খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাহাজে সেভেন মার্ডারে যা ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাহাজে সেভেন মার্ডারে যা ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে সাত জনকে হত্যার উদ্দেশ ডাকাতি নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পেছনে অন্য রহস্য আছে বলে তারা ধারণা করছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, সিআইডি ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, নৌপথে অস্থিরতা তৈরি করতেই এ হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটানো হয়েছে।

নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ৮ জন নয়, সেখানে আমরা ৯ জন থাকার খবর পাচ্ছি। এরই মধ্যে আমাদের কাছে আরো নানা তথ্য আসছে। এটা প্রথম দিকে ডাকাতি মনে হলেও এখন এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ধরেই আমরা এগুচ্ছি। নৌপথে অস্থিরতা তৈরি করতেই এমনটি করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছি। সকাল ১১টার দিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের পশ্চিমে মেঘনা নদীর পাড়ে মাঝিরচর এলাকায় একটি জাহাজ থেকে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে আরও ২ জন মারা যান। নিহত সবার নাম-পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, রানা, সবুজ, নিস্বার্থ। এদের বাড়ি নড়াইল ও ফরিদপুর জেলায়। এছাড়া গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম জুয়েল। এমন লোমহর্ষক ঘটনা দেখে বিস্মিত চাঁদপুরবাসী। তারা এ ঘটনার রহস্য উন্মোচনসহ দ্রুত জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

এদিকে জাহাজটি নোঙ্গর করা অবস্থায় ছিলো না বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান, এটি স্রোতের টানে ঈশানবালা ঘাটের দিকে আটকে ছিলো।

বিভিন্ন জাহাজের সংশ্লিষ্টদের বরাত দিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এমভি আল-বাখেরা জাহাজের মালিক একাধিক ব্যক্তি। মাষ্টার নিয়োগসহ লেনদেনে দ্বন্দ্ব থেকেও এ হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটানো হতে পারে। এদিকে এমভি আল-বাকেরা জাহাজে সাতজন ক্রু সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে আলোচনায় বসেছি। এভাবে অনিরাপদভাবে কার্গো জাহাজ চলাচল করতে পারে না। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই। তাই অচিরেই আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছি।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিরাপত্তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এখন থেকে নিরাপত্তা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ শুরু করেছি। আশা করছি এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য দ্রুত উন্মোচিত হবে। এদিকে এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার রহস্য উন্মোচনে ছায়া তদন্তে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম। ইতিমধ্যেই ওই জাহাজ থেকে রক্তমাখা চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।

নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক শেখ আব্দুস সবুর বলেন, প্রথমে জাহাজে ৮ জন থাকার কথা জানলেও পরে ৯ জন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। এখন যিনি সুস্থ আছেন তিনিই ভালো বলতে পারবেন বাকি যে ব্যক্তি তার পরিচয়। এটি ডাকাতির ঘটনা মনে হয়নি। জাহাজে প্রায় ২ কোটি টাকার সার ছিলো, যার কিছুই লুট হয়নি। এছাড়া জাহাজেরও কোন ক্ষতি হয়নি। তাই এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ সময় এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “নোঙ্গর অবস্থায় জাহাজটি পাওয়ার বিষয়টি এখনো আমরা নিশ্চিত নই। আবার যাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাকে ঘিরেও কোনো নাটকীয়তা আছে কিনা তাও তদন্তের বিষয়। মালিক পক্ষের কোনো ঝামেলা থেকে এ ঘটনা কিনা তাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “ধারণা করছি রবিবার রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা সোমবার দুপুর ২টার দিকে খবর পেয়েছি। এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রত্যেকের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জাহাজের পাঁচটি কক্ষে পাঁচ জনের লাশ পেয়েছি আমরা। আরও তিন জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পেয়েছি। পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। আটজনই জাহাজটিতে ছিলেন। ধারণা করছি, ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।”

এদিকে জাহাজটির একাধিক মালিকানার তথ্য নিশ্চিত করেছেন এর অন্যতম মালিক মাহবুব মোর্শেদ। তিনি বলেন, “আমরা ৬ জন এই জাহাজটির মালিকানায় রয়েছি। তবে আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। তাছাড়া মাষ্টার ও একজন স্টাফ ছাড়া আমরা কাউকেই নিয়োগ দেই না। এগুলো নিয়ে মাথাও ঘামাই না আমরা। জাহাজে কতজন কাজ করবে সেটা মাষ্টারই ঠিক করেন। জাহাজটিতে ৮ জন নাকি ৯ জন ছিলো তা আমি বা আমরা কেউই নিশ্চিত নই। আমরাও চাই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য দ্রুত জানা যাক।

