খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

ইরান লড়ছে, রাশিয়া শুধু দেখছে, কিন্তু কেন?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ২:৫০ অপরাহ্ণ
ইরান লড়ছে, রাশিয়া শুধু দেখছে, কিন্তু কেন?

মধ্যপ্রাচ্যে কোনো শান্ত দিন নেই। সশস্ত্র যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েল ইরানের সাথে সরাসরি মুখোমুখি হয়েছে। ইরানই ইসরায়েলের প্রধান ভূ-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ,কারণ ইরান সম্ভাব্য ভবিষ্যতের পারমাণবিক শক্তি। ঠিকভাবে বলতে গেলে, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ গত ১৩ জুন শুরু হয়নি। দুটি দেশ ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সরাসরি হামলা বিনিময় করেছে। তার আগে কয়েক দশক ধরে, তারা প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দা অপারেশন, সাইবার আক্রমণ এবং আঞ্চলিক প্রক্সিদের সমর্থনের মাধ্যমে “ছায়া যুদ্ধ” করে গেছে। এখন, ইসরায়েলের উদ্যোগে, সংঘাত প্রকাশ্য যুদ্ধে রূপ নিয়েছে।

কেন প্রতীকী আক্রমণ নয়। একে অন্যের কৌশলগত অবকাঠামো, সিদ্ধান্ত গ্রহণ কেন্দ্র এবং এমনকি শহরগুলোকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করছে দেশ দুটি। ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে কোন সীমান্ত নেই। তাই স্থল অভিযানের সম্ভাবনা কম। যার ফলে চলছে দূরপাল্লার হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টাপাল্টি আঘাত। চলছে বিমান আক্রমণও। যে পক্ষ প্রথমে তার সামরিক ও রাজনৈতিক পুঁজি নিঃশেষ করে দেবে তারাই হেরে যাবে এই যুদ্ধে।

কে প্রথমে ভাঙবে তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। ইরানের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্র রয়েছে। ইসরায়েল অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের অটুট সমর্থন উপভোগ করে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিশ্বাস করেন এবারের আক্রমণে “আয়াতুল্লাহ শাসন” বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ চাপে ভেঙে পড়তে বাধ্য হবে।

নেতানিয়াহু নিজে কিন্তু রাজনৈতিকভাবে দুর্বল সরকার। কেলেঙ্কারি এবং অভ্যন্তরীণ মতবিরোধে বিপর্যস্ত তিনি। একটি দীর্ঘায়িত এবং অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব সহজেই তার মন্ত্রীসভার টিকে থাকাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ইসরায়েলের জন্য আদর্শ ফলাফল হবে হিজবুল্লাহর সাথে অতীতের সংঘর্ষের মতোই একটি দ্রুত, সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ। এই ক্ষেত্রে, বিমানের শ্রেষ্ঠত্ব এবং দ্রুত অভিযান শত্রুকে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য করেছিল। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিবৃতি থেকে বোঝা যায় যে এটিই এবারের উদ্দেশ্য। ইরানের আক্রমণাত্মক ক্ষমতাকে পঙ্গু করার জন্য একটি দুই সপ্তাহের অপারেশন।

তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে: ইরান হিজবুল্লাহ নয়। তেহরান ১৩ জুন হোঁচট খেয়ে থাকতে পারে, তবে এটি বিশাল দেশ এবং সামরিক সম্পদের অধিকারী। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ভূখণ্ড এবং জনসংখ্যা উভয় ক্ষেত্রেই ইসরায়েলের চেয়ে কয়েকগুণ বড়,যার অর্থ এর সহ্য ক্ষমতা অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত এটি বোঝা গেছে যে,ইসরায়েলি বিজয়ের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ চলতে থাকলে নেতানিয়াহু দেশে রাজনৈতিক আঘাত এবং বিদেশ থেকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারেন।

নেতানিয়াহু মনে করছেন তার হারানোর কিছু নেই। ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোচ্চার সমর্থন তার কাছের মানুষদেরও আতংকিত করছে। তারা আরেকটি বিদেশী দ্বন্দ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জড়ানোর অভিযোগ আনছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এখন ট্রাম্প ইরানকে নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করতে বলছেন।

প্রশ্ন হলো রাশিয়ার পুতিন নিরব কেন। ইরানের সাথে গভীর বন্ধুত্বের পরও মস্কোর নিরবতা প্রশ্নবোধক। বলা হচ্ছে, মস্কো পরিস্থিতি আগ্রহের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে। তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ,ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে একটি বড় যুদ্ধ ওয়াশিংটনকে ইউক্রেনের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরিয়ে নিতে পারে। তেহরান রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার তাই মস্কো চাচ্ছে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হোক তাহলে সেটা মস্কোর পক্ষে যাবে।

