিনটি ড্রেজার রয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত বালু আনলোড করা হয় এবং লোড ও আনলোডকৃত ১৫/২০টি ট্রলার নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থান করে। যার বিপরীত পাশেই এন্নাতলী গ্রামের কৃষি মাঠ। এখানেই নদীতে ভাঙ্গছে কৃষিজমিগুলো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু আনলোড করার সময় বাল্কহেডগুলো ঘুরানো হয়। এতে পানিতে প্রচণ্ড ঘূর্ণির সৃষ্টি হয়। এ কারণে নদীর পশ্চিম পাড় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। বালি ট্রাকে উঠানোর সময়  বাতাসে বালি উড়ে পাশের জমিগুলোতে গিয়ে পড়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এমন চিত্র অন্য বালুমহালগুলোতেও।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বাতাসে বালু উড়ে ফল ও শাক-সবজি গাছের ওপর পড়ায় বেশ কিছু কৃষিজমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। নদীর উত্তর পাড়ে রয়েছে উপজেলা ভূমি অফিস (সহকারী কমিশনারের কার্যালয়)। পুরানো এই কার্যালয়টির ভবন এমনিতেই জরাজীর্ণ, তার ওপর প্রতিনিয়ত নদীর ভাঙ্গনে ভবনটিও হুমকির মুখে।
জানা যায়, চলতি বছর নদী ভাঙ্গনে এন্নাতলী কৃষি মাঠের একমাত্র সেচ পাম্পটিও ভেঙ্গে পড়ে। পরে কৃষকদের ক্ষোভের মুখে বালু ব্যবসায়ীরা নতুন করে সেচ পাম্পটি স্থাপন করে দিতে বাধ্য হন।
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন এলাকায় এসব বালু মহালের ইজারা দেওয়া হয়েছে। এক বছরের (বাংলা সন ১৪৩২) জন্যে পৌর ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার আলীগঞ্জ-এনায়েতপুর বালুঘাট ও সংযোগ বালুঘাটসমূহ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায় সরকারি মূল্যে ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
৪ এপ্রিল ২০২৫ বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসহ এন্নাতলী গ্রামের কৃষকরা কামাল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তাকে ড্রেজার সরানোর অনুরোধ করেন তারা। তখন তিনি বলেছেন, পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন। কিন্তু গত তিন সপ্তাহ পার হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে জানান স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. তাজুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক জানান, এন্নাতলীর চর এক ফসলি মাঠ। এই এক ফসল দিয়েই গ্রামের অনেকের জীবন-জীবিকা। অথচ বালু ব্যবসার কারণে প্রায় এক হাজার শতাংশ জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। এতে অনেকেই জমি ও ভূমিহীন হয়েছেন, এমনকি এ জমিগুলোতে চাষাবাদ ঠিক মতো হয় না।
বালু ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, আমার জমিতে বালু মহাল স্থাপন ও ড্রেজার বসিয়ে বালু ব্যবসা করছি। তাছাড়া এখানে আমি একা না, অনেকেই ব্যবসা করছেন। কথা বললে সবার সাথে বলতে হবে এবং কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সবার মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে প্রায় ২০ কোটি টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা করছি। বললেই তো ব্যবসা সরিয়ে নেওয়া যায় না। যদি আমি একা ব্যবসা করতাম, তাহলে আমার বালু মহাল আমি সরিয়ে নিতাম।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান বলেন, বালু মহালের ইজারা দেয়া হয়েছে। কিন্তু নদীতে ড্রেজার স্থাপন কিংবা ট্রলার রাখার বিষয়ে কোনো ইজারা বা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

মাও. রইছ উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে চাঁদপুরে ছাত্রসেনার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ
মাও. রইছ উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে চাঁদপুরে ছাত্রসেনার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

 ঢাকা গাজীপুর কাপাসিয়া এলাকার মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা রইছ উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে চাঁদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে  মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে শহরের বায়তুল আমিন মসজিদ চত্বরে (শপথ চত্বর) এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী যুবসেনা ও ইসলামী ছাত্রসেনার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চাঁদপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এএইচএম আহসান উল্লাহ, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হজরতুল আল্লামা বজলুল হক নকশবন্দী মোজাদ্দেদী আল-আজহারী, জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা খাজা মোহাম্মদ জোবায়ের,  বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আল-আমিন আজহারী, মাওলানা মাহফুজ উল্লাহ ইউসুফী, ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাড. শেখ ফরিদ মজুমদার, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চাঁদপুর জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা বাদরুদ্দোজা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলার সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বাবু প্রমুখ। পরিচালনা করেন ছাত্রসেনার জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জাহিদ।
