খুঁজুন
                               
বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩২

বেদনা সিক্ত অশ্রু ভেজা জিলাপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ
বেদনা সিক্ত অশ্রু ভেজা জিলাপি

ভাই মাফ চাই, ছাইড়া দেন ভাই, ভাই দুইটা পায়ে ধরি ভাই, আর মাইরেন না, ভাই আমি রোজা রাখছি, আর আমুনা ভাই।
রোজার কথা শুনে থেমে গেল দু’জন।
বাড়ি কই তোর?
কলাবাগান বস্তিতে।
তুই মসজিদ হতে চুরি করস?
তোর কলিজা কত বড়?
পাশের লোকটা বলল ভাই থামলেন কেন? দেন আর কয়ডা, রোজার মাসে চুরি কইরা বেড়ায়,,সালারে
লাত্থি দেন,,তুই চুরি করস আবার কিসের রোজা রাখস রে?মিছা কথার জায়গা পাস
না? এই বলেই কান বরাবর সজোরে আরেক টা থাপ্পড় বসিয়ে দিল।ছেলেটা গালে হাত দিয়ে দেয়াল ঘেসে বসে রইল,, কান্না আর হই হুল্লোড়ের শব্দে ইমাম সাহেব দোতলা থেকে নেমে এলেন, দেখলেন মসজিদের আঙিনায় লোক
জড়ো হয়ে আছে।মসজিদে আজ ইফতারির ব্যাপক আয়োজন চলছিল। ইমাম সাহেব এগিয়ে গিয়ে বললেন,,কি
হইছে এখানে?
হুজুর চোর ধরছি!ছেঁচড়া চোর!
ইমাম সাহেব এগিয়ে গিয়ে দেখলেন ১২-১৩ বছরের এক ছেলে দেয়াল ঘেসে বসে আছে,ছেলেটির পুরো গাল চোখের পানিতে ভেসে গেছে, গায়ের রঙ কালো হলেও আঘাতের দাগ গুলো স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।ইমাম সামনে আসাতে ছেলেটি আরও ভয় পেয়ে গেল। এবার আর তার রেহাই নাই, হাত পা কাঁপছে।
কি চুরি করছে? দেখি?পাশে লোকটি পলিথিনের পোটলা এগিয়ে দিয়ে দিয়ে বলল দেখেন হুজুর,,দেখেন !
ইফতারের আয়োজন হচ্ছে, এই ফাঁকে শালায় পলিথিনে ভইরা লইছে। এক্কেরে
হাতে নাতে ধরছি!হুজুর পলিথিন হাতে নিয়ে দেখলেন আধা কেজির মত জিলাপি, ৬ টা আপেল, আর কিছু খেজুর ভিতরে ছিল।
হুজুর বললেন,,তাই বইলা এভাবে গণ পিটুনি দিছো কেন? এইটা কেমন বিচার?
বাচ্চারে কেউ এভাবে মারে নাকি? এবার লোক জনের উত্তেজনা একটু থেমে গেল।
হুজুর ছেলেটিকে জিজ্ঞাস করেন,তর বাপ কি করে? ছেলেটা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেল। বলল,,,, সাইকেল ঠিক করত, বাপের অসুখ তাই অহন কাম করে না।
হুজুর আমারে ছাইড়া দেন।
আমি আগে কোন দিন চুরি করি নাই।কয়েকটা বাসায় হাত পাইতা একটা দানাও সাহায্য পাই নাই।পরে দেহি মসজিদে খাবার।বাড়িতে নিবার জন্যে তুইলা নিছি।ভুল হইয়া গেছে আমারে মাফ কইরা দেন। পাশ থেকে লোক গুলো বলছে, এগুলা সব মিথ্যা কথা, ধরা খাইয়া এখন ভদ্র সাজে। হুজুর
বললেন, ইফতার শেষ হোক,সত্য মিথ্যা দেখে ওর বাপের কাছে জানিয়ে সতর্ক করে দেয়া হবে। ছেলেটাকে কেউ পানি দেও, ও অনেক হাঁপাচ্ছে।একজন পানির বোতল এগিয়ে দেয়।
ছেলেটি উত্তর দেয়,, আমি রোজা!
ইমাম সাহেব এবার লোকগুলোর দিকে একটু বিরক্ত মুখে তাকালেন।ছেলেটিকে অজু করিয়ে তার পাশে বসিয়ে ইফতার
করালেন। ইফতার আর নামাজ শেষে সেই দুই জন লোক ও ছেলেটিকে নিয়ে ইমাম সাহেব বস্তির দিকে এগুলেন। এক চালা টিনের ঘর, বাইরে দুয়ারে ছেলেটির বাবা বসে আছে।সব কিছু শুনে বাবাটি তার ছেলের গালে থাপ্পড় মারার জন্যে হাত উঠায়। হুজুর বাধা দিয়ে বলেন, যথেষ্ট মার হইছে, ওরে আর মাইরেন না।বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলে,, বিশ্বাস করেন হুজুর, আমার ছেলেরে আমি এই শিক্ষা দেই নাই। বেশ কয়দিন ধইরা আমার অসুখ। কাম কাজ নাই,পোলা পানগো ঠিক মত খাওন যোগাইতে পারি না।কিন্তু পোলায় চুরি করব,, কোনদিন ভাবি নাই। ও অমন পোলা না।
