খুঁজুন
                               
বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩২

মতলব উত্তরে মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচে এএসপি খায়রুল কবীর

মতলবে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে পুলিশের সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ
মতলবে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে পুলিশের সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি

মতলব উত্তর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর স্কুল অ্যান্ড ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক আয়োজন ‘মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ-২০২৫’। শুক্রবার (১৬ মে ২০২৫) বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচটি আয়োজন করে নিশ্চিন্তপুর বন্ধুমহল ক্লাব, যার মূল উদ্দেশ্য সমাজে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানারআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর বলেন, “আজকের এই আয়োজন একটি সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমাদের সমাজে যে সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দিন দিন বাড়ছে, তা প্রতিরোধে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একক প্রচেষ্টায় সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সচেতনতা।” তিনি আরও বলেন, আমাদের তরুণ সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে হলে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক নেতৃত্বের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ প্রশাসন সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে এবং আমরা চাই সকলে মিলে একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক সমাজ গড়ে তুলি। আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে এবং আশা করি এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিত আয়োজিত হবে, যা সমাজ গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক বলেন, “আমরা সবসময় চেষ্টা করি মতলব উত্তর থানা এলাকাকে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব নয়। আমি আহ্বান জানাবো, যে কোনো ধরনের অপরাধ বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে আপনারা আমাদের জানাবেন। আপনারা আমাদের অংশীদার—একসাথে কাজ করলে আমরা অবশ্যই একটি অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারবো। এ ধরনের সচেতনতামূলক আয়োজন সেই পথেই একটি বড় পদক্ষেপ।”
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সালে আহম্মেদ বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে শুধু পুলিশ নয়, পরিবার ও সমাজের প্রতিটি সদস্যকে সচেতন হতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা চাই, এসব প্রতিরোধে সকলে এগিয়ে আসুক। পুলিশ জনগণের বন্ধু—এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে হলে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমি আয়োজকদের এমন একটি সময়োপযোগী আয়োজন করার জন্যে ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত আকারে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিশ্চিন্তপুর বন্ধু মহল ক্লাবের সদস্য রোকন সরকার।
মাঠে মুখোমুখি হয় মতলব সোনালী অতীত বনাম গৌরিপুর ভোরের সাথী। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে গৌরিপুর ভোরের সাথী একাদশ ৩-১ গোলে জয়লাভ করে। দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় এবং প্রাণবন্ত উৎসাহ পুরো খেলাকে উৎসবমুখর করে তোলে।
এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন প্রবাসী সমাজসেবক মনছুর আলম ইমন (আমেরিকা) ও কামরুল হাসান রাসেল (ইতালি)। তাঁদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদানের জন্যে আয়োজক কমিটি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্স-আপ দলের মাঝে পুরস্কার ও স্মারক প্রদান করা হয়। এ ধরনের আয়োজন শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজে মাদকবিরোধী আন্দোলনের একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে—এমনটাই বিশ্বাস করেন আয়োজকরা। নিশ্চিন্তপুর বন্ধুমহল ক্লাবের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় ও অনুসরণযোগ্য হয়ে উঠেছে সবার কাছে।

