খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

‘অপ্রতুল’ কৈশোরবান্ধব সেবা, যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে অজ্ঞ বড় অংশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৫৭ অপরাহ্ণ
‘অপ্রতুল’ কৈশোরবান্ধব সেবা, যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে অজ্ঞ বড় অংশ

দেশের মোট কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ সরকারের কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সম্পর্কে ধারণা রাখলেও বাকি ৩৫ শতাংশের মতো কিশোর-কিশোরী এখনো এই সেবা সম্পর্কে কিছুই জানে না। এমনকি যারা এই সেবা সম্পর্কে জানে, তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কিশোর-কিশোরী সেবা কেন্দ্রে এসে এই সেবা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। ফলে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বড় অংশই তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ সার্ভিস ট্রেনিং অ্যান্ড এডুকেশন প্রোগ্রাম (আরএইচস্টেপ) আয়োজিত এক সেমিনারে উপস্থাপিত এক গবেষণা প্রবন্ধে এসব তথ্য জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

২০২২ সালের জরিপ অনুসারে দেশে কিশোর-কিশোরী, বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার মধ্যে যারা ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী তাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনের মধ্যে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ১৭৫ জনই ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী, শতাংশের হিসাবে যা ১০.১০। এর পরই আছে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী, যাদের সংখ্যা ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৬৮২ জন। শতাংশের হিসাবে ৯.৯২। এজন্য বাংলাদেশে স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে কিশোর-কিশোরী ও যুববান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থায়।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী। তাদের জন্য দেশে বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে ১২৫৩টি। তবে এত সংখ্যক সেবা কেন্দ্র থাকলেও ৩৫ শতাংশের মতো কিশোর-কিশোরী এখনো এই সেবা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। যে ৬৫ শতাংশের মতো জানে, তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সেবা নিতে আসে, বাকি অর্ধেকেরও বেশি কিশোর-কিশোরী এই সেবা নিতে আগ্রহ দেখায় না।

গবেষণায় দেখা গেছে, কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সম্পর্কে জেনেও যারা সেবা নিতে যায় না তাদের মধ্যে ১০ শতাংশ এই কার্যক্রম নিয়ে উৎসাহবোধ করেন না। এ ছাড়া প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশের মতো কিশোর-কিশোরী সোশ্যাল স্টিগমার কারণে যায় না। আর সাড়ে ৩ শতাংশের মতো কিশোর-কিশোরী বলছে এই কার্যক্রমে যেতে তাদের পরিবারের বাধা-নিষেধ রয়েছে।

গবেষণা প্রসঙ্গে ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা চারটি উপজেলায় (সাভার, নড়াইল, গাইবান্ধা, সিলেট) ৩০০ জন কিশোর-কিশোরীর উপর এই জরিপটি পরিচালনা করেছি। কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে যেসব সেবা থাকার কথা, অধিকাংশতেই সেগুলো পুরোপুরি উপস্থিতি নেই। এমনকি অসংখ্য কিশোর-কিশোরী জানেই না যে, এই সেবা কেন্দ্রে কী ধরনের সেবা পাওয়া যায়। এমনকি কার্যক্রমে শিক্ষক এবং গার্ডিয়ানদের উপস্থিতি কম পাওয়া গেছে। আমরা মনে করি, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলোতে তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের শিক্ষা কারিকুলামে যৌনতা সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে যা আছে, এগুলো সম্পর্কে আমাদের শিক্ষকেরা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারছেন না। এমনকি সেক্সচুয়াল বিষয়গুলোর সামনে এলে সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধারণা না দিয়ে তারা ভিন্ন টপিকে চলে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা করতে গিয়ে আরেকটি বিষয়ে আমরা দুর্বলতা পেয়েছি, তা হলো এই ধরনের বিষয়গুলো কিশোর-কিশোরীরা শুধু বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমেই পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের বর্তমান যুগে দেখছি যে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখছে, সেই জায়গাতে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য সেবা পিছিয়ে আছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা মনে করি বিভিন্ন অনলাইন অ্যাক্টিভিজম কিংবা বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে সেগুলোর মাধ্যমে যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে ধারণা দিতে পারি, তাহলে কিশোর-কিশোরীরা সামাজিক স্টিগমা বা ট্যাবুটা অনুভব করবে না।

