খুঁজুন
                               
বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬ কার্তিক, ১৪৩২

এআই দিয়ে চুপিসারে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিডিও এডিট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ণ
এআই দিয়ে চুপিসারে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিডিও এডিট

কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অনুমতি ছাড়াই কিছু ভিডিওতে গোপনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে পরিবর্তন এনেছে ইউটিউব। বিষয়টি নজরে আসার পর সৃষ্ট হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগ। অনেক ইউটিউবার বলছেন, ভিডিওগুলো দেখতে এখন এমন লাগছে যেন বাস্তবতা নয়, কোনো এআই কনটেন্ট।
মার্কিন ইউটিউবার রিক বিআটো বললেন, ‘আমি ভাবলাম, আমার চুলটা কেমন অদ্ভুত লাগছে, আর মুখটাও যেন কেউ মেকআপ করে দিয়েছে।’ ভিডিওর সূক্ষ্ম পরিবর্তন বুঝতে তাঁর সময় লেগেছে। উল্লেখ্য, বিআটোর চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউটিউব চুপিচুপি কিছু ভিডিওতে এআই ব্যবহার করে শার্টের ভাঁজকে আরও স্পষ্ট, ত্বককে কোথাও আরও মসৃণ আবার কোথাও আরও তীক্ষ্ণ করে তোলে। কারও কারও কান লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সেগুলো কিছুটা বিকৃত। এ পরিবর্তন এতটাই সূক্ষ্ম যে আলাদা করে না দেখলে বোঝা যায় না।
সংগীতভিত্তিক আরেক জনপ্রিয় ইউটিউবার রেট শুলও তাঁর ভিডিওতেও অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যতই দেখছি, ততই বিরক্ত লাগছে। আমি চাইলে নিজের মতো করে ভিডিও শার্প বা স্পষ্ট করতে পারতাম। ভিডিওগুলো দেখলে মনে হয় এআই দিয়ে তৈরি। আমার দর্শকদের সঙ্গে আমার যে বিশ্বাসের সম্পর্ক, এটা তা ক্ষুণ্ন করছে। এটা আমাকে ভীষণভাবে বিরক্ত করছে।’
এমন অভিযোগ শুধু বিআটো বা শালের নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত জুন থেকেই এমন অভিযোগ উঠে আসছে। কেউ কেউ কাছ থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে দেখিয়েছেন, তাঁদের মুখের বা শরীরের অংশ কেমন যেন বিকৃত। তখনো নিশ্চিত ছিল না, ইউটিউব কি আসলেই কিছু করছে কি না।
অবশেষে বিষয়টি স্বীকার করেছে ইউটিউব। তারা বলছে, শুধু ইউটিউব শর্টসের কিছু ভিডিওতে পরীক্ষামূলকভাবে এআই ব্যবহার করা হচ্ছে।
এক্স-এ দেওয়া পোস্টে ইউটিউবের সম্পাদকীয় ও নির্মাতা লিয়াজোঁ প্রধান রেনে রিচি লেখেন, ‘আমরা কিছু ইউটিউব শর্টসে প্রচলিত মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে ভিডিও প্রসেসিংয়ের সময় আনব্লার, ডিনয়েজ এবং ক্ল্যারিটি উন্নত করার পরীক্ষা চালাচ্ছি। স্মার্টফোনে যেভাবে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সময় প্রক্রিয়াকরণ হয়, বিষয়টি অনেকটা সেরকম।’
