খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

আধুনিক সংবাদিকতার প্রেক্ষাপট ও চ্যালেঞ্জ

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
আধুনিক সংবাদিকতার প্রেক্ষাপট ও চ্যালেঞ্জ

সাংবাদিকতা একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি এবং গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। এর মাধ্যমে জনগণের মতামত গঠিত হয়, সমাজের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিফলন ঘটে এবং সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের সুযোগ তৈরি হয়। বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা প্রযুক্তির বিকাশ, সমাজের পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে জড়িত। আমরা জানি, সাংবাদিকতার মূল কাজ হলো তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এটি সমাজে গণতন্ত্র রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। সাংবাদিকরা কেবল তথ্য সরবরাহ করেন না। তারা মতামত তৈরি করেন, সচেতনতা বৃদ্ধি করেন এবং জনমতের প্রতিফলন ঘটান। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার ভূমিকা আরও বিস্তৃত এবং জটিল হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সোস্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের প্রসার সাংবাদিকতার ধরণে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
পত্রিকা, টেলিভিশন বা রেডিওর মতো প্রচলিত মাধ্যম ছাড়াও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্লগ, পডকাস্ট এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি নতুন প্রজন্মের সংবাদ গ্রহণের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। তবে এখান থেকে ভুল তথ্য বা ভুয়া খবরের সমস্যাও বেড়ে গেছে।
সবাই জানি যে, সাংবাদিকতার মূল ভিত্তি হলো নিরপেক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। কিন্তু বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের উপর রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অনেক সময় মিডিয়া হাউসগুলো রাজনৈতিক দল বা কর্পোরেট স্বার্থের পক্ষপাতিত্ব করে থাকে। এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের কাছে সাংবাদিকতার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
বিভিন্ন সময় সাংবাদিকতার মান উন্নত করার জন্য গভীর সাংবাদিকতা (ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গভীর সাংবাদিকতা সরকারের দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক অন্যায় উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান যুগে দ্রুত সংবাদ প্রকাশের প্রতিযোগিতার কারণে অনেক সময় এই ধরনের গভীর সাংবাদিকতার অভাব দেখা যায়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি :
১. ভুয়া খবর : প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ার কারণে ভুয়া খবর ছড়ানো সহজ হয়ে গেছে। ফলে সত্যতা যাচাই করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
২. রাজনৈতিক চাপ : বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের উপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
৩. অর্থনৈতিক চাপ : অনেক মিডিয়া হাউস অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন। বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীলতা সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
৪. জনগণের আস্থা : ভুল তথ্য, পক্ষপাতিত্ব এবং সেনসেশনালিজমের কারণে সাংবাদিকতার উপর থেকে জনগণের আস্থা কমছে। তবে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন : আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (অও), বিগ ডেটা এবং ড্রোন সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
গণমাধ্যমের বিকেন্দ্রীকরণ : ছোট ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলো বিকশিত হচ্ছে, যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে সহায়ক।
সচেতন পাঠকসমাজ : বর্তমান যুগে মানুষ সত্যতা যাচাই করার ব্যাপারে আরও সচেতন হয়ে উঠছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা যেমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তেমনি এর সম্ভাবনাও বিশাল। এর মাধ্যমে সমাজে সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার কাজ আরও শক্তিশালী হতে পারে। তবে এজন্য সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা জরুরি।
আধুনিক সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ : আধুনিক সাংবাদিকতা প্রযুক্তি, সমাজ এবং রাজনীতির গতিশীল পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। তথ্য সংগ্রহ এবং পরিবেশনের ক্ষেত্রে যেমন নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে, তেমনি নানা ধরনের চ্যালেঞ্জও সামনে এসেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে ভুয়া খবর বা ভধশব হবংি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্লগের মাধ্যমে অপ্রমাণিত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এখন অনেক সহজ। এর ফলে সংবাদমাধ্যমগুলোর উপর সত্যতা যাচাইয়ের বড় চাপ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রাজনৈতিক চাপ ও সেন্সরশিপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রকাশ করলে সাংবাদিকদের হয়রানি, গ্রেপ্তার, এমনকি হত্যার শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। গণমাধ্যমগুলো বিজ্ঞাপন আয়ের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এর ফলে কর্পোরেট স্বার্থ এবং বাণিজ্যিক চাপের কারণে অনেক সময় সত্য তথ্য প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আধুনিক সাংবাদিকতায় অনেক সময় রাজনৈতিক বা কর্পোরেট পক্ষপাতিত্ব লক্ষ্য করা যায়। নিরপেক্ষতার অভাব সংবাদমাধ্যমের উপর মানুষের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। যদিও প্রযুক্তি সাংবাদিকতার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে, তবে এটি নতুন চ্যালেঞ্জও এনেছে। তথ্য ফাঁস এবং সাইবার আক্রমণ সাংবাদিকদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অ্যালগরিদম নির্ভর সংবাদ পরিবেশনে মানবিক বিশ্লেষণের অভাব দেখা দেয়।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য সংবাদ দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার চাপ থাকে। এর ফলে অনেক সময় সংবাদ যাচাই না করেই প্রকাশিত হয়, যা ভুল তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক সংবাদমাধ্যম অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার লড়াই করছে। প্রিন্ট সাংবাদিকতার চাহিদা কমে যাওয়ায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকেও পর্যাপ্ত আয় নিশ্চিত করা কঠিন। পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেক সময় সংবাদমাধ্যমগুলো অতিরঞ্জিত শিরোনাম বা ক্লিকবেট ব্যবহার করে। এটি সাংবাদিকতার মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করে।
সোশ্যাল মিডিয়া সাংবাদিকতার জন্য যেমন একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, তেমনি এটি সাংবাদিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও প্রায়ই তথ্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আধুনিক পাঠকরা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। সাংবাদিকতার প্রতি তাদের চাহিদা ও প্রত্যাশা দ্রুত বদলাচ্ছে। এটি সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
আধুনিক সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জে পূর্ণ, তবে এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলার মধ্যেই এর উন্নতির পথ রয়েছে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, সত্যতা যাচাই, এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ববোধ ধরে রাখার মাধ্যমে সাংবাদিকতা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, গণমাধ্যম সাংবাদিকতায় মাস্টার্স (ব্যাচ ২০২১), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।

জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহারুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহারুল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। এজিএস (পুরুষ) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (নারী) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ভিপি পদে আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট, জিএস পদে মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০ ভোট, এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান ২৩৫৮ ভোট এবং এজিএস (নারী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা ৩৪০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যান্য পদে জয়ীরা হলেন- পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক তানভীর রহমান, খাদ্যনিরাপত্তা সম্পাদক হুসনি মোবারক, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক তৌহিদ হাসান, সমাজসেবা সম্পাদক আহসান লাবিব, তথ্য-প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মাহাদী হাসান, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আকতার, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক (নারী) নিগার সুলতানা, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হান উদ্দীন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিবুল্লাহ শেখ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। কার্যকরী সদস্য (নারী) পদে জয়ী তিনজন হলেন- নুসরাত জাহান, নাবিলা বিনতে হারুন ও ফাবলিহা জাহান।
কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে জয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আলী চিশতী, আবু তালহা ও তরিকুল ইসলাম।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট পেয়ে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২৩৯২ ভোট। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ১২১১ ভোট। আর ছাত্রদলের মো. শেখ সাদি হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১২৩৮ ভোট। ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী পেয়েছেন ৯৪১ ভোট।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, সদস্য লুৎফুল এলাহীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আব্দুর রশিদ জিতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও আন্দোলনের সময় সর্বপ্রথম ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আহত হন। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলন পরিচালনা করেন তিনি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেন এবং এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে হল কেন্দ্রগুলো থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে আনা হয় এবং ওইদিন রাত ১০টার কিছু পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং ছাত্র ভোটার ছিলেন ৬ হাজার ১৫ জন। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।

সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ণ
সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এত প্রাণের বিনিময়ে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার মধ্য দিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক সরকার হবে জবাবদিহিমূলক। এটি আর অতীতের সরকারের মতো হবে না।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বরিশালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে এসে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডাকসু নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয় নয়। অনেকেই বলেছিল, এই নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ন  রেখেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো দেখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যতদিন থাকছি, ততদিন সম্ভবপর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। তবে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
এ সময় উপদেষ্টা বরিশালের নদীবন্দর, জেলখাল, পোর্ট রোড ও স্টিমার ঘাট পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) খেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে নৌরুটে প্যাডেলচালিত জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
পরিদর্শনকালে বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।