খুঁজুন
                               
রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ, ১৪৩২

রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি : ড. কামাল হোসেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:০৭ অপরাহ্ণ
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি : ড. কামাল হোসেন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, জনগণের ঐক্য আরও সংহত করেই এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। রোববার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল-২০২৪ পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা ও সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আভাসের কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা সারাজীবন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছি। জনগণের ঐক্যের বিরুদ্ধে তারা সবসময় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। ভালো কাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস সবসময়ই থাকে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেই এসব মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের ঐক্যকে সংহত করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণকে নিয়েই আমাদের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্নীতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি পরিষদ সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী৷

লিখিত বক্তব্যে কামাল হোসেন বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে রাজনৈতিক ঐক্য। এই ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে আমাদের জাতীয় চেতনা, যা ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৭২ এর সংবিধান এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা।তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংবিধান সংশোধন-কিংবা যুগোপযোগী করা রাষ্ট্রের জন্য চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত ও মীমাংসিত বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা আমাদের অগ্রসরমান বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাধাগ্রস্ত করবে। এ- ব্যাপারে আমাদের সকলের দায়িত্বশীল হওয়া কর্তব্য।

সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের কবর রচনার কথা যারা বলছেন তারা কি বুঝে বলছে নাকি না বুঝে বলছে? বাহাত্তরের সংবিধান ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধান। সংবিধান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই ধরণের বক্তব্য দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র সংবিধান নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে তাদের এমন বিষয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে যদি আমরা জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে না পারি তাহলে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান বিফলে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে দলের নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি এবং ডা. মো. মিজানুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ২০ সদস্য বিশিষ্ট সভাপতি পরিষদ ও ১০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র এডভোকেট এ কে এম জুগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, কোষাধ্যক্ষ শাহ নূরুজ্জামান প্রমুখ।ৃ

পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ
পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ আজ পিআইবি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি শুভ উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ প্রদর্শন করা হয়। এরপর গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন প্রচলিত গণমাধ্যম তত্ত্বাবলি ও পড়ালেখা বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। সাংবাদিকদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে অবশ্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডেটা সংক্রান্ত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

সমাপনি বক্তব্যে ফারুক ওয়াসিফ বলেন, প্রত্যেকের নিজ জায়গা থেকে অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সত্যের শক্তি অনেক বেশি, সত্য দিয়ে মিথ্যার ন্যারেটিভ ভেঙে দিতে হবে। সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীসহ পিআইবি’র কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগস্ট মাসেই হতে পারে জেলা প্রশাসক নিয়োগ

রূপসী বাংলা নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ
আগস্ট মাসেই হতে পারে জেলা প্রশাসক নিয়োগ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েই প্রশাসনে একের পর এক সমালোচিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। শুরুতে ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। ডিসি হতে না পেরে বেশ কজন কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে মারামারিতেও জড়ান। ডিসি পদে দায়িত্ব চালিয়ে ২১ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হওয়ার সাড়ে চার মাস পরও মাঠ প্রশাসনে রয়ে গেছেন। নানা সমীকরণে তাদের তুলে এনে নতুন ডিসি নিয়োগ দিতে পারছে না সরকার। অবশ্য চলতি আগস্টের মাঝামাঝি কিংবা শেষ দিকে যুগ্ম সচিবদের প্রত্যাহার করে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। আর এতে করে ডিসি নিয়োগের ‘প্যাঁচ’ খুলবে বলে আশা করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছে, ডিসি নিয়োগে জটিলতা তৈরির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সরকারের উপদেষ্টারা তাদের পছন্দের কর্মকর্তাদের নাম প্রস্তাব করছেন। আবার প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবের একটি তালিকা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিবেরও পছন্দের তালিকায় আছে কিছু নাম। এসবের বাইরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের পৃথক পৃথক পছন্দও আছে। ফলে ডিসি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী কর্মকর্তার তালিকা বেশ লম্বা হয়ে গেছে। এ তালিকা ছোট করতে গিয়ে পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে বড় ধরনের প্যাঁচ লেগে গেছে। আর এ প্যাঁচ খুলতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা কিংবা কোনো অভিযোগ ওঠার ভয়েই সময় নিচ্ছে সরকার। তবে চলতি মাস থেকে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাথায় রেখেই নতুন ডিসিদের মাঠে পাঠাবে সরকার। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে বলে এর আগে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 