তবে ইউটিউব বিবিসির প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট করে বলেনি, নির্মাতাদের সম্মতি ছাড়া এআই ব্যবহারের বিষয়টি ভবিষ্যতেও চলবে কি না।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটা সাধারণ স্মার্টফোন প্রসেসিংয়ের মতো নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজইনফরমেশন স্টাডিজের অধ্যাপক স্যামুয়েল উলি বলেন, ‘স্মার্টফোনে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোন ফিচার চালু রাখবেন। তবে এখানে দেখা যাচ্ছে, ইউটিউব নির্মাতাদের না জানিয়ে এবং অনুমতি না নিয়েই তাদের কনটেন্ট পরিবর্তন করছে। এটা দর্শকদের সামনে এমন এক বাস্তবতা হাজির করছে যা নির্মাতার ইচ্ছার প্রতিফলন নয়।’
তিনি বলেন, ইউটিউবের পক্ষ থেকে ‘মেশিন লার্নিং’ শব্দটি ব্যবহার করার মধ্যেও কৌশল রয়েছে। কারণ, মেশিন লার্নিং আসলে এআই-এরই একটি উপধারা। ইউটিউব হয়তো ‘এআই’ শব্দটি ব্যবহার না করে আতঙ্ক এড়াতে চেয়েছে।
রিচি আরও বলেন, তারা মূলত জেনারেটিভ এআই নয়, বরং প্রচলিত মেশিন লার্নিং ব্যবহার করছে। তবে অধ্যাপক উলি বলেন, এ দুইয়ের ব্যবধান এখানে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মূল বিষয় হলো—ইউটিউব এমন কিছু পরিবর্তন করছে, যা দর্শক বা নির্মাতাদের অজান্তেই বাস্তবতাকে বদলে দিচ্ছে।
এটা শুধু ইউটিউব নয়। ২০২৩ সালে স্যামসাং ধরা পড়ে, তারা নাকি চাঁদের ছবি এআই দিয়ে উন্নত করছে। পরে প্রতিষ্ঠানটি বিষয়টি স্বীকার করে এবং প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে, সে বিষয়ে একটি ব্লগপোস্ট প্রকাশ করে।
এদিকে, গুগল পিক্সেল ফোনের ‘বেস্ট টেক’ ফিচার তো আরও এগিয়ে গেছে। একাধিক গ্রুপ ছবির মধ্যে সব মানুষের সবচেয়ে সুন্দর এক্সপ্রেশনগুলো বেছে নিয়ে একটি ‘আদর্শ মুহূর্ত’ তৈরি করে দেয়—যা বাস্তবে কখনো ঘটেনি। এমনকি পিক্সেল ১০–এর একটি ফিচার জেনারেটিভ এআই দিয়ে ১০০ গুণ পর্যন্ত জুম করতে পারে। যেটা ক্যামেরার প্রকৃত সীমা ছাড়িয়ে যায়।
এই প্রযুক্তিগুলোর ফলে প্রশ্ন ওঠে, আজকের ছবি বা ভিডিও আসলে কী তুলে ধরে?
প্রযুক্তি বিশ্লেষক উলি বলছেন, এটি নতুন কিছু নয়। ৩০ বছর আগে ফটোশপ যখন জনপ্রিয় হচ্ছিল, তখনো এমন উদ্বেগ ছিল। এরপর এসেছে এয়ারব্রাশিং, বিউটি ফিল্টার—সবই একরকম বাস্তবতার বিকৃতি।
গুগলের প্রকৌশলীরা বিষয়টি উপলব্ধি করছেন বলেই সম্ভবত পিক্সেল ১০ ফোনে নতুন কনটেন্ট ক্রেডেনশিয়াল যুক্ত করা হয়েছে—যা এআই ব্যবহৃত হলে ছবিতে ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক বা জলছাপ দিয়ে তা জানিয়ে দেয়।
তবে নির্মাতাদের না জানিয়ে ভিডিও বদলে ফেলার ইউটিউবের এই সিদ্ধান্ত অনলাইন কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
উলি বলেন, ‘এটি দেখায়, কীভাবে এআই ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠছে, আমাদের বাস্তবতার পর্দা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মানুষ তো এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট নিয়ে সন্দিহান। এখন যদি জানতে পারে, কোম্পানিগুলোও ওপর থেকে কনটেন্ট পরিবর্তন করছে, নির্মাতাদের না জানিয়ে—তাহলে বিশ্বাস কোথায় থাকবে?’
তবে সবাই আবার এ নিয়ে বিরক্ত নন। রিক বিআটো বলেন, ‘শোনো, ইউটিউব তো সব সময় নতুন কিছু নিয়ে কাজ করে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। তারা সেরা মানের কোম্পানি। ইউটিউব আমার জীবন বদলে দিয়েছে।’

জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৮ অপরাহ্ণ
জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে খুন হন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসেন। পুলিশ জানায়, রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ‘রওশন ভিলা’ নামের বাড়ির সিঁড়ি থেকে জুবায়েদের রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় সিসিটিভি ফুটেজে দুজন তরুণকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে, তবে তাদের মুখ স্পষ্ট নয়। গত এক বছর ধরে ওই বাড়িতেই বর্ষাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন জুবায়েদ। ঘটনার পর বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়।
বংশাল থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী ও সন্দেহভাজন মাহির রহমানসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত জুবায়েদ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি। ওই ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল আটক মাহির রহমানের। সম্প্রতি সম্পর্কের অবসান ঘটান ওই ছাত্রী, যা নিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন।
রোববার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাসায় টিউশনে যাওয়ার পথে জুবায়েদের সঙ্গে দেখা হয় মাহিরের। এসময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পরেই জুবায়েদ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে জুবায়েদের প্রথম জানাজা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

হুন্ডি মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৫ অপরাহ্ণ
হুন্ডি মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন

একটি হুন্ডি মাফিয়া চক্রের দুই শতাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ নানা অপরাধের তথ্য পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই তথ্য জানিয়ে সিআইডি সূত্র বলছে, তারা হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের পাশাপাশি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সিআইডি বলছে, এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাঁরা দেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালানসহ অবৈধভাবে দেশ থেকে অর্থপাচারে জড়িত। তাঁদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬০৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৯৬ বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডি বলছে, হুন্ডি চক্রের হোতা মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টে গত এক বছরে ৫৮২ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সহযোগী গোলাম সারওয়ার আজাদ ও তরিকুল ইসলাম রিপন ফকিরের অ্যাকাউন্টে মিলেছে আরো ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য। তাঁদের গ্রেপ্তারে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।
চক্রের সদস্যরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মার্কিন মুলুকেও সক্রিয়। এর মধ্যে তাঁরা ফাঁদে ফেলে এক মার্কিন নাগরিকের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে এই চক্রের সদস্যদের। এই চক্রের সদস্যরা স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এঁরা হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন করে থাকেন।
সিআইডি সূত্র বলছে, সম্প্রতি এই অপরাধীরা ডেবোলা জন্সটোন রামলো ডেবি নামের একজন মার্কিন নাগরিককে কৌশলে তাঁদের ফাঁদে ফেলেন। তাঁর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি (দুই কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার ৩৫১.৭২ টাকা) আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছে সিআইডি। মার্কিন শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্তে সিআইডির সহযোগিতা চেয়েছে।
সিআইডির অনুসন্ধান অনুযায়ী, দেশে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ পাচার করা হচ্ছে, সম্প্রতি এর চেয়ে বেশি পাচার করা হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। এভাবে প্রতিবছর ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়।

সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, হুন্ডি মানে অনেকের কাছে শুধু রেমিট্যান্স বৈধ চ্যানেলে না পাঠিয়ে অবৈধ কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে হুন্ডির ব্যাপকতা অনেক বেশি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সিআইডি সূত্র বলছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের মাধ্যমে একজন মার্কিন নাগরিক প্রতারিত হন। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা অভিযোগ পেয়ে এই নিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সহযোগিতা চেয়ে যোগাযোগ করে।
সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই হুন্ডি চক্র নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে থাকা অভিভাবকদের সঙ্গে তারা একই ধরনের প্রতারণা করে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দীর্ঘদিন ধরে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করে আসছে। অনুসন্ধানে উঠে আসা এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আইনক্স ফ্যাশন, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ ও নোহা এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যে আইনক্স ফ্যাশনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
মার্কিন নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার অভিযোগটির অনুসন্ধানকালে আরো উঠে আসে, চক্রের সদস্যরা স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত। তাঁরা ঢাকার তাঁতীবাজারসহ বিভিন্ন দোকান থেকে ভাঙ্গারি স্বর্ণ সংগ্রহ করে তা গলিয়ে পাকা সোনার বার আকারে রূপান্তরিত করে দীর্ঘদিন ধরে পাচার করে আসছেন। এসব পাচার করা সোনার বার মূলত সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয় বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে।
সুইজারল্যান্ডের সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশিদের সুইস ব্যাংকে রাখা টাকার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে কিছুটা কমে পাঁচ হাজার ৩৪৭ কোটি হয়। কিন্তু ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় আট হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার গণজমায়েত, লিফলেট বিতরণ, আলোচনাসভা ও স্মারকলিপি প্রদান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২:২২ অপরাহ্ণ
খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার গণজমায়েত, লিফলেট বিতরণ, আলোচনাসভা ও স্মারকলিপি প্রদান

‘সবার জন্য খাদ্য চাই, খাদ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন, সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণ, গণজমায়েত, আলোচনা সভা ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর ২০২৫) খাদ্য অধিকার আন্দোলন, চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে কর্মসূচি পালন করা হয়।
নবরূপ মানবিক উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী পিএম বিল্লাল হোসাইনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ খোকন, ব্রাক রিজিওনাল ম্যানেজার মো. সেলিম মোল্লা, আরসিডিএস নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ সাদেক সফিউল্লাহ, স্কলার ওয়েলফেয়ারের পরিচালক বিএম হাসান সাংবাদিক ও লেখক রোটা. উজ্জ্বল হোসাইন, নারী নেত্রী নুরজাহান আক্তার, শাহরাস্তি পরিবার উন্নয়নের আব্দুল মান্নান বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভা শেষে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন নিকট নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।