এ ছাড়া রাশিয়ার সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইউক্রেন সংঘাত দেশটির সামরিক ও শিল্প ক্ষমতার বেশিরভাগই গ্রাস করছে। তদুপরি, ইরানের সাথে সদ্য স্বাক্ষরিত কৌশলগত অংশীদারিত্বের চুক্তিতে সরাসরি সামরিক সহায়তার জন্য কোনও বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত নেই। এটি সহজভাবে বলে যে কোন পক্ষই আক্রমণকারীকে সাহায্য করবে না।

তাই আপাতত, রাশিয়ার সর্বোত্তম পথ হতে পারে পাশে থাকা, কূটনৈতিক এবং অলঙ্কারপূর্ণ সমর্থন দেওয়া এবং আশা করা যায় যে ইরান তার হাত বাড়াবে না। এটি লক্ষণীয় যে তেহরান প্রথম হামলার পরে তুলনামূলকভাবে দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে। ইসরায়েলি বিমান কৌশলের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া,পাল্টা বুদ্ধিমত্তাকে শক্তিশালী করা এবং কার্যকরভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায় নির্ধারণ করবে।

এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার উপস্থিতি রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে। ফলে এই অঞ্চলে যেকোনো ধরনের অনিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খলা এড়াতে পছন্দ করছে রাশিয়া। পুতিন ট্রাম্পের সাথে সম্পর্কও নষ্ট করতে চাচ্ছেন না। পুতিন চান আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হোক। একই সময়ে,বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ক্রেমলিন অবশ্যই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ থেকে পশ্চিমাদের দৃষ্টি অন্যদিকে চলে যাওয়াকে উপভোগ করছে। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার, রাশিয়া সাম্প্রতিক মাসগুলিতে কিয়েভে তার সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণগুলির একটি করেছে। ১৪ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে সেই হামলায়। পুতিন এটাই চান যে, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপ ইউক্রেন বাদ দিয়ে অন্য ইস্যুতে ব্যস্ত থাকুক।

জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহারুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহারুল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। এজিএস (পুরুষ) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (নারী) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ভিপি পদে আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট, জিএস পদে মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০ ভোট, এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান ২৩৫৮ ভোট এবং এজিএস (নারী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা ৩৪০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যান্য পদে জয়ীরা হলেন- পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক তানভীর রহমান, খাদ্যনিরাপত্তা সম্পাদক হুসনি মোবারক, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক তৌহিদ হাসান, সমাজসেবা সম্পাদক আহসান লাবিব, তথ্য-প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মাহাদী হাসান, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আকতার, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক (নারী) নিগার সুলতানা, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হান উদ্দীন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিবুল্লাহ শেখ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। কার্যকরী সদস্য (নারী) পদে জয়ী তিনজন হলেন- নুসরাত জাহান, নাবিলা বিনতে হারুন ও ফাবলিহা জাহান।
কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে জয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আলী চিশতী, আবু তালহা ও তরিকুল ইসলাম।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট পেয়ে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২৩৯২ ভোট। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ১২১১ ভোট। আর ছাত্রদলের মো. শেখ সাদি হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১২৩৮ ভোট। ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী পেয়েছেন ৯৪১ ভোট।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, সদস্য লুৎফুল এলাহীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আব্দুর রশিদ জিতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও আন্দোলনের সময় সর্বপ্রথম ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আহত হন। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলন পরিচালনা করেন তিনি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেন এবং এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে হল কেন্দ্রগুলো থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে আনা হয় এবং ওইদিন রাত ১০টার কিছু পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং ছাত্র ভোটার ছিলেন ৬ হাজার ১৫ জন। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।

সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ণ
সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এত প্রাণের বিনিময়ে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার মধ্য দিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক সরকার হবে জবাবদিহিমূলক। এটি আর অতীতের সরকারের মতো হবে না।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বরিশালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে এসে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডাকসু নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয় নয়। অনেকেই বলেছিল, এই নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ন  রেখেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো দেখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যতদিন থাকছি, ততদিন সম্ভবপর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। তবে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
এ সময় উপদেষ্টা বরিশালের নদীবন্দর, জেলখাল, পোর্ট রোড ও স্টিমার ঘাট পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) খেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে নৌরুটে প্যাডেলচালিত জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
পরিদর্শনকালে বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।