খুঁজুন
                               
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১ ভাদ্র, ১৪৩২

আজ ভাষা সৈনিক ডাঃ এমএ গফুরের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
আজ ভাষা সৈনিক ডাঃ এমএ গফুরের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

চাঁদপুরের কিংবদন্তীতুল্য নিভৃতচারী সমাজসেবক, সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, চাঁদপুর ডায়াবেটিক ও মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ভাষা সৈনিক আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুরের আজ ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। উল্লেখ্য, মরহুম ডাঃ এম এ গফুর ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট ভোর ৪টার সময় ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, ১ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। এ উপলক্ষে আজ ২৩ আগস্ট বাদ জোহর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের এবাদতখানায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
ডাঃ এমএ গফুরের পরিচিতি : চাঁদপুরবাসীর সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুর। নিঃস্বার্থ এই সমাজসেবক পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। একাধারে তিনি ছিলেন সমাজসেবক, সমাজকর্মী ও দক্ষ সংগঠক। একজন প্রতিথযশা চিকিৎসক ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি চাঁদপুর জেলায় স্বাস্থ্যখাত ও সামাজিক খাতে উন্নয়নের জন্যে বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান, সংগঠন প্রতিষ্ঠায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে চাঁদপুরে বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠাগুলো এখনও আর্তমানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এসব জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের সাথে জীবনের দীর্ঘ সময় জড়িত থেকে মানব সেবা করে দেশ ও বিদেশে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নের সময় ভাষা আন্দোলনে ভাষা সংগ্রামী হিসেবে এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর পৈত্রিক বাড়ি পাক হানাদার বাহিনী আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলো। চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য তিনি ০.৩৮২৫ একর ভূ-সম্পত্তি দান করে গেছেন। যার উপরে বর্তমানে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল ভবন অবস্থিত। প্রতিথযশা চিকিৎসক ও জনহিতৈষী ডাঃ এমএ গফুর ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত : আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুর চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চর কোড়ালিয়া গ্রামে ১৯৩৩ সালের ২৮ অক্টোবর সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম পিয়ার আলী সরকার ও মাতার নাম মরহুমা সৈয়দুন্নেছা। আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুর চাঁদপুর গনি হাই স্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৫০ সালে ঢাকা জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএসসি ও ১৯৫৬ সনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একজন মেধাবী চিকিৎসক হিসেবে ১৯৬৫ সালে লন্ডন ও এডিনবার্গে স্নাতকোত্তর চিকিৎসাবিদ্যা ও রেডিওলজিতে অধ্যয়ন করেন। তাঁর স্ত্রী মরহুম অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন ১৯৬৪-১৯৬৭ পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। সর্বশেষ ১৯৬৭-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ডাঃ এমএ গফুর ১ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তানের জনক। কন্যা মিসেস মাহফুজা হক অর্থনীতিতে এম.এ (ঢাবি)। জেষ্ঠ্য পুত্র অধ্যাপক ডাঃ শাকিল গফুর, এমবিবিএস, ডিটিসিডি, এমডি (কার্ডিওলজি) রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। কনিষ্ঠ পুত্র অধ্যাপক ড. শায়ের গফুর, পিএইচডি, এফআইএবি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
সংক্ষিপ্ত সাংগঠনিক পরিচিত : ১। প্রতিষ্ঠাতা, দাতা ও আজীবন সদস্য : চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতি ২। অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক (১৯৮৭-২০১৫) : চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতি ৩। অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক (১৯৮২-২০১০) : মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, চাঁদপুর ৪। পরিচালনা পর্ষদ সদস্য (তিনবার) : বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) ৫। প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও সভাপতি (১৯৭৬-৭৭) : চাঁদপুর রোটারী ক্লাব ৬। প্রতিষ্ঠাতা : রোটারী দাতব্য চিকিৎসালয় ৭। প্রাক্তন সভাপতি : চাঁদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন ৮। প্রাক্তন সভাপতি : বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), চাঁদপুর ৯। প্রাক্তন সভাপতি : জাতীয় যক্ষা নিরোধ কমিটি (নাটাব), চাঁদপুর ১০। প্রাক্তন সভাপতি : আমরা ধুমপান না করি (আধুনিক), চাঁদপুর ১১। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য : বিএভিএস, চাঁদপুর ১২। সাবেক সভাপতি : বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, চাঁদপুর ১৩। প্রাক্তন উপদেষ্টা : জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি, চাঁদপুর ১৪। প্রাক্তন পরিচালনা কমিটির সদস্য : চাঁদপুর সরকারি কলেজ ১৫। প্রাক্তন পরিচালনা কমিটির সদস্য : চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ ১৬। প্রাক্তন পরিচালনা কমিটির সদস্য : চাঁদপুর ল’ কলেজ ১৭। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য : পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ ১৮। প্রাক্তন সভাপতি : সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), চাঁদপুর ১৯। প্রাক্তন সভাপতি : জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, চাঁদপুর ২০। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য : চাঁদপুর ফাউন্ডেশন ২১। প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি : চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি ২২। প্রতিষ্ঠাতা : বাইতুল গাফ্ফার জামে মসজিদ, হাইমচর ২৩। প্রতিষ্ঠাতা : সৈয়দুন্নেছা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, হাইমচর ২৪। প্রাক্তন সভাপতি : চৌধুরী জামে মসজিদ, চাঁদপুর ২৫। প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্ত্বাধিকারী : পির্য়াস মেমোরিয়াল হাসপাতাল ২৬। পরিচালক : চাঁদপুর এক্স-রে ক্লিনিক।