এরই মধ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ছেলে টির বোন। মেয়েটার বয়স ছয় বছরের
মত। বোনটি তার ভাইয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়,কোমল স্বরে বলে, ভাই,
জিলাপি আনো নাই? তুমি না আইজকা জিলাপি আনবা কইছো? ভাইয়ের মুখে কোন কথা নেই, চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যেই আরেকটি চার বছরের ছোট্ট বোন ঘর থেকে ছুটে এসে বলে, ‘ভাই,
ওরে না, ওরে না আমারে আগে দিবা, আমারে।’
এই বলেই হাতটি বাড়িয়ে দেয়,,,,ভাইয়ের মুখের দিকে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে,,ভাই
তুমি একলা একলাই খাইয়া আইছো? আমার জন্যে আনো নাইই? ভাইটি এবার ছোট বোনের কথা শুনে কেঁদে ফেলে।বোন দুইটা মন খারাপ করে ঘরে ঢুকে যায়।ছোট বোনটা মায়ের কোলে উঠে কান্না জুড়ে দেয়। মা আচলে মুখ ঢেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।বলেন,, মাইয়া দুইটা কয় দিন ধইরা জিলাপি খাইতে চাইতেছে,,,,, ওগো বাপের অসুখ ।টেকা পয়সাও নাই, তাই পোলারে বাইরে পাঠাই ছিলাম বাড়ি বাড়ি গিয়া কিছু সাহায্য চাইয়া আনতে। ছোট মানুষ বুঝে নাই,তাই ভুল করে ফেলছে।খাবার সামনে পাইয়া নিয়া নিছে, অরে আফনেরা মাফ কইরা দিয়েন। এদিকে বাচ্চা মেয়েটা চোখ ভিজিয়ে মায়ের কাছে কেঁদে কেঁদে নালিশ করেই
যাচ্ছে- মা, ভাই আইজকাও জিলাপি আনে নাই, ভাই আমাগো খালি মিছা কথা কয়! ভাইটি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ বোনটি খেয়াল করে ভাইয়ের শার্টের পকেট ভেজা!
<> ভাই তোমার পকেটে কি?
এই বলেই হাত ঢুকিয়ে দেয়,বের করে দেখে দুইটা জিলাপি! ভাই তুমি আনছো?
দুই বোনের মুখে হাসি ফুটে উঠে!
ভাইয়ের মুখ এবার ভয়ে চুপসে যায়। লোক দুটির দিকে ভয়ার্ত ভাবে তাকিয়ে
বলে, স্যার, এইটা আমি চুরি করি নাই। হজুরের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,
বিশ্বাস করেন হজুর,এইটা আমার ভাগের জিলাপি, ইফতারির সময় আমার ভাগেরটা উঠাইয়া রাখছিলাম বোইন দুইটার জন্যে, সত্যি আমি চুরি করি নাই হজুর।
সবাই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হজুর ছেলে টারে টেনে বুকে জড়িয়ে নেন। মাথাটা বুকে চেপে ধরে রেখে চোখের পানি ফেলতে থাকেন। লোক দুইজন
এবার সশব্দে কেঁদে ওঠেন।কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটির বাবার কাছে এগিয়ে যায়।তার হাত দুটি ধরে বলে, ভুল হয়ে গেছে আমাদের, আপনার ছেলের গায়ে হাত তুলছি আমরা, মাফ করে দিয়েন আমাদের। লোকটি পকেট থেকে মানি ব্যাগটা বের করে বাবার হাতে দিয়ে বললেন, এখানে যা আছে তা দিয়ে
বাচ্চাদের কিছু খাওয়াবেন।তারা লজ্জায় আর বেশিক্ষণ থাকতে পারলো না, বিদায় নেয় দ্রুত। আমরা শুধু অপরাধীকে দেখি কিন্তু অপরাধের পেছনের অংশটুকু দেখি না,দেখতে চাইও না।
কিছু কথা আমরা পছন্দের জামা
কিনতে গেলে এক দুইশ টাকা বেশি গেলেও কিছু যায় আসে না,কিন্তু ফকিরকে পাঁচ টাকার বেশি দিতে গেলে আত্মায় গিয়ে লাগে।আমরা কি পারি না
ইফতারির কিছু খাবার ওদের দিতে? আমরা কি পারি না সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা ওদের দান করতে?
আমরা কি এতটাই ফকির?
আসলে ফকির আমরা না, ফকির ওরাও না,
ফকির হচ্ছে আমাদের মন-মানসিকতা!
ফকির হচ্ছে আমাদের বিবেক ।
#বাসন্তীময়