আরও ৮০ ফিলিস্তিনি গাজায় নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ
আরও ৮০ ফিলিস্তিনি গাজায় নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনাহারে নতুন করে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। অনাহারে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন শিশু। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান দুর্ভিক্ষে আরও ১৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
সম্প্রতি গাজায় খাদ্য সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরায়েল পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিক তুলে নেওয়া হলেও এখনও সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ঢুকছে। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সাহায্য ঢুকতে পারছে না।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি জানান, গাজায় অবস্থানরত তার সহকর্মীরা মানুষজনকে এমন অবস্থায় দেখছেন যেন তারা “না বেঁচে আছে, না মরেছে – যেন হাঁটতে থাকা লাশ”।
জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, “শুধু ক্ষোভ বা নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে, দুর্ভিক্ষ রোধ করতে হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করতে হবে।”এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ড সফরে সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় প্রকৃত অর্থেই দুর্ভিক্ষ চলছে এবং ইসরায়েল এ অবস্থার জন্য “বড় ধরনের দায়” বহন করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগের দিন বলেন, “গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই”। তবে সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনিও স্বীকার করেন, গাজার পরিস্থিতি “কঠিন” এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েল কাজ করছে।
ট্রাম্প জানান, গাজায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে “বাউন্ডারিবিহীন খাদ্য কেন্দ্র” স্থাপনের পরিকল্পনা আছে, যাতে সবার সহজে প্রবেশ নিশ্চিত হয়। এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও কাজ করবে বলে জানান তিনি।
ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজার কিছু অংশে হামলা স্থগিত রাখবে এবং নতুন করিডোর খুলবে যাতে ত্রাণ প্রবেশ বাড়ানো যায়। জাতিসংঘ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও সংস্থাটির মানবিক প্রধান বলেন, সাহায্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম জানান, ইসরায়েল যেসব ‘মানবিক বিরতি’র কথা বলছে, সেগুলো আসলে খুবই সীমিত এবং কয়েক ঘণ্টার জন্য হয়, যা নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কার্যকর থাকে এবং এতে আন্তর্জাতিক কোনো তদারকি থাকে না।
এদিকে গাজায় শিশু খাদ্যের ঘাটতিও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গাজা সিটি’র আল-শিফা হাসপাতালে এক চিকিৎসক আল জাজিরাকে জানান, অপুষ্টিজনিত কারণে শিশু মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদাস মারা গেছে, কারণ তার জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মুলা দুধ পাওয়া যায়নি।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম অফিস জানায়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৪০ হাজারের বেশি শিশু ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পড়ছে। কারণ গত ১৫০ দিনে ইসরায়েল শিশু খাদ্য ঢুকতে দেয়নি গাজায়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা সব সীমান্ত ক্রসিং অবিলম্বে এবং শর্তহীনভাবে খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, যাতে শিশু খাদ্য ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারে।”

চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে জুলাই পুনর্জাগরণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে জুলাই পুনর্জাগরণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুরে স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক কার্যক্রমের আওতায় অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এতে সার্বিক সহযোগিতা করে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান রনি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ খবির উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকবাল আজম, আইটি কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসাইন, চিকিৎসক-কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডেঙ্গু পরীক্ষা, সাধারণ রোগীদের জন্যে স্বাস্থ্য সেবা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, চক্ষু পরীক্ষা, বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
এই কার্যক্রমে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জুলাই পুনর্জাগরণ শুধু একটি সামাজিক কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের নৈতিক ও মানবিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই শুধু একদিন নয়, বছরের বিভিন্ন সময়েও জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাক। এক্ষেত্রে প্রশাসন, চিকিৎসক এবং জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

কালি ও কলম পুরস্কার পেলেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসানসহ পাঁচ তরুণ লেখক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ
কালি ও কলম পুরস্কার পেলেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসানসহ পাঁচ তরুণ লেখক

দেশের নবীন কবি ও লেখকদের সাহিত্যচর্চাকে অনুপ্রাণিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে মাসিক সাহিত্যপত্র কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে প্রবর্তন করে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। সেই স্রোতধারায় শনিবার প্রদান করা হলো সিটি ব্যাংক নিবেদিত ২০২৪ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য অবদানের জন্যে পাঁচ তরুণ কথাশিল্পী পেয়েছেন এই পুরস্কার। এরমধ্যে চাঁদপুরের লেখক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান প্রবন্ধ ও গবেষণা শাখায় ‘শতবর্ষে চা শ্রমিক আন্দোলন : ডেডলাইন ২০ মে ১৯২১’ গ্রন্থের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন।
‘সতীতালয়’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা শাখায় পুরস্কার জয় করেছেন অস্ট্রিক ঋষি। ‘নির্বাচিত দেবদূত’ গ্রন্থের জন্য কথাসাহিত্যে পুরস্কার পেয়েছেন সাজিদ উল হক আবির। মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব শাখায় ‘একাত্তরে অবরুদ্ধ দিনের দুঃসাহস : সাগাই ফোর্ট এস্কেপ’ গ্রন্থের জন্যে স্বরলিপি এবং শিশু সাহিত্যে তিলকুমারের যাত্রা গ্রন্থের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন নিয়াজ মাহমুদ।
ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন এবং কালি ও কলমের প্রকাশক আবুল খায়ের। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে গানের দল ও কৃষ্ণকলি।
প্রসঙ্গত, কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার তরুণদের জন্যে প্রবর্তিত সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার।পুরস্কারটির অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরস্কারের জন্যে বই আহ্বান করা হয়। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য এই পাঁচটি বিষয়ে বই জমা নেয়া হয়েছে। বই জমা দেওয়ার পর বিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলীর পর্যবেক্ষণ-পর্যালোচনার ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থসমূহ নির্বাচন করা হয়।