খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৯ শ্রাবণ, ১৪৩২

আধুনিক সংবাদিকতার প্রেক্ষাপট ও চ্যালেঞ্জ

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
আধুনিক সংবাদিকতার প্রেক্ষাপট ও চ্যালেঞ্জ

সাংবাদিকতা একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি এবং গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। এর মাধ্যমে জনগণের মতামত গঠিত হয়, সমাজের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিফলন ঘটে এবং সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের সুযোগ তৈরি হয়। বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা প্রযুক্তির বিকাশ, সমাজের পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে জড়িত। আমরা জানি, সাংবাদিকতার মূল কাজ হলো তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এটি সমাজে গণতন্ত্র রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। সাংবাদিকরা কেবল তথ্য সরবরাহ করেন না। তারা মতামত তৈরি করেন, সচেতনতা বৃদ্ধি করেন এবং জনমতের প্রতিফলন ঘটান। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার ভূমিকা আরও বিস্তৃত এবং জটিল হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সোস্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের প্রসার সাংবাদিকতার ধরণে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
পত্রিকা, টেলিভিশন বা রেডিওর মতো প্রচলিত মাধ্যম ছাড়াও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্লগ, পডকাস্ট এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি নতুন প্রজন্মের সংবাদ গ্রহণের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। তবে এখান থেকে ভুল তথ্য বা ভুয়া খবরের সমস্যাও বেড়ে গেছে।
সবাই জানি যে, সাংবাদিকতার মূল ভিত্তি হলো নিরপেক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। কিন্তু বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের উপর রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অনেক সময় মিডিয়া হাউসগুলো রাজনৈতিক দল বা কর্পোরেট স্বার্থের পক্ষপাতিত্ব করে থাকে। এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের কাছে সাংবাদিকতার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
বিভিন্ন সময় সাংবাদিকতার মান উন্নত করার জন্য গভীর সাংবাদিকতা (ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গভীর সাংবাদিকতা সরকারের দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক অন্যায় উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান যুগে দ্রুত সংবাদ প্রকাশের প্রতিযোগিতার কারণে অনেক সময় এই ধরনের গভীর সাংবাদিকতার অভাব দেখা যায়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি :
১. ভুয়া খবর : প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ার কারণে ভুয়া খবর ছড়ানো সহজ হয়ে গেছে। ফলে সত্যতা যাচাই করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
২. রাজনৈতিক চাপ : বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের উপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
৩. অর্থনৈতিক চাপ : অনেক মিডিয়া হাউস অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন। বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীলতা সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
৪. জনগণের আস্থা : ভুল তথ্য, পক্ষপাতিত্ব এবং সেনসেশনালিজমের কারণে সাংবাদিকতার উপর থেকে জনগণের আস্থা কমছে। তবে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন : আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (অও), বিগ ডেটা এবং ড্রোন সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
গণমাধ্যমের বিকেন্দ্রীকরণ : ছোট ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলো বিকশিত হচ্ছে, যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে সহায়ক।
সচেতন পাঠকসমাজ : বর্তমান যুগে মানুষ সত্যতা যাচাই করার ব্যাপারে আরও সচেতন হয়ে উঠছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা যেমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তেমনি এর সম্ভাবনাও বিশাল। এর মাধ্যমে সমাজে সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার কাজ আরও শক্তিশালী হতে পারে। তবে এজন্য সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা জরুরি।
আধুনিক সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ : আধুনিক সাংবাদিকতা প্রযুক্তি, সমাজ এবং রাজনীতির গতিশীল পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। তথ্য সংগ্রহ এবং পরিবেশনের ক্ষেত্রে যেমন নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে, তেমনি নানা ধরনের চ্যালেঞ্জও সামনে এসেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে ভুয়া খবর বা ভধশব হবংি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্লগের মাধ্যমে অপ্রমাণিত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এখন অনেক সহজ। এর ফলে সংবাদমাধ্যমগুলোর উপর সত্যতা যাচাইয়ের বড় চাপ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রাজনৈতিক চাপ ও সেন্সরশিপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রকাশ করলে সাংবাদিকদের হয়রানি, গ্রেপ্তার, এমনকি হত্যার শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। গণমাধ্যমগুলো বিজ্ঞাপন আয়ের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এর ফলে কর্পোরেট স্বার্থ এবং বাণিজ্যিক চাপের কারণে অনেক সময় সত্য তথ্য প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আধুনিক সাংবাদিকতায় অনেক সময় রাজনৈতিক বা কর্পোরেট পক্ষপাতিত্ব লক্ষ্য করা যায়। নিরপেক্ষতার অভাব সংবাদমাধ্যমের উপর মানুষের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। যদিও প্রযুক্তি সাংবাদিকতার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে, তবে এটি নতুন চ্যালেঞ্জও এনেছে। তথ্য ফাঁস এবং সাইবার আক্রমণ সাংবাদিকদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অ্যালগরিদম নির্ভর সংবাদ পরিবেশনে মানবিক বিশ্লেষণের অভাব দেখা দেয়।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য সংবাদ দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার চাপ থাকে। এর ফলে অনেক সময় সংবাদ যাচাই না করেই প্রকাশিত হয়, যা ভুল তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক সংবাদমাধ্যম অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার লড়াই করছে। প্রিন্ট সাংবাদিকতার চাহিদা কমে যাওয়ায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকেও পর্যাপ্ত আয় নিশ্চিত করা কঠিন। পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেক সময় সংবাদমাধ্যমগুলো অতিরঞ্জিত শিরোনাম বা ক্লিকবেট ব্যবহার করে। এটি সাংবাদিকতার মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করে।
সোশ্যাল মিডিয়া সাংবাদিকতার জন্য যেমন একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, তেমনি এটি সাংবাদিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও প্রায়ই তথ্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আধুনিক পাঠকরা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। সাংবাদিকতার প্রতি তাদের চাহিদা ও প্রত্যাশা দ্রুত বদলাচ্ছে। এটি সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
আধুনিক সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জে পূর্ণ, তবে এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলার মধ্যেই এর উন্নতির পথ রয়েছে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, সত্যতা যাচাই, এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ববোধ ধরে রাখার মাধ্যমে সাংবাদিকতা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, গণমাধ্যম সাংবাদিকতায় মাস্টার্স (ব্যাচ ২০২১), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।