এর আগে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় সারবোজাই করে চট্টগ্রামের কাপ্পো জেটি হতে মেসার্স বৃষ্টি এন্টার প্রাইজের আল-বাখেরাহ জাহাজটি সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে চাঁদপুরের হাইমচরের গাজীপুর ইউনিয়নের ঈশানবালা ও মাঝের চর এলাকার মাঝামাঝি মেঘনা নদীতে জাহাজটি দেখে অন্য জাহাজের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে পাঁচজনের রক্তাক্ত অবস্থা দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে প্রশাসন পৌঁছলে সেখানে পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় দেখেন। এরপর জাহাজটির বিভিন্ন ডেকে আরও তিনজনকে রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় পেয়ে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং একজনকে ঢাকা প্রেরণ করেন।

জুলাই নিয়ে নতুন বিতর্ক তুললেন নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:১২ পূর্বাহ্ণ
জুলাই নিয়ে নতুন বিতর্ক তুললেন নাহিদ ইসলাম

৫ আগস্টের পর জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে দেওয়া হয়নি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য সত্য নয় বলেও দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন তিনি।
পোস্টে তিনি মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে লিখেন, ‘বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জাতীয় সরকারের কোনো প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয় নাই। তারা অন্য মাধ্যমে এ প্রস্তাবনা পেয়েছিল। এই বক্তব্যটি সত্য নয়। ৫ই আগস্ট রাতের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা বলেছিলাম, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার করতে চাই। সেই প্রেস ব্রিফিংয়ের পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে আমাদের ভার্চুয়াল মিটিং হয়। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারেক রহমান এ প্রস্তাবে সম্মত হননি এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাজেশন দেন। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা বলি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘৭ আগস্ট ভোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাসায় আমরা উনার সাথে অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আলোচনা করি। উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেবার আগে জনাব তারেক রহমানের সাথে আরেকটি মিটিংয়ে প্রস্তাবিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হয়।’

একই পোস্টে তিনি দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় পরিচয় না দিলেও ৫ আগস্টের পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম নিজেকে সমন্বয়ক বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি লিখেন, ‘সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কায়েমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাদিক কায়েমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা করেছে, এই অভ্যুত্থান ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিসে, আমরা সামনে শুধু পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করে নাই। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক নয়, শিবিরের ইনস্ট্রাকশন বা ডিরেকশনেও হয় নাই। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে সে বিষয়ে অন্যদিন বলবো।’

তিনি আরও লিখেন, ‘২ আগস্ট ২০২৪ রাতে জুলকারনাইন সায়েররা একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশ্যে কথিত সেফ হাউসে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেট করা হয়; যাতে সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে আর আমাদের সঙ্গে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল, এক দফার ঘোষণা মাঠ থেকে, জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে, তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভেতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে, আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে এগোতে হবে। ৫ আগস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি।’

সাদিক কায়েমের প্রতিক্রিয়া
নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাদিক কায়েম। গতকাল গণমাধ্যমকে সাদিক কায়েম বলেন, ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হচ্ছে। জুলাই বিপ্লব ছিল আপামর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ। এখানে সব মতের মানুষ নিজেদের ব্যক্তিগত মতভেদ ভুলে একটি সাধারণ লক্ষ্য– ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য একত্রিত হয়েছিল। যখন খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়, সে সময় সরকার গঠন এবং পরবর্তী সময়ে আমি কখনও ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে কোথাও গিয়ে কিছু দখল বা আত্মসাৎ করেছি– এমন একটি সিঙ্গেল ডকুমেন্টও কেউ দেখাতে পারবে না। সূত্র,: সমকাল

চাঁদপুরে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

চাঁদপুরে পুলিশের অভিযানে চোরাই ৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং চুরির সাথে জড়িত চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান। আটক চোর চক্রের সদস্যরা হলেন-জেলার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড কাচিয়াড়া পশ্চিম পাঠান বাড়ির হারু অর রশিদের ছেলে রাফসান ইসলাম নিলয় (২০), একই উপজেলার রূপসা ইউনিয়নের বারো পাইকা গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে মো. ইয়ামিন (২১) ও সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজগাছতলা বাদামতলী খান বাড়ীর আব্দুল মান্নান খানের ছেলে আব্দুস সালাম (২৬)।

