খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ১০ শ্রাবণ, ১৪৩২

এআই নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে: আইসিটি সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪১ অপরাহ্ণ
এআই নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে: আইসিটি সচিব

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা প্রণয়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত ‘টেলিকম অ্যান্ড ইনোভেশন ফেয়ার ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটা জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহবুব আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদুল বারী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কর্মকর্তা ও টেলিকমিউনিকেশন এবং ডিজিটাল খাতের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন

আইসিটি সচিব বলেন, আমরা এআই পলিসি নিয়ে কাজ শুরু করেছি, ইনফেক্ট আজকে শুরু হয়েছে এটা। আমরা সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্স করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোক্তাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরা একটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মধ্যে আছি। আমরা এখন ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ করছি। ডিজিটাল খাতে সরকার বিভিন্ন প্রজেক্ট করবে, ফাইন্যান্স করবে- এটাকে কমার্শিয়ালাইজ করবে ইন্ডাস্ট্রি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনের যে সমাজ সেখানে আমাদের কাজ করতে হবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে। তরুণরা পরিবেশের উপর টেলিকম ইন্সটলেশনগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে দারুণ আইডিয়া নিয়ে এসেছে। এগুলোকে আরও কীভাবে গ্রিন করা যায় তা নিয়ে ভাবছে। প্রতি বছর গ্র্যাজুয়েটদের একটি বড় অংশ আনএমপ্লয়েড থেকে যায়, এদের মধ্যে যদি উদ্যোক্তা মনোভাব তৈরি করতে পারি তাহলে একটি স্থিতিশীল সমাজ তৈরি করতে পারব।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদুল বারী বলেন, আমাদের টেলিকম সেক্টরে গত দুই দশকে যে ডেভলপমেন্ট হয়েছে সেটা হয়েছে কানেক্টিভিটির জন্য। ইন্টারনেট পেনিট্রেশন ১৩ কোটির মতো হলেও হেড কাউন্টে সেটা ৭ থেকে ৮ কোটির মতো, যা ৪৫ শতাংশ হবে। তথ্য বিপ্লবের দুটি বড় উপাদান হলো কানেক্টিভিটি এবং অপরটি ডেটা। প্রথম যখন ইন্টারনেট এলো তখন ব্যবসা বলতে কানেক্টিভিটি বুঝাত, বর্তমানে ডিজিটাল ব্যবসা হচ্ছে ডেটা, আগের মতো ভয়েস বলতে আমরা টিপিক্যাল ভয়েস বুঝি না, হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েসও একটা ডেটা।

তিনি বলেন, বিজ্ঞান যখন কোনো কিছু আবিষ্কার করে সেটাকে ছড়িয়ে দেয় বিজনেস ও কমার্স। এগুলো হয় ইনোভেশনের মাধ্যমে। আমাদের উদ্যোক্তাদের ইনোভেটিভ হতে হবে। আমাদের অনেক রকম ইনোভেশন দরকার। আমাদের কানেক্টিভিটি এবং ইউজেস গ্যাপের সঙ্গে সঙ্গে ইউজফুলনেস গ্যাপ রয়েছে। অনেক জায়গায় কানেক্টিভিটি থাকলেও ইউজফুল কানেক্টিভিটি হচ্ছে না। কনজ্যুমার সার্ভিস বাড়ানোর টার্গেট থাকলে টেলকো সেক্টর ফ্লারিশ করবে। টেলকো খাতে ইমিডিয়েট, মিড টার্ম ও লং টার্ম টার্গেট থাকা উচিত।

বিটিআরসি কমিশনার মাহবুব আলম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৭৬টি আইডিয়া পেয়েছি, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ৩২টি আইডিয়া আগামী দিনের টেলিকমিউনিকেশনে যুগান্তকারী অবদান রাখবে। এর মধ্যে ৫টি আইডিয়াকে সম্মাননা দেওয়া হবে। তারা পাবে বিটিআরসি থেকে মেন্টরশিপ ও অন্যান্য সহযোগিতা।

একজন উদ্ভাবক যেমন নিজেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তেমনি ভূমিকা রাখেন দেশের অর্থনীতিতে। বিশ্ববিদ্যালয় ও আইসিটি বিভাগকে সমন্বয় করে আমরা সামনে একটি একাডেমিয়া গঠন করতে চাই, যাতে ভবিষ্যতের গবেষণা শুধু কাগজে আটকে না থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাৎক্ষণিক পাওয়ার রিস্টোর করার উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৫ম স্থান অর্জন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে ইবিতানস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্যোক্তাতাদের ডিজিটালি কানেক্ট করার উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৩য় স্থান অর্জন করেছে গ্রামীণফোন। তাদের প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে এক লাখ টাকা।

এবারে ফেয়ারে ইকো ফ্রেন্ডলি টাওয়ার স্থাপনের উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ২য় স্থান অর্জন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ১ম স্থান অর্জন করেছে রোবোলাইফ টেকনোলজিস। তাদের প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে তিনি লাখ টাকা।

শতাব্দীর দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ, অন্ধকারে থাকবে পৃথিবীর একাংশ!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
শতাব্দীর দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ, অন্ধকারে থাকবে পৃথিবীর একাংশ!