এআই নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে: আইসিটি সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪১ অপরাহ্ণ
এআই নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে: আইসিটি সচিব

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা প্রণয়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত ‘টেলিকম অ্যান্ড ইনোভেশন ফেয়ার ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটা জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহবুব আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদুল বারী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কর্মকর্তা ও টেলিকমিউনিকেশন এবং ডিজিটাল খাতের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন

আইসিটি সচিব বলেন, আমরা এআই পলিসি নিয়ে কাজ শুরু করেছি, ইনফেক্ট আজকে শুরু হয়েছে এটা। আমরা সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্স করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোক্তাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরা একটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মধ্যে আছি। আমরা এখন ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ করছি। ডিজিটাল খাতে সরকার বিভিন্ন প্রজেক্ট করবে, ফাইন্যান্স করবে- এটাকে কমার্শিয়ালাইজ করবে ইন্ডাস্ট্রি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনের যে সমাজ সেখানে আমাদের কাজ করতে হবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে। তরুণরা পরিবেশের উপর টেলিকম ইন্সটলেশনগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে দারুণ আইডিয়া নিয়ে এসেছে। এগুলোকে আরও কীভাবে গ্রিন করা যায় তা নিয়ে ভাবছে। প্রতি বছর গ্র্যাজুয়েটদের একটি বড় অংশ আনএমপ্লয়েড থেকে যায়, এদের মধ্যে যদি উদ্যোক্তা মনোভাব তৈরি করতে পারি তাহলে একটি স্থিতিশীল সমাজ তৈরি করতে পারব।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদুল বারী বলেন, আমাদের টেলিকম সেক্টরে গত দুই দশকে যে ডেভলপমেন্ট হয়েছে সেটা হয়েছে কানেক্টিভিটির জন্য। ইন্টারনেট পেনিট্রেশন ১৩ কোটির মতো হলেও হেড কাউন্টে সেটা ৭ থেকে ৮ কোটির মতো, যা ৪৫ শতাংশ হবে। তথ্য বিপ্লবের দুটি বড় উপাদান হলো কানেক্টিভিটি এবং অপরটি ডেটা। প্রথম যখন ইন্টারনেট এলো তখন ব্যবসা বলতে কানেক্টিভিটি বুঝাত, বর্তমানে ডিজিটাল ব্যবসা হচ্ছে ডেটা, আগের মতো ভয়েস বলতে আমরা টিপিক্যাল ভয়েস বুঝি না, হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েসও একটা ডেটা।