পুলিশ জানায়, ৩০ জুলাই বিকেলে সদর মডেল থানা পুলিশ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজন মোটরসাইকেল চোরকে চুরি করে আনা মোটরসাইকেলসহ আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চুরিতে জড়িত রাফসান ও ইয়ামিনের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত নিজগাছতলা এলাকার সালাম মটরস এর আব্দুস সালাম এর সন্ধান মিলে। তিনি চোরাইকৃত মোটরসাইকেল তার গ্যারেজে সংরক্ষণ করতেন।আটক চোর চক্রের সদস্যরা পুলিশকে জানান, তারা লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে এসব মোটরসাইকেল ক্রয় করতেন। এর মধ্যে অধিকাংশ মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নেই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেলে মডেল থানা পুলিশ প্রথমে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্য নিলয় ও ইয়ামিনকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো নিজগাছতলা সালামের গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। সালাম চোরাই মোটরসাইকেলের ব্যবসা করে। তাকেও আটক করা হয়েছে। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

বর্তমানে টলিউডে ‘দেখতে সুন্দর’ হওয়ার চাপ এতটাই বেড়েছে যে, রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখতে বহু অভিনেত্রী বেছে নিচ্ছেন প্লাস্টিক সার্জারি, লিপ ফিলার, নোস জব, এমনকি শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি। কারণ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, এসব না করালে ‘নায়িকা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এবার এই বিষয়েই মুখ খুললেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে শোলাঙ্কি জানিয়েছেন, তিনি কখনও নিজের মুখে কোনও ইনজেকশন নেননি, কোনও রকম কসমেটিক সার্জারির পথেও হাঁটেননি। আর এই ‘স্বাভাবিকত্ব’-এর জন্যই তাকে বহুবার কটু কথা শুনতে হয়েছে।
শোলাঙ্কির কথায়, ‘অনেকেই বলেন আমার মুখ টিভির তুলনায় সিনেমায় দেখতে খারাপ লাগে। আসলে মুখে তো কখনও কিছু করাইনি, ইনজেকশন নিইনি। তাই হয়তো!’
এখানেই থামেননি অভিনেত্রী। জানালেন, তিনি যেহেতু চিরকালই রোগা, তা নিয়েও নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাকে। এতটাই যে এক সময় আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে যায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যাওয়া বন্ধ করে দেন। ‘অনুষ্ঠানে গেলেই অনেকে জিজ্ঞেস করতেন আমি এত রোগা হয়ে গেছি কেন। যেন এটা কোনও নতুন ব্যাপার! আমি তো ছোটবেলা থেকেই এমন,’ বললেন শোলাঙ্কি।
তবে সবচেয়ে অপমানজনক অভিজ্ঞতার কথাও এদিন অকপটে শেয়ার করেন তিনি। একবার এক পরিচালক তাঁকে সরাসরি পরামর্শ দেন ব্রেস্ট সার্জারির।

শোলাঙ্কির ভাষায়, ‘তিনি বলেছিলেন, ‘নায়িকা হতে গেলে একটু ক্লিভেজ থাকা দরকার’। এই কথাটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও আমি যথেষ্ট ম্যাচিওর ছিলাম, তাই কথাটা এড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। কিন্তু ভাবুন তো, এই কথাটা যদি কোনও নতুন বা কম বয়সি মেয়ে শুনত! কতটা ভেঙে পড়ত সে।’
শোলাঙ্কি আরও বলেন, ‘আজও সেই ঘটনা মাথায় গেঁথে আছে। প্রভাব তো ফেলেছিলই, না হলে এতদিন পরেও এটা নিয়ে বলতাম না। বাইরে থেকে শুনলেই একরকম লাগে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে কী যন্ত্রণা হয়, সেটা শুধু মেয়েরাই বোঝে।’
অভিনেত্রীর এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে কতটা নিষ্ঠুর এক মানসিক চাপ কাজ করে প্রতিটি তারকার পরে। সাহস করে সেই রূঢ় বাস্তবের মুখোশ খুলে দিলেন শোলাঙ্কি রায়।