খুঁজুন
                               
বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬ কার্তিক, ১৪৩২

ওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদির নতুন সুখবর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
ওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদির নতুন সুখবর

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় একটি নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম “নুসুক ওমরাহ” চালু করেছে। এতে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সরাসরি ওমরাহ ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্ল্যাটফর্ম (umrah.nusuk.sa) এর মাধ্যমে অনলাইনে হজযাত্রা পরিষেবা বুক করতে পারবেন যে কেউ। এর মধ্য দিয়ে কারো মধ্যস্থতার প্রয়োজনকে দূর করেছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, umrah.nusuk.sa এবং গুগল প্লে ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে উপলব্ধ, এই পরিষেবাটি ই-ভিসা থেকে শুরু করে হোটেল রিজারভেশন, পরিবহন, সাংস্কৃতিক ভ্রমণ এবং সহায়তা পরিষেবা পর্যন্ত সমস্ত বিকল্প অফার করে।
হাজীরা সরকারি ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত একটি বহুভাষিক ইন্টারফেসের মাধ্যমে তৈরি প্যাকেজ বেছে নিতে পারেন অথবা তাদের নিজস্ব ভ্রমণপথ তৈরি করতে পারেন, যা একটি নিরাপদ এবং নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে। ব্যবহারকারীরা তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য প্যাকেজগুলোও কাস্টমাইজ করতে পারেন।
এই উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মুসলমানদের জন্য সহজেই তাদের হজযাত্রা সহজে বাস্তবায়ন করার দরজা খুলে দেয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্ল্যাটফর্মটি ধর্মীয় ভ্রমণকে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ এবং সৌদি আরবের ২০৩০ সালের ভিশনের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। সৌদির লক্ষ্য হলো ওমরাহ এবং হজকে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মুসলমানের জন্য আরও সহজলভ্য করা।
নুসুক ওমরাহ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কীভাবে আবেদন করবেন
> নুসুক ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
> ব্যক্তিগত বিবরণ (আইডি বা পাসপোর্ট, ফোন নম্বর, ই-মেইল, জাতীয়তা, জন্ম তারিখ) লিখুন।
> আপনার ফোন বা ই-মেইলে পাঠানো নিরাপত্তা কোড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টটি যাচাই করুন।
> “উমরাহ পরিষেবা” নির্বাচন করুন, তারপর আপনার পছন্দের তারিখ এবং সময় নির্বাচন করুন।
> সঙ্গীদের যোগ করুন (যদি আপনি পরিবার বা বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করেন)।
> নির্দেশাবলি পর্যালোচনা করুন এবং শর্তাবলিতে সম্মত হন।
> একাধিক নিরাপদ বিকল্পের মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ প্রদান সম্পূর্ণ করুন।
> কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার ই-ভিসা গ্রহণ করুন।

জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৮ অপরাহ্ণ
জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে খুন হন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসেন। পুলিশ জানায়, রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ‘রওশন ভিলা’ নামের বাড়ির সিঁড়ি থেকে জুবায়েদের রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় সিসিটিভি ফুটেজে দুজন তরুণকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে, তবে তাদের মুখ স্পষ্ট নয়। গত এক বছর ধরে ওই বাড়িতেই বর্ষাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন জুবায়েদ। ঘটনার পর বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়।
বংশাল থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী ও সন্দেহভাজন মাহির রহমানসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত জুবায়েদ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি। ওই ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল আটক মাহির রহমানের। সম্প্রতি সম্পর্কের অবসান ঘটান ওই ছাত্রী, যা নিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন।
রোববার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাসায় টিউশনে যাওয়ার পথে জুবায়েদের সঙ্গে দেখা হয় মাহিরের। এসময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পরেই জুবায়েদ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে জুবায়েদের প্রথম জানাজা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

হুন্ডি মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৫ অপরাহ্ণ
হুন্ডি মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন

একটি হুন্ডি মাফিয়া চক্রের দুই শতাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ নানা অপরাধের তথ্য পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই তথ্য জানিয়ে সিআইডি সূত্র বলছে, তারা হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের পাশাপাশি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সিআইডি বলছে, এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাঁরা দেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালানসহ অবৈধভাবে দেশ থেকে অর্থপাচারে জড়িত। তাঁদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬০৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৯৬ বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডি বলছে, হুন্ডি চক্রের হোতা মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টে গত এক বছরে ৫৮২ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সহযোগী গোলাম সারওয়ার আজাদ ও তরিকুল ইসলাম রিপন ফকিরের অ্যাকাউন্টে মিলেছে আরো ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য। তাঁদের গ্রেপ্তারে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।
চক্রের সদস্যরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মার্কিন মুলুকেও সক্রিয়। এর মধ্যে তাঁরা ফাঁদে ফেলে এক মার্কিন নাগরিকের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে এই চক্রের সদস্যদের। এই চক্রের সদস্যরা স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এঁরা হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন করে থাকেন।
সিআইডি সূত্র বলছে, সম্প্রতি এই অপরাধীরা ডেবোলা জন্সটোন রামলো ডেবি নামের একজন মার্কিন নাগরিককে কৌশলে তাঁদের ফাঁদে ফেলেন। তাঁর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি (দুই কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার ৩৫১.৭২ টাকা) আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছে সিআইডি। মার্কিন শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্তে সিআইডির সহযোগিতা চেয়েছে।
সিআইডির অনুসন্ধান অনুযায়ী, দেশে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ পাচার করা হচ্ছে, সম্প্রতি এর চেয়ে বেশি পাচার করা হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। এভাবে প্রতিবছর ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়।

সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, হুন্ডি মানে অনেকের কাছে শুধু রেমিট্যান্স বৈধ চ্যানেলে না পাঠিয়ে অবৈধ কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে হুন্ডির ব্যাপকতা অনেক বেশি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সিআইডি সূত্র বলছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের মাধ্যমে একজন মার্কিন নাগরিক প্রতারিত হন। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা অভিযোগ পেয়ে এই নিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সহযোগিতা চেয়ে যোগাযোগ করে।
সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই হুন্ডি চক্র নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে থাকা অভিভাবকদের সঙ্গে তারা একই ধরনের প্রতারণা করে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দীর্ঘদিন ধরে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করে আসছে। অনুসন্ধানে উঠে আসা এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আইনক্স ফ্যাশন, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ ও নোহা এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যে আইনক্স ফ্যাশনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
মার্কিন নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার অভিযোগটির অনুসন্ধানকালে আরো উঠে আসে, চক্রের সদস্যরা স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত। তাঁরা ঢাকার তাঁতীবাজারসহ বিভিন্ন দোকান থেকে ভাঙ্গারি স্বর্ণ সংগ্রহ করে তা গলিয়ে পাকা সোনার বার আকারে রূপান্তরিত করে দীর্ঘদিন ধরে পাচার করে আসছেন। এসব পাচার করা সোনার বার মূলত সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয় বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে।
সুইজারল্যান্ডের সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশিদের সুইস ব্যাংকে রাখা টাকার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে কিছুটা কমে পাঁচ হাজার ৩৪৭ কোটি হয়। কিন্তু ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় আট হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার গণজমায়েত, লিফলেট বিতরণ, আলোচনাসভা ও স্মারকলিপি প্রদান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২:২২ অপরাহ্ণ
খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার গণজমায়েত, লিফলেট বিতরণ, আলোচনাসভা ও স্মারকলিপি প্রদান

‘সবার জন্য খাদ্য চাই, খাদ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন, সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণ, গণজমায়েত, আলোচনা সভা ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর ২০২৫) খাদ্য অধিকার আন্দোলন, চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে কর্মসূচি পালন করা হয়।
নবরূপ মানবিক উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী পিএম বিল্লাল হোসাইনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ খোকন, ব্রাক রিজিওনাল ম্যানেজার মো. সেলিম মোল্লা, আরসিডিএস নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ সাদেক সফিউল্লাহ, স্কলার ওয়েলফেয়ারের পরিচালক বিএম হাসান সাংবাদিক ও লেখক রোটা. উজ্জ্বল হোসাইন, নারী নেত্রী নুরজাহান আক্তার, শাহরাস্তি পরিবার উন্নয়নের আব্দুল মান্নান বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভা শেষে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন নিকট নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।