তিনি বলেন, বিজ্ঞান যখন কোনো কিছু আবিষ্কার করে সেটাকে ছড়িয়ে দেয় বিজনেস ও কমার্স। এগুলো হয় ইনোভেশনের মাধ্যমে। আমাদের উদ্যোক্তাদের ইনোভেটিভ হতে হবে। আমাদের অনেক রকম ইনোভেশন দরকার। আমাদের কানেক্টিভিটি এবং ইউজেস গ্যাপের সঙ্গে সঙ্গে ইউজফুলনেস গ্যাপ রয়েছে। অনেক জায়গায় কানেক্টিভিটি থাকলেও ইউজফুল কানেক্টিভিটি হচ্ছে না। কনজ্যুমার সার্ভিস বাড়ানোর টার্গেট থাকলে টেলকো সেক্টর ফ্লারিশ করবে। টেলকো খাতে ইমিডিয়েট, মিড টার্ম ও লং টার্ম টার্গেট থাকা উচিত।

বিটিআরসি কমিশনার মাহবুব আলম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৭৬টি আইডিয়া পেয়েছি, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ৩২টি আইডিয়া আগামী দিনের টেলিকমিউনিকেশনে যুগান্তকারী অবদান রাখবে। এর মধ্যে ৫টি আইডিয়াকে সম্মাননা দেওয়া হবে। তারা পাবে বিটিআরসি থেকে মেন্টরশিপ ও অন্যান্য সহযোগিতা।

একজন উদ্ভাবক যেমন নিজেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তেমনি ভূমিকা রাখেন দেশের অর্থনীতিতে। বিশ্ববিদ্যালয় ও আইসিটি বিভাগকে সমন্বয় করে আমরা সামনে একটি একাডেমিয়া গঠন করতে চাই, যাতে ভবিষ্যতের গবেষণা শুধু কাগজে আটকে না থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাৎক্ষণিক পাওয়ার রিস্টোর করার উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৫ম স্থান অর্জন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে ইবিতানস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্যোক্তাতাদের ডিজিটালি কানেক্ট করার উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৩য় স্থান অর্জন করেছে গ্রামীণফোন। তাদের প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে এক লাখ টাকা।

এবারে ফেয়ারে ইকো ফ্রেন্ডলি টাওয়ার স্থাপনের উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ২য় স্থান অর্জন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ১ম স্থান অর্জন করেছে রোবোলাইফ টেকনোলজিস। তাদের প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে তিনি লাখ টাকা।

ইসরায়েলকে কঠোর বার্তা দিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৯:২৪ অপরাহ্ণ
ইসরায়েলকে কঠোর বার্তা দিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন

গাজা ইস্যুতে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ইসরায়েলকে কঠোর বার্তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)। ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি গাজায় মানবিক পরিস্থিতি উন্নতিতে প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তবে সকল বিকল্প টেবিলে রয়েছে। অর্থাৎ ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো হুমকি দেয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা ক্যালাস এই সতর্কীকরণ বার্তা দিয়েছেন। তার এই বার্তা এমন সময় আসলো যখন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত এই সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইউরোপ ভ্রমণ করবেন। খবর আল জাজিরার
এক্স পোস্টে ক্যালাস বলেন, ‘অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েল যদি প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তবে সকল বিকল্প টেবিলে রয়েছে। গাজায় ত্রাণপ্রার্থী বেসামরিক নাগরিকদের উপর ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ড অমার্জনীয়।’

