খুঁজুন
                               
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কিশোরীর প্রেম : জীবনের পরিবর্তনশীল এক অধ্যায়

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ
কিশোরীর প্রেম : জীবনের পরিবর্তনশীল এক অধ্যায়

কিশোরীর প্রেম একটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়, যা মানব জীবনের এক অনন্য অধ্যায়কে চিহ্নিত করে। এটি কিশোরী মেয়েদের মানসিক, সামাজিক, এবং শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। প্রেম, একটি অনুভূতি হিসেবে, এই বয়সে কিশোরীদের জীবনে বিশেষভাবে আবির্ভূত হয় এবং তাদের জীবনবোধ, মানসিক পরিপক্বতা, এবং ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে। এই প্রবন্ধে কিশোরীর প্রেমের নানা দিক বিশ্লেষণ করা হবে—মানসিক বিকাশ, সামাজিক প্রভাব, এবং এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলি নিয়ে।

কিশোর বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন একজন মেয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে দ্রুত পরিণত হতে থাকে। এই বয়সে প্রেম মূলত আবেগপ্রবণ, রোমাঞ্চকর এবং কৌতূহলনির্ভর হয়। এটি প্রথমবারের মতো একজন কিশোরীর জীবনে নতুন এক ধরনের আকর্ষণ, স্নেহ এবং সম্পর্ক গড়ার ইচ্ছা তৈরি করে। প্রেমের প্রতি এই আকর্ষণ স্বাভাবিকভাবেই তার বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।কিশোরী বয়সের প্রেমের বৈশিষ্ট্যগুলো অন্য বয়সের প্রেম থেকে আলাদা। এখানে আবেগ প্রাধান্য পায়, যুক্তি নয়। কিশোরীরা সাধারণত তাদের অনুভূতির গভীরতায় ডুবে যায় এবং তাদের প্রেমের সম্পর্কগুলোকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করে।

মানসিক ও শারীরিক বিকাশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক : কিশোরীদের মনের গঠন এ সময় দ্রুত পরিবর্তিত হয়। তাদের মানসিক বিকাশের অংশ হিসেবে, আত্মবিশ্বাস, স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাগুলো প্রেমের অনুভূতির মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে। প্রেমের মাধ্যমে তারা নতুন আবেগ এবং মানসিক জগতের সঙ্গে পরিচিত হয়। শারীরিক বিকাশও প্রেমের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। এই বয়সে কিশোরীদের শরীরে হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটে, যা তাদের আবেগপ্রবণ করে তোলে। এই আবেগ, কখনও কখনও, তাদেরকে নতুন সম্পর্ক গড়তে বা একটি বিশেষ ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হতে প্রভাবিত করে।

কিশোরীর প্রেমের ইতিবাচক দিক : কিশোরীর প্রেমের কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে, যা তাকে মানসিক ও ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে। প্রেম একটি কিশোরীর মনে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদার অনুভূতি জাগায়। একটি প্রেমময় সম্পর্ক কিশোরীর মানসিক শক্তি যোগাতে পারে। এটি তাকে একাকিত্ব থেকে মুক্তি দেয়। প্রেমের মাধ্যমে কিশোরীরা সম্পর্ক গড়ার কৌশল, সহযোগিতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করে। এই বয়সে প্রেম কিশোরীদের আবেগ সম্পর্কে সচেতন হতে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়।

কিশোরীর প্রেমের নেতিবাচক দিক : তবে, প্রেমের আবেগ অতিমাত্রায় গভীর হলে তা কখনও কখনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রেমের আবেগে ডুবে গিয়ে অনেক কিশোরী পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। সম্পর্কের জটিলতা ও প্রত্যাখ্যান অনেক কিশোরীর মধ্যে হতাশা বা মানসিক আঘাত তৈরি করতে পারে। প্রেমের কারণে অনেক কিশোরী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে, যা সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। আবেগের বশবর্তী হয়ে কিশোরীরা অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব : কিশোরীদের প্রেম নিয়ে সমাজে নানা মতবিরোধ রয়েছে। অনেক সমাজে এটি নিষিদ্ধ বা ট্যাবু হিসেবে বিবেচিত হয়। এর ফলে, কিশোরীরা তাদের প্রেমের অনুভূতি প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করে। আবার কিছু সমাজে প্রেমকে প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যেখানে কিশোরীরা তাদের অনুভূতিগুলো সহজেই প্রকাশ করতে পারে।