দেশজুড়ে অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫৮৬

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
দেশজুড়ে অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫৮৬

দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৫৮৬ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ৫৮ জন। রোববার (২৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে মোট ১ হাজার ৫৮৬ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তাদের মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ৫৮ ও অন্যান্য অপরাধে গ্রেপ্তার আরও ৫২৮ জন। এছাড়া অভিযানে উদ্ধার করা হয়, বিদেশি পিস্তল ও দেশি এলজিসহ অন্যান্য অপরাধ কাজে ব্যবহৃত নানা রকম জিনিসপত্র।

গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ৯:০১ পূর্বাহ্ণ
গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি

ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাকে জুলাইয়ের একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ রাতে তাকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি-পুলিশ। আজ রাতে বরিশাল থেকে সিআইডির এক বিশেষ অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ১১ নম্বর আসামি তৌহিদ আফ্রিদি।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, এ মামলায় প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ২ নম্বর আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ৩ নম্বর আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন। একই মামলায় ২২ নম্বর আসামি তার বাবা মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে।
এ হত্যা মামলায় ২৫ জন ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যুর দুইবার সমাধান হয়েছে : পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৬ অপরাহ্ণ
একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যুর দুইবার সমাধান হয়েছে : পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেছেন, একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত তিন সমস্যার দুইবার সমাধান হয়েছে।রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসহাক দার বলেন, ‘অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে বলতে চাই, ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিষয়টির নিস্পত্তি হয়েছে। আর ওই সময়ের দলিলটি দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক। এরপর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এখানে (বাংলাদেশে) এসে প্রকাশ্যে এবং খোলামনে বিষয়টির সমাধান করেছেন। ফলে বিষয়টির দুইবার সমাধান হয়েছে। একবার ১৯৭৪ এ, আরেকবার ২০০০ এর শুরুতে।’
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, যুদ্ধের জন্য ক্ষতিপূরণ, বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানির প্রত্যাবাসন, সম্পদের হিস্যা, ১৯৭০ সালে অবিভক্ত পাকিস্তানের ঘূর্ণিঝড়ের সময় দেওয়া বৈদেশিক সহায়তার পাওনা পরিশোধের মতো বিষয়গুলোর সুরাহা করা জরুরি বলে মনে করে ঢাকা। বৈঠকে এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের তুলে ধরার কথা বলে জানা গেছে।
এর আগে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ইসহাক দারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দুই দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। বৈঠক ঘিরে ছয় চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি রাখে দুই দেশ। দুই দেশের কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে সমঝোতা, দুদেশের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মধ্যে সমঝোতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে যৌথ গ্রুপ গঠন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সঙ্গে পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার মধ্যে সমঝোতা হতে পারে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দুদেশের পণ্য ও সেবার মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই বৈঠকে দুদেশ সম্পর্কের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে দুদেশের বাণিজ্য বাড়ানো এবং আন্তঃসংযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানা গেছে। এর অংশ হিসেবে বর্তমানে ঢাকা সফরে রয়েছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠককে কয়েকটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে রাজনৈতিক সহযোগিতা, অর্থনীতি এবং অন্যান্য সহযোগিতা নিয়ে আলাপ করবে দুদেশ। এ ছাড়া আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করবে ঢাকা ও ইসলামাবাদ।
এর আগে শনিবার বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে এক কূটনীতিক বলেন, দুদেশের প্রতিরক্ষা খাত, জঙ্গিবাদ দমন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি, সার্ককে আবারও সচল করাসহ সার্বিক বিষয় গুরুত্ব পাবে। দীর্ঘ সময় পরে দুই দেশের বৈঠক হতে যাচ্ছে। এটিকে সফল করতে চায় বাংলাদেশ।
সকাল ১০টায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসার আগে তৌহিদ হোসেন ও ইসহাক দার একান্ত বৈঠকের কথা জানা গেছে। এরপর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ইসহাক দার নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৈঠকের পর ইসহাক দারের সফর উপলক্ষে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছে সরকার। বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর তিনি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকের কথা রয়েছে। ইসহাক দার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাসায় দেখা করতে যাবেন। রোববার রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।