এ সময় সরকারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এঅ্যান্ডআরএইচ) ডা. মো. মনজুর হোসেন বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আমরা যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কিছু উন্নয়ন সহযোগী আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের যে ৩ কোটি ২৮ লাখ কিশোর-কিশোরী রয়েছে, তাদের পুষ্টি, প্রজনন স্বাস্থ্য, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে আমরা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আমরা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কর্নার প্রতিষ্ঠা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কিশোর-কিশোরীরা সেবা নিচ্ছে কি না, বা নিয়ে থাকলে তারা আমাদের সেবায় সন্তুষ্ট কি না, এমনকি কিশোরদের তুলনায় কিশোরীদের উপস্থিতি সেখানে কেন বেশি, এগুলো নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো, ওই সেবাকেন্দ্রে যদি তিনজন কিশোরী আমাদের কেন্দ্র থেকে সেবা নেয়, তাহলে কিশোর সেবা নেয় একজন। এখন প্রশ্ন হলো, কেন কিশোরীরা বেশি নিচ্ছে আর কিশোররা কেন নিচ্ছে না? এর মূল বিষয়বস্তুগুলো আমরা লিঙ্গভেদে চিন্তা করি, তাহলে দেখব মেয়েদের এবং ছেলেদের স্বাস্থ্যসেবায় বেশ ভিন্নতা রয়েছে। কারণ মেয়েদের মাসিক ব্যবস্থাপনা সেবার প্রয়োজন হয়, যা কিশোরদের প্রয়োজন হয় না। আবার কিশোরীদের রক্তস্বল্পতার হার বেশি, যা কিশোরদের মধ্যে নেই। মেয়েদের গুণগত মাসিক ব্যবস্থাপনাগুলো নিশ্চিতে আমরা মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করি, যে ছেলেদের প্রয়োজন হয় না। বিশেষ করে মেয়েলি রোগগুলো শুধু কিশোরীদেরই হয়, কিন্তু কিশোরদের হয় না।

মনজুর হোসেন বলেন, দেশে অন্তত ৫০ শতাংশ মেয়েরই বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের আগে, তারাও তো কিশোরী। তাদের ফ্যামিলি প্ল্যানিং, গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা এবং প্রসব পরবর্তী সেবা সবগুলোই কিশোরীদের প্রয়োজন হয়, এ বিষয়গুলো কিশোরদের প্রয়োজন হয় না বলেই তারা আমাদের কাছে আসে না। এসব কারণেই কিশোরীদের সেবা গ্রহণের হার আমাদের সেবা কেন্দ্রগুলোতে কিশোরদের তুলনায় বেশি।

তিনি আরও বলেন, কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে আমরা যে সেবাগুলো দিচ্ছি, সেগুলোতে ডিমান্ড এবং সাপ্লাই _দুটো পক্ষেরই অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনি আপনার প্রয়োজনটা যখন অনুভব করবেন, তখনই আমাদের কাছে আসবেন এবং আমরা সে অনুযায়ী সেবা দেব। সেক্ষেত্রে আমাদের কিশোর-কিশোরীদের হেলথ চেকিং বিহেভিয়ার এটা কেন কম, এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

পরিবার পরিকল্পনার এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বাড়ি থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত কিশোর-কিশোরীদের যতটা বার্তা দেওয়া দরকার, আমরা সেটি শতভাগ দিতে পারছি না। সেটা বাড়ি থেকেও সে পাচ্ছে না, স্কুল থেকেও পর্যাপ্ত দিচ্ছে না, এমনকি যারা স্কুলে যায় না তারা তো আরও কম পাচ্ছে। এই যে বড় একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে, এই জায়গাগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে এগুলো নিয়ে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা করবো এবং আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমে সেগুলো যুক্ত করা যায় কি না এসব বিষয়ে পর্যালোচনা করব।

আরএইচস্টেপ’র আয়োজনে ‘অধিকার এখানে এখনই-২’ প্রকল্পের উদ্যোগে গবেষণার ফলাফল প্রকাশের এই আয়োজনে আরও বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিট) ডা. আনম মোস্তফা কামাল মজুমদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এডোলোসেন্ট অ্যান্ড স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম) ডা. মো. শামসুল হক, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মধুছন্দা হাজরা মৌ। এ ছাড়া সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং আরএইচস্টেপ’র কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানটিতে শুভেচ্ছা ও সমাপনী বক্তব্য দেন আরএইচস্টেপ’র নির্বাহী পরিচালক কাজী সুরাইয়া সুলতানা।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।