শতাব্দীর দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি প্রায় ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী হবে। এটি হতে যাচ্ছে শতাব্দীর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সোমবার (২২ জুলাই) সংবাদমাধ্যম মেট্রো এবং টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালের ২ আগস্ট এক বিরল পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এটি ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা দেখতে পাবেন। এই মহাজাগতিক ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এটি প্রায় ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী হবে। এছাড়া এটি শতকের অন্যতম দীর্ঘতম পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে।
এই সূর্যগ্রহণে চাঁদ পুরোপুরি সূর্যকে আচ্ছাদিত করবে। এটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় পূর্ণতা (Totality) বলা হয়। এ সময় দিনের আকাশ রাতের মতো অন্ধকার হয়ে যাবে। পূর্ণতার রেখা পৃথিবীর উপর দিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে, যা দক্ষিণ ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার এক বিশাল অংশকে ঢেকে দেবে। প্রায় ৮৯ মিলিয়ন মানুষ এই অন্ধকার দর্শনের সুযোগ পাবে।
সূর্যগ্রহণটি মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিসর, সুদান, সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সোমালিয়াসহ একাধিক দেশে দেখা যাবে।
দীর্ঘতম গ্রহণের রহস্য
রয়্যাল মিউজিয়ামস গ্রিনউইচের সিনিয়র জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রেগ ব্রাউনের মতে, এই গ্রহণটি প্রায় ছয় মিনিট স্থায়ী হবে, যা এ ধরনের মহাজাগতিক ঘটনার জন্য অসাধারণভাবে দীর্ঘ।
তিনি বলেন, এটি মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। এই তারতম্য চাঁদ এবং সূর্যের দৃশ্যমান আকারের পার্থক্যের কারণে ঘটে, যা চাঁদের পৃথিবীর কক্ষপথে এবং পৃথিবীর সূর্যের কক্ষপথে তাদের দূরত্বের সামান্য পরিবর্তনের ফলে হয়।
সূর্যগ্রহণ কীভাবে ঘটে?
সূর্যগ্রহণ ঘটে যখন চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে এবং সূর্যের আলো আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এটি শুধু অমাবস্যা তিথিতে ঘটতে পারে। এ সময় চাঁদ ঠিক সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে অবস্থান করে। চাঁদের কক্ষপথ কিছুটা কাত হওয়ায়, বেশিরভাগ সময় এটি সূর্যের কিছুটা উপর বা নিচ দিয়ে চলে যায়, ফলে সূর্যগ্রহণ সবসময় হয় না।

জলবায়ু পরিবর্তন : এক দেশ আরেক দেশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ
জলবায়ু পরিবর্তন : এক দেশ আরেক দেশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে

এখন থেকে এক দেশ আরেক দেশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির কারণে বলে যুগান্তকারী এক রায়ে জানিয়েছে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত।এমনকি অতীতে কারা কত পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস ছেড়েছে, সেটাও বিবেচনায় আসতে পারে বলেও রায়ে জানানো হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বুধবার এই রায় দেয়। যদিও এই রায় বাধ্যতামূলক নয়, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এর বৈশ্বিক প্রভাব গভীর হতে পারে।
বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জন্য এটা একটি বড় জয়। তারা বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক মহলের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশ হয়ে এই মামলার পথ বেছে নিতে পারে।
বিবিসি বলছে, ২০১৯ সালে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে এই মামলার সূচনা হয়েছিল। প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জের কিছু তরুণ আইনের ছাত্র এই ধারণাটি প্রথম সামনে আনেন। তাদেরই একজন ছিলেন টোঙ্গার সিওসিউয়া ভেইকুনে এবং বুধবার হেগে তিনি আদালতের রায় শোনেন।
তিনি বলেন, “এই জয় আমাদের সমাজের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা যে কষ্ট সহ্য করেছি, সেই বাস্তবতা আদালত স্বীকার করেছে”। অন্যদিকে ভানুয়াতুর জলবায়ু কর্মী ফ্লোরা ভানো বলেন, “এই জয় শুধু আমাদের নয়, সারা বিশ্বের সেইসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের, যাদের কথা এতদিন ধরে শোনা হচ্ছিল না।”
যুগান্তকারী এই রায়ে বিচারপতি ইওয়াসাওয়া ইউজি বলেন, যদি কোনো দেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যথাসম্ভব উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা না নেয়, তাহলে সেটা প্যারিস চুক্তির লঙ্ঘন হবে। এমনকি যারা প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি বা সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে চায় (যেমন— যুক্তরাষ্ট্র), তাদেরও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।
আদালত বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে। কোনো নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতির জন্য যদি প্রমাণ করা যায় যে তা জলবায়ুর কারণে হয়েছে, তাহলে সে ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণ চাওয়া যাবে।
এমনকি যদি কোনো দেশ তাদের কোম্পানিকে তেল ও গ্যাস খাতে নতুন লাইসেন্স দেয় বা জীবাশ্ম জ্বালানি খাতকে ভর্তুকি দেয়, তবে তা তার আইনি দায়বদ্ধতার পরিপন্থি হতে পারে।
আইসিজের এই মতামতের ভিত্তিতে যেকোনো দেশ চাইলে জাতিসংঘ আদালত বা নিজস্ব কোনো জাতীয় আদালতেও মামলা করতে পারবে। তবে আইসিজে-তে সরাসরি মামলা করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশকে অবশ্যই আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করতে হবে। যেটি যুক্তরাজ্য করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীন করেনি।
তবে আইনজীবী জোই চৌধুরী বলেন: “জাতীয় বা আন্তর্জাতিক যেকোনো আদালতে আইসিজের মতামত উদ্ধৃত করে মামলা করা যাবে। তাই কোনো দেশ চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টেও মামলা করতে পারে।”

নারী কর্মীদের ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক পরিহার করতে বললো বাংলাদেশ ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ
নারী কর্মীদের ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক পরিহার করতে বললো বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সব স্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য নতুন পোশাকবিধি জারি করেছে। গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য একটি পেশাদার ও মার্জিত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। নির্দেশনায় পুরুষ ও নারী কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছে এবং কিছু পোশাক পরিহার করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে।
পুরুষ কর্মীদের জন্য পোশাকবিধি
পুরুষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট (লম্বা হাতা বা হাফ হাতা) এবং ফরমাল প্যান্ট পরতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা পরতে হবে। এই নির্দেশিকায় জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরিহার করার কথা বলা হয়েছে।
নারী কর্মীদের জন্য পোশাকবিধি
নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ ও ওড়না অথবা অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব পোশাক অবশ্যই সাদামাটা এবং পেশাদার রঙের হতে হবে। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস (ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক) এবং লেগিংস পরিহার করার কথা বলা হয়েছে।
পোশাকবিধির ১১ ক্রমিক নম্বরে আরও তিনটি নির্দেশনা রয়েছে। ১১ (ক) নম্বরে নারী কর্মীদের প্রতি আচরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন ২০০৩–এর ৩৯ ধারায় বর্ণিত নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। যৌন হয়রানিসংক্রান্ত অভিযোগগুলো ঘটনা ঘটার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মানবসম্পদ বিভাগ ১–এর নির্দিষ্ট পরিপত্রের মাধ্যমে গঠিত কমিটির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
১১ (খ) নম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে মানবসম্পদ বিভাগ ২–এর অফিস নির্দেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
১১ (গ) নম্বরে ইতিবাচক কর্মপরিবেশ তৈরি করার জন্য দাপ্তরিক শিষ্টাচার ও আচরণবিধি তথা সততা, নৈতিকতা, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, অর্পিত দায়িত্ব–কর্তব্য পালনে নিষ্ঠা ইত্যাদি, সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ ও আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক (পারস্পরিক সম্মান, সৌজন্যবোধ, সহযোগিতামূলক মনোভাব ইত্যাদি) মেনে চলতে বলা হয়েছে।
গৃহীত সিদ্ধান্তের ১২ নম্বরে বলা হয়েছে, ১১ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া নির্দেশনা পরিপালনের জন্য অফিস, বিভাগ, প্রকল্প, সেল, ইউনিটভিত্তিক পর্যবেক্ষণের জন্য একজন কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দিতে হবে। ওই নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তদারকি করবেন মনোনীত কর্মকর্তা। এর ব্যত্যয় হলে বিভাগীয় প্রধানকে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে নির্দেশনা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে অভিযোগ পাঠাবেন।