বক্তারা বলেন, দেশটা যেনো একটা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মগের মুল্লুকে বাস করছি আমরা। যে যখন যাকে ইচ্ছা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। মাওলানা রইছ উদ্দিন একজন মসজিদের ইমাম এবং খতিব। তিনি ২৬ এপ্রিল ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পক্ষে সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে নিজ মসজিদ এলাকায় আসলে কিছু দুর্বৃত্ত তাঁকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেধড়ক পিটায়। তাঁকে রক্ষাক্ত জখম করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর পুলিশ রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে আসে। থানা পুলিশের হেফাজতে থাকাবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মাওলানা রইছ উদ্দিন মারা যান। তাই সংশ্লিষ্ট পুবাইল থানার ওসি কোনোভাবেই এই হত্যার দায় এড়াতে পারে না। মাওলানা রইছ উদ্দিন যদি দোষীও হয়ে থাকে তাহলেও পুলিশের দায়িত্ব ছিলো তাকে আগে চিকিৎসা করানো। কিন্তু পুলিশ সেটা করেনি। সে জন্যে আমরা মনে করি এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুবাইল থানার ওসিসহ পুলিশের হাত রয়েছে। তাই আমাদের সুস্পষ্ট দাবি হচ্ছে,  অনতিবিলম্বে গাজীপুরের পুবাইল থানার ওসিকে বরখাস্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হোক। একই সাথে যেসব দুর্বৃত্ত মাওলানা রইছ উদ্দিনকে পিটিয়ে মেরেছে তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হোক। বক্তারা একজন আলেমে দ্বীনকে মব সৃষ্টির মাধ্যমে হত্যা করা হলেও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি না আসায় হতাশা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমন আচরণে সরকারকে ধিক্কার জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।
সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহর ঘুরে অঙ্গীকারের সামনে গিয়ে মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতার প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠতা

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ
গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতার প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠতা

গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। তথ্য সরবরাহ, জনমত গঠন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে গণমাধ্যমের এই শক্তির অপব্যবহার যখন শুরু হয়, তখন তা হয়ে ওঠে ‘হলুদ সাংবাদিকতা’। বর্তমানে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী হলুদ সাংবাদিকতার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হলুদ সাংবাদিকতা বলতে এমন ধরনের সংবাদ পরিবেশনাকে বোঝায়, যেখানে সত্যের চেয়ে চাঞ্চল্য, গুজব, অর্ধসত্য, এবং অতিরঞ্জনের প্রতি বেশি মনোযোগ দেয়া হয়। এতে পাঠক বা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তবে এর মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বিকৃত হয়। সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও হলুদ সাংবাদিকতার বিস্তার লক্ষ্য করা যায়।
হলুদ সাংবাদিকতা অনেকগুলো বৈশিষ্ট আছে-অতিরঞ্জিত শিরোনাম, যাচাইবিহীন তথ্য, ব্যক্তিগত চরিত্রহনন, গুজব ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রচার, জনসচেতনতা বৃদ্ধির পরিবর্তে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
মূলকত হলুদ সাংবাদিকতার শুরু মূলত ১৯ শতকের শেষদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। উইলিয়াম র‌্যান্ডলফ হার্স্ট এবং জোসেফ পুলিৎজারের মধ্যে সংবাদপত্র বিক্রির প্রতিযোগিতায় চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশের প্রবণতা দেখা দেয়। তখন “ইয়েলো কিড” নামে একটি কমিক চরিত্র জনপ্রিয় হওয়ায় ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ শব্দটির জন্ম হয়। ধীরে ধীরে এটি একটি নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হতে থাকে। বর্তমান সময়ে, আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের বিকাশের সাথে সাথে হলুদ সাংবাদিকতার বিস্তার আরও দ্রুত হয়েছে।
