খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন, ১৪৩২

অপরাধ করলে আমারও বিচার হবে : ডিবি প্রধান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
অপরাধ করলে আমারও বিচার হবে : ডিবি প্রধান

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ডিবি জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, আমি অপরাধ করলে আমারও বিচার হবে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) শাহবাগ থানা এলাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে সিটিজেন ফোরামের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা আমাদের মাদক, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এমনকি ডিবির কোনো সদস্য যদি অপরাধ করে এই তথ্যও দিন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের সহযোগিতা নিয়ে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা প্রদান করতে ও দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাই। পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করলে আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারবো।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জনগণের পুলিশে পরিণত হতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সেই পুলিশ হতে চাই, যে পুলিশ স্বাধীনতা যুদ্ধে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বিপ্লবকে আমাদের মনে প্রাণে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

রমনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা ও জানমাল রক্ষায় যা করা দরকার তাই করতে হবে। পুলিশ সম্পর্কে কোনো বিরূপ ধারণা যেন সৃষ্টি না হয়, সেই দিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আপনারা যখন মসজিদে নামাজ পড়েন, মন্দিরে পূজা অর্চনা করেন, সেই সময় পুলিশ সদস্যরা আপনাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির দেশ। সম্প্রীতির মাধ্যমে হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ সবাই একত্রে বসবাস করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা একে অপরের পরিপূরক। জনগণ পুলিশ একসঙ্গে থাকতে চাই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত শাহবাগ থানা এলাকার নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

সভায় উপস্থিত তৌহিদুল ইসলাম বাবু একজন বলেন, মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই প্রশাসন ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করুক। এতে মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূল করা সহজ হবে। আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি । মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির রমনা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আবারও সমীকরণের মুখোমুখি বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০৮ অপরাহ্ণ
আবারও সমীকরণের মুখোমুখি বাংলাদেশ

এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ। সুপার ফোরে যেতে লাল সবুজদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আফগানদের ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। তবে ম্যাচটি ২৫ বা তার বেশি রানে জিতলে গ্রুপের অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো না টাইগারদের। সুযোগও তৈরি হয়েছিল। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট মিস করে সে সুযোগ নষ্ট করে মোস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের শেষ এ উইকেটটি তখন তুলে নিতে পারলে ২২ রানের জয় পেত লাল সবুজরা। হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজে হারে কঠিন সমীকরণে পড়েছে টাইগারদের সুপার ফোরের যাত্রা।
গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। তবে নেট রান রেটে অনেকটা পিছিয়ে লিটনরা। তাদের নেট রান রেট -০.২৭০। অন্যদিকে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট ও ১.৫৪৬ নেট রান রেট নিয়ে সুপার ফোর অনেকটা নিশ্চিত শ্রীলঙ্কার। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট ও ২.১৫০ নেট রান রেট নিয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানিস্তানও।
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ : বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান। এ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই লঙ্কানদের সঙ্গে সুপার ফোর নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। কারণ সেক্ষেত্রে আফগানদের তুলনায় পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে লাল সবুজরা। তবে শ্রীলঙ্কা হারলে প্রসঙ্গ আসবে নেট রান রেটের। কারণ তখন তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ৪ করে। সেক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দুদল যাবে সুপার ফোরে। ভালো অবস্থানে থাকায় শেষ ম্যাচে জিতলেই সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে যাবে আফগানিস্তানের। তখন বাংলাদেশকে প্রার্থনা করতে হবে রশিদের বড় জয়ে।
আগে ব্যাট করলে আফগানদের জিততে হবে ৬৫ বা তার বেশি ব্যবধানে। আর পরে ব্যাট করলে জয় তুলে নিতে হবে ৫০ বল হাতে রেখেই। কেবল তখনই নেট রান রেটে লঙ্কানদের তুলনায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
আবুধাবির পিচে লঙ্কানদের বিপক্ষে আফগানদের এত বড় জয় অসম্ভবই বলা চলে। তার চেয়ে টাইগারদের সহজ সমীকরণ লঙ্কানদের জয়। গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে ‘বি’ গ্রুপের অন্য দল হংকং।
অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের পথে আছে ভারত ও পাকিস্তান। বড় দুই পরাশক্তির ভিড়ে গ্রুপের অন্য দুদল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের পরের ধাপে যাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন রুপালি ইলিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০৩ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন রুপালি ইলিশ

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১:৩০ এর সময় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে করে এই প্রথম চালান ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক শমীম হোসেন।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারতের কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, ন্যশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল, ইলিশগুলো আমদানি করেছে। আর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করেছে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও লাকী ট্রেডিং।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভারতে মোট এক হাজার ২০০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ টন করে মোট ৭৫০ টন, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে ৩৬০ টন এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ টন করে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে কিছুক্ষণের ভিতর বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে ইলিশ মাছ বোঝাই কাবাব ভ্যান ভারতে প্রবেশ করেছে।

৪টি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:০১ অপরাহ্ণ
৪টি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, চারটি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলছেন— অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করে সরকার। এতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করা হয়।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ কমিশনের মেয়াদ ঠিক করা হয় ছয় মাস, ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।
পরে গত ১২ আগস্ট কমিশনের মেয়াদ আরেক মাস বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। আজ আবার সেই মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ানো হলো।