পরিবারের ভূমিকা : পরিবারের ভূমিকা কিশোরীর প্রেমকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা যদি কিশোরীর প্রেমের ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করেন, তবে এটি কিশোরীর জন্য উপকারী হতে পারে। কিশোরীর অনুভূতিগুলোকে সম্মান জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতে পারে। পরিবারের উচিত কিশোরীর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা, তবে তা কখনও যেন তার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ না করে।

কিশোরীর প্রেমের নৈতিক শিক্ষা : প্রেমের আসল অর্থ বোঝানো। দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে সচেতন করা। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল শেখানো।

কিশোরীর প্রেম একটি স্বাভাবিক ও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে, এটি সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে তা কিশোরীর জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের সমন্বিত ভূমিকা কিশোরীর প্রেমের আবেগকে সঠিক পথে চালিত করতে সহায়তা করতে পারে। একমাত্র তখনই কিশোরীরা প্রেমের মাধ্যমে জীবনের গভীর অর্থ উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাবে।

কিশোর বয়স জীবনের এক অপরিহার্য ও উত্তেজনাপূর্ণ সময়। এ সময় মেয়েরা ধীরে ধীরে শৈশব থেকে যৌবনে পদার্পণ করে। প্রেম, যা কিশোরীর জীবনে নতুন রঙ ও অনুভূতি নিয়ে আসে, তার মানসিক জগৎকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। প্রেমের আবেগ শুধু তাদের ব্যক্তিত্ব গঠনের অংশ নয়, এটি জীবনের বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার শুরু।

প্রেমের আবেগের গভীরতা : কিশোরীদের প্রেম সাধারণত কল্পনাপ্রবণ ও আবেগনির্ভর হয়। তারা তাদের আদর্শ ব্যক্তিকে রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শুরু করে। কিশোরীদের প্রেমের সম্পর্ক অনেক সময় মনের গভীর চাহিদা, স্নেহ, এবং নিরাপত্তার খোঁজ থেকে আসে। প্রেমের এই অনুভূতি তাদের মনের গভীরে আশা ও আকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়।

এই বয়সে প্রেমের সঙ্গে কিশোরীদের স্বপ্ন এবং বাস্তবতার দ্বন্দ্বও কাজ করে। তারা প্রেমকে শুধু সম্পর্ক হিসেবে নয়, বরং জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন দিক তাদের এই স্বপ্নকে ভেঙে দিতে পারে, যা তাদের আবেগের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।

প্রেম ও শিক্ষার সমন্বয়  : প্রেম তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কিছু কিশোরী প্রেমের আবেগে মগ্ন হয়ে পড়াশোনার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ে। আবার কিছু কিশোরী প্রেমের অনুপ্রেরণায় নিজেদের জীবনে বড় কিছু অর্জনের জন্য চেষ্টা করে।

ইতিবাচক দিক : প্রেম কিশোরীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা আনতে পারে। অনেকে তাদের ভালোবাসার মানুষের অনুপ্রেরণায় জীবনে বড় কিছু করার জন্য উৎসাহ পায়।

নেতিবাচক দিক : প্রেমের আবেগে কিশোরীরা অনেক সময় পড়াশোনার গুরুত্ব উপেক্ষা করে। এটি তাদের একাডেমিক ফলাফল এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

কিশোরীর প্রেমে বন্ধু ও সমাজের ভূমিকা : বন্ধুরা কিশোরীদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে। এই বয়সে কিশোরীরা বন্ধুদের সঙ্গে তাদের প্রেমের অনুভূতি শেয়ার করে। বন্ধুরা অনেক সময় কিশোরীদের প্রেমের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।

সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কিশোরীর প্রেমকে অনেকভাবেই প্রভাবিত করে। কিছু সমাজে কিশোর বয়সে প্রেমকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। ফলে কিশোরীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে সংকোচবোধ করে। আবার, কিছু সংস্কৃতিতে প্রেমকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হয়, যেখানে কিশোরীরা নিজেদের ইচ্ছা ও অনুভূতিগুলো নিয়ে খোলামেলা হতে পারে।

প্রেমের আবেগ নিয়ন্ত্রণে পারিবারিক ভূমিকা : পরিবার কিশোরীর প্রেমের বিষয়টি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে। পরিবার যদি কিশোরীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয় এবং তার মনের কথা শোনার চেষ্টা করে, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান সহজেই সম্ভব।

