খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৫ কার্তিক, ১৪৩২

আবার লম্বা ছুটির কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ
আবার লম্বা ছুটির কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১ জুন শুরু হচ্ছে ১৯ দিনের ছুটি। কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ। অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। বিকল্প উপায়ে পড়তে পারে না, এমন শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।

শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন পাঠ্যবই হাতে না পাওয়ায় শিক্ষাবর্ষের প্রথম দুই মাস গেছে পড়াশোনা ছাড়া। তৃতীয় মাস (২ মার্চ শুরু) থেকে রোজাসহ ৪০ দিনের ছুটি ছিল। খোলার পর দু’দিন ক্লাস পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা; যা এখনও চলছে। আসছে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর আবার শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বেশির ভাগ বড় ছুটি পড়ে গেছে বছরের প্রথমার্ধে। এতে তারা সিলেবাস শেষ করা নিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন। কারণ ‌‌‌‘অ্যাকটিভ ক্লাসরুম টাইম’ পাওয়া তাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, বিদ্যালয় খোলা না থাকলে সন্তান শুয়েবসে সময় কাটায়। পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে না। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সন্তানদের কোচিং সেন্টার বা শিক্ষকের কাছে ব্যাচে পড়ান। এতে শিক্ষাব্যয় বাড়ে। আবার গ্রামের অভিভাবকদের সামর্থ্য না থাকায় সন্তানরা খেলাধুলা করে ছুটি কাটায়। ফলে তারা জ্ঞান অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে।

গত বছর জুলাই আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশ কিছুদিন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। আগস্টজুড়েই বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থা বিরাজ করে। সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়।

শিক্ষকরা জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক। তবে চাকরি হারানো শিক্ষকদের স্থলে নতুন নিয়োগ হয়নি। এতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার সমকালকে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বহু খ্যাতনামা অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অপমান, অপদস্ত, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে প্রবেশে বাধাসহ অনেকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের হিসাবে এ সংখ্যা তিন সহস্রাধিক। তারা পদবঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। এই হয়রানি ও বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

দেখা যায়, পাবলিক পরীক্ষার কারণেও অস্বাভাবিক ক্লাস বন্ধের সমস্যা রাজধানীর বড় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এই বন্ধ আবার ছুটি হিসেবে ধরা হয় না। সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকায় এসএসসি পরীক্ষার সময় ক্লাস বন্ধের কথা নেই। এ বছরের তালিকায় ৭৬ দিন ছুটি রয়েছে। বাস্তবে ছুটি আরও বেশি।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর খ্যাতনামা ও বড় প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোতে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষার সময় ক্লাস বন্ধ থাকছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদাউস বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার সময় আমাদের শাখা ক্যাম্পাসগুলোতে ক্লাস নেওয়া হয়। মূল ক্যাম্পাসে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়া হয়।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, লম্বা ছুটিতে নির্দিষ্ট সিলেবাস শেষ করা চ্যালেঞ্জের। আমরা চেষ্টা করি, ছাত্রীদের যেন ক্ষতি না হয়। তারা যেন সিলেবাস শেষ করতে পারে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, যেদিন এসএসসি পরীক্ষা থাকবে না, সেদিন ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলবে ১ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত। সরকারি-বেসরকারি কলেজে এই ছুটি চলবে ৩ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটি চলবে।

এদিকে আগামী ১৭ ও ২৪ মে (দুই শনিবার) স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। ওই দুই দিন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নির্দেশনাও রয়েছে।

দীর্ঘ ছুটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রাজধানীর একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুনিরাতুল হক অর্থি জানায়, ছুটি আমাদের ভালো লাগে। তবে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকলে ভালো লাগে না। কারণ এতে একদিকে পড়াশোনার অপূরণীয় ক্ষতি হয়; আবার লম্বা ছুটির কারণে অনেক পড়া জমে যায়।
মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আলম আসিফের মন্তব্য হলো, স্কুল খোলা থাকলে ভালো। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। নইলে বাসায় টিভি দেখে, মোবাইল ফোনে গেমস খেলে বিরক্তিকর সময় কাটে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ‘শিক্ষার হালচাল ও আগামীর ভাবনা’ শীর্ষক এক পরামর্শ সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪ মাসের চিত্র তুলে ধরা হয়। তিনি জানান, মোট ৪২৭ দিন। খোলা ছিল ১৪৮ দিন। বন্ধ ছিল ২৭৯ দিন।

এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে, নিয়মিত ক্লাস হলেও যেখানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, সেখানে লম্বা সময় বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় তা সহজে অনুমেয়। ব্যাপক শিখন ঘাটতি তৈরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ ঘাটতি পূরণে সরকারের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজাদ খান বলেন, শিক্ষাপঞ্জি অনুসরণ করে সিলেবাস সাজানো হয়। অস্বাভাবিক ছুটির কারণে কোনো শিখন ঘাটতি তৈরি হলে প্রয়োজনে ছুটির দিনে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করে হলেও তা মেটানো হবে।

৩১ সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বিকেলে ইসির বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
৩১ সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বিকেলে ইসির বৈঠক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এবার সংসদ নির্বাচনের ঠিক দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে আগেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে হিসেবে আসছে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলেই জানিয়েছে ইসি। তফসিল ঘোষণার আগে এবার সব মন্ত্রণালয়, বিভাগের সচিব ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নাসির উদ্দিন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে বৈঠকে ২২টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
যে ৩১ মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থাকবে বৈঠকে
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার দপ্তর সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব।
আরও থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিব (রুটিন দায়িত্ব), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ঢাকার প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সচিব, কারা মহাপরিদর্শক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ শিক্ষার্থী দগ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ শিক্ষার্থী দগ্ধ

ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে বড় হুজুর বাড়ি দারুল নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় ।এতে আট শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে জরুরি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন- সাদিয়া আক্তার (১২), রুবাইয়া (৯), আয়মান (৬), নুসরাত (১০), আলিয়া (৩০), তুইবা (৬), রওজা (১৩) ও আফরিন (১৩)।
দগ্ধ আফরিনের মামা মো. আনোয়ার জানান, আমরা জানতে পারি বুধবার বিকেলের দিকে হঠাৎ মাদ্রাসার পাশে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই মাদ্রাসার চতুর্থ তলায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছিল। আগুনের ফুলকি মাদ্রাসার ভেতর ঢুকে গেলে দগ্ধ হয় শিক্ষার্থীরা। পরে রাতেই তাদের দগ্ধ অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে জাতীয় বার্নে নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হয়ে দগ্ধ ৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এসেছে। তাদের মধ্যে, সাদিয়ার ১৩ শতাংশ, রুবাইয়ার ৫ শতাংশ, আয়মানের ২ শতাংশ, নুসরাতের ৩ শতাংশ, তুইবার ৩ শতাংশ, রওজার ৩ শতাংশ, আলিয়ার ১৪ শতাংশ ও আফরিন ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনকে জরুরি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের সঙ্গে এটা একটা প্রতারণা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটা প্রতারণা। এটা ঐক্য হতে পারে না। তাহলে এই কমিশন কেন করা হয়েছিল?
বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদের ‘বিচার সংস্কার নির্বাচন : অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গতকাল মঙ্গলবার সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যে বিষয়গুলোতে তারা একমত ছিলেন না, সেখানে তারা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন। সেই নোট অব ডিসেন্ট সুপারিশে লিপিবদ্ধ করার একটা প্রতিশ্রুতি ছিল কমিশনের। কিন্তু অবাক হয়ে তারা লক্ষ্য করলেন, সুপারিশে সেই বিষয়গুলো নেই। নোট অব ডিসেন্টগুলো পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। ইগনোর করা হয়েছে। এটা তো ঐক্য হতে পারে না। তাহলে ঐকমত্য কমিশনটি করা হয়েছিল কেন?
মির্জা ফখরুল বলেন, এত বড় একটা অভ্যুত্থান, এত ত্যাগের বিনিময়ে, এত প্রাণের বিনিময়ে সেটাকে ঠিকভাবে জাতির কল্যাণে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, যতই দিন যাচ্ছে, ততই বিভক্ত বাড়ছে। বিভক্ত হয়ে পড়াটা, এটা কারা করছেন, কেন করছেন, এটাও উপলব্ধি করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি কিন্তু এইবার জনগণের সামনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ওয়াদাবদ্ধ। আপনি এখানে সত্যিকার অর্থেই যেটুকু সংস্কার দরকার, সেই সংস্কারগুলো করে আপনি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন দেবেন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে পার্লামেন্ট আসবে, সেই পার্লামেন্ট এই দেশের সংকটগুলো সমাধান করবে।
প্রকাশনা উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, চর্চা ডটকমের সম্পাদক সোহরাব হাসান, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, লেখক ও সাংবাদিক শাহ্‌নাজ মুন্নী প্রমুখ।