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিকাশ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ১৯৯০-এর দশকের পর থেকে প্রিন্ট মিডিয়া ছাড়াও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং বর্তমানে অনলাইন মিডিয়া অনেক বিস্তৃত হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বাজার, দর্শক আকৃষ্ট করার চাপ এবং বিজ্ঞাপন আয়ের নির্ভরতাই মূলত হলুদ সাংবাদিকতার প্রসারে ভূমিকা রাখছে। কিছু সংবাদপত্র ও চ্যানেল সত্যাসত্য যাচাই না করেই চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রচার করে থাকে। যার ফলে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি জাতীয় নিরাপত্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
হলুদ সাংবাদিকতার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন-প্রতিযোগিতা এবং পাঠকসংখ্যা বাড়ানোর চাপ, বাজারে টিকে থাকার জন্য সংবাদমাধ্যমগুলো দ্রুততম এবং চিত্তাকর্ষক খবর প্রকাশের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। অর্থনৈতিক লাভের উদ্দেশ্য-বিজ্ঞাপনদাতারা যেখানে বেশি দর্শক বা পাঠকসংখ্যা দেখেন, সেখানে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেন। ফলে গণমাধ্যমগুলো দর্শকসংখ্যা বাড়াতে সংবাদের গুণগত মানের চেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে।
সাংবাদিকতার নৈতিকতার অভাব-অনেক সাংবাদিক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষা ছাড়াই পেশায় প্রবেশ করেন, যা হলুদ সাংবাদিকতার বিস্তার ঘটায়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-কিছু সংবাদমাধ্যম রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার-সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তা মূলধারার মিডিয়াতেও স্থান পায়, ফলে হলুদ সাংবাদিকতা বাড়ে।
হলুদ সাংবাদিকতার নানামূখী প্রভাব রয়েছে-তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জনমনে বিভ্রান্তি-ভিত্তিহীন এবং অতিরঞ্জিত সংবাদ জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, যা সামাজিক বিশৃঙ্খলা ডেকে আনতে পারে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনামহানি-মিথ্যা বা অপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশের ফলে ব্যক্তিগত জীবনে এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিতে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। গণমাধ্যমের উপর আস্থা কমে-বারবার হলুদ সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা জনগণকে গণমাধ্যমের প্রতি অবিশ্বাসী করে তোলে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষতি-প্রকৃত তথ্যের অভাবে নাগরিকরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে। সামাজিক অস্থিরতা-বিশেষ করে গুজব নির্ভর সংবাদ দ্রুত সামাজিক উত্তেজনা ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে।
হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধের আমাদেও অনেক করণীয় রয়েছে-যেমন নৈতিক সাংবাদিকতা চর্চা-সাংবাদিকদের উচিত নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব মেনে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করা। সঠিক তথ্য যাচাই না করে কোনো সংবাদ প্রকাশ করা উচিত নয়। সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা-গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার শিক্ষা প্রয়োজন। গণমাধ্যমের স্বনিয়ন্ত্রণ-গণমাধ্যমগুলো নিজেরাই নিজেদের কার্যক্রমের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে। প্রেস কাউন্সিল বা সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরো কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। আইনগত ব্যবস্থা-ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। তবে এতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি-পাঠক ও দর্শকদের সচেতন হতে হবে। যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো খবর বিশ্বাস করা উচিত নয়। মিডিয়া লিটারেসি শিক্ষার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করে তোলা জরুরি। সত্য-নির্ভর সাংবাদিকতার উৎসাহ-সংবাদের মান ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি প্রদান করা হলে সাংবাদিকরা হলুদ সাংবাদিকতার পরিবর্তে গঠনমূলক সাংবাদিকতার দিকে আগ্রহী হবে। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ-
ফেক নিউজ বা গুজব রোধে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে এবং সরকারিভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে হবে।
হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে বাংলাদেশে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে গণমাধ্যম নীতিমালা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন করে সংবাদ যাচাইয়ের পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন যেমন প্রেস কাউন্সিল, সাংবাদিক ইউনিয়ন ইত্যাদি সংগঠন সংবাদ পরিবেশনায় নৈতিকতার প্রচারণা চালাচ্ছে।
গণমাধ্যম আধুনিক সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু সংবাদ পরিবেশন করে না, বরং জনমত গঠনে, গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে গণমাধ্যমের এই শক্তি তখনই ইতিবাচক হয় যখন এটি বস্তুনিষ্ঠতার সাথে পরিচালিত হয়। বস্তুনিষ্ঠতা মানে হলো সত্যতা, নিরপেক্ষতা এবং পক্ষপাতহীনভাবে তথ্য উপস্থাপন করা। গণমাধ্যম যদি বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে তা জনগণের কাছে ভুল বার্তা প্রেরণ করে এবং সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব হলো তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করে তা যথাযথভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সংবাদ পরিবেশনের সময় ব্যক্তিগত মতাদর্শ, রাজনৈতিক পক্ষপাত কিংবা বাণিজ্যিক স্বার্থকে প্রভাবিত না করতে পারাই হলো বস্তুনিষ্ঠতা। একজন সাংবাদিকের কর্তব্য হচ্ছে তথ্যের উৎস যাচাই করা, ভিন্নমতকে সম্মান দেখানো এবং ঘটনার সবদিক তুলে ধরা। পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশন সমাজে বিভাজন তৈরি করে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আজকের বিশ্বে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং অনলাইন মাধ্যমের বিপুল বিস্তারের কারণে সংবাদ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিযোগিতার এই যুগে কিছু গণমাধ্যম দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন বা অর্থনৈতিক লাভের জন্য অতিরঞ্জিত ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে থাকে। এতে পাঠক বা দর্শকের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। গণমাধ্যমের উচিত — সংবাদের গতি নয়, গুণগত মানের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া। একটি স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যমই পারে সঠিক তথ্য তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করতে।
গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন স্ব-নিয়ন্ত্রণ এবং নৈতিকতা। সাংবাদিকদের অবশ্যই তাদের পেশাগত নীতিমালা মেনে চলতে হবে। একই সাথে, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞাপনী স্বার্থ বা কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপের কাছে নতি স্বীকার করা গণমাধ্যমের জন্য আত্মঘাতী। বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম জনগণের আস্থা অর্জন করে, আর এই আস্থাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।
তাছাড়া, সাধারণ জনগণেরও গণমাধ্যমের ওপর নজরদারি রাখা প্রয়োজন। ভোক্তাদের সচেতনতা গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ থাকার জন্য উৎসাহিত করে। আজকের যুগে সামাজিক মাধ্যমের বিস্তারে সাধারণ মানুষও সংবাদ প্রচারের অংশ হয়ে উঠেছে। তাই সংবাদ যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা এখন আরও বেশি। মিথ্যা সংবাদ বা গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এবং সত্য-ভিত্তিক তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে নাগরিকরাও গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে পারে।
সর্বশেষে বলা যায়, গণমাধ্যমের শক্তি তখনই প্রকৃত অর্থে সমাজের কল্যাণে আসে যখন সেটি বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখে। পক্ষপাতমুক্ত, ন্যায়সঙ্গত ও সত্যনিষ্ঠ গণমাধ্যমই পারে একটি সুস্থ, উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে।
গণমাধ্যমের প্রকৃত শক্তি হলো সত্য এবং জনস্বার্থ রক্ষা। হলুদ সাংবাদিকতা সেই শক্তিকে দুর্বল করে জনগণের আস্থা বিনষ্ট করে। তাই গণমাধ্যমের উচিত সত্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা এবং নৈতিকতার আদর্শ অনুসরণ করা। একইসঙ্গে পাঠক, দর্শক, সরকারি সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
তথ্যভিত্তিক, নিরপেক্ষ এবং গঠনমূলক সাংবাদিকতাই পারে গণতন্ত্রকে মজবুত করতে এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে। সুতরাং, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হলুদ সাংবাদিকতার বিষয়ে সচেতন থাকা, এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া।
লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ব্যাচ ২০২১, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, ঢাকা।