বাবা-মা যদি কিশোরীর প্রেমের বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন, তবে কিশোরী তার অনুভূতি নিয়ে স্বস্তি পাবে। এটি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগায়।পরিবারের উচিত কিশোরীদের জীবনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। তবে এটি যেন তাদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ না করে।

প্রেমের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের বিকাশ : কিশোরীর প্রেম শুধু আবেগের বিষয় নয়; এটি তার ব্যক্তিত্ব গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রেম কিশোরীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, আত্মবিশ্বাস, এবং সহনশীলতা গড়ে তোলে। প্রেমের মাধ্যমে কিশোরীরা নিজেদের ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতাগুলো উপলব্ধি করতে পারে। প্রেমের সম্পর্ক কিশোরীদের মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা এবং আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করে।

সম্পর্কের বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে দিয়ে কিশোরীরা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করে।

প্রেম ও প্রযুক্তির প্রভাব: বর্তমান যুগে প্রযুক্তি কিশোরীর প্রেমের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং অ্যাপ, এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠা এখন একটি সাধারণ বিষয়। তবে, এটি যেমন সুবিধা দেয়, তেমনি বিপদও বয়ে আনতে পারে।

প্রযুক্তি প্রেমের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনে। এটি সম্পর্ককে সহজ এবং আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

প্রযুক্তি-নির্ভর সম্পর্ক কখনও কখনও কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গোপনীয়তার অভাব, অতিরিক্ত সময় ব্যয়, এবং প্রতারণার ঝুঁকি কিশোরীদের বিপদে ফেলতে পারে।

নৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতা : কিশোর বয়সে প্রেমের বিষয়টি নিয়ে সঠিক নৈতিক শিক্ষা এবং সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমের প্রকৃতি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রেমের ভূমিকা বোঝানো। সম্পর্কের সীমা এবং গোপনীয়তার গুরুত্ব বোঝানো

কিশোরীর প্রেম জীবনের একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে প্রভাব ফেলে এবং তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে। প্রেমের এই অধ্যায় সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সমর্থন পেলে কিশোরীরা জীবনে আরও সফল এবং পরিপক্ব হয়ে উঠতে পারে। বাবা-মা, শিক্ষক এবং সমাজের সহানুভূতি ও সমর্থন কিশোরীদের প্রেমের অনুভূতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। এর মাধ্যমে কিশোরীরা তাদের জীবনের ইতিবাচক লক্ষ্যগুলো অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে।

লেখক: উজ্জ্বল হোসাইন, সংগঠক ও প্রাবন্ধিক। মোবাইল : 016751283, rtrujjal@gmail.com

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে

চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর সহায়তায়, এসডিজি ভিত্তিক পিস প্রজেক্টের পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ । বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর জেলা স্কাউটস ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আয়োজনটি করেছে “প্রজেক্ট হুইলস অব পিস”, যা একটি এসডিজি (SDG) ভিত্তিক স্কাউট পিস প্রজেক্ট।

এই উদ্যোগে সহায়তা করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, এবং সহযোগিতা করে মেঘনাপাড় ওপেন স্কাউট গ্রুপ। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৫ জুন একসাথে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যারা শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি, বরং পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিকের অপব্যবহার প্রতিরোধে আয়োজনস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়—”সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ”।

বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে ফলজ গাছ যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামসহ স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। এসব গাছ একদিকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের উপকারে আসবে।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিস এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর তামীম সাফি। তিনি বলেন:
**”পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একটি গাছ মানে শুধু ছায়া বা ফল নয়—এটি জীবনের ধারক। আজকের এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা শপথ করছি, সবুজের জন্য কাজ করব—শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেব।

এই কর্মসূচি সফল করতে যারা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সদস্যবৃন্দ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড আরও সংগঠিতভাবে, বৃহৎ পরিসরে এবং টেকসইভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।”**

প্রজেক্ট হুইলস অব পিস, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর বিভিন্ন দিক যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইনিসিয়েটিভ এর মাধ্যমে স্কাউট এবং নন স্কাউট দের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রজেক্ট হুইলস অব পিস । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ছেলে ও মেয়েদের বয়:সন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, এলাকা ভিত্তিক ভাবে পরিবেশ দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এছাড়া প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে, প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে । কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিসের সদস্য রুমাইয়া বিনতে রহিম, সাব্বির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, তাসফিয়া সুলতানা সহ আরোও অনেক সদস্যবৃন্দ।

এই কর্মসূচি তাদের চলমান সবুজ উদ্যোগেরই একটি অংশ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তারা একই রকম কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চান।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’