বিতর্কের ভয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ১০৮ কর্মকর্তার ফিটলিস্ট তৈরি করা হয়। যেখান থেকে ৬১ জেলায় ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই নিয়োগ ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছিল। অনেকে নিজেদের ‘বঞ্চিত’ দাবি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তারা মারামারি ও হাতাহাতি পর্যন্ত করেছেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হয়। আবার অনেকে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে ভালো ভালো দপ্তর-সংস্থায় চাকরি করেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর ডিসি পদ বাগিয়ে নেন। যাদের অনেকেই পতিত আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। তবুও তারা নতুন সরকার ও প্রশাসনে ডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। তাই এবার বিতর্ক এড়াতে ডিসি নিয়োগে সরকার অতিরিক্ত সতর্ক রয়েছে। চলছে নিবিড় যাচাই-বাছাই। অর্থাৎ আওয়ামী সুবিধাভোগী কোনো কর্মকর্তাকে ডিসি করবে না সরকার। কেউ ছলচাতুরী বা তথ্য গোপন করে ডিসি হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবন ‘ভালো’ হবে না।
এদিকে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে নতুন ফিটলিস্ট তৈরির কাজ শুরু করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, যার অংশ হিসেবে ছয় ধাপে বিসিএস প্রশাসন ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের ২৬৯ জন উপসচিবের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। যদিও কতজনকে ফিটলিস্টে রাখা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে কেউ কেউ বলেছেন, সর্বশেষ সাক্ষাৎকারগুলো থেকে অর্ধশতের কিছু বেশি কর্মকর্তাকে ফিটলিস্টে রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের ফিটলিস্টের মৌখিক পরীক্ষা চলছে।
ভিন্ন ভিন্ন ‘চাওয়ার’ কারণেই জটিলতা : জনপ্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২৪তম ব্যাচের ২৬ জন, ২৫তম ব্যাচের ২৫ জন এবং ২৭তম ব্যাচের ১২ কর্মকর্তা ডিসির দায়িত্বে রয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ ব্যাচের ২৬ জনের মধ্যে ২১ জন গত ২০ মার্চ পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হন। ডিসি পদে উপসচিবরাই দায়িত্ব পালন করেন। পদোন্নতির পর যুগ্ম সচিবদের মাঠ প্রশাসন থেকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থায় পদায়ন করা হয়। অথচ পদোন্নতির সাড়ে ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এই ২১ যুগ্ম সচিবকে এখনো জেলা প্রশাসন থেকে তুলে আনতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কারণ তাদের ছেড়ে আসা জেলাগুলোতে যাদের পাঠানো হবে সেই ২১ নতুন ডিসির নাম চূড়ান্ত করা যায়নি, যা বর্তমান প্রশাসনের ব্যর্থতা বলেই মনে করেন প্রশাসন বিশ্লেষকরা। নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের ভিন্ন ভিন্ন চাওয়াকে কেন্দ্র করেই এমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগসূত্র জানায়, চলতি মাসে ২১ যুগ্ম সচিবকে জেলা প্রশাসন থেকে তুলে আনার পর ২৫ ও ২৭ ব্যাচ থেকেই নতুন ডিসি নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়াও নির্বাচনের আগে আরও বেশ কয়েকজন ডিসিকে তুলে আনবে সরকার। সেখানে নতুন করে ২৮তম ব্যাচ থেকে ডিসি পদায়ন দেওয়া হতে পারে। তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। সুতরাং নিয়োগের আগে আরও ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি (নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, ‘ডিসি নিয়োগের বিষয়টি জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটির ওপর নির্ভর করছে। তারাই বলতে পারবে কবে নাগাদ নিয়োগ হবে। তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানি।’
দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, সরকার জনপ্রশাসনে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য চারজন উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিবকে নিয়ে ‘জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি’ করেছে। এ কমিটি গঠনের পরই নিয়োগে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। কমিটির মতের সঙ্গে অন্য উপদেষ্টাদের তদবিরের অমিল দেখা দিচ্ছে। ফলে নিয়োগ-বদলিতে হচ্ছে বিলম্ব।
শীর্ষ কর্তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন: প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল। কারণ, এসব কর্মকর্তা এক থেকে দেড় দশক আগে অবসরে গেছেন। বর্তমান প্রশাসনের কাজকর্মের ধরন অনেক পাল্টেছে। সরকারের প্রতিটি দপ্তর এখন ডিজিটালাইজড। কিন্তু প্রশাসনের ‘শীর্ষ মুরুব্বিরা’ এই ডিজিটাল কার্যক্রমে অভ্যস্ত নন। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতেও সাহস পান না। ছোট ছোট সিদ্ধান্তের জন্যও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। আবার প্রধান উপদেষ্টার সাচিবিক কর্মকর্তারাও দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারছেন না। সব মিলিয়ে বর্তমান প্রশাসনে কোনো শৃঙ্খলা নেই। প্রশাসন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দুর্বল অবস্থায় আছে। সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের প্রবেশ ও ভাঙচুর তাই প্রমাণ করেছে। আর একটি বিশেষ ব্যাচের (৮২ ব্যাচ) কর্মকর্তাদের ঢালাওভাবে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে তাদের হাতে প্রশাসন তুলে দিয়ে ভুল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তারা তাদের কাজের দক্ষতা দেখাতে পারছেন না। প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস-উর রহমানের বিরুদ্ধেই কর্মকর্তাদের অভিযোগ বেশি। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণিও নিজেকে প্রমাণ করতে ‘ব্যর্থ’ হয়েছেন বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে নিজের ‘অযোগ্যতার’ প্রমাণ দিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে বদলি হয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রশাসনের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি ঠিকমতো দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারত, তাহলে সব কিছুর জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকার দরকার হতো না; কিন্তু তারা নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। শুধু ডিসি নিয়োগ নয়, বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ চলছে ভারপ্রাপ্ত সচিব দিয়ে। উপদেষ্টা ও সচিবদের ‘ঠেলাঠেলিতে’ সচিব পদগুলো পূরণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। আগামীতে ‘বুড়ো’ কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা। তাদের ভাষ্য, চুক্তিভিত্তিক সচিবদের সঙ্গে অধস্তন কর্মকর্তাদের সম্পর্ক সচরাচর ভালো হয় না। কেউ কাউকে ‘ওউন’ করেন না। এমন সম্পর্ক প্রশাসনকে আরও দুর্বলতার দিকে নিয়ে যাবে।
সাবেক সচিব ও প্রশাসনবিষয়ক বিশ্লেষক এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ‘সিভিল ব্যুরোক্রেসিকে (বেসামরিক প্রশাসন) বলা হয় সরকারের খুঁটি। তাদের ওপর আস্থা ও ভরসা রেখেই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করে এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। একটি সৎ, দক্ষ, পেশাজীবী আমলাতন্ত্র ছাড়া রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না; কিন্তু বর্তমান সরকারের দুর্ভাগ্য তারা সেরকম সিভিল ব্যুরোক্রেসি পাননি। তারা পেয়েছেন, দুমড়েমুচড়ে পড়া একটি আমলাতন্ত্র। এ আমলাতন্ত্রের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সত্যিই অসাধ্য।’
প্রশাসনের নানা দুর্বলতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ইঙ্গিত করে আউয়াল মজুমদার আরও বলেন, ‘১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১-এর অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে এমন দুরবস্থায় পড়তে হয়নি।’ তবে এখনো প্রশাসন ঠিক করা সম্ভব বলে মনে করেন সাবেক এই সচিব।

চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সংবর্ধনা পেলেন দু লেখক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সংবর্ধনা পেলেন দু লেখক

চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সংবর্ধনা পেলেন ২ লেখক। সংবর্ধনা প্রাপ্ত ২ লেখক হলেন: লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, কবি ও অনুবাদক মাইনুল ইসলাম মানিক। লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান’কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক’ পুরস্কার লাভ এবং কবি ও অনুবাদক মাইনুল ইসলাম মানিক মুন্সিগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ গুণীজন সম্মাননা পাওয়ায় চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁদের দুজনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট ২০২৫) রাত ৮টায় চাঁদপুর শহরের জোড়পুকুর পাড়স্থ সাহিত্য একাডেমীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক, কবি ও লেখক কাদের পলাশ এবং একাডেমির সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহিল কাফী।চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ম. নূরে আলম পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ নয়নের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি আশিক বিন রহিম, চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি দন্তন্য ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুমন দত্ত, কবি সঞ্জয় দেওয়ান ও এইচ এম জাকির হোসেন।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার ও লেখক কবির হোসেন মিজি, উজ্জ্বল হোসাইন, হাসান রাজীব, ফয়সাল মৃধা, মো. সাদ্দাম হোসেন, সাদ আল আমিন, মো. হানিফ, ইমরান শাকির ইমরুসহ অন্যান্য লেখক।