খুঁজুন
                               
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র, ১৪৩২

আবার লম্বা ছুটির কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ
আবার লম্বা ছুটির কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১ জুন শুরু হচ্ছে ১৯ দিনের ছুটি। কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ। অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। বিকল্প উপায়ে পড়তে পারে না, এমন শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।

শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন পাঠ্যবই হাতে না পাওয়ায় শিক্ষাবর্ষের প্রথম দুই মাস গেছে পড়াশোনা ছাড়া। তৃতীয় মাস (২ মার্চ শুরু) থেকে রোজাসহ ৪০ দিনের ছুটি ছিল। খোলার পর দু’দিন ক্লাস পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা; যা এখনও চলছে। আসছে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর আবার শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বেশির ভাগ বড় ছুটি পড়ে গেছে বছরের প্রথমার্ধে। এতে তারা সিলেবাস শেষ করা নিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন। কারণ ‌‌‌‘অ্যাকটিভ ক্লাসরুম টাইম’ পাওয়া তাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, বিদ্যালয় খোলা না থাকলে সন্তান শুয়েবসে সময় কাটায়। পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে না। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সন্তানদের কোচিং সেন্টার বা শিক্ষকের কাছে ব্যাচে পড়ান। এতে শিক্ষাব্যয় বাড়ে। আবার গ্রামের অভিভাবকদের সামর্থ্য না থাকায় সন্তানরা খেলাধুলা করে ছুটি কাটায়। ফলে তারা জ্ঞান অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে।

গত বছর জুলাই আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশ কিছুদিন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। আগস্টজুড়েই বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থা বিরাজ করে। সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়।

শিক্ষকরা জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক। তবে চাকরি হারানো শিক্ষকদের স্থলে নতুন নিয়োগ হয়নি। এতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার সমকালকে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বহু খ্যাতনামা অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অপমান, অপদস্ত, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে প্রবেশে বাধাসহ অনেকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের হিসাবে এ সংখ্যা তিন সহস্রাধিক। তারা পদবঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। এই হয়রানি ও বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

দেখা যায়, পাবলিক পরীক্ষার কারণেও অস্বাভাবিক ক্লাস বন্ধের সমস্যা রাজধানীর বড় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এই বন্ধ আবার ছুটি হিসেবে ধরা হয় না। সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকায় এসএসসি পরীক্ষার সময় ক্লাস বন্ধের কথা নেই। এ বছরের তালিকায় ৭৬ দিন ছুটি রয়েছে। বাস্তবে ছুটি আরও বেশি।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর খ্যাতনামা ও বড় প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোতে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষার সময় ক্লাস বন্ধ থাকছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদাউস বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার সময় আমাদের শাখা ক্যাম্পাসগুলোতে ক্লাস নেওয়া হয়। মূল ক্যাম্পাসে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়া হয়।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, লম্বা ছুটিতে নির্দিষ্ট সিলেবাস শেষ করা চ্যালেঞ্জের। আমরা চেষ্টা করি, ছাত্রীদের যেন ক্ষতি না হয়। তারা যেন সিলেবাস শেষ করতে পারে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, যেদিন এসএসসি পরীক্ষা থাকবে না, সেদিন ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলবে ১ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত। সরকারি-বেসরকারি কলেজে এই ছুটি চলবে ৩ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটি চলবে।

এদিকে আগামী ১৭ ও ২৪ মে (দুই শনিবার) স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। ওই দুই দিন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নির্দেশনাও রয়েছে।

দীর্ঘ ছুটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রাজধানীর একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুনিরাতুল হক অর্থি জানায়, ছুটি আমাদের ভালো লাগে। তবে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকলে ভালো লাগে না। কারণ এতে একদিকে পড়াশোনার অপূরণীয় ক্ষতি হয়; আবার লম্বা ছুটির কারণে অনেক পড়া জমে যায়।
মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আলম আসিফের মন্তব্য হলো, স্কুল খোলা থাকলে ভালো। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। নইলে বাসায় টিভি দেখে, মোবাইল ফোনে গেমস খেলে বিরক্তিকর সময় কাটে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ‘শিক্ষার হালচাল ও আগামীর ভাবনা’ শীর্ষক এক পরামর্শ সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪ মাসের চিত্র তুলে ধরা হয়। তিনি জানান, মোট ৪২৭ দিন। খোলা ছিল ১৪৮ দিন। বন্ধ ছিল ২৭৯ দিন।

এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে, নিয়মিত ক্লাস হলেও যেখানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, সেখানে লম্বা সময় বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় তা সহজে অনুমেয়। ব্যাপক শিখন ঘাটতি তৈরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ ঘাটতি পূরণে সরকারের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজাদ খান বলেন, শিক্ষাপঞ্জি অনুসরণ করে সিলেবাস সাজানো হয়। অস্বাভাবিক ছুটির কারণে কোনো শিখন ঘাটতি তৈরি হলে প্রয়োজনে ছুটির দিনে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করে হলেও তা মেটানো হবে।

জুলাই সনদ নিয়ে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ণ
জুলাই সনদ নিয়ে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দুপুর আড়াইটায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিএনপির প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আমন্ত্রণ পাওয়া একাধিক দল সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেছিল কমিশন। সেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া বাস্তবায়নের পথে এগোতে চায় না কমিশন।
ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন ইতোমধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য চারটি প্রস্তাবনা দিয়েছে- গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ অথবা নির্বাহী আদেশ। তবে কোন পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে, তা নিয়েই আজকের বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে। জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক ঐকমত্য তৈরি হলেও বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে এখনো ভিন্নমত রয়েছে। কেউ সংবিধান সংশোধনের ওপর জোর দিচ্ছেন, আবার কেউ চাইছেন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন। কমিশনের মতে, জুলাই সনদ কেবল রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখাই নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি রোডম্যাপ, যা দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। তবে কার্যকর করতে হলে প্রয়োজন সর্বাত্মক রাজনৈতিক ঐকমত্য।

এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায় : অ্যাড. শাহজাহান মিয়া

মুহাম্মদ বাদশা ভূঁইয়া,চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায় : অ্যাড. শাহজাহান মিয়া

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাজীর বাজার এলাকায় চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী এডভোকেট শাহজাহান মিয়া ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি কাজীর বাজারসহ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণসংযোগ করেন। এ সময় সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং দাড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে সমর্থন কামনা করেন।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, “এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায়। দুঃশাসন ও বৈষম্যের শিকার জনগণ শান্তি, ন্যায়বিচার এবং সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। তাই আগামী নির্বাচনে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, জনগণ যদি দাড়িপাল্লার পক্ষে ভোট দেয় তবে আমরা দেশে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে পারবো।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি। ইসলাম ও জনগণের কল্যাণই আমাদের মূলনীতি। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা থাকলে এ আসনে বিজয় সুনিশ্চিত হবে।”
গণসংযোগ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা আমীর মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী, ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধানিয়া, ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি কাজী মোঃ আবু তাহের, সেক্রেটারী মোঃ আল আমিন আখন্দ, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আফজাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সুরুজ, ৫ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারী আবুল কাশেম হাওলাদারসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। এ সময় এলাকায় এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দেন।

মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে : ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে : ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মাদ্রাসা শিক্ষক সম্মেলন– ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৩সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর চেয়ারম্যান ঘাটস্থ ইউরেশিয়া কনভেনশন হলে এই সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা শুধু ধর্মীয় জ্ঞান নয়, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে রাখছে। শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, সমাজে সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি এবং তরুণ প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতেও মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবদান অনন্য। জাতীয় জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদার ক্ষেত্রেও মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
তিনি আরো বলেন, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর না হলে প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থা ভারসাম্যপূর্ণ হবে না। শিক্ষকেরা সন্তুষ্ট হলে শিক্ষা মানোন্নয়ন সহজ হবে। এ জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ এবং মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আহ্বান জানান, ডিজিটাল যুগের চাহিদা অনুযায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও সুবিধা দিতে হবে। যাতে তারা যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান করে ছাত্রছাত্রীদের দেশ গড়ার যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে পারেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও মাদ্রাসা-ই-মোহাম্মদিয়া আরবিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আ.ন.ম মাঈন উদ্দিন সিরাজী, চাঁদপুর জেলার শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ, মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া, অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ ছগীর হোছাইন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান এর পরিচালনায় আরো বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও আল আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জেলা সেক্রেটারী ফরিদগঞ্জ আদর্শ একাডেমীর অধ্যক্ষ মোঃ হারুনুর রশিদ, শাহাতলী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ বিল্লাল হোসেন, হাজীগঞ্জ সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর, ভুলদিঘী কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ তৈয়বুল রহমান, আল-আমিন মহিলা মাদ্রাসার সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান, নিশ্চিন্তপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ফখরুদ্দিন, চাপাতলী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুল ইসলাম মজুমদার, পশ্চিম সেকদী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মকবুল আহমেদ, মনিহার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নাজির আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর শ্রমিক ফেডারেশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক শাহ আলম, চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর এড: শাহজাহান খান সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা মোঃ ছগীর হোসাইন এবং সেক্রেটারী নির্বাচিত হন মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান। চাঁদপুর জেলার আটটি উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষক এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।