আরও ৮০ ফিলিস্তিনি গাজায় নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ
আরও ৮০ ফিলিস্তিনি গাজায় নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনাহারে নতুন করে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। অনাহারে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন শিশু। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান দুর্ভিক্ষে আরও ১৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
সম্প্রতি গাজায় খাদ্য সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরায়েল পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিক তুলে নেওয়া হলেও এখনও সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ঢুকছে। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সাহায্য ঢুকতে পারছে না।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি জানান, গাজায় অবস্থানরত তার সহকর্মীরা মানুষজনকে এমন অবস্থায় দেখছেন যেন তারা “না বেঁচে আছে, না মরেছে – যেন হাঁটতে থাকা লাশ”।
জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, “শুধু ক্ষোভ বা নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে, দুর্ভিক্ষ রোধ করতে হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করতে হবে।”এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ড সফরে সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় প্রকৃত অর্থেই দুর্ভিক্ষ চলছে এবং ইসরায়েল এ অবস্থার জন্য “বড় ধরনের দায়” বহন করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগের দিন বলেন, “গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই”। তবে সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনিও স্বীকার করেন, গাজার পরিস্থিতি “কঠিন” এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েল কাজ করছে।
ট্রাম্প জানান, গাজায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে “বাউন্ডারিবিহীন খাদ্য কেন্দ্র” স্থাপনের পরিকল্পনা আছে, যাতে সবার সহজে প্রবেশ নিশ্চিত হয়। এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও কাজ করবে বলে জানান তিনি।
ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজার কিছু অংশে হামলা স্থগিত রাখবে এবং নতুন করিডোর খুলবে যাতে ত্রাণ প্রবেশ বাড়ানো যায়। জাতিসংঘ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও সংস্থাটির মানবিক প্রধান বলেন, সাহায্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম জানান, ইসরায়েল যেসব ‘মানবিক বিরতি’র কথা বলছে, সেগুলো আসলে খুবই সীমিত এবং কয়েক ঘণ্টার জন্য হয়, যা নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কার্যকর থাকে এবং এতে আন্তর্জাতিক কোনো তদারকি থাকে না।
এদিকে গাজায় শিশু খাদ্যের ঘাটতিও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গাজা সিটি’র আল-শিফা হাসপাতালে এক চিকিৎসক আল জাজিরাকে জানান, অপুষ্টিজনিত কারণে শিশু মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদাস মারা গেছে, কারণ তার জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মুলা দুধ পাওয়া যায়নি।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম অফিস জানায়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৪০ হাজারের বেশি শিশু ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পড়ছে। কারণ গত ১৫০ দিনে ইসরায়েল শিশু খাদ্য ঢুকতে দেয়নি গাজায়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা সব সীমান্ত ক্রসিং অবিলম্বে এবং শর্তহীনভাবে খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, যাতে শিশু খাদ্য ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারে।”

চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে জুলাই পুনর্জাগরণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে জুলাই পুনর্জাগরণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুরে স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক কার্যক্রমের আওতায় অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এতে সার্বিক সহযোগিতা করে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান রনি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ খবির উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকবাল আজম, আইটি কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসাইন, চিকিৎসক-কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডেঙ্গু পরীক্ষা, সাধারণ রোগীদের জন্যে স্বাস্থ্য সেবা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, চক্ষু পরীক্ষা, বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
এই কার্যক্রমে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জুলাই পুনর্জাগরণ শুধু একটি সামাজিক কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের নৈতিক ও মানবিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই শুধু একদিন নয়, বছরের বিভিন্ন সময়েও জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাক। এক্ষেত্রে প্রশাসন, চিকিৎসক এবং জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

কালি ও কলম পুরস্কার পেলেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসানসহ পাঁচ তরুণ লেখক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ
কালি ও কলম পুরস্কার পেলেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসানসহ পাঁচ তরুণ লেখক

দেশের নবীন কবি ও লেখকদের সাহিত্যচর্চাকে অনুপ্রাণিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে মাসিক সাহিত্যপত্র কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে প্রবর্তন করে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। সেই স্রোতধারায় শনিবার প্রদান করা হলো সিটি ব্যাংক নিবেদিত ২০২৪ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য অবদানের জন্যে পাঁচ তরুণ কথাশিল্পী পেয়েছেন এই পুরস্কার। এরমধ্যে চাঁদপুরের লেখক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান প্রবন্ধ ও গবেষণা শাখায় ‘শতবর্ষে চা শ্রমিক আন্দোলন : ডেডলাইন ২০ মে ১৯২১’ গ্রন্থের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন।
‘সতীতালয়’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা শাখায় পুরস্কার জয় করেছেন অস্ট্রিক ঋষি। ‘নির্বাচিত দেবদূত’ গ্রন্থের জন্য কথাসাহিত্যে পুরস্কার পেয়েছেন সাজিদ উল হক আবির। মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব শাখায় ‘একাত্তরে অবরুদ্ধ দিনের দুঃসাহস : সাগাই ফোর্ট এস্কেপ’ গ্রন্থের জন্যে স্বরলিপি এবং শিশু সাহিত্যে তিলকুমারের যাত্রা গ্রন্থের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন নিয়াজ মাহমুদ।
ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন এবং কালি ও কলমের প্রকাশক আবুল খায়ের। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে গানের দল ও কৃষ্ণকলি।
প্রসঙ্গত, কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার তরুণদের জন্যে প্রবর্তিত সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার।পুরস্কারটির অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরস্কারের জন্যে বই আহ্বান করা হয়। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য এই পাঁচটি বিষয়ে বই জমা নেয়া হয়েছে। বই জমা দেওয়ার পর বিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলীর পর্যবেক্ষণ-পর্যালোচনার ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থসমূহ নির্বাচন করা হয়।