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সারের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি। গিডিয়নকে তিনি বলেছেন, সহায়তার বিষয় তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই বিতরণ পয়েন্টে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজায় ক্রমবর্ধমান দুর্ভিক্ষ সংকটের বিষয়ে ইসরায়েলকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এমন সময়ে সতর্ক করেছে, যখন অনাহারে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা কমপক্ষে ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এই মাসের শুরুতে গাজায় যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান সমালোচনার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পর্যালোচনা করার জন্য ইইউর একটি বৈঠকের পর ক্যালাস বলেছিলেন, ইসরায়েল ছিটমহলে মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে সম্মত হয়েছে।
এর মধ্যে ত্রাণ ট্রাকের সংখ্যা, ক্রসিং পয়েন্ট এবং বিতরণ পয়েন্টে যাওয়ার রুট বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু সাহায্য কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তি সত্ত্বেও গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ বৃদ্ধি পায়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি ইউরোপীয় দেশে ভ্রমণ করবেন। একইসঙ্গে গাজার জন্য একটি সাহায্য করিডোর চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা করবেন। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, তিনি আরও আলোচনার জন্য মধ্যপ্রাচ্যেও যেতে পারেন।

বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা অসম্ভব : প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৯:১৭ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা অসম্ভব : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বড় বড় দুর্যোগ নিয়ে রিপোর্ট করা এমন একজন হিসেবে আমি বলে দিতে পারি যে, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা কার্যত অসম্ভব।
আজ (বুধবার) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে একথা জানান তিনি।
পোস্টে প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, ২০০২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অসংখ্য বড় বড় দুর্যোগ নিয়ে রিপোর্ট করা এমন একজন হিসেবে আমি বলে দিতে পারি যে, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা কার্যত অসম্ভব। প্রাথমিকভাবে, পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনদের নিখোঁজ হিসেবে রিপোর্ট করে, তবে হাসপাতাল এবং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেলে তারা সাধারণত তাদের আত্মীয়দের শনাক্ত করতে পারে। এক্ষেত্রে মাইলস্টোন কলেজ প্রতিদিনের উপস্থিতির রেকর্ড ক্রস-রেফারেন্স করে হিসাব বহির্ভূতদের শনাক্ত করতে পারে।
পোস্টে তিনি জানান, গতকাল স্কুল পরিদর্শনের সময় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুজন উপদেষ্টা স্কুল ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশ দেন। এই সুবিধাটি আহত এবং মৃতদের সংখ্যা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট সরবরাহ করবে, স্কুলের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে পরিসংখ্যান মিলাবে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, উপদেষ্টারা কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রমে বর্তমান শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিলেন। আমরা আশা করছি আজ এটি পুরোপুরি কার্যকর হবে।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারীদের অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট সরবরাহ করছে এবং সেনাবাহিনী এই প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি যে হতাহতের পরিসংখ্যানকে খাটো করে দেখার কোনও কারণ সরকারের নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল আমরা ৯ ঘণ্টা স্কুলে ছিলাম। যদিও আমরা আরও আগে চলে আসতে পারতাম, উপদেষ্টারা শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তারা যতদিন প্রয়োজন ততদিন থাকার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং যখন উপযুক্ত সময় হতো তখনই আমরা রওনা হতাম। প্রাণ হারানো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য আমাদের সমবেদনা। এটি একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি এবং তারা সবাই শহীদ। আসুন, আমরা ভবিষ্যতের ট্র্যাজেডি রোধে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে একসঙ্গে কাজ করি। সরকার জাতীয় নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং বিমান সম্পর্কিত বিপর্যয় রোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।